আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

অবশেষে শান্তি চুক্তি, ইথিওপিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসান

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইথিওপিয়ার সরকার ও তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) নেতারা অবশেষে সমঝোতায় পৌঁছালো। প্রায় দুই বছর ধরে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছিল। সেই ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় গত ২ নভেম্বর। বোমা, বুলেটের আঘাতে বহু মানুষের প্রাণ গেছে এই গৃহযুদ্ধে। তাছাড়া যুদ্ধজনিত কারণে ক্ষুধা ও রোগের কারণে আরও বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। উদ্বাস্তু হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। ইথিওপিয়ার সরকার ও উত্তরের একটি অঞ্চল তাইগ্রের নেতারা এই যুদ্ধে তেমন কিছুই অর্জন করেনি। এরইমধ্যে তাইগ্রে, আফার এবং আমহারার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং বহু ফসল পুড়ে যেতে দেখেছে। বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলে জাতিগত নিধন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অসংখ্য নারী।

আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকায় আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা শুরুর এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় পর সমঝোতার ঘোষণা এলো। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সংঘাতে লিপ্ত পক্ষগুলো অবশেষে শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এর আগে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবে আহমেদের অনুগত সেনাবাহিনী এবং তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টকে (টিপিএলএফ) সমর্থনকারী বাহিনীর মধ্যে লড়াই অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানায় আফ্রিকান ইউনিয়ন। উভয়ই নিরীহ মানুষদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। এই সমঝোতার ফলে তাইগ্রেতে বেসামরিক নাগরিকদের ত্রাণ দেবে টিপিএলএফ যাদের বেশিরভাগই যুদ্ধের জন্য সরকারি বাহিনীর দ্বারা অবরুদ্ধ ছিল। আগস্টে আবারও যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে কোনো ত্রাণ প্রবেশ করেনি। ফলে অনাহারে থাকা লাখ লাখ তাইগ্রিয়ান চরম দুর্ভোগে পড়ে।

দেশটির সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যাংকিং সুবিধা আবারও চালু করা হবে ওই অঞ্চলে। ২০২১ সালের জুন মাস থেকে এসব সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে সময় ইথিওপিয়ান সেনাবাহিনী ও প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার মিত্রদের কাছ থেকে বেশিরভাগ অঞ্চল দখলে নিয়েছিল টিপিএলএফ। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এই শান্তি চুক্তিকে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই চুক্তি ইথিওপিয়ার লাখ লাখ বেসামরিক লোককে কিছুটা স্বস্তি দেবে।

সমঝোতা অনেক ভালো উপায়। এটি তাইগ্রে ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে ভবিষ্যত সম্পর্কের জন্য একটি নীলনকশা তৈরি করলো। ফলে এই অঞ্চলের ওপর সাংবিধানিক কর্তৃত্ব দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে। ফেডারেল সরকারের সেনাদের এই অঞ্চলের রাজধানী মেকেলে প্রবেশ করতে হবে এবং বিমানবন্দর, হাইওয়েসহ অন্যান্য ফেডারেল সার্ভিসগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন অঞ্চলটি পরিচালনা করবে। বাস্তবে এর অর্থ হবে টিপিএলএফ-এর নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সরকারের বিলুপ্তি। যা ফেডারেল সরকারের আদেশ অমান্য করে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে নির্বাচিত হয়েছিল। এই নির্বাচনই তিন মাস পরে দেশটিকে গৃহযুদ্ধের পথে নিয়ে যায়। যখন আবে, ফেডারেল কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে তাইগ্রের ব্যাপারে ক্ষিপ্ত হয়ে এই অঞ্চলের সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করেন। ফলে টিপিএলএফ কেন্দ্রীয় সরকারের বাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে।

