সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালী মন্দির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থ হিসেবে বিবেচিত। আর মতুয়া মতবাদের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান হল গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ওড়াকান্দিতে
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরে আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরে এসে গোপালগঞ্জ আর সাতক্ষীরায় দুটি মন্দির পরিদর্শন করবেন তিনি। এরমধ্যে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের একটি মন্দির রয়েছে, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিন ২৭ মার্চ নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাবেন। সেদিনই তার দুই জেলায় দুই মন্দিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। উনি প্রথমে যাবেন সাতক্ষীরা যশোরেশ্বরী মন্দিরে। এটা অনেক পুরোনো মন্দির প্রতাপাদিত্য কিংবা লক্ষণ সেনের সময়ের মন্দির। সাতক্ষীরা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে যাবেন মোদি, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানাবেন। এরপর সেখান থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে যাবেন, ওদের ওখান থেকে সেদিনই ঢাকায় এসে তিনি দেশে ফিরে যাবেন।
সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালী মন্দির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থ হিসেবে বিবেচিত। আর মতুয়া মতবাদের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান হল গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ওড়াকান্দিতে। ওই গ্রামের মন্দিরটি পরিচিত মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে সর্বোচ্চ মর্যাদার তীর্থস্থান হিসেবে।
বাংলাদেশ মতুয়া মহা মিশনের সংঘাতিপতি ও মতুয়াচার্য পদ্মনাভ ঠাকুর জানান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর সামনে রেখে দেশটির হাই কমিশনের কর্মকর্তারা এরমধ্যে ওড়াকান্দি ঘুরে গেছেন। আমরা জানতে পেরেছি, নরেন্দ্র মোদি আসার পর নাটমন্দিরে ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর হরিমন্দিরে পূজা দেবেন। এসব কর্মসূচি শেষে তিনি মতুয়া প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।