আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে যেতে চাই বহুদূর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী

Image

বর্তমানে দেশের মুদ্রিত সংবাদপত্র এক কঠিন সময় পার করছে। কারণ ছাপার কাগজ ও ছাপার সামগ্রীর দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে পত্রিকা চালানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন অনেক বড় বড় পত্রিকারও সার্কুলেশন কমিয়ে ফেলেছে। আমাদেরও কমাতে হচ্ছে। কারণ কাগজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে, বেড়েছে প্লেটসহ অন্যান্য সামগ্রীরও দাম। এমন পেক্ষাপটে পত্রিকারও মূল্য বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়, কারণ তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে মুদ্রিত সংবাদপত্রের পাঠক কমে গেছে বিপুলভাবে। অথচ পাঠকই সংবাদপত্রের প্রাণ ও মূল চালিকাশক্তি।

অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ তাৎক্ষণিকভাবে মুছে ফেলা যায়। কিন্তু ছাপা সংবাদ মুছে ফেলার সুযোগ নেই। কারণ প্রিন্ট ইজ প্রুফ (ছাপাই প্রমাণ)। এ জন্যই আমি আশাবাদী, যতোই প্রতিকূলতা আসুক না কেন প্রিন্ট পত্রিকা টিকে থাকবে। ভবিষ্যতে অতীত হবে না ছাপা কাগজ।

সংবাদপত্র সাধারণ মানুষের কথা বলে, সমাজের কথা বলে, দেশের কথা বলে। দেশ পরিচালনায় সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরে, সমালোচনা করে সরকারকে সঠিক পথনির্দেশনা দেয়। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদপত্র সমাজকে সজাগ করে, সম্ভাবনার কথা বলে। সমাজ প্রগতির কথা বলে, সমাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। এ কারণে সংবাদপত্রকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। সেই দর্পণে সমাজের সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। সংবাদপত্র পরিচ্ছন্নভাবে পরিচালনা করা সমাজের সঠিক প্রতিবিম্ব ও প্রতিফলনের চিত্র তুলে ধরার পূর্বশর্ত। তাই সংবাদপত্রকে সমাজের অন্যকোনো বিষয়ের সাথে তুলনা করা চলে না। এ কারণে সংবাদপত্র ও সাংবাদিককে চলতে হয় বন্ধুর পথে, অতিক্রম করতে হয় অনেক দুর্গম পথ। এভাবেই সংবাদপত্র হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক।

আর সেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমরা পেরিয়ে এসেছি অনেকটা পথ। আজ (২২ সেপ্টেম্বর) আজকের দর্পণের জন্মদিন। ৯ বছর আগে ‘সত্যের খোঁজে প্রতিদিন’ স্লোগান নিয়ে আমার বড়ভাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপির সম্পাদনা ও প্রকাশনায় আজকের দর্পণ-এর যাত্রা শুরু করেছিলেন। অদম্য মনোবল আর প্রচণ্ড সাহস নিয়ে শুরু হয়েছিল আজকের দর্পণের পথচলা। নানা বাধাবিপত্তি ডিঙিয়ে নয়টি বছর পেরিয়ে দশ বছরে পর্দার্পণ করলো আজকের দর্পণ।

এরই মধ্যে পাঠকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে পত্রিকাটি। ব্যাপক জনপ্রিয় না হলেও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে ‘আজকের দর্পণ’ এ আমার আত্মবিশ্বাস। পত্রিকাটির জন্ম আমার হাতে না হলেও আজ এটি আমার সন্তানের মতো। এ কাগজটি প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে প্রিয়পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের ভূমিকাই বেশি।

একমাত্র পাঠকের ভালোবাসায়, বিজ্ঞাপনদাতাদের সহযোগিতায়, হকার ও এজেন্টদের আন্তরিকতায় কোনো বড় গ্রুপের অর্থলগ্নি ছাড়াই পথ চলছে ‘আজকের দর্পণ’। এ আমাদের এক অন্যরকম শক্তি। এ কারণেই ‘আজকের দর্পণ’ কারো মুখাপেক্ষী নয়। ‘আজকের দর্পণ’ এমন একটি জাতীয় দৈনিক যেটা দেশের কথা বলবে, দেশের মানুষের কথা বলবে। এ দেশের আপামর মানুষের কণ্ঠই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ‘আজকের দর্পণ’ পত্রিকায়। এ জায়গা থেকে আমরা একটুও সরে আসিনি, একচুল পরিমাণও ছাড় দেইনি। দেশপ্রেম প্রশ্নে একচুলও আপস করিনা আমরা। ‘আজকের দর্পণ’ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে দেশের মানুষের কাছেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনো দল বা গোষ্ঠীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়, দায়বদ্ধও নয়। তাই ‘আজকের দর্পণ’ সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে দ্বিধা করে না। এর ব্যত্যয় ঘটবে না কখনো।

