আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

নতুন প্রযুক্তির যন্ত্র আপনার মিথ্যে কথা ধরে ফেলতে পারবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক অধ্যাপক হানেইন এবং তার সহযোগী অধ্যাপক দিনো লেভি। তারা লাই ডিটেকশন অর্থাৎ মিথ্যা শনাক্তকরণের একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।

তারা বলছেন, মিথ্যাবাদী আছে দু'রকম । এক দল আছেন মিথ্যা বলার সময় নিজের অজান্তেই যাদের চোখের ওপরের ভ্রু নড়াচড়া করতে থাকে । আরেক দল আছেন, মিথ্যা বলার সময় যাদের ঠোঁটের খুব সামান্য একটা নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না - যে সময় তাদের ঠোঁট তাদের গাল স্পর্শ করে।

অধ্যাপক হানেইন বলছেন, তারা যে সফটওয়্যার এবং এ্যালগরিদম তৈরি করেছেন তা ৭৩% মিথ্যা শনাক্ত করতে পারে এবং এখন তারা কাজ করছেন এ পদ্ধতিকে আরো উন্নত করার জন্য।

"আপনি যখন মিথ্যে বলছেন এবং তা লুকানোর চেষ্টা করছেন, তখন আপনি চেষ্টা করেন যাতে আপনার শরীরে কোন প্রতিক্রিয়া না হয়।" "কিন্তু এই প্রযুক্তির হাত থেকে একটা মিথ্যাকে গোপন রাখা খুবই, খুবই কঠিন" - যোগ করলেন অধ্যাপক লেভি।

মিথ্যা ধরার নানা কায়দা প্রাচীন যুগেও ছিল

সম্ভবতঃ কারও মিথ্যা ধরার চেষ্টার ইতিহাস মানুষের মিথ্যা বলার মতই পুরোনো। এই প্রয়াসের সবচেয়ে পুরোনো দৃষ্টান্তগুলোর একটি পাওয়া যায় চীনে প্রায় ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।

মিথ্যা শনাক্তকরণ পরীক্ষা কতটা বিশ্বাসযোগ্য?

মিথ্যাবাদী চেনার সহজ উপায়

পদ্ধতিটি হলো, কেউ মিথ্যা বলেছে কিনা তা ধরার জন্য তার মুখ ভর্তি করে শুকনো চাল ঢুকিয়ে দেয়া হতো।

কিছুক্ষণ পরে সেই চালের দানাগুলো পরীক্ষা করা হতো। যদি দেখা যেতো যে চালগুলো শুকনো রয়ে গেছে - তাহলে ধরে নেয়া হতো যে সে মিথ্যা বলেছে।

এ পেছনের তত্ত্বটা হলো - কেউ যদি সত্যি মিথ্যা বলে থাকে তাহলে ধরা পড়ার ভয়-উৎকণ্ঠায় তার মুখের ভেতরটা শুকিয়ে যাবে - যা বোঝা যাবে শুকনো চাল থেকে।

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে আবিষ্কৃত হয় প্রথম মিথ্যা ধরার যন্ত্র বা লাই-ডিটেকটর মেশিন। একে বলা হয় পলিগ্রাফ। সবচেয়ে পরিচিত যন্ত্রটি হচ্ছে "এ্যানালগ পলিগ্রাফ" - যাতে তিন-চারটি কালি-ভরা সূঁচ থাকে যা একটি চলন্ত কাগজের ওপর দাগ-কাটতে থাকে।

অন্য প্রান্তে সন্দেহভাজন ব্যক্তিটির হাতের আঙুল, বাহু ও শরীরে লাগানো থাকে সেন্সর। তাকে অনেকগুলো প্রশ্নের জবাব দিতে হয় এবং সেই সময় তার শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি, হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ কত এবং তার ঘাম হচ্ছে কিনা - এগুলো মাপা হয়।

তবে এসব মেশিন কতটা নির্ভুল এবং একে ফাঁকি দেয়া সম্ভব কিনা - এ নিযে অনেক দিন ধরেই উদ্বেগ আছে। সেকারণেই সারা বিশ্বের গবেষক এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে যাচ্ছে আরো উচ্চ প্রযুক্তির পলিগ্রাফ তৈরির জন্য।

