আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

‘অদ্ভুত’ আকৃতির শিশুর জন্ম নিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৮ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছেলেদের পুরুষাঙ্গ ও মেয়েদের যৌনাঙ্গসহ অর্ধেক মাথা নিয়ে জন্ম নিয়েছে এক বিরল শিশু। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মহানন্দা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অদ্ভুত এ শিশুটির জন্ম হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বালুগ্রাম দক্ষিণটোলা গ্রামের ভ্যানচালক নাসির হোসেনের স্ত্রী জিন্নাতুন খাতুন (২৪) শিশুটির জন্ম দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রসব ব্যথা উঠলে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ওই প্রসূতিকে ক্লিনিকে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। বাচ্চা প্রসবের নির্ধারিত সয়মের বেশি ২ দিন পার হওয়ায়, সিজার করার সিদ্ধান্ত নেয় চিকিৎসক ডা. হাসেম আলী।

সিজারে অংশ নেয়া নার্স (সেবিকা) ফাতেমা খাতুন জানান, অপারেশন থিয়েটারে সিজার করার সময়ই দেখতে পাই শিশুটির পুরুষাঙ্গ ও যৌনাঙ্গ দুটিই আছে। অপরদিকে বাচ্চাটির সম্পূর্ণ মাথা নেই। অসম্পূর্ণ মাথা নিয়েই জন্ম হয়, যা রয়েছে সম্পূর্ণ মাথার অন্তত এক-তৃতীয়াংশ। মাথার ভেতরে থাকার কথা থাকলেও, তা আছে বাইরে আরেকটি থলেতে।

ফাতেমা আরও জানান, আমার জীবনের প্রথম এমনটা দেখলাম। আমি সত্যিই অবাক হয়ে গেছি। এ খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে গেলে হুলস্থুল কাণ্ড দেখা দেয়। মেডিকেলের সামনে উৎসুক জনতার ভীড় জমে যায়।

ওই প্রসূতির দুলাভাই আলামিন জানান, তাদের এটি দ্বিতীয় সন্তান। এর আগে একটি ছেলে সন্তান আছে। গর্ভধারণের ১৫ সপ্তাহ পরে আলট্রাসোনোগ্রামের মাধ্যমে জানতে পারি ভ্রুণটি অদ্ভুত আকৃতির। সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটির মাথা নেই বললেই চলে, কপাল থেকেই শেষ হয়েছে। মগজ আলাদাভাবে একটি থলেতে আছে।

মহানন্দা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রী নন্দন কুমার কর্মকার জানান, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আমাদের ক্লিনিকে বহু সিজার হয়েছে। কিন্তু নাসির হোসেনের ও জিন্নাতুন খাতুন দম্পতির শিশুটি অদ্ভুত আকৃতি ও অঙ্গ নিয়ে জন্ম নিয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু দুইজনেই সুস্থ রয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, এমন ঘটনা খুবই বিরল। উভয় লিঙ্গ নিয়ে জন্ম নেয়ার ঘটনা চিকিৎসা বিজ্ঞানে একেবারেই অদ্ভুত। মাথার খুলির পরিপক্বতা না পেলে মগজ আলাদা হয়ে থাকতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ

আরও খবর



রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ইতিকাফের শাব্দিক অর্থ হলো অবস্থান করা, কোনো বস্তুর ওপর স্থায়ীভাবে থাকা। ইতিকাফের মধ্যে নিজের সত্তাকে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মধ্যে আটকিয়ে রাখা হয় এবং নিজেকে মসজিদ থেকে বের হওয়া ও পাপাচারে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফের নিয়তে কোনো পুরুষ লোক এমন কোনো মসজিদে অবস্থান করবে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয় এবং মহিলারা নিজ ঘরে সালাতের স্থানে কোনো নির্জন কামরায় অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলা হয়।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- দুনিয়ার সবরকম ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত করে মহান আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভের নিমিত্তে একমাত্র তারই ইবাদতে মশগুল থাকা। যে মসজিদে নিয়মিতভাবে আজান, ইকামতসহকারে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে সালাত আদায় করা হয় সেই মসজিদেই ইতিকাফ করা অধিকতর সহিহ হবে। ইতিকাফের সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম, অতঃপর ওই সব জুমার মসজিদ যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। এরপর সেই মসজিদ যেখানে মুসল্লির সংখ্যা অধিক হয়ে থাকে। (শামি, দ্বিতীয় খণ্ড ও আলমগিরি, প্রথম খণ্ড)

