চিতলমারী(বাগেরহাট)প্রতিনিধি:
সাদাসোনা খ্যাত চিংড়ি চিতলমারী তথা বাগেরহাটের মানুষের জীবিকার মূল উৎস হলেও এবছর চরম বিপর্যেয়র সম্মুখীন এই চিংড়ি খাত। চলছে শ্রাবণ মাস, ভরা বৃষ্টির মৌসুম হলেও দেখা মিলছেনা সেই কাঙ্খিত বৃষ্টির। অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে ঘেরের পানি। বাড়ছে পানির ঘনত্ব ও অম্লত্ব সেই সাথে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের সংকট। এর ফলে মারা যাচ্ছে চিংড়িসহ অন্যান্য মাছ। চরম হতাশায় ভূগছেন চিতলমারীর অধিকাংশ মাছ চাষি।
এসময় বেশ কয়েকজন চিংড়ি চাষি হতাশা ব্যাক্ত করে বলেন, দীর্ঘদিন যাদব চিংড়ি চাষ করে আসছি কিন্তু বৃষ্টির এমন আকাল কখনও দেখিনি। অন্যান্য বছরগুলোতে মাছ চাষে অনেক লাভ-লোকসানও দেখেছি। কিন্তু এবছর অনাবৃষ্টি ও তীব্র গরমে ঘেরে পর্যাপ্ত পানি নেই। এজন্য অক্সিজেন ফেল করে মরে যাচ্ছে চিংড়ি, সাদাসহ অন্যান্য মাছ। এছাড়া ভেড়ির কাছে ভেসে বেড়াচ্ছে মাছ। মাছ রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন মেডিসিন প্রয়োগ করলেও মিলছেনা কোন সুফল। এ অবস্থা চলতে থাকলে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে চিংড়ি শিল্প এমনটাই মনে করছেন এখানকার চাষিরা।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের প্রান্তিক চিংড়ি চাষি নিশিকান্ত অধিকারী, দেবাশিষ বিশ্বাস, ডুমুরিয়া গ্রামের বিপ্লব বাড়ৈ ও অনাদি মন্ডল, পারডুমুরিয়া গ্রামের শিবানী ভক্তসহ অনেকেই হতাশা ব্যাক্ত করে বলেন, এবছরের বৈরী আবহাওয়া চিংড়ি চাষের জন্য অনুপযোগী। বর্ষার ভরা মৌসুম চললেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় শুকিয়ে যাচ্ছে মৎস্য ঘেরের পানি। একদিকে তীব্র দাবদাহে গরম হচ্ছে পানি। অন্যেদিকে মাঝে মাঝে এক পশলা বৃষ্টির কারণে দেখা দিচ্ছে অক্সিজেনের চরম সংকট। এজন্য মারা যাচ্ছে মাছ। বাকি মাছগুলো বাঁচার তাগিদে ভেসে যাচ্ছে তীরের দিকে। এমন পরিস্থিতিতে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে এই অঞ্চলের চাষিরা।
এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চিংড়ি ঘেরে অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছে। এবিষয়ে সতর্ক করার জন্য কিছুদিন আগে মাইকিং করা হয়েছে। যেসব জায়গায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে সেখানে জরুরিভাবে অক্সিজেন ট্যাবলেট ও পানি সেচ দিকে হবে। এতে অনেকটা সফলতা আসবে বলে আশা করছি।