আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার ৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার সবার

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অপরাধ সেটা যেখানেই হোক আর যে দেশেই হোক, মানুষ যেন বিচার প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিতে পারে সেই ধারনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার দিবস। আজ ১৭ জুলাই, আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার দিবস। মানবতাবিরোধী অপরাধসহ যে কোন ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হতে এবং ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে দেশে দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। একটি স্বাধীন দেশের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হওয়া আবশ্যক। দেশের প্রতিটি মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়া তার নাগরিক অধিকার। এই ন্যায় বিচারের অধিকার নিশ্চিত করাই এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য।

বিশ্বের নানা স্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোকে যেন বিচার প্রক্রিয়ায় সম্মুখীন করা যায়। সে জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এই বিশেষ আদালতটির সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে। তবে যেকোন দেশেই এই আদালতের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। বিশ্বব্যাপী সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধগুলোর বিচার প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করতে বিশ্বের অনেক দেশেই বিচ্ছিন্নভাবে নানা রকমের আন্দোলন হয়েছে। তবে এ ধরনের বিচার প্রক্রিয়ার আন্তর্জাতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা মোটেই সহজ ছিল না। এর ধারনা আর প্রেক্ষাপটটিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত এ রকম একটি আদালত প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।

১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয়। ফলে পরবর্তী সময়ে নুরেমবার্গ ও টোকিওতে সংঘটিত হওয়া অপরাধের বিচার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। এসব ঐতিহাসিক ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ন্যায় বিচার পাবার গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। গণমানুষের প্রত্যাশাকে আশার আলো দেখিয়ে দিতে সাহায্য করে। এসব ঘটনা ও সাফল্য রোম সংবিধি এর মতো চুক্তি প্রতিষ্ঠার পটভূমি তৈরি করতে সাহায্য করে। শুরুতে ১২০টি দেশ ভোটের মাধ্যমে রোম সংবিধি অনুমোদন করে। প্রক্রিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ এই চুক্তির সংগে একাত্ম হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ১৯৯৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ রোম সংবিধির সাথে একাত্ম হয়।

এই চুক্তি বাংলাদেশের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন এবং সময়োপযোগী। কারন রোম সংবিধির উপর ভিক্তি করেই আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। চলমান একাত্তুরের গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া এই চুক্তির সাথে সম্পর্কিত।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহের বিচারের জন্য গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধীর বিচার সম্পন্ন যার উদ্দেশ্য। স্বাধীনতা লাভের ৩৯ বছর পর যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য ২০১০ সালে ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল আইনজীবি প্যানেল এবং তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়। এর আওতায় ইতিমধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে যারা অপরাধ সংগঠনের মাধ্যমে দেশের অপূরনীয় ক্ষতি করেছে, তাদের বিচার করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ।

ন্যায় বিচারের একটা বড় উদাহরন হচ্ছে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্র সীমা বিরোধ ও বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সমুদ্র সীমা বিরোধের রায়। নেদারল্যান্ডসের হেগের সালিশি আদালতের রায়ের মাধ্যমে মিয়ানমার ও ভারতের সংগে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হয়। এই রায়ে বাংলাদেশ ন্যায্য পাওনা বুঝে পায়। এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল বাংলাদেশ। আসলে ন্যায় বিচার একটি আপেক্ষিক বিষয়। দেশ, কাল হিসেবে ন্যায় বিচার ভিন্ন। এমনকি অনেক সময় বিচার করলেও তা কার্যকর করা যায় না। সেক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলা যায় না। ন্যায় বিচার হতে পারে পানির জন্য, শিক্ষার জন্য, সমঅধিকারের জন্য কিংবা অন্য যেকোন বিষয়ে।

এক্ষেত্রে প্লেটোর রিপাবলিক বইয়ের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। প্লেটো সেখানে বলেছেন সমাজ তৈরি হয় ন্যায়ের মধ্য দিয়ে। ঘরের মধ্যে, সমাজের মধ্যে ন্যায়বিচার হচ্ছে কিনা, ধনী দেশের সংগে সম্পর্কে গরীবের ন্যায় বিচার হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে। সেই বিচারের মধ্য দিয়েই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়। দৃশ্যমান বিচারের বাইরেও একটা বিচার আছে। সেখানে মৌলিক ন্যায় বিচার করতে পারছেন কিনা সেটি বিবেচনায় নিতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য ন্যায় বিচার করা সম্ভব না হলে সিস্টেম বদলাতে হবে।

সুব্রত বিশ্বাস (শুভ্র)

কাউন্সিলর, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ এবং সমন্বয়ক, মিডিয়া সেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, ঢাকা।


আরও খবর



কাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রোজা শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বছর ঘুরে আবারও ফিরে এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। রমজানকে স্বাগত জানাতে বিশ্বের সব মুসল্লি নিজেদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

এরমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা দিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে কাল সোমবার (১১ মার্চ) থেকেই রোজা শুরু হবে। দেশটিতে স্থানীয় সময় রোববার রাতে প্রথম তারাবি নামাজ পড়া হবে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে, উত্তর আমেরিকা ফিকাহ কাউন্সিল।

যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলো মূলত জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব-নিকাশের ওপর ভিত্তি করে রমজান ও ঈদের তারিখ ঘোষণা করে থাকে। জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব অনুযায়ী, রোববার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদের জন্ম হবে।

এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে উত্তর আমেরিকা ফিকাহ কাউন্সিল বলেছে, নতুন চাঁদের জন্ম রোববার, ১০ মার্চ ২০২৪ এ। এদিন সূর্য থেকে চাঁদের দূরত্ব থাকবে ৮ ডিগ্রির বেশি এবং উত্তর আমেরিকার সব অঞ্চলে সূর্য থেকে চাঁদ ৫ ডিগ্রি উপরে থাকবে।

তবে মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রমজান ও ঈদের তারিখ নির্ধারণে খালি চোখে চাঁদ দেখার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। কেউ যদি খালি চোখে চাঁদ দেখে থাকেন তাহলে সেখানে রমজান মাস শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বের সব দেশ আজ রাতে চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নিয়েছে। দেশগুলো সাধারণ জনগণকে চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে আরব আমিরাতভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ মার্চ রাতে মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখা যাবে না। কারণ খালি চোখে চাঁদ দেখতে কিছু বিষয় থাকে; যেগুলোর কোনোটিই আজ হবে না।

যেহেতু খালি চোখে চাঁদ দেখা যাবে না ফলে মঙ্গলবার থেকে সৌদি ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোতে রোজা শুরু হবে।


আরও খবর



নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েন্ডি ক্যারোলাইনা মোরালেস আরবিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডানিয়েল ওর্তেগা, তার স্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নিষ্ঠুর নিষ্পেষণে সমর্থন দেয়ায় তার ভূমিকার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মোরালেস আরবিনা বিরোধী কণ্ঠকে নীরব করে দিয়েছেন এবং কমপক্ষে ৩০০ নাগরিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন। নির্বাসনে থাকা জেলপ্রাপ্ত রাজনৈতিক বন্দিদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ায়ও সমর্থন দিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কমপক্ষে আড়াইশ গ্রুপসহ কমপক্ষে ৩৫০০ নাগরিক সমাজের সংগঠনকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য দায়ী আরবিনা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ওর্তেগা-মুরিলো শাসকগোষ্ঠীর ভিত্তিহীন অভিযোগে আক্রমণের অংশ মোরালেস আরবিনা। এসব সংগঠনের বিরুদ্ধেও মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ধর্মীয় নেতাদের অন্যায়ভাবে বন্দি করা হয়েছে। নিকারাগুয়ান সরকার এবং তার সহযোগীদের জঘন্য আচরণের জন্য জবাবদিহিতা উন্নীত করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।


আরও খবর



ডেমরায় আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরার কাপড়ের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীও। এদিকে, আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় ডেমরার ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদরদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, ডেমরার ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় চারতলা ভবনটির তিনতলায় কাপড়ের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে চার তলাসহ অন্যান্য ফ্লোরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে একে একে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ  শুরু করে।

তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছুই জানাতে পারেনি ফায়ার সর্ভিস। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, চার তলা ভবনটির তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কাছাকাছি পানি না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে।


আরও খবর



‘স্থায়ী দোকানে টিসিবির পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে স্থায়ী দোকানে টিসিবির সুলভ মূল্যের পণ্য সরবরাহ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে নাগরপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে টিসিবির স্মাট কার্ড ও হুইল চেয়ার বিতরণ এবং অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির কার্ডধারীদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি লাঘবে এই চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। টিসিবির ট্রাক সেল থেকে পণ্য নিতে এসে অনেকেরই শ্রমঘণ্টা নষ্ট হতে দেখা যায়। বাড়ির পাশের দোকান থেকেই যদি কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্য সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে এই সমস্যা থাকে না। এজন্য টাঙ্গাইলের নাগরপুরকে মডেল হিসেবে নিয়ে স্থায়ী দোকানে টিসিবি পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের এক কোটি পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নাগরপুরে রয়েছে ১৬ হাজার ৪২৯ পরিবার। টিসিবি অনেক বড় একটি কর্মযজ্ঞ। এ দেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা পূরণে ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টিসিবি প্রতিষ্ঠা করেন।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামিনা বেগম শিপ্রা, পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, গয়হাটার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামসুল হক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এমরান হোসাইন শাকিল প্রমুখ।

এর আগে মন্ত্রী কলিয়া-সরিষাজানি রাস্তার উদ্বোধন করেন। মতবিনিময় সভা শেষে দুপুরে তেবাড়িয়াপাইকশা বাজার এবং তেবাড়িয়া মহারাজের দোকান হতে নদীর ঘাট পর্যন্ত রাস্তার ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন। পরে সলিমাবাদে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত  উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ খান ঝলকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।


আরও খবর



বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলশান থানায় করা নাশকতার মামলায় ২১ মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে কারাগারে ডিভিশন ও যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

হুইল চেয়ারে চেপে এদিন আদালতে হাজির হন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি। অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের চিকিৎসার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ ডিসেম্বর আদালত তার ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে গত ৩ মার্চ ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন তিনি।


আরও খবর