আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

অবৈধ-নকল মোবাইল ফোন বন্ধে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অবৈধ ও নকল মোবাইল ফোন বন্ধে দেশে ব্যবহৃত সকল মোবাইল নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) ভার্চুয়ালি আনুষ্ঠানিকভাবে মোবাইল ফোন নিবন্ধনের কার্যক্রমটি উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণ যেন ভোগান্তির শিকার না হয় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি ও অপারেটররা একাট্টা হয়ে কাজ করছে।

অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বুধবারের মধ্যেই দেশে গ্রাহকের হাতে থাকা সব চালু হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) থেকে যেসব নতুন হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে সেগুলো অবৈধ হয়ে থাকলে আগামী ৩ মাসের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। তিন মাস পর অবৈধ হ্যান্ডসেটে কোন সিমই কাজ করবে না।

বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল আলম বলেন, দেশে অবৈধ ও নকল মোবাইল ফোন বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 


আরও খবর
গুগল ডুডলে মহান স্বাধীনতা দিবস

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪




প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (১০ মার্চ) রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে হয়েছে, প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৫ সাল থেকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন ইহসানুল করিম। ২০২২ সালের ১৯ জুন দুই বছরের জন্য নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি।

ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।


আরও খবর



রমজানেও থেমে নেই বর্বরতা: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯৩

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা চলছেই। এতে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহতসহ মোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩১ হাজার ৮১৯ জন। এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছে আরও ৭৩ হাজার ৯৩৪ ফিলিস্তিনি।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকাজুড়ে নয়টি গণহত্যা চালিয়েছে এবং এতে ৯৩ জন নিহত এবং আরও ১৪২ জন আহত হয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাফা এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।

এর মধ্যে মিশরীয় সীমান্তের কাছে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্টে চালানো হামলায় ১৪ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বর্তমানে এই শহরটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।

এছাড়া মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে পৃথক বিমান হামলায় আরও ছয়জন মারা গেছেন বলে চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


আরও খবর



কেএফসি ও ডোমিনোজ পিজ্জাকে চার লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর রেস্টুরেন্টগুলোতে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে আজও (বুধবার) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা চষে বেড়িয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর কর্মকর্তারা। এ সময় ফায়ার সেফটি না থাকায় এবং বাণিজ্যিক ভবনে রেস্টুরেন্ট করায় কেএফসি ও ডোমিনোজ পিজ্জাকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) রাজউক কর্মকর্তারা এলাকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযান চালান। দেখা গেছে, অধিকাংশ ভবন ও রেস্টুরেন্ট নিয়ম লঙ্ঘন করে গড়ে তোলা হয়েছে। কোনোটিরই নেই ফায়ার সেফটি ও বিকল্প সিঁড়ি।

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিচালক কামরুল ইসলাম জানান, কেএফসি ও ডোমিনোজ পিজ্জায় গিয়ে ফায়ার সেফটি ও ভবনে বিকল্প কোন সিঁড়ি পাওয়া যায়নি। আবাসিক ভবনে রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হয়েছে। এসব অনিয়মের কারণে দুটি রেস্টুরেন্টকে দুই লাখ টাকা করে মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া, চায়না ল্যান্ড রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই কারণে চারটি রেস্টুরেন্টকে মোট সাত লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান শেষে কামরুল ইসলাম বলেন, তাদেরকে সব নিয়ম-কানুন মেনে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রেস্টুরেন্ট চালাতে বলা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট মালিকদের পাশাপাশি শিগগিরই ভবন মালিকদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।

যদিও সাধারণ মানুষ বলছে, গুটি কয়েক রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে দায় সারলে চলবে না, প্রতিটি সেক্টরকেই এমন নজরদারিতে আনতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: কেএফসি ডোমিনোজ

আরও খবর



চবিতে সিলিং পড়ে শিক্ষার্থী আহত, হল প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাহজালাল হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। হলে অবস্থানরত এক শিক্ষার্থীর গায়ে সিলিং পড়ে আহত হলে শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে এই আন্দোলন শুরু হয়।

জানা যায়, শাহজালাল হলের বর্ধিত অংশের ১/৬ রুমের সিলিং পড়ে দুপুরে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী নিশাত। আহত নিশাতকে হাসপাতাল নিয়ে গেলে তার পিঠে ও হাতে ৩টি সেলাই দেওয়া লাগে। খবর ছড়িয়ে পড়লে হল গেইটে তালা দিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

