পার্টিগেট বিতর্কে
পার্লামেন্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর আগে লকডাউনে
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিধি ভেঙে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করার দায়ে ২০ জনকে জরিমানা
করেছিল লন্ডন পুলিশ। ফলে বিরোধীদের চাপের মুখে এবার আইন প্রণেতাদের সামনে নিজের ভুল
স্বীকার করে নিয়েছেন জনসন।
ব্রিটিশ পুলিশ
জানিয়েছে, করোনাকালে একাধিক পার্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তদন্তের পর বরিস দোষী সাব্যস্ত
হন। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে। তাঁদের সবাইকে জরিমানা করা
হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই ‘শাস্তি’তে সন্তুষ্ট
হননি বিরোধীরা। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করেন। একই সঙ্গে
‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে
পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলে বিরোধী দল। শেষমেশ চাপের মুখে
পড়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন বরিস।
উল্লেখ্য, করোনা
রুখতে দীর্ঘ দু’বছর লকডাউন বিধি জারি ছিল গোটা ব্রিটেনে। কিন্তু সেই লকডাউন চলাকালীনই
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে অজস্র পার্টির আয়োজন করা
হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নামে পুলিশ। বলে রাখা ভালো, ‘পার্টিগেট’ কেলেঙ্কারিতে গত ফেব্রুয়ারি
মাসে ডাউনিং স্ট্রিটে রিপোর্ট জমা দেন বর্ষীয়ান ব্রিটিশ আমলা স্যু গ্রে। রিপোর্টে বরিস
জনসন সরকারের ‘নেতৃত্বের ব্যর্থতা’র
কড়া সমালোচনা করেছেন আমলা স্যু গ্রে।
নিজের রিপোর্টে তিনি স্পষ্ট জানান, এই পার্টিগুলোর
ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের শীর্ষ স্তরে কর্মরত ব্যক্তিদের যে শৃঙ্খলা মেনে চলা উচিত
তা মানা হয়নি। এমনকি সাধারণ ব্রিটিশ নাগরিকদের সেই সময়ে যে শৃঙ্খলা মেনে চলার কথা তা-ও
না। নেতৃত্বের উচিত ছিল কিছু কিছু ক্ষেত্রে পার্টির অনুমতিই না দেওয়া।