ইমাম আবু হানিফা রহ: বলেন, ইতিকাফ সহিহ হবে এমন মসজিদে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। (হিদায়া, প্রথম খণ্ড)

মহিলারা ঘরে সালাতের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবেন। নামাজের স্থান নির্ধারিত না থাকলেও ইতিকাফে বসার সময় তা নির্ধারণ করে নিলেও সহিহ হবে। মহিলাদের জন্য মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহ। (ফাতয়ায়ে শামি, দ্বিতীয় খণ্ড)

মানতের ইতিকাফ করার জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। সুতরাং মানতের ইতিকাফ কমপক্ষে এক দিন হতে হবে। কেননা, এক দিনের কম সময়ে রোজা শুদ্ধ হয় না। এ ছাড়া রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। নফল ইতিকাফের জন্য নির্ধারিত কোনো সময় নেই এবং তা পালনের জন্য রোজা রাখাও শর্ত নয়। এ ইতিকাফ অল্প কিছুক্ষণের জন্যও হতে পারে এমনকি মসজিদে না বসেও আদায় করা সহিহ হবে। (তাহতাবি)

ইতিকাফের উপকারিতা : ইতিকাফের ফজিলত ও উপকারিতা অপরিসীম। দুনিয়ার সব রকম ঝামেলা থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে মুক্ত করে একান্ত নিরিবিলি নিভৃতে মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্যই ইতিকাফ করা হয়। ইতিকাফকারী পুরুষ হোক বা মহিলা তারা বহু ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারেন। ইতিকাফকারী ব্যক্তির পুরো সময়টাই ইবাদতের মধ্যে গণ্য হয়ে থাকে। আতা আল খুরাসানি রহ: বলেছেন যে, ইতিকাফকারী সেই ব্যক্তির মতো, যে নিজেকে মহান আল্লাহ তায়ালার সামনে সোপর্দ করে দিয়েছে এবং বলেছে যে, আমি এ স্থান ত্যাগ করব না, যতক্ষণ না আমাকে ক্ষমা করা হয়। এ জন্যই ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম যে, ইতিকাফের মাধ্যমে বান্দা তার নিজেকে মহান মনিবের ঘরে ইবাদতে মশগুল থেকে তার অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকে। (বাদউস সনায়ি, দ্বিতীয় খণ্ড)

হজরত সাঈদ ইবনে জুবাইর হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ সা: ইতিকাফকারী ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন, সে ইতিকাফ এবং মসজিদে বদ্ধ থাকার করণে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং তার নেকির হিসাব সবধরনের নেককাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তির মতো জারি থাকে। (ইবনে মাজাহ)

রমজানে ইতিকাফের গুরুত্ব : আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের শেষ দশকে সারা রাত জেগে থাকতেন, নিজের পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে রাখতেন, ইবাদতে কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং উম্মুল মুমিনিনদের থেকে দূরে থাকতেন। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের তৃতীয় দশকে অধিক পরিশ্রম করতেন, যে রকম কঠোর পরিশ্রম অন্য কোনো মাসে করতেন না। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: প্রত্যেক রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু যে বছর তিনি ইন্তেকাল করলেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সহিহ বুখারি)

আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: সর্বদা রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু এক বছর তিনি সফর করার কারণে পরের বছর ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত ইবনে উমর রা: রাসূলুল্লাহ সা: থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা: যখন ইতিকাফ করতেন তখন তাঁর জন্য বিছানা বিছানো হতো (আবু লুবাবা ইবনে মুনজির) রা:-এর তাঁবুর খুঁটির পাশে। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: তুর্কি তাঁবুতে রমজানুল মুবারকের প্রথম ১০ দিন ইতকাফ করলেন। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও এরপর তাঁবু থেকে মাথা বের করে বললেন, আমি এই (কদরের) রাতে অনুসন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করেছি। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও। তারপর স্বপ্নে একজন ফেরেশতা এসে আমাকে বললেন, এ রাতটি রমজানের শেষ দশকে। কাজেই যে ব্যক্তি আমার সাথে ইতিকাফ করেছে সে যেন শেষ ১০ দিনও ইতিকাফ করে। আমাকে এ রাতটি দেখানো হয়েছিল এবং তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। (আমি স্বপ্নে) দেখেছি, এ রাতের সকালে ফজরের সালাতে আমি পানি ও কাদামাটিতে সিজদা করেছি। তোমরা এ রাতের অনুসন্ধান করবে শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে। বর্ণনাকারী বলেন, ছাদ থেকে ওই বৃষ্টি হয়েছিল, তখন মসজিদের ছাদ খেজুরগাছের ডালা দিয়ে নির্মিত ছাপড়ার মতো ছিল। এতে মসজিদের ছাদ থেকে পানি টপকিয়ে পড়েছিল। বর্ণনাকারী সাহাবি বলেন, রমজানুল মুবারকের ২১ তারিখ সকালে রাসূলুল্লাহ সা:-এর কপাল মুবারকে আমি নিজ চোখে কাদামাটির চিহ্ন দেখেছি। (মিশকাত )

নিউজ ট্যাগ: ইতিকাফ

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




ফের উত্তপ্ত টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত আবারও তীব্র হয়েছে। সেখান থেকে একের পর এক মর্টার শেল ও ভারী গোলা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে।

কয়েকদিন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) ভোর থেকে টেকনাফ পৌরসভা, সেন্টমার্টিন, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্তজুড়ে থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ।

হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা রশিদ আহমেদ বলেন, সেহেরির পর থেকে বাড়িতে আর ঘুমাতে পারিনি। মিয়ানমারের ভেতর থেকে একের পর এক যেভাবে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে, মনে হচ্ছে আমার বাড়িতে মর্টারশেল পড়ছে। ভোর থেকে এখনো পর্যন্ত থেমে থেমে বিকট শব্দে কাঁপছে এপারে বাড়ি-ঘর।

হ্নীলার বাসিন্দা জেলে সৈয়দ হোসাইন বলেন, সকালে চিংড়ি ঘেরে মাছ ধরতে গিয়েও ফিরে আসলাম। মিয়ানমারের রাখাইন থেকে যে হারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে, আতঙ্কে চলে এসেছি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, রাখাইনের মংডু ও বলি বাজার শহরের কাছাকাছি আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। এ কারণে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ সীমান্তের এপারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে।

জানা গেছে, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্য দখল করতে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে গত আড়াই মাস ধরে সীমান্তের এপারে একের পর এক বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। এর আগে আরাকান আর্মিসহ আরও কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজিপির ক্যাম্প ও সীমান্ত চৌকিসহ অধিকাংশ অঞ্চল দখল করেছিল। সম্প্রতি নতুন করে আবারও রাখাইনের আকিয়াব জেলার মংডু ও বলি বাজার শহরসহ সেনা ক্যাম্প দখল করতে হামলা অব্যাহত রেখেছেন বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী।

টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সব সময় সর্তক রয়েছে।


আরও খবর



পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ফিরে পাচ্ছেন বাবর!

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারতে অনুষ্ঠিত সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর রদবদল শুরু পাকিস্তান ক্রিকেটে। যার দরুণ দলের নিয়মিত অধিনায়ক বাবর আজমকে সরিয়ে দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাতে অবশ্য সাফল্যের দেখা মেলেনি। ফলে আবারও বাবরের দ্বারস্ত হচ্ছে পিসিবি। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান।

পিসিবির একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, শাহীন আফ্রিদিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পণা করছে পিসিবি। বোর্ড ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাবর আজমকে অধিনায়ক হিসেবে পুনর্বহাল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জানা গেছে, প্রথমে শাহীনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য মোহাম্মদ রিজওয়ান বেশ এগিয়ে ছিলেন। বাবর আজমও ছিলেন। তবে পিসিবির সিকিভাগ কর্মকর্তা বাবরকে দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে। তাতে বাবর অধিনায়ক হচ্ছেন, এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

