আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তি চান সাঙ্গাকারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) প্রেসিডেন্ট কুমার সাঙ্গাকারা মনে করেন, শিগগিরই অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। যা টি-টেন ক্রিকেটের মাধ্যমে সম্ভব। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তির মতে ২০২৮ সালের আগেই অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ।

আগামী ২৮ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে দুবাই টি-টেন লিগ। চলবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরে টিম আবুধাবির পরামর্শক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন সাঙ্গাকারা।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপ কালে সাঙ্গাকারা বলেছেন, অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে অনেক বড় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। অলিম্পিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হবে? নাকি টি-টেনের মতো সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটকে গ্রহণ করবে? ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে অনেক কাজ করতে হবে।

বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টে ক্রিকেটকে সম্পৃক্ত করতে হলে যা যা করতে হবে সেগুলোরও নির্দেশনা দিয়েছেন লঙ্কান তারকা।

ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর বোর্ডকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাটা পালন করতে হবে আইসিসিকে। অলিম্পিকে সময়ের হিসেব রেখে ক্রিকেটের ফরম্যাটটা নির্ধারণ করতে হবে। দর্শকদের আটকে রাখায় প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ সাধারণ নয় এরা সম্পূর্ণ নতুন দর্শকগোষ্ঠী।

নিউজ ট্যাগ: সাঙ্গাকারা

আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




পরী-বুবলীর তর্কযুদ্ধে মজা লুটছেন অপু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বৃষ্টিময় শীতল আবহাওয়ায় হঠাৎ করেই শীতল এক যুদ্ধ চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যটফরম ফেসবুকে। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দুই চলচ্চিত্র তারকার মধ্যে চলছে কথার লড়াই। একজন পরীমনি, অপরজন বুবলী। বুধবার (২০ মার্চ) রাত থেকেই চলছে দুই নায়িকার ফেসবুক যুদ্ধ। চলছে পাল্টাপাল্টি পোস্ট।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনকে ঘিরে। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রায় পাঁচ মিনিটের সেই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিতে দেখা গেছে তাকে।

তবে বিপত্তি বাধে সেই ভিডিও নিয়েই। বুবলীর সেই ভিডিও প্রকাশের পরপরই মধ্যরাতে নিজের ফেসবুকে তাকে খোঁচা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমনি। কিন্তু পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও বুবলীর নাম মেনশন করেননি তিনি। তবে কারো বুঝতে বাকি নেই যে পোস্টটি বুবলীকে ইঙ্গিত করে করা! নিজের স্ট্যাটাসে পরীমনির দাবি, প্রায় ছয় মাস আগে তার সন্তান পুণ্যকে নিয়ে বানানো ভিডিওকে কপি করেই বানানো হয়েছে বুবলীর সন্তানের সেই ভিডিও।

অবশ্য পরীমনির পোস্টের পর বুবলীও আলাদা করে পরীকে ইঙ্গিত করে পোস্ট করেছেন। তার দাবি, কাছাকাছি মেলে, একদম মেলে- এ রকম বহু বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে। কিন্তু এসবে পৃথিবীর কারো কোনো অসুবিধা নাই। শুধু এক ধরনের সিন্ডিকেটের অবস্থা দেখলে মনে হয় যে এরাই শুধু মা হয়েছে, আর কেউ মা হয়নি। এ ছাড়া অভিনেত্রী বিভিন্ন ইঙ্গিতমূলক কথা লেখেন নিজের স্ট্যাটাসে।

এরপর বুবলীর সেই পোস্টকে ঘিরেও নতুন করে পোস্ট দেন পরীমনি। সেটিকে গরুর রচনার সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। পাল্টা পোস্ট দিয়ে লেখেন, হিহিহি একটি শিক্ষিত বকরির গরুর রচনা! সেই সঙ্গে বুবলীকে বেচারি উল্লেখ করে খোঁচাও মারেন পরী মনি। এটাও লেখেন যে বুবলী নিজেও জানে না সে কী লিখছে! নিজের লেখা সে নিজেও বুঝতে পারবে না।

এদিকে পরীমনি-বুবলীর মধ্যে ভার্চুয়াল লড়াই যখন চলছে, এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলেন অপু বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ৮টায় ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন উফ কী সুন্দর ওয়েদার। বলার ভাষা নেই, আবেগ নেই, মিউজিক নেই, শুধু ছবিটাই আছে।

অপু বিশ্বাসের এ স্ট্যাটাসের অর্থ অবশ্য বুঝতে বাকি নেই নেটিজেনদের। তারা বলছেন, বুবলীকে এবার অপু বিশ্বাসও খোঁচা দিলেন। সামাজিক মাধ্যমে যা নিয়ে চলছে এখন নানা সমালোচনা। তিন তারকার ভক্তরাও সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছেন তাদের একে অপরকে ইঙ্গিত করে চলা এই তর্কযুদ্ধে। অনেকেই অনুরোধ করছেন এই তর্কযুদ্ধ থামাতে। এখন দেখার বিষয়, অপুর ইঙ্গিতের পর এই লড়াই কোন দিকে মোড় নেয়!