অনেক তাইগ্রিয়ান মনে করেন চুক্তিটি আত্মসমর্পণের সমান। তাইগ্রের বাইরের লোকদের মধ্যে, যারা শেষ বার ফেডারেল সৈন্যরা দখল করার সময় তাদের মাতৃভূমিতে কয়েক মাস ধরে হত্যা, ধর্ষণ ও অনাহার প্রত্যক্ষ করেছিল তারা এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না। টিপিএলএফের কাছে চুক্তিটি প্রকাশ্যে ব্যাখ্যা করার জন্য দাবিও রয়েছে। দলটির নেতারা কঠোরভাবে দাবি করছেন যে তারা ইথিওপিয়ার সাংবিধানিক আদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সফলভাবে লড়াই করেছেন। কয়েক মাস ধরে টিপিএলএফ-এর শীর্ষস্থানীয় নেতারা জোর দিয়েছিল যে তাদের বাহিনী লড়াইয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে তারা পতনের দ্বারপ্রান্তে। টিপিএলএফ নেতারা যারা দাবি না মানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার মধ্যে তাইগ্রে থেকে ইরিত্রিয়ান সৈন্যদের প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের শুরুতে প্রতিবেশী আমহারা অঞ্চল দ্বারা সংযুক্ত অঞ্চলগুলোর প্রত্যাবর্তন। শেষ পর্যন্ত ইরিত্রিয়া স্বাক্ষরিত চুক্তিতে একটিও উল্লেখ করার অনুমতি দেয়নি।

এদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এলাকা নিয়ে সমাধান কি? কেউ কেউ মনে করেন যে সংবিধান অনুযায়ী, এটিতে গণভোট হতে পারে। এটি যে এতো ছাড় দিয়েছে তা সম্ভবত যুদ্ধক্ষেত্রে টিপিএলএফের দুর্বলতা ও অবরোধের অধীনে বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগের কারণে। কিন্তু কেউ কেউ এখনও মনে করেন যে এটি খুব শিগগির বন্ধ হয়ে যাবে। একজন সাবেক ইথিওপিয়ান কূটনীতিক মনে করেন যে এটি অনেক ছাড় দিয়েছে, সম্ভবত আমেরিকার চাপের মধ্যে ছিল। ৩ নভেম্বর দক্ষিণ ইথিওপিয়াতে এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, আবে জয় ঘোষণা করেন এবং বলেন তার পক্ষের প্রস্তাবগুলোর শতভাগ চূড়ান্ত চুক্তিতে পরিণত হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আশা করছেন যে এই চুক্তি ইথিওপিয়ার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে বাঁচাতে এবং পুনর্গঠনের জন্য আরও দাতা গোষ্ঠী যেমন আইএমএফের প্রোগ্রাম দ্রুত পুনঃপ্রবর্তনের দিকে পরিচালিত করবে। তবুও এটি চুক্তির সাফল্যের ওপর নির্ভর করবে যা এরইমধ্যে ভঙ্গুর বলে মনে হয়। যদিও এর মধ্যে কয়েকটি যুদ্ধবিরতি আগেও হয়েছে। বাস্তবে আফ্রিকান ইউনিয়ন, যারা আলোচনার আয়োজন করেছিল, তাকে গ্যারান্টর হিসাবে কাজ করতে হবে। কিন্তু এর চেয়ারপারসন মুসা ফাকিরের আবের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।

মিকিয়েলে তেকুল, একজন তাইগ্রিয়ান যিনি দেশের বাইরে রয়েছেন, বলেন আমাদের দেখতে হবে কি ঘটে। কিন্তু আমি আবে আহমেদকে বিশ্বাস করি না। যদি এই চুক্তিটি তাইগ্রের সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তিকে চিহ্নিত করে, তবুও ইথিওপিয়ায় অন্যান্য দ্বন্দ্ব-সংঘাত এখনও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আবে আমহারার অনেকের বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, যারা বলে যে তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিনিধিত্ব করেনি এবং উদ্বিগ্ন যে সরকার অবশেষে তাদের দখলকৃত বিতর্কিত অঞ্চলগুলো তাইগ্রেকে ফিরিয়ে দেবে। আমহারার সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোও আবের নিজ অঞ্চল ওরোমিয়ার কিছু অংশের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। আবের সরকার সেখানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে বলে মনে করার কম কারণ নেই।

ইথিওপিয়ার ইতিহাস সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার আরেকটি কারণ আছে। ইরিত্রিয়ার বিরুদ্ধে এটি যে যুদ্ধ করেছিল, যা ১৯৯৮ সালে শুরু হয় এবং দুই বছরের মধ্যে অন্তত ১ লাখ মানুষের প্রাণ যায়। ২০০০ সালে আবার সমঝোতা হয়। ছয় মাস পর একটি পূর্ণ শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল দেশ দুটির মধ্যে। দুই দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তা সঠিকভাবে এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: ইথিওপিয়া

আরও খবর



হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোল্লা নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় তিনি ছাড়াও নিহত হয়েছেন আরো ৯ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিট নাগাদ এলজিও মারাকওয়েট কাউন্টিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি রাজধানী নাইরোবির উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ওই হেলিকপ্টারে সেনাপ্রধান ফ্রান্সিসের সঙ্গে ১১ জন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত অন্য নয়জন হলেন- ব্রিগেডিয়ার সোয়াল সাইদি, কর্নেল ডানকান কিটানি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডেভিড সাওয়ে, মেজর জর্জ বেনসন মাগোন্ডু, ক্যাপ্টেন সোরা মোহাম্মদ, ক্যাপ্টেন হিলারি লিটালি, এসএনআর সার্জেন্ট জন কিনুয়া মুরেথি, সার্জেন্ট ক্লিফন্স ওমন্ডি এবং সার্জেন্ট রোজ ন্যাভিরা।

তবে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

দেশের জন্য এমন ঘটনা খুবই দুঃখের এমনটা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, দুর্ভাগ্যবশত হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। এ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কেনিয়ার বিমান বাহিনী থেকে একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে আজ শুক্রবার থেকে তিন দিনের শোক পালন করবে কেনিয়া। এ সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখবে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটি।


আরও খবর



মার্কিন সিনেটে ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা বিল পাস

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন সিনেটে পাস হল ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে বৈদেশিক সহায়তা বিল। কয়েক মাস বিলম্বের পর মঙ্গলবার সহজেই বিলটি পাস হল। এর ফলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনকে নতুন করে তহবিল জোগান দেওয়ার পথ সুগম হল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান ও ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন অংশীদারদের ৯৫ বিলিয়ন (৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের প্রধানত সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে চারটি বিল পাস হয়। বিলগুলো ৭৯-১৮ ভোটে অনুমোদিত হয়।

এর আগে গত শনিবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতারা এসব বিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান আকস্মিকভাবে বদলে ফেলেন ও ভোটাভুটিতে সেগুলো পাস করেন।

সিনেটে বিল চারটি একটি প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করে উপস্থাপন করা হয়। প্রথম বিলে ইউক্রেনে জরুরিভিত্তিতে তহবিল জোগানের লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের ৬১ বিলিয়ন (৬ হাজার ১০০ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় বিলে ইসরায়েলকে ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতকবলিত অঞ্চলের বেসামরিক লোকজনকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬০০ কোটি) ডলার এবং তৃতীয় বিলে ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায়’ ৮ দশমিক ১২ বিলিয়ন (৮১২ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চতুর্থ বিলটি গত সপ্তাহে ওই প্যাকেজে যুক্ত করে প্রতিনিধি পরিষদ। এ বিলে চীনা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনে জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ স্থানান্তরে পদক্ষেপ নেওয়া ও ইরানে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের জন্য বিলগুলো তার কাছে পাঠানো হবে। তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো মূলত আইনে পরিণত হবে।

দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, বিলগুলো টেবিলে পৌঁছানোর পর দ্রুত সেগুলো সই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।


আরও খবর



১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। তার বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিংরুম থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকসহ ফুটবলারদের চোখে লেজার লাইট মারার অভিযোগ রয়েছে।

মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল ক্লাবের হয়ে খেলেন গুসমান। চোটের জন্য গত রোববার মনটেরির বিপক্ষে ছিলেন না তিনি। স্ট্যান্ড থেকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদাসহ অন্যান্য খেলোয়াড়দের দিকে লেজার মারতে দেখা যায় তাকে। তার এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। পরে অবশ্য ক্ষমাও চান ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।

এক বিবৃতিতে গুসমানের ক্লাব টাইগ্রেস শাস্তি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে এই ফুটবলারকে আরও সুশৃঙ্খল করার কথাও বলেছে তারা।