আন্দলনরত ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসান তৌকির গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কয়েকজন বন্ধু দুপুরে রুমে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় ওপর থেকে সিলিং খুলে পড়ে। সে সজাগ থাকা সত্ত্বেও হাতে ও পেটে জখম হয়। এর আগেও আশপাশের রুমের সিলিং খুলে পড়েছে। রুমগুলোর দরজা ভাঙা, ওয়াশরুমের বাজে অবস্থা। আমরা এসব নিয়ে বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছে, আমরা দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আর হলে নামমাত্র একজন প্রভোস্ট আছেন, কিন্তু তাকে কখনো দেখা যায় না। তাই আমরা প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছি।

শাহজালাল হলের আবাসিক শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর নাজমুল আলম মুরাদ গণমাধ্যমকে বলেন, তারা হল সংস্কারসহ (শিক্ষার্থীরা) অনেকগুলো দাবি জানিয়েছে। আমরা উপাচার্যের কাছে তাদের বিষয়গুলো জানিয়েছি। দ্রুতই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে।


আরও খবর



এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা

পিরোজপুরে কেন্দ্র পরিবর্তন হওয়ায় অংশ নেয়নি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর আদেশে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদ্য সমাপ্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী। নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ৩০ কিলোমিটার দুরত্ব ও যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো না থাকায় এমনটি হয়েছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, এবারের এসএসসি ভোকেশনাল  পরীক্ষায় জেলার নাজিরপুরের মালিখালী ইউনিয়নের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র (কোড-৩৭০৩৬) ভেন্যু বাতিল করা হয়। এতে ওই এলাকার আশেপাশের তিনটি স্কুল লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পরে । এই তিন স্কুল থেকে প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ জন কারিগড়ি পরীক্ষা দিতো লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে । পরীক্ষা কেন্দ্র ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ার আদেশ আসায় ওই স্কুল গুলোর দশম শ্রেণির (কারিগরি) ২৫ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করেনি। এ কারনে এবার এস এস সি ভোকেশনাল পরীক্ষার জন্য ফর্মফিলাপ করে মাত্র ৩১ জন শিক্ষার্থী।

নির্ধারিত নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, বাতিল হওয়া কেন্দ্র থেকে ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় ভোগান্তিতে পরে ৩১ পরীক্ষার্থী। স্কুল গুলোর শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথমদিনে পরীক্ষার্থীরা মধুমতি নদী পারি দিয়ে চড়াই উৎরাই পার হয়ে পরীক্ষা দিতে আসলেও দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে অনুপস্থিত হয় ৩জন। এভাবে শেষ পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ জনে।  শেষ পর্যন্ত ১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এতে করে ১৮ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়ে। এ নিয়ে বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (অনুপস্থিত) পরীক্ষার্থী অশোক কির্তনিয়া বলেন, নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ  ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দুরত্বের কারনে এবার পরীক্ষা দিতে যেতে পারিনি। তাছাড়া আমি ওখানে থেকে যে পরীক্ষা দিবো তার ব্যায় আমার বাবা বহন করতে পারবে না। যদি আবারও লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা হয় তাহলে আগামী বছর পরীক্ষা দিবো।

লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী লাবন্য মল্লিক বলেন, আমি পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ হওয়ায় আমি আর পরীক্ষা দিতে পারলাম না। ৩৪/৩৫ কিলো মিটার দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। তাছাড়া বড় একটি নদী খেয়া পার হয়ে যেতে হয়। আমরা সকালে রওয়ানা দিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে ৩ ঘন্টা লেগে যেতো। এভাবে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। যদি  কখনও লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ,তাহলে আবার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবো। না হলে আর পরীক্ষা দেয় হবে না।

এ বিষয়ে মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থী রনজিত বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে পারছি এতো দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়ার খরচ মেটাতে না পারায় পরীক্ষা দেয় নাই। এবার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি ভোকেশনাল ১৮ জন পরীক্ষার্থী ছিলো। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাত্র ৭ জন পরীক্ষা দিয়েছে।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) দিপঙ্কর সমাদ্দর বলেন, এভাবে কেন্দ্র কেটে নেয়ায় পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। তিনটি স্কুল দিয়ে এবার সব কটি পরীক্ষা দিয়েছে মাত্র ১৩ জন। আর গত দশ বছর লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থাকায় প্রতি বছর প্রায় ৫০/৬০ পরীক্ষা দিতো। ফলাফলও ভালো করতো।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন করেছিলো ৩৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর সদরে চলে যাওয়ায় মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী ফর্মফিলাপ করে। ১৩ শিক্ষার্থী আর ফর্মফিলাপ করে নাই। এ থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

এ বিষয়ে পিরোজপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, আমার এই বিষয়টা জানা ছিলো না। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিবো। আমি খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।

উল্লেখ্য , ২০১৩ সালে লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ কেন্দ্রে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতো।


আরও খবর