আরও খবর



‘কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি, আজ আমি অনার্স ফেল’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ঠিক সে সময়ে উঠে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অবন্তিকার মতো শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাবের শিকার হন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের ১৩তম আবর্তন ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

মিম জানান, দুই বছর আগে যৌন হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলে এখনো বিচার পাননি তিনি। উল্টো তাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে। এমনকি তার মা-বাবাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের চাপ দেওয়া হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে ওই ছাত্রী বলেন, কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি বলে আমার মনে হয়। কারণ, আজকে আমি ফেল। আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলে। কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে আমাকে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা করা হয়। আমি হয়ত তার মতো সাহসী হতে পারি নাই। তার জন্য হয়ত আমি মারা যাই নাই। কে জানে এর পর আমি বেঁচে থাকব কি না। আমাকে একঘরে করে দিয়েছে শিক্ষকেরা। আমাকে অনার্সের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে। প্রতিবাদের ফলাফলস্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। একজন শিক্ষক আমাকে ৪০ মার্কের ইনকোর্স পরীক্ষায় ডাবল শূন্য দিয়েছে। এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে খুন করে ফেলা হচ্ছে।’

‘আমি যখন অভিযোগ দায়ের করি, তখন কোনো সেল ছিল না। কোনো সেল না থাকায় আমাকে সরাসরি উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করতে হয়েছিল। উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করায় আমার ওপর অনেক ধরনের প্রেশার আসে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি তারা আমার গ্রামের বাড়িতে পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। আমার বাবা-মা অসুস্থ, তাদের ওপর প্রেশার করেছে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য। অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় আমাকে বিভাগের রুমে কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সাংবাদিক সমিতি আছে সেখানে ওই টিচার ক্ষমতাবলে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেছে আমার প্রসঙ্গে যেন কোনো নিউজ না আসে।’

ওই ছাত্রী আরও বলেন, আমি যে এত স্বাভাবিকভাবে কথা বলার চেষ্টা করছি- আমি ভেতর থেকে এতটা স্বাভাবিক না। আমার একটা অভিযোগ দায়ের করার কারণে ওইটা যেন অপরাধ হয়ে উঠেছে। আমার ক্লাসমেটরা আমার সঙ্গে মিশতে ভয় পায়। আমি দুই বছর যাবৎ কারও সঙ্গে মিশতে পারি না। আমাকে একা করে ফেলা হয়েছে। ওই শিক্ষক ডিপার্টমেন্ট বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াই। উনাকে কোনো লিভে পাঠানো হয় নাই। আমাকে এইট সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমার এসাইমেন্ট টিচাররা নিতে চাই না। আমাকে সেভেন সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমাকে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে।’

‘আমি আজীবন পড়াশোনা ব্যতীত কিছুই করিনি। আমি ননপলিটিক্যাল ছাত্রী। আমি কোনো অর্গানাইজেশনে জড়িত না। সেখান থেকে আমার জন্য সহজ ছিল না প্রতিবাদ করার। আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণে আমি প্রতিবাদ করেছি। সেই  প্রতিবাদের ফলাফল স্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। প্রতিবাদ করা আমার অন্যায় ছিল। আমার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আমি মিশতে পারি না। আমি যতই হাই ক্যালিভার আমি প্রকাশ করি- আমি  মার্কস পাই না। আমার কি তাহলে উচিত ছিল ওই শিক্ষকের কুপ্রস্তাবে রাজি হওয়া। আমি রাজি না হয়ে অনেক বড় অন্যায় করেছি। আমি মার্কসিট পুণর্মূল্যায়নের আবেদন জানালেও তা করা হয়নি। এবার চেয়ারম্যান স্যার উনার দুইটা কোর্সে আমাকে ১০০ এর মধ্যে তিন দিয়েছেন। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কতটুকু খারাপ মেধার অধিকারী হলে আমি তিন পাই। আমার প্রসঙ্গে আমি বুজতে পারি আমার মেরুদণ্ড কতটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমাকে কাউন্সিলিং নিতে হয়। আমিতো স্বাভাবিক না। আমার বিভাগে এমনকি ক্যাম্পাসে অনেক আছে- এই একটা কারণে কেউ প্রকাশ করে না।’

