আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

অবসরে যাচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর ২০22 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অবসরে যাচ্ছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার (অতিরিক্ত আইজিপি, গ্রেড-১) মোহা. শফিকুল ইসলাম। বুধবার (১৯ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখের প্রজ্ঞাপনমূলে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত আইজিপি, গ্রেড-১) মোহা. শফিকুল ইসলামের অনুকূলে স্থগিতকৃত অবসরোত্তর ছুটি ৩০ অক্টোবর ২০২২ থেকে ২৯ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত মঞ্জুর করা হলো।

তিনি বিধি অনুযায়ী অবসর ও অবসরোত্তর ছুটিকালীন সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। মোহা. শফিকুল ইসলাম ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

অষ্টম ব্যাচের এই কর্মকর্তা ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর এএসপি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে তিনি নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী, সুনামগঞ্জ ও কুমিল্লায় পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রামের রেঞ্জ ডিআইজি ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এইচআরএম শাখার প্রধান ও সিআইডি প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

শফিকুল ইসলামের চাকরির বয়স শেষে গত বছরের ৩০ অক্টোবর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ডিএমপি কমিশনার হিসেবে তাকে আরও একবছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছিল সরকার।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে এমপিরা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফ্রি স্টাইলে দল চলতে পারে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে এমপিরা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। সংসদ সদস্যরা নির্বাচনে নিজের লোক জেতাতে প্রভাব বিস্তার করলে দল কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন আপনাদের অনুরোধে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এর আগে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে নৌকা দিয়েছি। এবার উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কতটা প্রতিযোগিতামূলক, কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে দেখা হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যে উদ্দেশ্যে এই ইলেকশন উন্মুক্ত করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য ব্যাহত করা যাবে না। প্রতিযোগিতা যারা করতে চায় করুক। ইলেকশন সম্পূর্ণভাবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতে চাই। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলে। নির্বাচন আগের আশঙ্কা, আতঙ্ক ছিল, তা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কেটে গেছে। সারা বিশ্ব নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছে। ৮০টি দেশ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তার সাথে ৩২টি সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

সংগঠন যখন আছে সমস্যাও থাকবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ বড় দল। বড় দলে কখনো কখনো কিছু সমস্যা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বাধাগ্রস্ত করে। আমরা এবার প্রথম থেকেই আটঘাট বেঁধে নামতে চাই। নির্বাচনের পর থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রমে আমরা নজর দিয়েছি। কিছু কিছু জেলায় সমস্যার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। যার যেমন খুশি যখন তখন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখবেন সেটার দায়িত্ব দল গ্রহণ করবে না। একটা দুইটা বক্তব্য পুরো দলের শৃঙ্খলার উপর আঘাত হানে। তাতে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। জেলার সঙ্গে উপজেলা, উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়নের সাংগঠনিক সেতু তৈরি করতে হবে। আমাদের যেখানে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় ওয়াল আছে তা ভেঙে দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আসাদুজ্জামান নূর এমপি।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুজিত রায় নন্দী সভার সঞ্চালনা করেন।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




ঈদের আনন্দ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপ্রধান বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেশবাসীকে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ মিলেমিশে উপভোগের অনুরোধ জানান।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিনি দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। এই ঈদের মধ্যেও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি ফিলিস্তিনের নির্মমতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করা।

মনে রাখতে হবে দুঃখ একলা ভোগ করা যায়, কিন্তু আনন্দ একলা ভোগ করা যায় না-সকলকে নিয়ে আনন্দ করতে হয়, বলেন রাষ্ট্রপতি।

মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলুক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম উল্লেখ করে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সহযোগিতা- ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদের আনন্দ থেকে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার ও তাগিদ দেন।

তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্মাট বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এর আগে রাষ্ট্রপতি এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাষ্ট্রপতি রাজনীতিবিদ, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা কেউ এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন- আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

এর আগে সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

১৮ ও ১৯ এপ্রিল ঢাকার আগারগাঁও এর পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে মোট ৬ টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারের মূল বিষয় থাকবে- প্রাণিসম্পদের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ ভাবনা এবং করণীয়, ক্লাইমেট স্মার্ট ডেইরি সেক্টর, এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ও খাদ্য নিরাপত্তা, পশুপাখির রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয়।

প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ১৯ এপ্রিল। আর প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ২২ এপ্রিল রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৭ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সাত অঞ্চরের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, মাদারীপুর, ফরিদপুর ও ঢাকা অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। ফলে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এতে করে এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট, ম্যানেজার অপহরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি দল সোনালী ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে দেড় থেকে ২ কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃংখলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র লুট এবং ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে মসজিদ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক পিএলসির শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাতিমাথা পাড়া এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্টের (কেএনএফ) একটি দল ব্যাংকে এবং অপর একটি দল বিচ্ছিন্নভাবে মসজিদ ও উপজেলা অফিসার কোয়ার্টারে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে নগদ টাকা লুট করেন। দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লুট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এরপর সশস্ত্র  সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ১০টির মতো অস্ত্র লুট করে এবং তারাবির নামাজ চলাকালে মসজিদ থেকে রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের সামনে অফিসার্স কোয়ার্টারে প্রবেশ করে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুল ইসলামকে জিম্মি করে বিভিন্ন কাজের রক্ষিত টাকাও নিয়ে যায়।

রুমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের টাকা ও নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করেছে।

এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) মো. দিদারুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাব।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনালী ব্যাংক বান্দরবান জেলা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রাজন কান্তি দাশ বলেন, ঘটনা জানতে পেরেছি। ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করতে পারিনি। এখন বিস্তারিত কিছুই বলতে পারছি না।

বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, ব্যাংকের টাকা লুট, অস্ত্র ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাব।


আরও খবর