নেদারল্যান্ডসের রটারডাম শহরের ইরাসমুস বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. সেবাস্টিয়ান স্পিয়ার এবং তার দল ব্যবহার করছেন একটি এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং) মেশিন । কেউ মিথ্যা বলছে কিনা বা প্রতারণা করছে সেটা এই যন্ত্র দিয়ে ধরাটাই ছিল উদ্দেশ্য।

তারা যেটা করছেন তা হলো - একজন লোক যখন বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন, তখন তার মস্তিষ্কের স্ক্যান করা হলে তাতে রঙের কোন পরিবর্তন ধরা পড়ে কিনা।

এমআরআই স্ক্যান মেশিন ব্যবহার করে মিথ্যে ধরার কাজ করছেন সেবাস্টিয়ান স্পিয়ার।

"কেউ যখন সততার পরিচয় দিচ্ছে তা প্রতারণা করছে - তখন মস্তিষ্কের কোন বিশেষ এলাকা বেশি সক্রিয় হয়ে উঠছে - কিনা - মূলত সেটাই আমরা দেখি।"

ইতোমধ্যেই নানা কাজে ব্যবহার হচ্ছে এই প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের কনভেরাস নামে একটি প্রতিষ্ঠান আইডিটেক্ট নামে একটি উচ্চ-প্রযুক্তির পদ্ধতি বের করেছে - যা ইতোমধ্যেই অনেকে ব্যবহার করছেন। এটা মিথ্যা ধরার জন্য চোখের অনৈচ্ছিক নড়াচড়াকে ধরতে পারে।

এতে একজন ব্যক্তিকে এমন কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে বলা হয় - যার উত্তর "সত্য বা মিথ্যা" অথবা "হ্যাঁ বা না" দিয়ে দেয়া যায়। তারা যখন এই জবাবগুলো দিচ্ছেন তখন একটি সফটওয়্যার তাদের চোথের নড়াচড়ার ওপর নজর রাথে, এবং তাদের জবাবগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে। এর পর পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফলাফল জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এই ফলাফল ৮৬ থেকে ৮৮ শতাংশ সঠিক।

কনভেরাস বলছে, তাদের এই আইডিটেক্ট এখন ৫০টি দেশে ৬০০-রও বেশি গ্রাহক ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ৬৫টি এবং সারা বিশ্বের শতাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও এটি ব্যবহার করছে।

কনভেরাসের প্রধান নির্বাহী টড মিকেলসন বলছেন, এই পরীক্ষাটিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষ নানা কাজে ব্যবহার করছে।

"যেমন, অনেক আগে ঘটে গেছে এমন অপরাধ, অতীত বা বর্তমানে মাদক সেবন, কারো বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে পদক্ষেপ নেয়া হয়ে থাকলে তা গোপন রাখা হয়েছে কিনা, চাকরির আবেদনে মিথ্যে বলা, বা সন্ত্রাসবাদের সাথে যোগাযোগ - এরকম নানা ক্ষেত্রে এটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে" - বলেন তিনি।

আইডিটেক্ট সফটওয়্যারটি একটি ল্যাপটের ক্যামেরা দিয়েই চালানো যায়। অন্যদিকে পুলিশের গোয়েন্দারাও কোন অপরাধের ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করতে পারে।

আইনি বৈধতার প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ

অবশ্য এ ক্ষেত্রে আইনের প্রশ্নটি একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। লাই ডিটেক্টরের বৈধতার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের আইন বিভিন্ন রকম। যুক্তরাজ্যে যৌন অপরাধ এবং পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে পলিগ্রাফকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

কিন্তু এর ফলাফলকে ফৌজদারি মামলায় ব্যবহার করা যাবে কিনা - সে প্রশ্নে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের নিয়ম আলাদা। তা ছাড়া যুক্তরাজ্যে নিয়োগদাতারাও তাদের স্টাফদের ক্ষেত্রে লাই ডিটেকটর পরীক্ষার প্রস্তাব দিতে পারেন, তবে তা বাধ্যতামূলক হতে পারবে না।