‘আজকে যে অবন্তিকা মারা গেল, দেড় বছর আগে থেকে যুদ্ধ করে আসছে- মেয়েটা যদি বিচার পেত তাহলে কি আজ মারা যেত? এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের খুন করে ফেলা হচ্ছে। সে বিচার পেলে আজ এই ঘটনা ঘটত না।’

অভিযুক্ত কে ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই ছাত্রী বলেন, উনি ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার। উনি সিনেমা নির্মাণ করেন, আবার আমার বিভাগের লেকচারার ছিলেন। এখনো উনি বহল আছেন। উনি আমাকে কাজের জন্য উনার অফিস রুমে ডেকে নিয়ে হ্যারাজ করেন। এটা নিয়ে আমি অনেকদিন ভুগেছি। যখন আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে- আমাকে প্রতিনিয়ত ফেল করানো হচ্ছে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলা হচ্ছে। আমার বাবাকে বলা হচ্ছে-আপনার মেয়েকে বহিষ্কার করে দেব। নতুন করে যে কিমিটি করা হয়, এখন যিনি ভিসি আছেন তিনি ওই কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। ভিসি সাদেকা হালিম ম্যাডাম অনেক নারী বান্ধব।’

‘কিন্তু ম্যাডামের উপস্থিতি থাকা স্বত্বেও আমি এখন পর্যন্ত বিচার পেলাম না। কয়েক দফা রিপোর্ট আসা স্বত্বেও ওই আবু সাইদ ইমন যিনি শিক্ষক এবং উনাকে সাহায্যকারী আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান স্যার অধ্যাপক জুনাইদ হালিম এতগুলো তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসার পরও উনারা সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছন। একজন শিক্ষক কতটা বেহায়া হলে নিজের দোষ ঢাকতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও তারা হেরে গেছেন। তারা সিন্ডিকেটের প্রতিবেদন না মেনে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছেন। উনি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার বলে ক্ষমতা বলে কি সকাল জায়গায় পার পেয়ে যাবেন।’

অন্যরা অভিযোগ না করার বিষয়ে ওই ছাত্রী বলেন, ফেল করার ভয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাইদ ইমনের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো কথা বলেন। আমিতো ফেল করে গেছি। আমারতো স্টুডেন্ডশিপের কোনো ভয় নাই। আমি রাস্তা দিয়ে যখন চলাফেরা করি-তখন আততায়ীরা আমাকে ফেরে ফেলতে পারে। আমি সারাক্ষণ অনিরাপত্তায় ভুগি। আমার পরিবার অনিরাপত্তায় ভোগে। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে না বা প্রকাশ করছে না তারাও যে নিরাপদ না বিষয়টা তেমন না। একজন শিক্ষার্থী যখন যৌন হয়রানির অভিযোগ দেয়-তখন তার চরিত্র নিয়ে যেসব কথা বলা হয় তা প্রকাশ করা যায় না। আমার বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যখনই কেউ কথা বলেন-তখনই আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলেন।’


আরও খবর



উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৬ সদস্যের দুর্ধর্ষ ‘কিলার গ্রুপ’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয় ১৬ সদস্যের দুর্ধর্ষ কিলার গ্রুপ। যারা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং, অপহরণ, মাদক ও অস্ত্র সরবরাহ করত। একই সঙ্গে অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জামও নানা উপায়ে সংগ্রহ করত। যা দিয়ে নাশকতার পাশাপাশি পুরো ক্যাম্পের অপরাধ কার্যক্রম চালানো হতো।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার করিম উল্লাহসহ ৪ জনকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি এলজি, ৭টি ককটেল, ৫ রাউন্ড এ্যামুনিশন এবং ১২ বোর ১ রাউন্ড গুলি।

উখিয়ার ঘোনারপাড়াস্থ ২০ নম্বর বর্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ নম্বর ব্লকে অভিযানে গ্রেফতারের মধ্যে রয়েছে বালুখালীর ২০ নম্বর ক্যাম্পের হোসেন আহমেদের ছেলে বর্তমানে বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার ও অর্থ বিভাগের প্রধান মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহ (৩২), কুতুপালং এর ৭ নম্বর ক্যাম্পের মৃত মো. কায়সারের ছেলে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী মো. আকিজ (২৭), ১৩ নম্বর ক্যাম্পের আবুল হোসেনের ছেলে আরসার অর্থ বিভাগের সহযোগী মোহাম্মদ জুবায়ের (২৯), ২২ নম্বর ক্যাম্পের মৃত হাসমত উল্লাহর ছেলে আরসার গান গ্রুপের সদস্য সাবের হোসেন প্রকাশ মৌলভী সাবের (৩৫)।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন সংবাদ পেয়ে উখিয়ার ২০ নম্বর ক্যাম্পে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় র‌্যাবের অবস্থান টের পেয়ে আরসা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে চাইলে তাদেরকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করা হয়। আর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও ককটেল।

