আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নরসিংদী জেলা জুড়ে সোনালী ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মো. মোস্তফা খান, নরসিংদী

নরসিংদী জেলার বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে এখন সবুজের মাঝে হলুদের সমারোহ। যতদূর পর্যন্ত চোখ যায় ততই সবুজে ঢাকা মাঠগুলো অপরুপ সুন্দরে ছেঁয়ে আছে। ওই সমারোহ দেখে রঙ্গিন হয়ে উঠেছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন। এ যেন সোনালী স্বপ্নের ছড়াছড়ি। প্রতিদিনই পাল্টে যাচ্ছে মাঠে থাকা ধানের চেহারা। নতুন ধানের আগমনী বার্তা কৃষকের পরিবারে এনেছে আনন্দের ঢেউ।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোনো বিপর্যয় না ঘটলে বোরো আমনে বাম্পার ফলনের আশা করছেন জেলার হাজারো কৃষক। এখন জেলার মাঠে মাঠে সবুজ সমারোহে পূর্বালী বাতাসে সোনালী ধানের শীষ হাওয়ায় দুলছে। আর সোনালী এই ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠছে কৃষকেরা। ধানের গাছগুলো সবুজের আভা কেটে হলুদ বরণ ধারণ করেছে।

বিগত বছরগুলোতে জেলায় বোরো আমন ধানের ফলন এবং দাম ভাল পাওয়ায় চলতি মৌসুমে বোরো আমন চাষকে ঘিরে মাঠে মাঠে যেন উৎসব শুরু হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৬ শ' ৫০ হেক্টর জমি, উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪৯ মেট্রিক টন। চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নরসিংদীর সদর উপজেলায় ৮হাজার ৫২০ হেক্টর, পলাশ উপজেলায় ৪ হাজার ২৮১ হেক্টর, শিবপুর উপজেলায় ১০ হাজার ১৬৭ হেক্টর, মনোরদী উপজেলায় ১১ হাজার ১৪৯ হেক্টর, বেলাব উপজেলায় ৫ হাজার ৮৪১ হেক্টর ও রায়পুরা ১৬ হাজার ৮৮২ হেক্টর। 

বোরো ধান রোপণের মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে অধিক জমিতে বোরো ধান চাষ করেছে জেলার কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলায় মোট ৫৬ হাজার ৭ শ' ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়  বাম্পার ফলনের আশা করছেন জেলা কৃষি বিভাগ। স্থানীয় কৃষকরাও একই  আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।

গত বছর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে আরও বেশী উৎসাহ নিয়ে বোরো চাষের ফলে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাম্পার ফলনের আশা করছেন নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সরেজমিনে জেলার চরাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় বিস্তৃীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে এক কথায় জেলার কৃষি জমিতে হিমেল হওয়ায় দোল খাচ্ছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন। প্রতিটি শীষে যেন কৃষকের জীবনের স্বপ্ন ভবিষ্যৎ নির্ভর করে।  মাঠে মাঠে রোপণকৃত বোরো ধান কয়েকদিনের মধ্যে কাটা মাড়াই শুরু হবে। অনেক স্থানে যান্ত্রিক কৃষি যন্ত্র ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে কাজ। তবে চলতি বছর বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় সেচ পাম্পের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার অনেক কৃষকরা।

মহিষাশুরা এলাকার বোরো চাষি হেলাল উদ্দিন বলেন, গত বছর বোরো চাষ করে দাম ভালো পেয়েছিলাম। এবারও সেই আশায় সাড়ে সাত বিঘা জমি বোরো ধান রোপণ করেছি। ইতোমধ্যে  ধানে পাক ধরেছে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ধান কাটাশুরু করতে হবে।

গণেরগাও এলাকার বোরো চাষি জয়নাল বলেন, গত মৌসুমে উফসী ও হাইব্রিড জাতের বোরো রোপণ করে ধানের ভালো ফলন পেয়েছিলাম সেই সাথে বাজার দর ভালো থাকায় মোটামুটি লাভের মুখ দেখেছিলাম।