তবে বাবর এ মেয়াদে অধিনায়ক হওয়া নিয়ে দ্বিধায় ভুগছনে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। জানা গেছে, আগেরবার অধিনায়কত্ব থেকে অপসারণ করায় অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবর। এর ফলেই আবার দায়িত্ব গ্রহণ করতে দ্বিধা বোধ করছেন তিনি। তবে তিনি বোর্ডকে কিছু শর্ত দিয়েছেন। সেগুলোর নিশ্চয়তা পেলেই কেবল আবার অধিনায়কত্ব করতে রাজি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ বিশ্বকাপের পর বাবর আজমকে সীমিত ফরম্যাট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শাহীন আফ্রিদি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেতৃত্ব পান। পরবর্তীতে টেস্টের নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান বাবর। তার জায়গায় দলের নেতৃত্বভার পান শান মাসুদ।

তবে নতুন অধিনায়কদের অধীনে কোনো ফরম্যাটেই ভালো কিছু করতে পারেনি পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ায় তিনটি টেস্টই হেরেছে তারা। নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ৪-১ ব্যবধানে হেরে দেশে ফিরতে হয়েছে শাহীনের দলকে।


আরও খবর



ড্রোন উড়িয়ে কেএনএফের সন্ত্রাসীদের খুঁজছে পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের কয়েকটি ব্যাংকসহ কয়েক জায়গায় হামলার পর গহিন পাহাড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা। তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করছে পুলিশ।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তিন দিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে কেএনএফ। বৃহস্পতিবার রাতে থানচি বাজার ও থানার তিন দিক থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে তারা থানা দখলের চেষ্টা করে। এ সময় আমরা পাল্টা গুলি চালালে তারা পালিয়ে যায়। কেএনএফ সদস্যরা এখন থানার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আত্মগোপনে রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্যে নিশ্চিত হয়েছি। তারা আবারও আক্রমণ করতে পারে। সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে আমরাও প্রস্তুত রয়েছি।

গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে থানচি এলাকায়।

পাহাড়ি এক ব্যবসায়ী বলেন, কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা কী চায় আমরা বুঝতে পারছি না। জীবনে প্রথম ব্যবসা করতে গিয়ে চাঁদা দিতে হয়েছে। এভাবে চললে ব্যবসায় ধস নামবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এরপর শুক্রবার সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



ঈদের সৌন্দর্য সেবায় যত ছাড়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঈদের আগে থেকেই তোরজোর করে রূপচর্চা চলে। ফেসিয়াল, মেনিকিউর, পেডিকিউর তো আছেই, কেউ কেউ চুলে কেরাটিন, রিবন্ডিং, স্পা করে থাকেন। আর এজন্য ছোটেন পারলারে। ঈদ উপলক্ষে কিছু কিছু পারলার ও স্যালুন সৌন্দর্য সেবার ওপর ছাড়ও দেয়। ঈদের আগের দিনগুলোতে যারা পারলারে  গিয়ে সেবা নিতে চান, তারা জেনে নিন রাজধানীর বিশেষ কয়েকটি পারলারের প্যাকেজ ও ছাড় সম্পর্কে।

রেড বিউটি স্যালুন: রেড বিউটি স্যালুনের যেকোনো শাখা থেকে পছন্দের সেবা নেওয়া যাবে। রেডিয়ান্ট রিফ্লেকশন্স প্যাকেজের আওতায় আপেল ফেসিয়াল উইথ প্যাক, হট অয়েল ম্যাসাজ, কোল্ড থেরাপি উইথ ব্লো ড্রাই, ম্যানিকিওর ও পেডিকিওরের প্যাকেজ পাবেন ২ হাজার ৫০০ টাকায়। ব্লিজফুল ব্লুম প্যাকেজের আওতায় ব্রাইটেনং ফেসিয়াল, হট অয়েল ম্যাসাজ উইথ স্পা প্যাক, কোল্ড থেরাপি উইথ ব্লো ড্রাই, ট্যান রিমুভিং ম্যানিকিওর উইথ শাইনিং বাফার ইত্যাদি পাবেন ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। এছাড়া এলিগ্যান্ট এনচানমেন্ট ও বিউটি ব্যালেন্স প্যাকেজ পাবেন যথাক্রমে ৪ হাজার ৫০০ ও ৫ হাজার ৯৯৯ টাকায়।