তিনি জানান, গ্রেফতার আরসার এই ৪ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে হামলা করাসহ ৮টির অধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা করে ৪ জনকে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহর ব্যাপারে র‌্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেফতার মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহ স্বপরিবারে ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় রাস্তার পাশে বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে স্বপরিবারে ক্যাম্প-১২ তে গিয়ে বসতি নির্মাণ করে অস্থায়ীভাবে বসবাস এবং সেখান থেকে ক্যাম্প-২০ এ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তিনি ক্যাম্প-২০ এ বসবাসের সুবাদে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ক্যাম্প-২০ এর আরসা জিম্মাদার মৌলভী ইয়াসিনের মাধ্যমে আরসায় যোগদান এবং আরসার সাথী সদস্য হিসেবে কাজ করতে থাকে। তিনি ২০২০ সালে পার্শ্ববর্তী দেশে আরসার প্রশিক্ষণ শেষ করে বাংলাদেশে পুনরায় প্রবেশের পর ক্যাম্প-২০ এর এম/৩৩ ব্লকের জিম্মাদার এবং আরসার হয়ে হত্যা ও চাঁদাবাজি সহকারে নানান ধরনের অপকর্মের ফলশ্রুতিতে তাকে ক্যাম্প-২০ এর হেড জিম্মাদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ফলে তিনি ক্যাম্পে আরসার সদস্য বৃদ্ধি সহকারে তার নিজের প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। তার নেতৃত্বে ১৬ সদস্যদের একটি অস্ত্রধারী গান গ্রুপ পরিচালনা করতো। আরসার অস্ত্রধারী গান গ্রুপের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তারকাটার বাইরে বাংলাদেশের পাহাড়ে অবস্থান করে থাকে। রাতের আঁধারে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘঠিত করে আরসা সন্ত্রাসীরা সকাল ৭/৮ টার আগেই ক্যাম্প ত্যাগ করে পুনরায় পাহাড়ে অবস্থান নিতো।

জিজ্ঞাসাবাদে মো. করিম উল্লাহ জানান, আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির নির্দেশে মিয়ানমার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ টেকনাফের খারাংখালী এবং উনচিপ্রাং সীমান্ত হয়ে গ্রেফতার হওয়া মাস্টার কলিম উল্লাহর কাছে আসতো। পরবর্তীতে সকল ক্যাম্পের জন্য বরাদ্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ তিনি নিজেই আরসা ক্যাম্প কমান্ডারদের কাছে হস্তান্তর করতো। অতঃপর ক্যাম্প কমান্ডাররা অস্ত্র-গোলাবারুদ আরসা কিলার গ্রুপের মাঝে সরবরাহ করতো। এছাড়াও মাস্টার কলিম উল্লাহ বিভিন্ন মাধ্যম হয়ে কক্সবাজারের মহেশখালী ও সদরের ভারুয়াখালী এলাকা এবং টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেশীয় অস্ত্র বিক্রেতাদের কাছ থেকে নগদ অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয় করতো।

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, মো. করিম উল্লাহ নানা কৌশল অবলম্বন করে মাইন ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আরসার গোপন আস্তানা ও গহীন পাহাড়ে নিয়ে যেতো। পরবর্তীতে মাইন ও বিস্ফোরক তৈরির পারদর্শী আরসা সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধরনের মাইন, বোমা ও বিস্ফোরক তৈরি করতো। তৈরি করা এ সকল বিস্ফোরক রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন স্থানে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হতো। মো. করিম উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ৮টি মামলা রয়েছে।

