বাংলাদেশ প্রিমিয়ার
লিগে (বিপিএল) শৃঙ্খলা ফেরাতে গত ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক সভায়
পরবর্তী তিন বছরের জন্য এই টুর্নামেন্টের সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী
২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিপিএলের নবম আসর। এই টুর্নামেন্টের পর্দা নামার
কথা ফেব্রুয়ারির ১৬ তারিখে। জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির ফাঁকে বিপিএলের জন্য সূচি নির্ধারণ
করা হলেও, এই লিগে ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। সেই সাথে
বিপিএল রেখে দেশি ক্রিকেটারদের অন্য লিগে খেলার আগ্রহ তৈরি হবে কিনা সেটা নিয়েও আলোচনা
চলছে।
বিপিএল চলাকালে
বিদেশি লিগে খেলতে পারবেন না সাকিব-মুস্তাফিজরা।
অতীতে বিপিএলে
খেলে যাওয়া অনেক বিদেশি ক্রিকেটারই এই টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর যে মিস করতে চলেছেন
সেটা প্রায় এক প্রকার নিশ্চিত। কারণ, বিপিএল চলাকালে বিশ্বব্যাপী আরও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক
টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সূচি অনুযায়ী, চলতি বছরের
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বিগ ব্যাশ
মাঠে গড়ানোর কথা।
এদিকে বেশ ঢাকঢোলে
পিটিয়ে চালু হতে যাওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির প্রথম
আসর শুরু হবে বিপিএল শুরুর একদিন পর (৬ জানুয়ারি, ২০২৩) আর শেষ হবে বিপিএল ফাইনালের
মাত্র চারদিন আগে (১২ ফেব্রুয়ারি)। ফলে বিগ ব্যাশ ও আমিরাতের লিগে খেলতে যাওয়া তারকরা
নিশ্চিতভাবেই বিপিএলে খেলতে পারবেন না। তবে এই পরিস্থিতিতে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিপিএলের
সময়ে অন্যদেশের লিগগুলোর জন্যও কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
১ আগস্ট (সোমবার)
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন, “দেখুন আমাদেরও
একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে, মেম্বার কান্ট্রিগুলো তারা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ
চালুর জন্য একটা উইন্ডো খুঁজছে। একই সময় অন্য কোন মেম্বারদের উইন্ডো যদি পড়ে যায়,
কনফ্লিক্ট করে, তাহলে সবাই কিন্তু সাফার করবে। এমন না যে শুধু আমরাই সাফার করব। আমার
দুইজন বা তিনজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার যদি সেখানে খেলার সুযোগ থাকে সে কিন্তু খেলছে
না, আমার ডোমেস্টিক লিগে খেলছে।”
সাম্প্রতিক সময়ে
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার নিজ দেশের লিগ বিগ ব্যাশ রেখে আমিরাতের টি-টোয়েন্টি
লিগে খেলার আগ্রহ পোষণ করে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বিপিএল
রেখে অন্য কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে যাবেন না বলে মনে করছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা। এছাড়া বিদেশি লিগে খেলতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বোর্ডের অনুমতির কথাও স্বরণ করিয়ে
দেন তিনি।
তিনি জানান, “সেটা শুধু আমাদের
দেশের কথা না প্রত্যেকটা মেম্বার কান্ট্রিগুলোর মধ্যে একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে,
এনওসির বিষয় আছে। এই বিষয়গুলো সবাই মেনে চলে এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না নিজের
দেশের একটা কম্পিটিশন রেখে কেউ অন্য দেশে খেলতে যাবে।”