আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

নরসিংদীতে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ২ জন। শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরা উপজেরার মরজাল শিমুলতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, রায়পুরার মরজাল থেকে ৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি ভিটি মরজাল যাচ্ছিল। সিএনজিটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরা উপজেরার মরজাল শিমুলতলী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।

এতে সিএনজি অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ওই সময় ঘটনাস্থলেই এক শিশুসহ সিএনজিতে থাকা ৩ যাত্রী মারা যায়। আহত হয় আরো ২ জন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

খবর পেয়ে ভৈবর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ভৈরব থানায় নিয়ে যায়।

ভৈরব হাইওয়ে মডেল থানার এসআই তপর উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে ৩ জন মারা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানে কেউ মারা গেছে কিনা তা নিশ্চিত নই।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




শরিফুলের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটে নামা লংকানদের প্রথম উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। তবে ৩৪ রানে প্রথম ব্যাটার হিসেবে দিমুথ করুনারত্নের ফেরার পর উইকেটে জমে গিয়েছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। এই জুটিতে ৭৪ রান আসার পর অবশেষে সেটি ভাঙে পেসার শরিফুল ইসলামের আঘাতে। নিশাঙ্কাকে ফেরানোর পর ফেরান মেন্ডিসকেও।

নিশাঙ্কা ফেরেন দলীয় ১০৮ রানে, ২৩.২ ওভারের সময়। শরিফুলের বল নিশাঙ্কা ব্যাটে নিতে পারলেও সেটি আগে আঘাত হানে প্যাডে। সঙ্গে সঙ্গে জোরালো আবেদন বাংলাদেশের। আম্পায়ারও আঙুল উঁচু করে আউটের ঘোষণা দিয়ে দেন। পরে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি নিশাঙ্কা (৪০)। ১১৭ রানের মাথায় শরিফুলের বলে তাসকিন আহমেদের হাতে ক্যাচ উঠিয়ে দেন মেন্ডিস (৫০)।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৭ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করেছে শ্রীলংকা। উইকেটে আছেন কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রামা।

এর আগে, দলীয় ষষ্ঠ ওভারে করুনারত্মের উইকেট হারায় লংকানরা। হাসানের বলে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত হন দিমুথ (১৮)।

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশকে এ ম্যাচে জিততেই হবে। কেননা সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল দলটি। বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন হয়েছে। দলে আফিফ হোসেনের জায়গায় স্পিনার নাসুম আহমেদকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। শ্রীলংকা দলে কোনো পরিবর্তন নেই। গ্রুপপর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের একাদশ নিয়েই নামছে স্বাগতিকেরা।


আরও খবর



বরগুনায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী আলোচনা সভা, বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও পূজাপাঠসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় সার্বজনীন আখড়া মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত র‍্যালি পূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুখ রঞ্জন শীল।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট শুভ্রা দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল হালিম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভাকেট ভুবন চন্দ্র হাওলাদার,আখড়াবাড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি সহ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।

সনাতন ধর্মীয় বক্তারা বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মানুষের মঙ্গলের জন্য, মানুষের শান্তির জন্য, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন পৃথিবীতে ধর্ম নিয়ে কোন ভেদাভেদ নাই, হিন্দু ধর্ম সকল ধরনের মানুষকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল হালিম বলেন, ধর্ম নিয়ে কোন ভেদাভেদ নাই, আমাদের মানতে হবে আমরা সবাই এক বাংলাদেশের মানুষ, আমরা সবাই বাংলাদেশকে ভালবাসি, এই দেশে কোন ধরনের শান্তি শৃঙ্খলার অবনতি হতে দেয়া যাবে না।

বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রদাস বলেন, আমরা সকলেই জানি যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই ভাদ্র মাসের অষ্টমীতে মানুষরূপে পৃথিবীতে অবতরন করেন দুষ্টুদের দমনের জন্য এবং স্ধুদের পরিত্রাণের জন্য।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাই যে যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবো, ধর্ম নিয়ে এদেশে কোন অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যাতে না হয় সে বিষয় সবাই লক্ষ রাখবো।

আলোচনা শেষে সার্বজনীন আখড়াবাড়ি থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে  পুনরায় আখড়াবাড়ি এসে অনুষ্ঠান শেষ হয়।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সব ট্রেনে যুক্ত হচ্ছে পণ্যবাহী কোচ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রেলের লোকসান এড়ানো এবং আয় বাড়াতে পণ্য পরিবহনের জন্য এবার প্রতিটি ট্রেনে একটি করে বগি বা লাগেজ ভ্যান (পণ্যবাহী কোচ) যুক্ত করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রাথমিকভাবে মোট ১২৫টি পণ্যবাহী কোচ যুক্ত করা হচ্ছে। ২৪ সেপ্টেম্বর এই পণ্যবাহী কোচ যুক্ত করা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