করিমপুর এলাকার শুক্কুর আলী নামে এক বর্গা চাষী বলেন, গত বছর ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করে বেশ লাভবান হয়েছিলাম। জমি চাষাবাদ খরচ ও সারের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় এবছর মাত্র ৩ বিঘা জমি বোরো চাষ করছি। আমার নিজের কোন জমি না থাকায় অন্যের জমি চাষ করেই কোন রকমে খেয়ে পুড়ে বেঁচে আছি। শিল্পায়ন ও নগরায়নের ফলে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী চরের ফসলী জমির মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে। এর ফলে আবাদযোগ্য জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় দিন দিন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। তাছাড়া শ্রমিকের মজুরি ও কৃষি সামগ্রীর দাম লাগামহীন ভাবে বাড়তে থাকায় কৃষিকাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছি।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে এ অঞ্চলে কাজ করতে আসা কৃষি শ্রমিক হেমায়েত উল্লাহ বলেন, করোনা মহামারীর কারণে সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আমার বড় ছেলেকে হারিয়ে ফেলেছি। তার মৃত্যুতে আমাদের পরিবারে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে তাই পরিবারের সবার মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে  এই গরমের মধে এ অঞ্চলে বোরো ধান কাটতে এসেছি। এখানে আমাদের এলাকার তুলনায় পারিশ্রমিক অনেক বেশি পাওয়া যায়। ধান কেটে একেকজন শ্রমিক থাকা খাওয়া ছাড়া দৈনিক ৪ থেকে ৫ শত টাকা মজুরি পাই। এতে কোনরকম সংসার চলে যায়।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ধানের ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। নরসিংদী জেলায় বিরি ধান ৮৮, ৮৯, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ১০০ এ প্রজাতির ধানের আবাদ বেশী হয়। তাছাড়া বোরো হাইব্রিড ও স্থানীয় প্রজাতির বোরোর আবাদও করা হচ্ছে। এবারও কাঙিখত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



তাওহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বড় পুঁজি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভালো শুরুর পর খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে তাওহিদ হৃদয়ের অনবদ্য ব্যাটে শক্ত পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২৮৭ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। প্রথমে ব্যাট করে সৌম্য সরকার ও তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটিতে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান লিটন। এরপর ক্রিজে আসেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত। টাইগার অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে শুরুর এই ধাক্কা সামাল দেন সৌম্য।

সাবলীল ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটার। ৭৫ রানের জুটি গড়েন শান্ত-সৌম্য। তবে ৩৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়।

হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন সৌম্য। ৫২ বলে ফিফটি পূরণ করেন এই টাইগার ওপেনার। এরপর কিছুটা মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন সৌম্য। তবে দলীয় ১৩০ রানে ৬৬ বলে ৬৮ রান করে আউট হন সৌম্য।

তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান তিনি। দ্রুত জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

এরপর ক্রিজে আসা মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন হৃদয়। ৪৩ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ১৭৩ রানে ২৮ বলে ২৫ রান করে আউট হন মুশফিক।

মুশফিকের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজ। ১৮ বলে ১২ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর ক্রিজে আসা তানজিম হাসান সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন হৃদয়। ফিফটি তুলে নেন এই ব্যাটার।

তবে দলীয় ২৩৬ রানে ৩৩ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান তানজিম সাকিব। এরপর তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। হৃদয় ১০২ বলে ৯৬ ও তাসকিন ১০ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। 


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




পতাকার আদলে ধানক্ষেত, প্রশংসায় ভাসছেন স্কুলশিক্ষক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকার আদলে ধান ক্ষেত সাজিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন মোঃ আবু জাফর (৩৫) নামের এক স্কুল শিক্ষক।

ওই স্কুল শিক্ষক উলিপুর পৌর এলাকার নাওডাঙা বাকরের হাট গ্রামের মোঃ আবু বক্করের ছেলে। তিনি উলিপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলে জানা গেছে। স্বাধীনতার মাসে ধান ক্ষেতের মাঝে চারা গাছ দিয়ে ফুটে উঠা জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আবু জাফরের এক একর ৩০ শতক জমিতে ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে ক্ষেতের এক শতক জমি জুড়ে ফুটে উঠেছে সবুজ রঙের চারা দিয়ে জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি জমির আইলের পাশ দিয়ে বেগুনি ধান গাছের চারা রোপন করে ফুটিয়ে তুলেছেন পতাকার খুঁটি। বিরি-১০৪ জাতের ধানের সবুজ চারাকে পতাকার জমিন ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ বেগুনি ধানের চারাকে বৃত্ত ও পতাকার খুঁটি স্বরুপ সারিবদ্ধ ভাবে রোপন করেছেন তিনি। প্রথমের দিকে ধান গাছের পাতায় সমৃদ্ধ রঙ না আসায় স্পষ্ট চিত্র বুঝা না গেলেও বর্তমানে ধান গাছের পরিপক্বতার কারণে দৃশ্যমান হয়েছে ক্ষেতটি। এমন ব্যতিক্রমি পতাকার আদলে ধান ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন লোকজন ছুটে আসছেন সেখানে।

আবু জাফর বলেন,আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষি চাষাবাদ করে থাকি। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ব প্রকাশে মানুষজন বিভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চায়। তেমনি আমিও চেষ্টা করছিলাম মাত্র। স্বাধীনতার মাসে জাতীয় পতাকার আদলে করা ধানক্ষেতটি দৃশ্যমান হওয়ায় মানুষজনের দেখার আগ্রহ বেড়েছে।

ধান ক্ষেত দেখতে আসা লিটন মিয়া বলেন, মানুষজন দেশের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ থেকেই মুলত ব্যতিক্রমী কাজ করে থাকে। আবু জাফর ভাইয়ের জাতীয় পতাকার আদলে করা ধানক্ষেতটি সত্যি প্রশংসনীয়। এমন দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এটি দেখে অনেকের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে বলে জানান তিনি।