প্রিয় পাঠক, আপনাদের সাথে নিয়েই আমাদের এ পথচলা। আমাদের এ পথচলায় আমরা সবসময় আপনাদের পাশে পেয়েছি। আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। আপনাদের অবদানের কথা আমরা সবসময়ই কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। আপনাদের ভালোবাসায় ‘আজকের দর্পণ’ অসম সাহস ও ধৈর্য নিয়ে এগোবেই।

সম্প্রতি আজকের দর্পণ-এর ই-পেপার ও অনলাইন পোর্টাল আরো আপগ্রেড করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে পত্রিকাটিকে আরো পাঠকপ্রিয় কাগজে পরিণত করা হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা  ও শুভানুধ্যায়ীদের সমর্থন ও সহযোগিতা। আশা করি, আপনাদের পরামর্শ ও সহযোগিতার হাত আগের মতো প্রসারিত থাকবে।

পরিশেষে আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রিয়পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। সবাই সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন। যতোই সংকট থাকুক, প্রতিকূলতা আসুক, নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে আমরা যেতে চাই বহুদূর।


সম্পাদক ও প্রকাশক, আজকের দর্পণ


আরও খবর
জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটে অস্থির ইউকে এবং ইইউ

বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩




বাবার দেওয়া আগুনে পুড়ে মরলো ঘুমন্ত মেয়ে, দগ্ধ স্ত্রী-ছেলে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুরে স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে বসতঘরে রেখে দরজা বন্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেন কামাল হোসেন (৪০) নামে এক পাষণ্ড যুবক। এসময় আগুনে পুড়ে মারা যায় তার সাত বছর বয়সী শিশুকন্যা আয়েশা আক্তার।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তিন বছর বয়সী শিশুপুত্র আবদুর রহমান।

এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (৩৫)। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভোরে বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের চতল্লা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

কামাল ওই বাড়ির মৃত আমিন উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশা চালক। বর্তমানে কামাল পুলিশের হেফাজতে আছে। মাদকাসক্ত হয়ে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, কামাল হোসেনের সঙ্গে তার স্ত্রীর পারিবারিক কলহ চলছিল। স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে একটি সেমিপাকা টিনশেড ঘরে থাকতেন তিনি। গভীর রাতে স্ত্রী এবং দুই সন্তান ঘুমিয়ে গেলে কামাল ঘরের বাইরে এসে দরজা বন্ধ করে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মেয়ে আয়েশা আক্তার মারা যায়। স্ত্রী সুমাইয়া এবং শিশুপুত্র আবদুর রহমানকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে সেখান থেকে ইউনিয়ন পরিষদের 'স্বপ্নযাত্রা' অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। দুপুরের দিকে শিশু আবদুল রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর কামাল নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দেয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকা সুমাইয়ার চাচাতো ভাই মো. শাহ আলম মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানায়, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন আবদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। তার মা সুমাইয়া আক্তারকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন। 

অন্যদিকে ঘটনাস্থলে নিহত কামালের মেয়ে আয়েশা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, মঙ্গলবার ভোরে আগুনে দগ্ধ মা ও ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে কামাল তার বসতঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় কামাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর
পিরোজপুর মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

পিরোজপুর মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের সংসারে ভাঙনের সুর!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অভিষেকের সঙ্গে আপনার কি ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে? বাবার বাড়িতে আর কত দিন থাকবেন? আরাধ্যার নিজের বাড়িতে ফিরবে না? এসব প্রশ্নে ছেয়ে গেছে সাবেক বিশ্বসুন্দরী, বচ্চনদের পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সামাজিকমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের পাতা।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঐশ্বরিয়া তার মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আছেন কয়েক দিন ধরে। ইদানীং সামাজিকমাধ্যমে অভিষেককে নিয়ে কোনো ছবি দিচ্ছেন না তিনি। পোস্ট করছেন কেবল নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে তোলা ছবি। আরাধ্যার জন্মদিনেও অমিতাভ-জয়ার কাছ থেকে মেলেনি ভার্চুয়াল শুভেচ্ছা।

তারকাদের প্রেম, বিয়ে আর বিচ্ছেদের গুঞ্জনের সঙ্গে বসবাস। তেমনি ২০১৪ সালে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় বলিউডে। সেই সময় অভিষেক বচ্চন নিজে টুইট করে গুঞ্জনে জল ঢেলে দিয়েছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিলে আবার শোনা যায় বচ্চন পরিবারে ভাঙনের গুঞ্জন। তখনো খবর সত্যি হয়নি। তবে সম্প্রতি এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা থেকেই বচ্চন পরিবারের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার দূরত্ব স্পষ্ট হয়েছে।

কিছু দিন আগে ঐশ্বরিয়ার মৃত বাবা কৃষ্ণরাজ রাইয়ের জন্মদিন গেছে। দিনটিতে আরাধ্যার শৈশবের ছবির সঙ্গে বাবার ছবি পোস্ট করেন এই অভিনেত্রী।

তাতে একজন লিখেছেন সব বুঝলাম, কেবল বুঝতে পারছি না অভিষেকের সঙ্গে সমস্যা কোথায় আপনার?

তিনি আরও লেখেন আপনি কেন অভিষেকের সঙ্গে ছবি দিচ্ছেন না? আপনার বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি তাদের সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করছেন, সেটা আপানার একান্ত ইচ্ছা, কিন্তু স্বামী বা শ্বশুরবাড়ি এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন?

এক জন লেখেন দীপাবলি একাই করলেন, বিচ্ছেদ হয়ে গেছে!

কৃষ্ণরাজ রাই ও আরাধ্যার ছবির নিচে ঐশ্বরিয়াকে উদ্দেশ্য করে এ ধরনের মন্তব্যে উপচে পড়ছে কমেন্ট বক্স। 

আরও পড়ুন>> মিস ইউনিভার্সে প্রথম প্লাস সাইজ মডেল জেন দীপিকা

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল কিছু দিন আগে প্যারিস ফ্যাশন উইকে। সেখানে ঐশ্বরিয়ার পাশাপাশি শ্বেতা বচ্চনের মেয়ে নভ্যা নাভেলি নন্দা উপস্থিত থাকলেও, একে অপরকে এড়িয়ে যান তারা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বচ্চনদের। চলতি মাসের প্রথম দিন নিজের ৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের যে ছবি পোস্ট করেছিলেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী, সেখানে তার পাশে স্বামী অভিষেক বা শ্বশুরবাড়ির কাউকে দেখা যায়নি।

কেবল মেয়ে আরাধ্যা এবং মা বৃন্দা রাইকে পাশে নিয়ে নিজের ওই বিশেষ দিনটি উদযাপন করেছিলেন ঐশ্বরিয়া। এর মধ্যে ১২ নভেম্বর দীপাবলির দিন বচ্চনবাড়ির পূজায় উপস্থিত না থেকে মেয়েকে নিয়ে মুম্বাই ছাড়তে দেখা যায় ঐশ্বরিয়াকে।

এর পর ১৬ নভেম্বর আরাধ্যার জন্মদিনে তার বাবা ও মা আলাদা আলাদাভাবে সামাজিকমাধ্যমে যে পোস্ট করেছেন, তাতেও চুপ থেকেছেন অমিতাভ, জয়া, শ্বেতা এবং তার ছেলেমেয়ারা। 


আরও খবর



ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের দায়িত্ব ছাড়লেন মরকেল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারত বিশ্বকাপে চূড়ান্ত ব্যর্থ পাকিস্তান। টানা তৃতীয় বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো দলটি। শাহীন আফ্রিদি-হারিস রউফ-হাসান আলীদের নিয়ে গড়া পেস আক্রমণও ছিল নির্বিষ। তাইতো পাকিস্তানের পেস বোলিং কোচের পদের মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মরনে মরকেল।

সোমবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) দায়িত্ব ছাড়ার কথা জানিয়ে দেন মরকেল। ছয় মাসের চুক্তিতে এ বছরের জুন মাসে পাকিস্তানের কোচিং স্টাফে যুক্ত হয়েছিলেন মরকেল। তার প্রথম কাজ ছিল দলটিকে নিয়ে শ্রীলংকায় ২ ম্যাচের টেস্ট সফর।

আরও পড়ুন>> হার দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শেষ করলো পাকিস্তান

মরকেলের বদলি কে হবেন সেটি এখনো পিসিবির তরফে জানানো হয়নি। তবে তার জায়গায় দেখা যেতে পারে দেশটির সাবেক পেসার উমর গুলকে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া থাকবে পাকিস্তান। সেই সিরিজেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে গুলকে।

এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ৫ ম্যাচে হার দেখেছে পাকিস্তান। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তো হারতে হয়েছেই; অপেক্ষাকৃত আফগানিস্তানের বিপক্ষেও ধরাশয়ী হতে হয়েছে ৮ উইকেটে। টুর্নামেন্টে ৫ম হয়ে ভারত ছেড়েছেন বাবর আজমরা।


আরও খবর
বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত দ্বিতীয় দিনের খেলা

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




পরাশক্তির প্রতিযোগিতায় ‘মূল ময়দান’ হবে বাংলাদেশ: গবেষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধার কারণে পরাশক্তি দেশগুলোর শক্তি পরীক্ষার প্রতিযোগিতায় মূল ময়দান হয়ে উঠবে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, ভারতের উত্থান এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীন-মার্কিন উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এমনটি হবে বলে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।

গত সোমবার প্রকাশিত নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড রিবুট শীর্ষক এই সমীক্ষা পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পাবলিক ইউনিভার্সিটি উইলিয়াম অ্যান্ড মেরির গবেষণা ল্যাব এইড-ডেটা। এই গবেষণায় কেস স্টাডি হিসেবে বাংলাদেশ, জাম্বিয়া এবং আর্জেন্টিনাকে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি চীনের গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) মূল্যায়ন করেছে।

সমীক্ষা অনুসারে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের আরও সুযোগ আসবে ঢাকার দুয়ারে।

এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী উদার গণতন্ত্রের রক্ষক হিসেবে স্বৈরাচারের পথে বাংলাদেশকে আরও নিচে ঠেলে দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডের নিন্দা করতে বাধ্য হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে বাস্তবতা হচ্ছে, চীনের প্রভাব দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রসারিত হচ্ছে।

এইড-ডেটার তথ্যমতে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে সাহায্য ও ঋণের ক্ষেত্রে চীনের প্রতিশ্রুতি বছরে প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার। সরকারিভাবে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অর্থায়নের উৎস হিসেবে চীন এখন বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বছরে প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার উন্নয়ন অর্থ প্রদান করে। 

আরও পড়ুন>> মারাত্মক দূষণ ঠেকাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর চিন্তা দিল্লির

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণ প্রদানকারী দেশের তালিকায় শীর্ষে ছিল জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তবে এরপরে বেইজিং ১৭.৫ বিলিয়ন ডলারের অনুদান ও ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিআরআই চালুর পর থেকে ঢাকার একক বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হয়েছে চীন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় এসে কী উন্নয়ন করেছে, দৃশ্যমান ভৌত অবকাঠামোগুলো তার নজির হিসেবে কাজ করে নির্বাচনের আগে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচকরা বলে থাকেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্পূর্ণরূপে স্বজনপ্রীতিবাদী টেক্সটাইল শিল্পপতিদের ওপর নির্ভরশীল হয়েছে। শেখ হাসিনার দল দুর্নীতির মতো কাঠামোগত সমস্যাগুলো মোকাবিলার জন্য নতুন কোনো ধারণা রাখে না।

সমীক্ষা বলছে, এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও প্রধান বিরোধীদলগুলো বিশৃঙ্খল এবং সুশীল সমাজে ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর অনেকাংশে নীরব। (এমন প্রেক্ষাপটে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়) আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়ী হবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে।

সমীক্ষায় বলা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশের শিল্প ক্ষেত্রে টেক্সটাইলের পাশাপাশি নতুন নতুন প্রতিযোগিতামূলক শিল্পের মাধ্যমে বৈচিত্র্য আনা প্রয়োজন। এ জন্য বিনিয়োগ, দক্ষতা বিনিময় এবং পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহকে এক সূত্রে বাধা প্রয়োজন হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক গভীর করা, মিয়ানমারের মাধ্যমে পরিকল্পিত রেল সংযোগ স্থাপন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাড়াতে পারে বাংলাদেশ। 

আরও পড়ুন>> পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের ওপর হামলা

আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক এবং ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী জোটের কারণে (এ অঞ্চলে শক্তি প্রতিযোগিতায়) যুক্তরাষ্ট্রের পথ সুগম হবে। তবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে টার্গেট করা এবং (বাংলাদেশে) সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলী ওয়াশিংটনকে কঠিন অবস্থানে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছে আই-ডেটা।


আরও খবর



ঢাকাসহ সারাদেশে ১৫৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২০ প্লাটুনসহ সারা দেশে ১৫৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ২০ প্লাটুনসহ সারা দেশে ১৫৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি প্লাটুন স্ট্যান্ডবাই রয়েছে।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