রেলমন্ত্রী বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর এই লাগেজ ভ্যান উদ্বোধন করা হবে। মালামাল পরিবহনের জন্য প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে এটি যুক্ত করা হবে। কৃষক তাদের পণ্য সরবরাহ করবে। একই সঙ্গে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচও যুক্ত হবে এতে।

মন্ত্রী বলেন, ১২৫টি লাগেজ ভ্যান আসছে। এর মধ্যে ৭৫টি মিটারগেজ লাইনের ট্রেনে ও ৫০টা ব্রডগেজ লাইনের ট্রেনের জন্য। ব্রডগেজে ১০টা রেফ্রিজারেটর আর মিটারগেজে ১৬টা রেফ্রিজারেটর থাকবে। ফলে খুলনা বা কক্সবাজার থেকে মাছ ও অন্যান্য পণ্য আনা যাবে।

রেল সূত্রে জানা গেছে, পণ্য পরিবহনের জন্য পণ্যবাহী কোচের মাধ্যমে রেলের আয় বাড়াতে যাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে রেলে ৪১টি মিটারগেজ ও ১০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যানের বেশির ভাগের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে। এতে আয় কমেছে রেলের।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় নিরাপদ খাদ্য ও নৈতিকতা বিষয়ক আলোচনা সভা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে ভোক্তা অধিকার, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা ও কৃষি বিপণনে শুদ্ধাচার ও নৈতিকতা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের জগলু। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। সভাটি ব্যবস্থাপনা করেন, জেলা প্রশাসন চুয়াডাঙ্গা আর সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা দোকার মালিক সমিতি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও জেলা তথ্য অফিস চুয়াডাঙ্গা।

সভার শুরুতে আলোচনা করা হয় নিত্যপণ্যসহ সবধরনের বাজারদর ও বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় উঠে আসে বাজারের কোনো পন্যের তালিকায় মূল্য লেখা থাকে না। দিন দিন বাজার অস্বাভাবিক কেন হয় তা নিয়েও আলোচনা করেন। বাজার তদারকি ও বাজার মনিটরিং কিভাবে আরো জোরদার করা যায় সেই লক্ষে কাজ করা হবে। এতে বাজারের পণ্যের দাম ঠিক রাখতে হলে যা করণীয় তা করতে হবে বলে আলোচনা করা হয়।

এসময় সভার প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সব মানুষই ভোক্তা। যিনি বিক্রেতা তিনিও কখনো কখনো ক্রেতা। আমাদের নৈতিকতা ঠিক থাকলে ভোক্তা হিসেবে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা নিরাপদ খাদ্য পাবো। আর বাজারের নৈতিকতা ঠিক রেখে ব্যবস করতে হবে। অসাধু ভাবে ব্যবসা করা যাবে না। বাজার সবসময় পরিস্কার রাখতে হবে। বাজারের বর্জ মাতাভাঙ্গা নদীতে ফেলা যাবে না। ব্যবসায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চাই তাহলে ব্যবসার মর্যাদা থাকবে। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, বাজার কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকর সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, প্রচার সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের ব্যবসায়ীগণ।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ড. ইউনূসের পক্ষে চিঠি দেওয়া ১৬০ বিদেশি নীতিজ্ঞান বিবর্জিত: ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের যে নোবেলজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা চিঠি দিয়েছেন, তাঁরা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা)আয়োজনে এক মানববন্ধনে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকেন যে মানুষগুলো নীতিজ্ঞান বিবর্জিত এবং তারা অনেক সময় নানাভাবে প্রলোভনের মুখে পড়ে অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়। আমার ধারণা, এই ব্যক্তিবর্গ যারা আন্তর্জাতিকভাবে (১৬০ জন) বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়াধীন বিষয় নিয়ে তারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত কিছু মানুষ। আমার ধারণা, নিঃসন্দেহে এই মানুষগুলো লবিস্ট হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। তাদেরকে হয়তোবা কোনো গোষ্ঠী, কোনো সম্প্রদায়, কোনো রাজনৈতিক দল ও সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করেছেন। সে কারণেই আজকে তারা দুর্নীতির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন; অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

