বিল গেটস ও মেলিন্ডার বিচ্ছেদ আনুষ্ঠানিকভাবে
সম্পন্ন হয়েছে। ওয়াশিংটনের কিং কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টের এক আইনজীবী তাদের ডিভোর্স
পেপারে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তাদের দীর্ঘ ২৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি ঘটলো।
সোমবার (২ আগস্ট) তাদের ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করেন আইনজীবী।
গেল মে মাসের ৩ তারিখ তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত
নেন। একসঙ্গে তারা দুজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানান। ওই ঘোষণার তিন মাস পর
তাদের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হলো। অবশ্য নাম পরিবর্তনের জন্য আদালতে কেউ-ই আবেদন করেননি।
ওই সময়ে টুইটার বার্তায় বিল-মেলিন্ডা বলেছিলেন,
‘নিজেদের সম্পর্কের
ওপর নিরীক্ষা ও চিন্তা-ভাবনার পর আমরা আমাদের সংসারের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
যুগল হিসেবে আমরা আর থাকতে পারব বলে আমাদের মনে হয় না।’
১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে মেলিন্ডা বিল গেটসের
মাইক্রোসফট কোম্পানিতে যোগ দিলে দুজনের পরিচয় হয়। পরে তারা প্রণয়ে জড়ান, সেই প্রণয়
১৯৯৪ সালে বিয়েতে গড়ায়। তাদের এ ২৭ বছরের দীর্ঘ সংসারে ঘর আলো করে আসে তিন সন্তান।
এই যুগল ২০০০ সালে গঠন করেন দাতব্য সংস্থা
‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা
গেটস ফাউন্ডেশন’। তারা দু’জনই এর যৌথ পরিচালক।
বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও তারা বিশ্বাস করেন একসঙ্গে এই ফাউন্ডেশন চালিয়ে নিতে পারবেন।
সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে
লড়াই এবং শিশুদের টিকার আওতায় আনতে সহায়তা করে আসছে। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য
দূরীকরণসহ বিভিন্ন কাজে ৫৩.৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করে এই সংগঠনটি।
আরেক ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে মিলে এই দম্পতি ‘গিভিং প্লেজ’ নামে একটি উদ্যোগ শুরু করেন, যেটির লক্ষ্য বিলিয়নিয়ারদের সম্পদের একটি বড় অংশ দাতব্য কাজে লাগানো। প্রসঙ্গত, প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বসের বিচারে বিল গেটস এখন বিশ্বের চতুর্থতম সম্পদশালী ব্যক্তি। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।