আরও খবর



উদ্ধার হওয়া স্যাটেলাইট লাগানো কুমির সুন্দরবনে অবমুক্ত হবে

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের চিতলমারীর একটি মৎস্য ঘের থেকে  স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে চিতলমারী উপজেলার দক্ষিণ শৈলদাহ গ্রামের মোঃ হাসান শেখের মৎস্য ঘের থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।

ট্রাকে করে কুমির খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার (ডিএফও)র কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কুমিরটিকে সুন্দরবনের গভীরে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়ছেন ডিএফও নির্মল কুমার পাল।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে মৎস্য ঘেরে কুমিরটি দেখতে পায়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা কুমির দেখতে ভীড় জমায়। এক পর্যায়ে সবাই মিলে কুমিরটিকে উদ্ধার করে। কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার রয়েছে।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, কেউ যাতে কুমিরটির ক্ষতি না করে সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। খবর শোনার পর থেকে আমরা বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছি। খুলনা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য্যর নেতৃত্বে একটি দল ট্রাকে করে কুমিরটিকে খুলনায় নিয়ে গেছে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার (ডিএফও) নির্মল কুমার পাল বলেন, আমরা কুমিরটিকে উদ্ধার করেছি। কুমিরটি সুস্থ্য রয়েছে।পরবর্তীতে কুমিরটিকে সুন্দরবনের গভীরে অবমুক্ত করা হবে।

গবেষণার মাধ্যমে সুন্দরবনের কুমিরের চলাচল ও গতিপথ জানার জন্য গত ১৩ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে চারটি কুমির সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে অবমুক্ত করা হয়। ৪টি কুমিরের ৩টি কুমিরের অবস্থান সুন্দরবনে পাওয়া গেলেও, অন্য একটি কুমিরের অবস্থান মোংলা, বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ, পিরোজপুর এলাকায় পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময়।


আরও খবর



তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখতে পারেন যেসব উপায়ে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। হিট অ্যালার্ট জারি হচ্ছে। এ অবস্থায় ঘরে ফিরেও স্বস্তি মিলছে না। একটু শীতলতার খোঁজে মানুষ। যাদের ঘরে এসি আছে, তারা না হয় কিছুটা আরাম পাচ্ছেন। কিন্তু যাদের ঘরে এসি নেই তারা কী করবেন? উপায় আছে। এসি ছাড়াও ঠান্ডা করা যায় ঘর।

১. খোলা জানালার সামনে ভেজা চাদর মেলে রাখতে পারেন। ঘরের ভেতর একটি ভেজা কাঁথা মেলে রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন।

২. রাতে টিউবলাইটের পরিবর্তে ভালো মানের এলইডি লাইট ব্যবহার করুন। ঘরের আলো যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখুন। ঘুমানোর আগে সম্ভব হলে সব আলো নিভিয়ে দিন। ঘরে আলোর পরিমাণ যত কম থাকবে, ঘর তত বেশি ঠান্ডা থাকবে।

৩. ঘরের পরিবেশ শীতল করার জন্য টেবিল ফ্যানের সামনে বাটি ভর্তি বরফ রাখুন। এছাড়া সিলিং ফ্যানের নিচে বালতি ভর্তি পানি রেখে দিতে পারেন।

৪. রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের মেঝে ভেজা-ভেজা করে মুছে নিন। তবে ঘরের মেঝেতে গদি ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিছানায় হালকা রঙের সুতির চাদর ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে শীতলপাটিও ব্যবহার করতে পারেন।

৫. ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। ভেন্টিলেটর নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

৬. ঘরের ভেতর ইনডোর প্লান্ট রাখুন। গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। এতে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কমে। ঘরে মানি প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ রাখতে পারেন। এগুলো একদিকে ঘরের শোভা যেমন বাড়ায়, অন্যদিকে তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

৭. এসময় তাপ উৎপাদনকারী যন্ত্রের ব্যবহার কমিয়ে আনুন। যেসব যন্ত্র এরকম তাপ উৎপন্ন করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে হেয়ার ড্রায়ার, ওয়াটার হিটার, ডিশ ওয়াশার এবং আয়রন।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