যুক্তরাষ্ট্রেও লাই ডিটেকটর সংক্রান্ত আইন একে অঙ্গরাজ্যে একেক রকম।

যেমন ক্যালিফোর্নিয়ায় রাজ্য-স্তরের ফৌজদারি মামলায় উভয় পক্ষ রাজি হলে লাই ডিটেকশন পরীক্ষা তথ্যপ্রমাণ গ্রহণযোগ্য। কিন্তু নিউইয়র্ক রাজ্যে এটি কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশও কোন সন্দেহভাজন বা গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে এই টেস্ট নিতে বাধ্য করতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল আইনে কোন প্রতিষ্ঠানই চাকরির আবেদনকে লাই ডিটেকটর পরীক্ষা করাতে পারে না।

সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার বার্জেস সতর্ক করে দিচ্ছেন - কোন গুপ্তচর বা অপরাধীর দোষ প্রমাণের অবিসংবাদিত উপায় হিসেবে লাই ডিটেকটরকে দেখা ঠিক হবে না।

"কোন একটা তদন্তের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের সময় একে একটা উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হয় - মিথ্যাবাদী, দুশ্চরিত্র, প্রতারক বা অতিরঞ্জনকারীরা সত্য বলছে কিন তা বের করার জন্য।"

মি. বার্জেস এখন এখন নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলছেন, এসব যন্ত্র সম্পূর্ণ নির্ভুল নয়।

তিনি বলেন, তিনি নিজেই একবার ১৯৯০ এর দশকে লাই ডিটেকটরের একটি ভুল ফলাফলের জন্য একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন।

তিনি বলছেন, মিথ্যা ধরার জন্য যতই আরো উন্নত প্রযুক্তি আসুক, এ ব্যাপারে নৈতিক প্রশ্নগুলো এখনও রয়েই গেছে।

তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মনে করেন, এক সময় এ ক্ষেত্রে ভিডিও ক্যামেরার জায়গা নেবে ইলেকট্রোড। তারা বলছেন, একসময় এমন সফটওয়্যার আসবে যার ফলে দূর থেকে বা এমনকি ইন্টারনেটে লিংকেও একজন মিথ্যাবাদীকে চিহ্নিত করা যাবে - তার মুখের পেশীর নড়াচড়া থেকে।

অধ্যাপক লেভি বলছেন, "ব্যাংকে, বিমান বন্দরে, অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ বা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময়, শক্তিশালী ক্যামেরা থাকবে যা মুখমণ্ডলের পেশীর নড়াচড়া দেখেই ধরা যাবে কোনটি সত্য বক্তব্য এবং কোনটি মিথ্যা।"

নিউজ ট্যাগ: ইসরায়েল

আরও খবর



থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বিমানটি।

শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ বলে বর্ণনা করেছেন, কারণ এটি দুদেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ সফর দুদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, এ সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রেরণা জোগাবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি এ সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুদেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এ গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।

সফর চলাকালীন (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন, যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষরিত হয়।

নথিগুলো হচ্ছে- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর হয়।

নথির মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) রয়েছে।

শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন। গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেন। এ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে না’ বলার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা এবং ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানি মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


আরও খবর
বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মিসর থেকে বোয়িংয়ের দুই উড়োজাহাজ লিজ গ্রহণ ও রি-ডেলিভারি পর্যন্ত ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।

বুধবার (১৫ মে) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হক এ চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৩ কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক জেসমিন আক্তার। তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত ২৩ আসামির মধ্যে ১৪ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে নতুন করে অপর সাতজনকে অভিযুক্ত করে আসামি হিসেবে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন জন স্টিল, সাবেক পরিচালক ফ্লাইট অপারেশনস ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ, সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল আলম সিদ্দিক (মো. এস এ সিদ্দিক), সার্ভিসেস অ্যান্ড অডিটের সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার (স্ট্রাকচার) শরীফ রুহুল কুদ্দুস, সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, সাবেক ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহিদ হোসেন, প্রকৌশলী কর্মকর্তা হীরালাল চক্রবর্তী, লুৎফর রহমান ও প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার অশোক কুমার সর্দার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সহকারী পরিচালক (এওসি-এয়ারওয়ার্দিনেস) মোহাম্মদ সফিউল আজম, সহকারী পরিচালক (এরোস্পেস/ এভিয়নিক্স) দেওয়ান রাশেদ উদ্দিন, উপ-পরিচালক আব্দুল কাদির ও এয়ারওয়ার্থনেস কনসালটেন্ট গোলাম সারওয়ার।