মো. আকিজের ব্যাপারে র‌্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেফতার মো. আকিজ ২০১৭ সালের প্রথম দিকে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে উনচিপ্রাং সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং ক্যাম্প-৭ এ বসবাস শুরু করেন। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে ক্যাম্পে বসবাস করতেন। তিনি আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেন। তাছাড়া তিনি আরসার অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আরসা প্রধানের পক্ষ থেকে বিশেষ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করতো। পরবর্তীতে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে চট্টগ্রামে বসবাসকালে তিনি আরসা নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতো এবং চট্টগ্রাম থেকে আরসার জন্য লজিস্টিক সামগ্রী সহকারে বিভিন্ন মালামাল পাঠাতো। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ১টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, মোহাম্মদ জুবায়ের বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার ও অর্থ শাখার প্রধান মাস্টার কলিম উল্লাহ তার আপন চাচাতো ভাই। সেই সুবাদে মো. করিম উল্লাহর একান্ত সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। এই সময়ে তিনি মাস্টার কলিম উল্লাহর নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি, অগ্নি সংযোগ সহকারে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে সরাসরি অংশগ্রহণ করতেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ১টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার সাবের হোসেন প্রকাশ মৌলভী ২০১৭ সালে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ক্যাম্প-২২ এ বসবাস করেন। এরপর ক্যাম্পের ইবনে আব্বাস মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। তিনি আরসার নেট গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তিনি আরসার সন্ত্রাসীদের পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করতো এবং আরসার সদস্যদের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আরসার গান গ্রুপের ক্যাম্পে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতো বলেও জানায় র‌্যাব অধিনায়ক।

র‌্যাব জানায়, এখন পর্যন্ত র‌্যাব-১৫ সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সামরিক কমান্ডার, গান গ্রুপ কমান্ডার, অর্থ সম্পাদক, আরসা প্রধান আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী ও নানা বিভাগের প্রধানসহ ১০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে ১০টি বিদেশি অস্ত্র, ৫২টি দেশীয় অস্ত্র, ১৪৪ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ, ৬৭ রাউন্ড খালি খোসা, ৫০.২১ কেজি বিস্ফোরক, ২৮ টি ককটেল, ৪টি আইইডি, ১.৫ কেজি মার্কারী (পারদ) এবং ৪টি হাত বোমা উদ্ধার করা হয়।


আরও খবর



রমজান শুরুর তারিখ জানাল মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া-ব্রুনাই

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করেছে যে দেশটিতে শাবান মাস শেষ হবে আগামীকাল সোমবার (১১ মার্চ)। আর পবিত্র রমজান শুরু হবে আগামী মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে।

দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি জানিয়েছেন, সোমবার শাবান মাস শেষ হবে আর মঙ্গলবার শুরু হবে রোজা। ভৌগোলিক অবস্থান এবং আগে চাঁদ ওঠার কারণে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রোজার তারিখ ঘোষণা করে থাকে।

অস্ট্রেলিয়ার পর পরই এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ রমজান মাস কবে শুরু হবে, সেই তারিখ ঘোষণা করেছে। ব্রুনাই জানিয়েছে, দেশটিতে প্রথম রমজান মঙ্গলবার (১২ মার্চ)। কারণ, সালতানাতের কোথাও রোববার সন্ধ্যায় নতুন চাঁদ দেখা যায়নি।

মালয়েশিয়ার আকাশেও রোববার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য দেশটির জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি রমজানের প্রথম দিন হিসেবে মঙ্গলবারকে (১২ মার্চ) ঘোষণা করেছে।

জনসংখ্যার বিবেচনায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায়ও প্রথম রমজান মঙ্গলবার (১২ মার্চ)। দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেই হিসেবে আগামীকাল সোমবার হচ্ছে শাবান মাসের ৩০তম দিন।


আরও খবর



ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজউকের অভিযানের পর ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারে অনুমোদনহীন ও নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করা হয়েছে। একইসঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে একটি রেস্তোরাঁকে।

সোমবার (৪ মার্চ) ভবনটিতে অভিযান পরিচালনা করার পর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার।

আরো পড়ুন : ধানমন্ডিতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো রেট্রো রুফটপ রেস্টুরেন্ট

এর আগে সকাল ১১টায় এই ভবনে অভিযান পরিচালনা শুরু করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। পরে ভবনটির ছাদে নকশা বহির্ভূতভাবে গড়ে তোলা রেট্রো লাইভ কিচেন নামের রুফটপ রেস্টুরেন্টটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী ভবনটির ছাদ ফাঁকা থাকার কথা ছিল। কিন্তু কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়া সেখানে রেস্তোরাঁটি গড়ে উঠেছে। তাই এটি ভেঙে ফেলছে রাজউক।

অভিযানে (রাজউক) জোন-৩ এর পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার জানিয়েছেন, অফিসের জন্য অনুমোদিত এই ভবনে অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে রেস্টুরেন্ট ও ফুডকোর্ট।

তিনি বলেন, এই ভবনটি মূলত এফ ক্যাটাগরির। এটি অফিসের জন্য রাজউক থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানে অবৈধভাবে প্রায় ৮-১০টির মত রেস্টুরেন্ট করা হয়েছে। আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানাতে পারবো।


আরও খবর