জারাস বিউটি লাউঞ্জ: ধানমন্ডিতে অবস্থিত এ পারলার থেকে হাইড্রা ফেসিয়াল করতে পারবেন ২ হাজার ৫০০ টাকায়। এডভান্স বায়ো হাইড্রা ফেসিয়াল ৩ হাজার ৫০০ টাকায়, বিবি গ্লো ফেসিয়াল ৩ হাজার ৮০০ টাকায়, ক্রেজি অমব্রে হেয়ার কালার ৫ হাজার ৫০০ টাকায়, পিকাবো হেয়ার কালার ৫ হাজার টাকায়, লরিয়াল প্রফেশনাল বেজ বাল্যাজো কালার ৬ হাজার ৫০০ টাকায়, হেয়ার বোটক্স ট্রিটমেন্ট ৭ হাজার ৫০০ টাকায় করা যাবে। এছাড়াও থাকছে বেশ কিছু প্যাকেজ। সুপার প্যাকেজ-১ এর আওতায় রয়েছে হাইড্রা ফেসিয়াল+ পেডিকিওর + ওয়েল মাসেজ, যার মূল্য ৬ হাজার টাকা। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে অফারে পাবেন মাত্র ৪ হাজার ৫০০ টাকায়।

সুপার প্যাকেজ-২ এর আওতায় রয়েছে ফেসিয়াল+ হেয়ার কাট+ হেয়ার ট্রিটমেন্ট, যার মূল্য ৫ হাজার টাকা। এই সেবাটি নিতে পারবেন মাত্র ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। সুপার প্যাকেজ-৩ এর আওতায় রয়েছে হেয়ার ট্রিটমেন্ট + পেডিকিওর+ মেনিকিওর + থ্রেডিং, যার সাধারণ মূল্য ৪ হাজার ১০০ টাকা। অফারে পাবেন ৩ হাজার টাকায়।

এ ছাড়াও বউসাজ, পার্টি মেকওভার, হেয়ার কালার, হেয়ার রিবন্ডিংসহ বিভিন্ন সার্ভিসে চলছে ৩০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট অফার।

রাজিয়াস মেকওভার: ধানমন্ডির রাপা প্লাজার পাশে অবস্থিত এ পারলারে সব ধরনের ফেসিয়াল, স্পা, হেয়ার ট্রিটমেন্ট করা যাবে ৫০ শতাংশ ছাড়ে। হারবাল ও অন্যান্য ফেসিয়াল ১ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে করা যাবে। ঈদের আগে চুল রিবন্ডিং করতে খরচ হবে ৮ হাজার থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত।

শোভনস মেকওভার: নিকেতনে অবস্থিত শোভনস মেকওভার থেকে বায়োহাইড্রা ফেসিয়ালে ৩০%, হেয়ার কালারে ২০%, প্রিমিয়াম ম্যানিকিওর পেডিকিউর এ ৫০% ছাড় পাওয়া যাবে।  শোভনস মেকওভারের সব সার্ভিসের  কম্বো প্যাকেজ শুরু ১ হাজার ৩৮০ টাকা থেকে। রিবন্ডিং শুরু ৩০০০ টাকা থেকে।

স্টুডিও ২০০০ এবং স্টুডিও মেনজ: উত্তরায় অবস্থিত স্টুডিও ২০০০ পারলার থেকে মিনি ফেসিয়াল, ম্যানিকিওর, পেডিকিওর, ফেস ম্যাসাজ, হট অয়েল ট্রিটমেন্ট (প্যাকসহ),হট অয়েল ট্রিটমেন্ট (প্যাকছাড়া), বডি স্ক্রাব, ফেসিয়াল স্পা, হেয়ার স্পা ইত্যাদি সেবা নেওয়া যাবে। এ ধরনের সেবা নেওয়া যাবে ২-৫ হাজার টাকার মধ্যে। স্টুডিও মেনজ থেকে পুরুষেরাও নিতে পারবেন বিভিন্ন ধরনের সেবা।

আকাঙ্ক্ষাস গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড: রামপুরায় অবস্থিত আকাঙ্ক্ষাস গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে ঈদ উপলক্ষে চলছে ছাড়। ৩ হাজার ২০০ টাকার হাইড্রাফেসিয়াল করা যাবে ২ হাজার ৬০০ টাকায়। রিবন্ডিংয়ে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। সব ধরনের ফেসিয়াল প্যাকেজে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় রয়েছে।


আরও খবর