অন্যদিকে, এজাহারভুক্ত যে ১৪ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তারা হলেন-বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান প্রকৌশলী এ আর এম কায়সার জামান, মহাব্যবস্থাপক আবদুর রহমান ফারুকী, ডিজিএম কামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ক্যাপ্টেন মো. নজরুল ইসলাম শামিম, উপ-মহাব্যবস্থাপক জিয়া আহমেদ, সাবেক চিফ পার্সার কাজী মোসাদ্দেক আলী, ফ্লাইট পার্সার শহিদুল্লাহ কায়সার ডিউক, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আজাদ রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল কাদির, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক বসুনিয়া, ব্যবস্থাপক মো. আতাউর রহমান, চিফ পার্সার মোহাম্মদ সাজ্জাদ উল হক (শাহিন), ফ্লাইট পার্সার শাহনাজ বেগম ঝর্ণা ও সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার গাজী মাহমুদ ইকবাল।

চার্জশিটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ দুটি লিজ নিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে ফের ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়। সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে কোনো সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। সে কারণে ইজিপ্ট এয়ার এবং মেরামতকারী কোম্পানি উভয়কেই অর্থ দিতে হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে। ফলে উড়োজাহাজ দুটির জন্য রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা।


আরও খবর



মসজিদের ভেতর ইমামকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজস্থানে মসজিদের ভেতর ঢুকে ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে আজমিরের মোহাম্মাদি মাদানি মসজিদের এ ঘটনায় তিন মুখোশধারী অংশ নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

নিহত মাওলানা মোহাম্মাদ মাহির মসজিদের মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। মাদ্রাসায় অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীর রয়েছে। পরিবারের দাবি, মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামগঞ্জ থানার রবীন্দ্র খিঁচি। তিনি বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওই রাতে মাওলানা মাহির একটি কক্ষে ছিলেন। রাত তিনটার দিকে শিশুরা চিৎকার শুরু করলে বিষয়টি আশপাশের লোকজনের নজরে আসে। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন তিনজন ইমামের ফোনটি নিয়ে গেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

মাহিরের ভাই মোহাম্মাদ আমির বলেন, তারা তিন ব্যক্তির নাম পুলিশকে জানিয়েছে। মাহির তাকে বিভিন্ন সময় জানিয়েছে, তার মাদ্রাসা পরিচালনা নিয়ে কিছু ব্যক্তি অসন্তুষ্ট। তারা মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। তবে তিনি কখনও আজমিরে থাকতে পছন্দ করতেন না। গেল অক্টোবরে তার গুরু মাওলানা জাকির হোসাইন মারা গেলে তাকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই করছে। মসজিদের কাছ থেকে দুটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এই লাঠিগুলো হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে পুলিশের ডগ স্কোয়াড টিম।

সাত বছর আগে উত্তর প্রদশের রামপুর থেকে আজমিরে আসেন মাহির। তার মরদেহ রামপুরে দাফন করা হয়েছে।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে ভোট, নেই ভোটার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি উপজেলা (বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুরে) ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ভোটারের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে দুটি উপজেলার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কয়েকজন ভোটার লাইনে দাড়িয়ে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রদান করেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়েনি।

ভোটকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ ও মোবাইল কোর্টের তৎপরতা দেখা গেছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়ন করা হয়েছে বিজিবি ও র‍্যাব।

জেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এ দুটি উপজেলায় মোট ৮ জন চেয়ারম্যান ও ৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

এ দুটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৬০জন। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৬৩ জন ও হরিপুর উপজেলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ৪৯৭জন। আর দুটি উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯০টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮০৮টি।


আরও খবর



চীনের মহাসড়কে ধস, নিহত অন্তত ১৯

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে গভীর রাতে একটি মহাসড়কের একাংশ ধসে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। বুধবার (১ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মেইঝো শহর এবং ডাবু কাউন্টির মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এস১২ হাইওয়ের ১৭.৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) প্রসারিত অংশ ধসে পড়ে। এতে ১৮টি গাড়িতে কয়েক ডজন লোক সেখানে আটকা পড়ে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং ৩০ জনকে হাসপাতালে জরুরি সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের জীবন বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে নেই।

এদিকে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রায় ৫০০ জনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে মহাসড়কটি ধসে পড়েছে তা এখনো স্পষ্ট না।


আরও খবর