আখতারুজ্জামান বলেন, তবে এমনও কিছু মানুষ আছেন যাদের নিজেদের দেশ, দেশমাতৃকা, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, গৌরব ও অর্জনের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা থাকে না। যে মানুষগুলোর নাম এখানে উচ্চারিত হচ্ছে, যাকে নিয়ে আবর্তন হচ্ছে তাদের কখনো আমাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ কিংবা অসাম্প্রদায়িক কোনো অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করতে দেখবেন না। কারণ এই মানুষগুলো ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে পর্দার অন্তরালে থেকে নানা ধরনের পরিস্থিতির সুযোগে তারা স্বার্থ হাসিল করায় নিয়োজিত থাকে এবং এই স্বার্থ হাসিলের সুরক্ষা হিসেবে তারা আন্তর্জাতিকভাবে অন্য মানুষদের হায়ার (ভাড়া) করে থাকেন; লবিস্ট নিয়োগ করে থাকেন। আমার ধারণা, যারা এই দেশে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সেই মানুষগুলো, প্রতিষ্ঠান বা দল সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগের জন্য কৌশল গ্রহণ করেছেন এবং এটি ভাবার কোনো কারণ নেই যে এটি আমাদের স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর একটি হস্তক্ষেপ।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রমুখ।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কিস্তি বাকি পড়ায় তিনি (ইউনূস) দরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে ১৩ হাজার সার্টিফিকেট মামলা করেছিলেন। সে সময় অনেক দরিদ্র মানুষ আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। তিনি ১৩ হাজার মামলা করার পরও বিবৃতি দিয়েছেন আইনের চোখে সকলই সমান। তাহলে তিনি কি আইনের চোখে সমান নন? কাজেই ইউনূসের অনৈতিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে যারা মামলা দায়ের করেছেন তাদেরও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে। আইনের ওপর ভিত্তি করে এ মামলাগুলো ফয়সালা হবে।

মুহাম্মদ সামাদ আরও বলেন, তিনি (ইউনূস) একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করেছিলেন। সরকার পরিচালনার খায়েশ তাঁর হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে তাঁর ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি। তিনি এর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিলেন যাতে পদ্মা সেতু না হয়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোনো কিছুর সঙ্গে কখনো যুক্ত হননি। তিনি কখনো শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধে যাননি। তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কখনো কথা বলেন না। তাঁর প্রথম টার্গেট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক। স্বাধীনতার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। কাজেই শেখ হাসিনার ওপর যে আঘাত আসছেআমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও স্থায়িত্বশীল চলমান গণতন্ত্র ব্যবস্থার ওপর যে আঘাত আসছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাব।

অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বিচারব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ড. ইউনূস। যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা সেই বিবৃতিটিকে পড়েছেন কিনা একজন শিক্ষক হিসেবে আমার প্রশ্ন আছে। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে স্থগিত করে দেওয়ার জন্য। যে চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অধ্যাপক ড. ইউনূস প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা শ্রমিকদের দেওয়ার জন্য আদালতে রায় হয়েছে। সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা তিনি ইতিমধ্যে প্রদান করেছেন। কর ফাঁকির জন্য ১২ কোটি টাকা তিনি প্রদান করেছেন। তিনি বিচার ব্যবস্থা মেনে নিয়েছেন এবং বিচারব্যবস্থা মেনে নিয়ে তিনি যেখানে আপিল করার দরকার ছিল তিনি সেখানে আপিল করেছেন। তিনি যে ধরনের সুবিধা নেওয়ার দরকার ছিল সেই সকল সুবিধা নিয়ে চলমান বিচার ব্যবস্থাকে বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

মাকসুদ কামাল বলেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন নোবেল পুরস্কারের অর্থ তিনি গরিবদের জীবন মানে উন্নয়ন এবং শিক্ষার জন্য ব্যয় করবেন। আমার প্রশ্ন হল কোন জায়গায় শিক্ষার জন্য তিনি ব্যয় করেছেন। তিনি গরিব মানুষের জন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছেন এই টাকা দিয়ে এমন কোনো নজির আমার জানা নেই। তিনি (ইউনূস) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দিয়ে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপরে চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন। একটি দেশের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অর্থই হলো দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত আনা। আপনি কেন শহীদ মিনারে যান না, কেন স্মৃতিসৌধে যান না, কেন আপনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চান না। এগুলো কি দেশ প্রেমের অংশ নয়। আপনার কি দেশপ্রেম আছে। যদি আপনার দেশ প্রেম থাকত তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এতগুলো মানুষ থেকে কেন বিবৃতি চেয়ে নিতে হবে?

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর