আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নতুন নামে কোম্পানি করে ব্র্যান্ডিংয়ে যাচ্ছে ফেসবুক!

প্রকাশিত:বুধবার ২০ অক্টোবর ২০21 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ অক্টোবর ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নতুন ব্র্যান্ডিং পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ফেসবুক ইনকরপোরেশন। প্রযুক্তি বিষয়ক বিখ্যাত ব্লগ দ্য ভার্জের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ কথা জানিয়েছে।

ব্লুমবার্গ বলছে, ফেসবুক অ্যাপ ও অন্যান্য সেবা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে, ফেসবুক ইনকরপোরেশনের আওতায় ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো শতকোটি ব্যবহারকারীর প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে, সেখানে নতুন নামের কোম্পানির আওতায় ফেসবুকসহ এসব প্রতিষ্ঠান চলবে। অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশন নামের প্যারেন্ট কোম্পানির আওতায় একইভাবে এরই মধ্যে গুগল ব্যবসা পরিচালনা করছে।

দ্য ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেটাভার্স খাতে কার্যক্রম বাড়ানোর অংশ হিসেবে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে ফেসবুক। বাস্তব জীবনকে ভার্চুয়ালে জগতে আরও প্রাণবন্ত আকারে হাজির করার বিষয়টিকে বোঝাতে মেটাভার্স কথাটির ব্যবহার হয়ে থাকে।

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৮ অক্টোবর ফেসবুক ইনকরপোরেশনের কানেক্ট কনফারেন্সে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।

গত জুলাইয়ে জাকারবার্গ বলেছিলেন, আগামী বছরগুলোতে মানুষজন আমাদের একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানি থেকে একটি মেটাভার্স কোম্পানি হিসেবে রূপান্তর হতে দেখবেন। বিভিন্নভাবে মেটাভার্সই আগামী দিনের সামাজিক প্রযুক্তি হয়ে উঠবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, নতুন ব্র্যান্ডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ফেসবুক জানিয়েছে, তারা (ফেসবুক) গুজব বা ধারণাপ্রসূত কথার ওপর মন্তব্য করতে রাজি নয়।

এমন এক সময়ে ব্র্যান্ডিংয়ে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ফেসবুক, যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আইনপ্রণেতা ও মানবাধিকারকর্মীদের কাছ থেকে তুমুল চাপের মুখে রয়েছে। সম্প্রতি ফেসবুকের সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউজেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে হাজার হাজার নথি দিয়েছেন। এসব নথিতে কন্টেন্ট পর্যবেক্ষণে ফেসবুকের গাফিলতি এবং ফটোশেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের ফলে মানসিক সমস্যার তথ্য উল্লেখ রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ফেসবুক

আরও খবর



জিআই পণ্যের তালিকায় উঠছে রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বসন্তময় ঋতু বৈচিত্র্যের এই ফাগুনে আমগাছের থোকায় থোকায় ভরা মুকুলে স্বপ্ন বুনছেন রংপুরের চাষিরা। বছরের নির্দিষ্ট এই সময় জুড়ে তাই চাষি তো বটেই, কম-বেশি সব শ্রেণির মানুষের দৃষ্টি থাকে সবুজ পাতায় ঢাকা আমগাছের শাখা-প্রশাখায়। প্রকৃতি বৈরি না হলে এবারও সাধারণ আমের পাশাপাশি হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিক ও চাষিরা। হাঁড়িভাঙা আমের মুকুলে এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন উত্তরের চাষিরা। এদিকে শতরঞ্জির পর এবার জিআই পণ্যের তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে বিখ্যাত আম হাঁড়িভাঙা।

সম্প্রতি রংপুর সদরের পালিচড়া, বদরগঞ্জের শ্যামপুর, মিঠাপুকুরের খোড়াগাছসহ বিভিন্ন এলাকা যেতে দেখা মিলে সারি সারি গাছ। রাস্তার দুপাশে যেন হাঁড়িভাঙ্গা আম গাছের সবুজ বিপ্লব। ধানসহ বিভিন্ন ফসলি জমির আইলে আইলে লাগানো হয়েছে আমের গাছ। বাদ পড়েনি বসতবাড়ির পরিত্যক্ত জায়গা, পুকুরপাড়, বাড়ির উঠান। এখন বসন্ত বাতাসে আম গাছে দোল খাচ্ছে হাঁড়িভাঙা আমের মুকুল। সদ্য মুকুল ফোটার এমন দৃশ্য এখন শুধু বিস্তৃত গ্রামীণ জনপদেই নয়, শহরের গাছে গাছেও সুঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। একই চিত্র মিঠাপুকুরের আখিরাহাট, মাঠেরহাট, বদরগঞ্জের গোপালপুর, নাগেরহাট, সর্দারপাড়া, রংপুর সদরের সদ্যপুষ্করনী ইউনিয়নের কাঁটাবাড়িসহ আশপাশের এলাকাতেও।

ইতোমধ্যে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হাঁড়িভাঙা আম এখন বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ার খবরে আনন্দিত এই অঞ্চলের মানুষ। অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের কারণে গত বছর বাংলাদেশ সরকার ভারত, ব্রিটেন, তুরস্ক ও আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের এই আম উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও হাঁড়িভাঙ্গার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হাঁড়িভাঙা আমের দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা কাটছে না চাষি এবং ব্যবসায়ীদের। প্রতি বছর কম বেশি শত কোটি টাকার ওপরে বিক্রি হয় হাঁড়িভাঙা আম। কিন্তু পদাগঞ্জ হাটের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন চাষিরা। তারা মনে করছেন, সঠিক সময়ে আম বাজারজাত ও পরিবহন সুবিধা বাড়ানো না গেলে অনেকেই লোকসানে পড়বেন।

হাঁড়িভাঙা আমের গোড়াপত্তন করেছিলেন খোড়াগাছ ইউনিয়নের তেকানি গ্রামের নফল উদ্দিন পাইকার নামে এক বৃক্ষবিলাসী মানুষ। স্বাধীনতার আগের বছর ১৯৭০ সালে নফল উদ্দিন ১২০ বছর বয়সে মারা যান। এখন তার লাগানো হাঁড়িভাঙা গাছটির বয়স ৬৮ বছর।

মাতৃগাছটির সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে নফল উদ্দিন পাইকারের ছেলে আমজাদ হোসেন পাইকার বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু করে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আমের মুকুল এলে কৃষকরা আম বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঝড় কিংবা বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভালো হবে। হাঁড়িভাঙা আম এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

একই ইউনিয়নের তেকানি গ্রামের আমচাষি শাহ্জাহান মিয়া। বছর দশেক আগেও তিনি শুধু ধান, ভুট্টা আর পাটচাষ করতেন। কিন্তু গ্রামে হাঁড়িভাঙ্গা আম গাছের বাগানের পর বাগান দেখে তিনিও আমের বাগান গড়ে তোলেন।

অর্থনৈতিকভাবে লাভবান এই আমচাষি বলেন, এবার আমের মুকুল ভালো হইচে। খালি হামার গ্রামোতে নোয়ায় এ্যলা হাঁড়িভাঙ্গা আম বালুয়া, শ্যামপুর, হেলেঞ্চ, পাইকারেরহাট, জারুল্লাপুর, খোঁড়াগাছ, গোপালপুর, সরদারপাড়া, লালপুর, পদাগঞ্জ, দুর্গাপুরসহ কয়েকটা গ্রামোত চাষ হওচে। গ্রামোত একটা বাড়িও খুঁজি পাওয়া যাবার নায় যে বাড়ির খুলিত হাঁড়িভাঙার গাছ নাই।

হাঁড়িভাঙা আমকে ঘিরে বেকারের সংখ্যাও কমেছে রংপুরসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলায়। বিশেষত মিঠাপুকুরের লালপুর, পদাগঞ্জ, তেকানিসহ আশপাশের গ্রামের বেকার যুবকরা এখন আম ব্যবসায় জড়িয়ে বেকারত্ব দূর করেছেন। অনেকে আবার উদ্যোক্তা হিসেবে হাঁড়িভাঙার বাজার সম্প্রসারণ ও চাষাবাদ বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন।

আখিরাহাটের বাসিন্দা আব্দুস সালাম ১৯৯২ সাল থেকে হাঁড়িভাঙ্গা আমের চাষ করে আসছেন। শুধু চাষবাদ নয়, এই অঞ্চলের হাঁড়িভাঙা সম্প্রসারণে তার অবদান অনস্বীকার্য। তার হাত ধরেই এ অঞ্চলের মানুষ এখন অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভের আশায় জেলার উঁচু-নিচু ও পরিত্যক্ত জমিতে প্রতি বছর হাঁড়িভাঙা আম চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

আব্দুস সালাম সরকার বলেন, আমি প্রায় ৩৪ বছর ধরে হাঁড়িভাঙা আমের চাষ করছি। আমাকে দেখে এখন রংপুরে কয়েক লাখ  হাঁড়িভাঙা আমের গাছ রোপণ করেছে আমচাষিরা। আমার ২৫টির বেশি বাগান রয়েছে। এ রকম অনেকের আম বাগান রয়েছে। পুরো জেলায় এখান প্রতি বছর প্রচুর আম উৎপাদন হয়। টেকসই অর্থনীতির জন্য আমি শুরু থেকেই  হাঁড়িভাঙা আমের সংরক্ষণের জন্য হিমাগার স্থাপন, আধুনিক আমচাষ পদ্ধতি বাস্তবায়ন, গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনসহ  হাঁড়িভাঙাকে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি করে আসছিলাম। সরকার একটু দৃষ্টি দিলেই হাঁড়িভাঙাকে ঘিরেই এই অঞ্চলের অর্থনীতি আরও সচল হবে।

কৃষি বিভাগ ও আমচাষিরা বলছেন, জুনের শেষ সপ্তাহে বাজারে মিলবে পরিপক্ক হাঁড়িভাঙা আম। এর আগে বাজারে হাঁড়িভাঙা আম পাওয়া গেলেও তা অপরিপক্ক হবে। হাঁড়িভাঙার প্রকৃত স্বাদ পেতে জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। বর্তমানে বাগানগুলোতে পরিচর্যা চলছে। নির্ধারিত সময়ে আম বাগান মালিক ও চাষিরা গাছ থেকে হাঁড়িভাঙা আম পারতে পারবেন। এরপর থেকে শুরু হবে বাজারজাত।

গত বছরের চেয়ে এবার হাঁড়িভাঙা আমের লক্ষ্যমাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল।

তিনি বলেন, ঠিক গত অর্থবছরে রংপুর অঞ্চলে ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের আবাদ হয়েছিল। গতবছরের চেয়ে এই বছর হাঁড়িভাঙা আমের ফলন বেশি আসবে। কারণ গতবছর যেই বাগানগুলো ছোট ছিল সেগুলোর ফল ধরবে এবং আমের উৎপাদন শুরু হবে। যার কারণে গত বছরের চেয়ে এই বছরে হাঁড়িভাঙা আমের উৎপাদন বেড়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, রংপুরে হাঁড়িভাঙা আমের গাছ রয়েছে ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে। যেখানে গত বছর উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আম। হাঁড়িভাঙার সবচেয়ে বড় যেটা খবর সেটা হচ্ছে বিগত কয়েকবছর যাবৎ আমরা এই পণ্যটাকে কৃষি বান্ধব সরকারের যে বিভিন্ন কৃষি পণ্য জেলায় জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা হতে যাচ্ছে তার প্রক্রিয়ার মধ্যে রেখেছি।

অন্যদিকে উত্তরের অর্থনীতিতে হাঁড়িভাঙা আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বলে জানান রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, প্রতি বছর হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলন হয়। এবার হাঁড়িভাঙা আম নিয়ে সুখবর রয়েছে। কারণ জিআই পণ্য ঘোষণা হওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। খুব দ্রুত ভালো খবর পাব আশা রাখি।

তিনি আরও বলেন, এটার কার্যক্রম প্রায় সমাপ্তের পথে। আগামী দুই মাসের মধ্যে হাঁড়িভাঙার আম জিআই পণ্যে রূপান্তরিত হওয়ার অফিশিয়াল ঘোষণা আসবে।


আরও খবর



ফের খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি, রাতেই নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের হঠাৎ গুরুতর অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে তাকে ফের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়ে নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা চেয়ে এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছেন তার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যেতে পারেন।

এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে গত ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পরদিন ১৪ মার্চ বাসায় ফেরেন তিনি।


আরও খবর



বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলশান থানায় করা নাশকতার মামলায় ২১ মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে কারাগারে ডিভিশন ও যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

হুইল চেয়ারে চেপে এদিন আদালতে হাজির হন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি। অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের চিকিৎসার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ ডিসেম্বর আদালত তার ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে গত ৩ মার্চ ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন তিনি।


আরও খবর



নিখোঁজদের সন্ধানে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ ফায়ার সার্ভিসের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনের আগুনে কেউ নিখোঁজ থাকলে স্বজনদের হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। রাত দুইটার দিকে ঘটনাস্থলের সামনে মাইকে এই ঘোষণা দেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

বহুতল ভবনটিতে অনেকগুলো রেস্তোরাঁ থাকায় সেখানে খেতে এসেছিলেন অনেকে। তাই আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তাদের স্বজনেরা। এছাড়া উৎসুক জনতাও ভিড় করেছিলেন সেখানে। মাইকে ঘোষণা দিয়ে ঘোষণা দিয়ে উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বলেন তারা।

আগুন লাগার পর ভবনটি থেকে জীবিতদের উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এই কাজে দুটি ক্রেনের সহায়তা নেওয়া হয়। রাত দুইটার দিকে ক্রেন দুটিও সরিয়ে নেওয়া হয়। ক্রেনের সহায়তায় আগুন লাগার পরে ভবনটিতে আটকে পড়া ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর মধ্যে ১৫ জন নারী।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাচ্চি ভাই নামের একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।


আরও খবর



‘প্রেস্টিজিয়াস ব্র্যান্ড অব এশিয়া’ অ্যাওয়ার্ড জিতল বসুন্ধরা টিস্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের খ্যাতনামা ব্র্যান্ড বসুন্ধরা টিস্যু প্রেস্টিজিয়াস ব্র্যান্ড অব এশিয়া ২০২৩-২৪ অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। দুবাইয়ের হিলটন হোটেলে গ্লোবাল বিজনেস সিম্পোজিয়াম ২০২৪-এ সম্মানসূচক পুরস্কারটি পায় বসুন্ধরা টিস্যু।

এ পুরস্কার বসুন্ধরা টিস্যুর ধারাবাহিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং শিল্পমানের ওপর এর রূপান্তরমূলক প্রভাবকে স্বীকৃতি দেয়, যা এশিয়ার বাজারে তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করেছে।

গুরুত্বপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প খাতের নেতৃস্থানী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে গুণমান, উদ্ভাবন এবং টিস্যু শিল্পে উল্লেখযোগ্য অবদানে বসুন্ধরা টিস্যুর দৃঢ়প্রত্যয়েরর কথা তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, উচ্চমানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহে অনড় তীব্র প্রতিযোগিতামূলক স্থানীয় বাজারে ব্র্যান্ডটিকে দারুণ অবস্থানে নিয়ে গেছে। প্রিমিয়াম পণ্যের জন্য পরিচিত বসুন্ধরা টিস্যু এখন গুণমান এবং নির্ভরযোগ্যতার আরেক নাম হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রেস্টিজিয়াস ব্র্যান্ড অব এশিয়া ২০২৩-২০২৪ অ্যাওয়ার্ড এশিয়ার বাজারে বসুন্ধরা টিস্যুর নেতৃত্ব ও অবস্থানের প্রমাণ।

গ্লোবাল বিজনেস সিম্পোজিয়াম ২০২৪ একদিকে যেমন বসুন্ধরা টিস্যুর সাফল্য উদযাপনের উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি দিলো, পাশাপাশি উপস্থাপন করলো ব্র্যান্ডের শ্রেষ্ঠত্বও। এ পুরস্কার টিস্যু শিল্পে প্রধান ব্র্যান্ড হিসেবে বসুন্ধরা টিস্যুর অবস্থানকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি অন্যদের সামনে অনুকরণের মানদণ্ড ঠিক করে দিয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: বসুন্ধরা টিস্যু

আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