আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালী বাজারে খালের ওপর ঢালাই সেতুটির মাঝখানের অংশ ২০১৪ সালে ভেঙে পড়ে। ২০১৫ সালে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এলাকাবাসী ভাঙ্গাঅংশে কাঠের পাটাতন দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে এলাকার লোকজন ও যানবাহন চলাচল করছে। এতে এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লোহার কাঠামোর ওপর ঢালাই দিয়ে ২০০৭ সালে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কিন্তু ২০১৪ সালে সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে পণ্যবাহী একটি ট্রলি নদীতে পড়ে যায়। ওই ভাঙ্গা অংশ নয় বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কার করা হয়নি। এ কারণে এলাকার অন্তত ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। প্রতিদিন ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে সোনাখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গেরাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাহবুব আলম মোল্লা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর ওই ভাঙা অংশের কাঠের পাটাতন নড়বড়ে। তা ছাড়া সেতুর উত্তর প্রান্ত দেবে গেছে।
আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের মো. সোহেল রানা বলেন, সেতুটির অংশবিশেষ ভেঙে পড়ায় এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিগগির সেতুটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় বারবার জেলা প্রকৌশল বিভাগকে জানানো হয়। কিন্তু আট বছরেও মেরামত করা হয়নি। স্থানীয়ভাবে ভাঙা অংশে কাঠের পাটাতন দেওয়া হয়েছে। ওই পাটাতন দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ আল মামুনকে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বরগুনা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জী বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ সেটা আপনাকে কে বলেছে। আপনার কাছে কি কোন ডকুমেন্ট আছে যে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ।