আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঐতিহ্য ও সাফল্যের ১১৭ বছরে হামদর্দ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

১ আগস্ট, এই উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হামদর্দ এর ১১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১১৬ বছর পেরিয়ে কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসায় ধন্য প্রতিষ্ঠানটি পা রাখলো ১১৭ তে। ১৯০৬ সালে ভারতের প্রখ্যাত ইউনানী চিকিৎসাবিজ্ঞানী হাফেজ হাকীম আবদুল মজিদ দিল্লীতে হামদর্দের যাত্রা শুরু করেন। উপমহাদেশের মানুষের রোগমুক্তিতে স্বদেশীয় ভেষজ চিকিৎসাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন তিনিই। হামদর্দ পরিবার প্রতিষ্ঠার্ষিকীর এই শুভক্ষণে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে পরম শ্রদ্ধেয় হাফেজ হাকীম আবদুল মজিদ, তার সম্মানিত স্ত্রী রাবেয়া মজিদ, দুই সন্তান প্রখ্যাত ইউনানী চিকিৎসাবিজ্ঞানী হাকীম আবদুল হামিদ এবং শহীদ হাকীম মোহাম্মদ সাঈদকে। পাশাপাশি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাও করছে।

এক শুভেচ্ছা বাণীতে হামদর্দ বাংলাদেশের চিফ মোতাওয়াল্লী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর দেশ গড়ার আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা মাত্র ৫০ হাজার টাকার পুঁজি এবং প্রায় ছয় গুণ দায় দেনা নিয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হামদর্দকে গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলাম। সেই সময় হামদর্দের কাজ করার জন্য বাহন ছিল মাত্র একটি সাইকেল। এই কন্টকাকীর্ণ অভিযাত্রায় সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর আস্থা রেখে বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় সবসময় আমরা ন্যায়ের পথে, মানবতার পক্ষে প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। সময়ের পালাক্রমে হামদর্দ আজ পরিণত হয়েছে মহীরুহে। স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি হামদর্দ গড়ে তুলেছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু প্রতিষ্ঠান।

হাম অর্থ ব্যথা আর দর্দ অর্থ সাথী অর্থাৎ হামদর্দ ব্যথার সাথী হয়ে মানুষের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতেও আপনাদের ভালোবাসা, পরামর্শ এবং সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এই কামনা করছি।

৫০ বছরে হামদর্দ বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন:

১৯৭২ থেকে ১৯৮১...প্রথম দশ বছর

১৯৭১ সাল। ৭ই মার্চ মুক্তির লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, মা বোনের সম্ভ্রম আর শহীদের রক্তের বিনিময়ে আসে স্বাধীনতা ।

মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে হামদর্দ একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ও রুগ্ন প্রতিষ্ঠান হিসিবে চিহ্নিত হয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সময়কালে ৭ জন মোতাওয়াল্লী নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা হামদর্দকে যথাযথভাবে পরিচালনা করতে না পারায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় । ১৯৭৫ সালে ষড়যন্ত্র করে হামদর্দ বাংলাদেশকে লেঅফ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তাতে বাধা দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে সচল রাখেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। ১৯৭৭ সালে মোতাওয়াল্লী হিসেবে নিয়োগ পান তৎকালীন সিনিয়র কর্মকর্তা নুরুল আফসার। কিন্তু তিনি না কারণে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ভূমিকা রাখতে পারেন নি। ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া সবার মধ্যে সাহস সঞ্চার করে বলেন, আল্লাহর রহমত এবং আমাদের প্রচেষ্টায় হামদর্দ ঘুরে দাঁড়াবে ইনশাল্লাহ। এ সময় তিনি নেপথ্যে থেকে দৃঢ়ভাবে হাল ধরেন।

১৯৮২-১৯৯১ দ্বিতীয় দশ বছর...

১৯৮২ সালে হামদর্দ বাংলাদেশের পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাত্র ৫০ হাজার টাকার মূলধন এবং ছয়গুন ঋণ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠান। এত অল্প মূলধন নিয়ে হামদর্দের অগ্রযাত্রার এ তথ্যটি ওয়াক্ফ প্রশাসনে এখনো সংরক্ষিত রয়েছে।

১৯৮২ সালে বাংলাদেশ ড্রাগ পলিসিতে হার্বাল চিকিৎসাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অন্তর্ভূক্ত করতে উদ্যোগী হন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। এ স্বীকৃতির কারণে সরকারি হাসপাতালে নিয়োগ পাচ্ছে ইউনানী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে আসায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে ইউনানী আয়ুর্বেদিক ও হারবাল ওষুধ শিল্পের। এর ফলে তৈরি হয়েছে ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ফর্মুলারী।

১৯৮৩ সাল থেকে বিশ্বের মুসলমানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বিশ্ব ইজতেমায় হামদর্দ মেডিকেল ক্যাম্প করে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু করে। যা আজও অব্যাহত আছে। এর ফলে ইজতেমায় আগত বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।

১৯৮৪ সালে হামদর্দ কারখানায় হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায় মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। তিনি জীবনের বিনিময়ে হামদর্দকে এগিয়ে নেওয়ার শপথ নেন। ফলে কর্মীরা নতুন্য উদ্যমে কাজ করার সাহস ও অনুপ্রেরণা পায়।

১৯৮৬ সাল। তখন একজন মোতাওয়াল্লীই নিয়ন্ত্রণ করতেন সবকিছু। কিন্তু ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া ক্ষমতার বিভাজন করতে এবং সবার পরামর্শ নিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে হামদর্দকে পরিচালনা করতে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের সমন্বয়ে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন। সেই ধারাবাহিকতায় অব্যাহত আছে ট্রাস্টি বোর্ডের মতামত নিয়েহোমদর্দ পরিচালনার প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের রীতি।

১৯৮৮ সালে প্রলয়ংকরী বন্যায় হামদর্দ মাহামান্য রাষ্ট্রপতির তহবিলে অর্থ প্রদানসহ দুর্গত মানুষকে সহযোগিতায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। ঠিক একইভাবে ১৯৯১ সালেও ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস পরবর্তি ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে হামদর্দ। ১৯৯০ সালে উত্তরা লের প্রাণকেন্দ্র বগুড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় হামদর্দ ইউনানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।

১৯৯২-২০০১...তৃতীয় দশ বছর...

মানবকল্যাণে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করায় শিল্পাচার্য পদক ৯৫, স্বাধীনতা পদক ৯৭, জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা পদক ১০৯৭, ইরাক সরকার কর্তৃক বেস্ট হারবাল এ্যাওয়ার্ড ৯৯, রোকেয়া পদক ২০০০, সাংবাদিক সানাউল্লাহ নূরী পদক ২০০১ অর্জন করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া এবং হামদর্দ পরিবার। ১৯৯৪ সাল। ঢাকার অদূরে ছায়াসুনিবিড় সোনারগাঁওয়ে আধুনিক কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বপ্নপুরুষ মরহুম হাফেজ আবদুল মজিদের সুযোগ কনিষ্ট পুত্র শহীদ হাকীম মো. সাঈদ। এরপর বিপুল কর্মদ্যোগে ওষুধ উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে হামদর্দ। ১৯৯৭ সালে নোয়াখালীতে এইচ এ জনকল্যাণ আলিম মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ১৯৯৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফান্ডে অনুদান প্রদান করে হামদর্দ।

২০০২-২০১১...চতুর্থ দশ বছর...

২০০৪ সালে ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার একক প্রচেষ্টায় ইউনানী আয়ুর্বেদিক ও হার্বাল ওষুধ শিল্প থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করে সরকার। এই খাতের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ভ্যাট না থাকায় এই শিল্প খাত ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠে। প্রতিষ্ঠিত হয় নতুন অনেক শিল্প কারখানা। বাড়ে কর্মসংস্থান এবং ওষুধের বাজার। এখন সুপ্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোও ইউনানী আয়ুর্বেদিক হারবাল খাতে বিনিয়োগ করে সফল হচ্ছে কেবল ভ্যাট না থাকার কারণে।

হাকীম মো. সাঈদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০০৮ সালে শিক্ষা বিস্তারে অসাধারণ উদ্যোগ গ্রহণ করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের জন্য জমি ক্রয় করেন এবং মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন হাকীম মো. সাঈদের সুযোগ্য কন্যা সাদিয়া রশিদ। শহীদ হাকীম মো. সাঈদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ একই বছর নামে ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় হাকীম সাঈদ ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ।

ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া মনে করেন, সমাজকে বদলে দেওয়ার জন্য শুধু শিক্ষিত নয় পাশাপাশি সৎ মানুষও খুব জরুরি। এই অসাধারণ লক্ষ্য নিয়ে ২০১০ সালে তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় হামদর্দ পাবলিক কলেজ। যা এখন স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। প্রতিবছর সফলতার সঙ্গে শতভাগ উত্তীর্ণ হয় এই কলেজের শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে অসংখ্য শিক্ষার্থী কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে বুয়েট, মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষে কর্মজীবনে দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

২০১০ সালে ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন কর্তৃক পিএইচডি ডিগ্রী প্রাপ্ত হন আধুনিক হামদর্দ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া এবং তৎকালীন পরিচালক বিপণন মো. রফিকুল ইসলাম ।

২০১২-২০২১... পঞ্চম দশ বছর...

২০১২ সালে ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া প্রতিষ্ঠা করেন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের হাত থেকে সম্মাননা পদক গ্রহণ করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। একই সালে হামদর্দ প্রধান কার্যালয়ে উদ্বোধন করা হয় বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন। যে কর্নারে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দুর্লভ গ্রন্থের সমাহার। ২০২০ সালে কতিপয় দুর্বৃত্তের দুদকে দায়ের করা অভিযোগ থেকে খালাস পান ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া এবং দুদক তাকে ক্লিন সার্টিফিকেট প্রদান করে।

২০২১ সালে এ্যালোপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক এই তিন পদ্ধতির সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় হামদর্দ জেনারেল হাসপাতাল। হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এম.পি।

গৌরবান্বিত ২০২২

মানবকল্যাণে আরো ভূমিকা রাখতে হামদর্দের বিপণন কার্যক্রমের গতি বাড়াতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ বছর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আধুনিক কারখানায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় বড় পরিসরে আয়ুর্বেদিক ডিভিশনের আধুনিক কারখানার। সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় লক্ষ্মীপুরে রওশন জাহান ইউনানী মেডিকেল কলেজ চত্বরে সমন্বিত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাতার। ভারতের স্বাস্থ্য বিষয়ক আয়ুশ মন্ত্রণালয় হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে ইউনানী চেয়ার হিসেবে পাঠান প্রখ্যাত ইউনানী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন কাজমীকে। ক্যাম্পাসে ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উদ্যাপন করা হয় ইয়োগা ডে। এ বছরই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা পান ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া।

এভাবে বর্ণাঢ্য কর্মতৎপরতা এবং মানুষের কল্যাণে নির্ঘুম কাজ করতে বাতিঘর ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ছুটে চলছে হামদর্দ বাংলাদেশ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও মানবকল্যাণে সাধারণ মানুষের জন্য সুদিন আনতে অব্যাহতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে হামদর্দ বাংলাদেশ।


আরও খবর



মার্কিন ভেটোতে জাতিসংঘে আটকে গেল ফিলিস্তিনের সদস্যপদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাতিসংঘে রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পথ আটকে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে ভেটো দিয়েছে দেশটি।

খসড়া প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণসদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছিল। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১২টি এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড। ভেটো প্রদান করে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

ভেটো দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে চলেছে। এই ভোটটি ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রত্বের বিরোধিতাকে প্রতিফলিত করে না। আমরা চাই তারা সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসুক।’

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মার্কিন ভেটোকে অন্যায়, অনৈতিক এবং অযৌক্তিক বলে নিন্দা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মার্কিন ভেটো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।’

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ভেটো দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করে বলেছেন, লজ্জাজনক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা হবে না।’

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘ সদস্য না হলেও ২০১২ সালে তারা জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য ফিলিস্তিন বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

তবে তাদের এই আর্জি প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে এবং তারপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এর পক্ষে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে।

২০১১ সালে পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। এরপর গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যে ফিলিস্তিন এ মাসের শুরুতে আবারও সদস্যপদের জন্য আবেদন করে।


আরও খবর



কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা খোদাইবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ঈদগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিস্তারিত আসছে...


আরও খবর



ঈদের আনন্দ মাটি, আগুনে পুড়ে ছাই ৩০ দোকান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

ঈদের নামাজ চলাকালে শরীয়তপুরের একটি বাজারে আগুন লেগে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝির ঘাট বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাজারের ইউনুস খানের মুদির দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুদির দোকানটির আশেপাশে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের কয়েকটি দোকান থাকায় দ্রুত আগুন অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি আগুনে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঈদের সকালে এমন ভয়াবহ আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সালমান ফারসী বলেন, আমার দোকানে মুদি মালামাল ও ভোজ্য তেলের পাশাপাশি কাঁচা মালসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সকালে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় শুনি আমার দোকানে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই আমার সারাজীবনের পুঁজি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে আমার।

ঈদের সকালের এই আগুনে রাসেল মাতবরের ৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার চারটি দোকান ছিল, যা ভাড়া দিয়ে আমি আয় করে থাকি। ঈদের দিন এমন ক্ষতি হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি। ঈদের আনন্দ পুড়ে শেষ হয়ে গেছে আমার।

মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারটি পদ্মা নদীর কাছাকাছি এলাকায়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর শংকর বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে।


আরও খবর



উত্তপ্ত বান্দরবান: পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রাণ প্রকৃতির নিসর্গ পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংকে লুটপাটের পর বর্তমানে সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আগামীকাল শনিবার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে যাবেন তিনি। আজ শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু এ তথ্য জানান।

নতুন করে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। যাদের সন্ত্রাস আর লুটপাটের কারণে আতঙ্কে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রী বান্দরবানের রুমাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন।

এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আগামীকাল শনিবার দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি। ঢাকা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

এ দিকে, অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানায়, ব্যাংক ম্যানেজারকে নিরাপদে উদ্ধারে কোনো ঝুঁকি নেননি সদস্যরা। গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে একটি কৌশল অবলম্বন করে তাকে উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কেএনএপের সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’


আরও খবর



ঈদের রেসিপি: মজাদার দুধ সেমাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঈদের সকালে কয়েক ধরনের সেমাই থাকে টেবিলে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুধ সেমাই।

ঈদের খাদ্যতালিকায় যে রেসিপিটি না থাকলেই নয়, সেটি দুধ সেমাই। কীভাবে পারফেক্ট স্বাদের দুধ সেমাই রান্না করবেন? জেনে নিন সেটা।

উপকরণ: দুধ এক লিটার, চিনি এক কাপ, সেমাই এক কাপ, ঘি এক টেবিল চামচ, বাদামকুচি এক টেবিল চামচ, কিশমিশ এক টেবিল চামচ, এলাচ দুইটি ও দারুচিনি দুই টুকরা।

প্রণালি: একটি পাত্রে ঘি দিয়ে অল্প আঁচে সেমাই হালকা ভেজে নিন। তারপর আরেকটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। দুধে চিনি মেশান। তারপর সেমাই দিন। এবার একে একে এলাচ, দারুচিনি, বাদামকুচি ও কিশমিশ দিয়ে দিন। একটি পাত্রে ঢেলে নিন। ঠান্ডা হয়ে এলে পরিবেশন করুন।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