শিক্ষার্থী মোঃ রাজু মিয়া বলেন, আমি বিভিন্ন কারুকার্য যেমন বইয়ের পাতা ও কাপড়ের তৈরি, পাথরের তৈরি সাজানো পতাকা দেখেছি। তবে ধানের চারা লাগিয়ে যে জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি বানানো যায় তা প্রথম দেখলাম সত্যি ভালো লাগলো।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, একজন কৃষক দেশের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে জমিতে জাতীয় পতাকার আদলে যে শস্যচিত্র ফুটিয়ে তুলেছে সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতায়

কৃষি বিভাগ সব সময় পাশে থাকবে বলে তিনি জানান।


আরও খবর



ফেসবুকের সমস্যা নিয়ে ইলন মাস্কের হাস্যরস

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মেটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামের বিভ্রাট নিয়ে রসিকতা করেছেন এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক মাস্ক।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত ৯টার পর থেকে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হন এর ব্যবহারকারীরা। বিশ্বজুড়ে অনেকের আইডি লগআউট হয়ে যায়। তারা পুনরায় লগিন হতেও পারছিলেন না। 

আরও পড়ুন>> এক ঘণ্টা পর সচল ফেসবুক

এর কিছুক্ষণ পর মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, মানুষ আমাদের পরিষেবাগুলো ব্যবহারে সমস্যায় পড়ছেন- এ বিষয়ে আমরা অবগত। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এরপর অ্যান্ডি স্টোনের এই পোস্টের স্ক্রিনশটসহ এক্সে একটি ছবি শেয়ার করেন ইলন মাস্ক।

তার পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি পেঙ্গুইনকে স্যালুট করছে তিনটি পেঙ্গুইন। যে তিনটি পেঙ্গুইন স্যালুট করছে তাদের গায়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম আর থ্রেডের লোগো। যেগুলো মেটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আর যেই পেঙ্গুইনকে স্যালুট দেওয়া হচ্ছে সেটির গায়ে ইলন মাস্কের এক্সের লোগো। এতে আর বুঝতে বাকি নেই মাস্ক ছবিটির মাধ্যমে কী বুঝাতে চেয়েছেন। এক্সে করা ইলন মাস্কের ওই পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এক্সে এই মুহূর্তে ট্রেন্ডে আছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং মার্ক জাকারবার্গ।


আরও খবর



নারী দিবসে উপহার, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমল ১০০ রুপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে প্রতিটি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম ১০০ রুপি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সরকার। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে এই ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

পোস্টে মোদি লিখেছেন, আজ নারী দিবসে সরকার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১০০ রুপি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে দেশের কোটি পরিবারের আর্থিক বোঝা উল্লেখযোগ্যভাবে লাঘব হবে। এতে বিশেষভাবে উপকৃত হবে নারী শক্তি।

তিনি বলেন, রান্নার গ্যাসকে আরও সাশ্রয়ী করে, আমরা পরিবারের মঙ্গলকে সমর্থন করা এবং একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্য রাখি। নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের 'জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য' আনতে আমাদের অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মোদি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দিল্লিতে ১৪ দশমিক দুই কেজির একটি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৯০০ রুপি। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ভারতে গত বছর দুইবার এলপিজি সিলিন্ডারে ভর্তুকি বাড়িয়ে ২০০ রুপি থেকে ৩০০ রুপি করা হয়েছে। সবশেষ গতকাল ভারত সরকার নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য এই ভর্তুকি অব্যাহত রাখার কথাও জানায়।


আরও খবর



শ্রম আইন লঙ্ঘন : ড. ইউনূসের জামিন ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিনের মেয়াদ ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছেন ঢাকার শ্রম আদালত। সোমবার (১১ মার্চ) ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন আদালত।

লিখিত আদেশে বলা হয়, ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ড. ইউনূস জামিনে থাকবেন। ওইদিন তিনিসহ ৪ জনকে ফের হাজির হতে হবে। আদালত আরও বলেন, ১৬ এপ্রিল আপিল শুনানির দিন ধার্য করা হলো। একই সঙ্গে শ্রম আদালত থেকে পাঠানো মামলার এলসিআর গ্রহণ করা হলো।

গত বুধবার (৬ মার্চ) শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের দেয়া রায় ও আদেশ স্থগিত করা প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি হয়েছে। এর আগে তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের গত ২৮ জানুয়ারি দেয়া আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন (ক্রিমিনাল রিভিশন) করেন মামলার বাদী। পরে মামলার বাদী ও কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শকের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওইদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এছাড়া ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ।

এদিকে, রোববার (১০ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে দেশের বাইরে যেতে চেয়ে আবেদন করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আবেদনে বলা হয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যেতে চান। কিন্তু আদালত যেহেতু দেশের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবহিত করতে বলেছেন, তাই এই আবেদন করা হলো।


আরও খবর