আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

হঠাৎ দুই শ্রমিক ইউনিয়ন লোড-আনলোড খরচ বৃদ্ধি করায় পঞ্চগড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ ঘোষণা করেছে পঞ্চগড় জেলা পাথর-বালু যৌথ ফেডারেশন। এ ঘোষণা শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাতে পঞ্চগড় জেলা পাথর-বালু যৌথ ফেডারেশনের সভাপতি হাসিবুল হক প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে সন্ধ্যায় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর পাথর-বালু ব্যবসায়িক সমিতির অফিস কার্যালয়ে পাথর ব্যবসায়ী ও মালিকসহ সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা শেষে রাতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, পঞ্চগড় জেলায় দীর্ঘদিন ধরে পাথর-বালু লোড-আনলোডে সেফটি প্রতি ২ টাকা ৮০ পয়সা করে শ্রমিকদের দিয়ে আসতো মালিকরা। এদিকে গত ১০ আগস্ট জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, ট্যাংকলরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন ২০০০ ও পঞ্চগড় জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬৪-এর সভাপতি লোড-আনলোডের দাম বৃদ্ধির জন্য পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।

কিন্তু জেলা প্রশাসক কর্তৃক ব্যবসায়ীদের ও যৌথ ফেডারেশনকে নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ার আগেই শ্রমিক ইউনিয়ন ২০০০ ও ২৬৪ গত ২০ আগস্ট থেকে জোর পূর্বকভাবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২ টাকা ৮০ পয়সার বিপরীতে ৫ টাকা ৫০ পয়সা করে নেওয়া শুরু করে। এতে ব্যবসায়ীরা যৌথ ফেডারেশনের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা শেষে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং পঞ্চগড় জেলা পাথর-বালু যৌথ ফেডারেশন লোড-আনলোড দাম ঠিক না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলায় সব প্রকার পাথর ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ ঘোষণা করে।

জেলা পাথর-বালু যৌথ ফেডারেশনের সভাপতি হাসিবুল হক প্রধান  বলেন, সবকিছুর একটা নিয়ম থাকে। কিন্তু তারা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা না বলেই একাই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তাই এর প্রতিবাদে এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক সবকিছু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শনিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রাখা হবে।

পঞ্চগড় জেলা পাথর-বালু ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারী সমিতির দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রউফ  বলেন, পঞ্চগড়ের ওই দুই শ্রমিক সংগঠন (২০০০ ও ২৬৪) জেলা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে মনগড়াভাবে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জোর পূর্বক টাকা নেওয়া শুরু করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। মূলত শ্রমিকরা একটা মালিক/ব্যবসায়ীদের অধীনে কাজ করে। তারা যাই করুক মালিকদের জনাবেন। তাদের সংগঠনের রেজুলেশনে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এ দুই সংগঠন সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে একটা খারাপ পরিস্থিত সৃষ্টির জন্য ভিন্ন রূপ দেখাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে শ্রদ্ধা করি। তাই জেলা প্রশাসকের একটা সুষ্ঠু ও সঠিক সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিশৃঙ্খলা না সৃষ্টি করার জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

হঠাৎ লোড-আনলোডে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে শ্রমিক সংগঠন ২৬৪-এর সভাপতি আব্দুল লথিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি  বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে শ্রমিকদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। দীর্ঘদিন থেকে শ্রমিকরা লোড খরচ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বরাবর কয়েক দফা আবেদন করে গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) থেকে ৫ টাকা ৫০ পয়সার পরিবর্তে ৪ টাকা নেওয়া শুরু করেছি। তবে এর মধ্যে যদি তারা পাথর ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করে দেয় তাতে আমাদের সংগঠনের করার কিছু নেই। আর এদিকে যদি শ্রমিকরা ৪ টাকার কমে কাজ করে তবে সেটা তারা বুঝবে। মূলত শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এ দাম নিচ্ছি।

শ্রমিক ইউনিয়ন ২০০০-এর সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন  বলেন, প্রথমে তেঁতুলিয়া লেবার শ্রমিক ইউনিয়ন দাম বৃদ্ধির আবেদন করে। এর পর ভজনপুর লেবার শ্রমিক ইউনিয়ন। পরে আমাদের ইউনিয়নের শ্রমিকরা শ্রমের দাম বৃদ্ধির আবেদন করে। তাই আমরা যৌথ ফেডারেশন ও জেলা প্রশাসনকে অবগতসহ লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছি।

এদিকে শ্রমিক সংগঠনের (২০০০ ও ২৬৪) আবেদনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম  বলেন, আবেদনের পর এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে কাজ চলছে।


আরও খবর



জিম্মি নাবিকদের জন্য ছাগল ও দুম্বা আনছে জলদস্যুরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আঠারো দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‌এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের জন্য তীর থেকে ছাগল ও দুম্বা আনছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ফলে তারা খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না। তবে জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়ায়, সেটি নিয়ে তারা কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

নাবিকদের বরাতে জাহাজটির মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপ ও সংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জলদস্যুরা কোনো জাহাজ জিম্মি করলে সাধারণত তারাই খাবার সরবরাহ করে থাকে। তবে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে রেশনিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।

জিম্মি জাহাজের নাবিকদের থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে নাবিকদের সংগঠনের একজন নেতা বলেন, খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা নেই। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে ছাগল ও দুম্বা আনছে। তবে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে কারণ জলদস্যুরা জাহাজে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে জাহাজে যা বিশুদ্ধ পানি আছে, তা রেশনিং করে চলতে হচ্ছে। সপ্তাহে দুই দিন এক ঘণ্টা করে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন নাবিকেরা।

জাহাজের মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আশা করি খাবার নিয়ে সমস্যা হবে না। তবে আমরা যত দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করছি জাহাজসহ নাবিকদের মুক্ত করার। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রয়েছে।


আরও খবর



বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শৃঙ্খলায় আনা হয়েছে : মেয়র তাপস

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শৃঙ্খলায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে ৬৯ নম্বরস্থ বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে দেখেছি যে, প্রায় দুর্ঘটনা ঘটত এবং কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটেছে। আমাদের নিয়মিত গাড়ি চালক ছিল না। যানবাহনগুলো সবই প্রায় পুরনো ও লক্কর-ঝক্কর ছিল। ফলে সংগ্রহ ও সরবরাহ ব্যবস্থা খুবই নাজুক অবস্থায় ছিল। ময়লা-আবর্জনা উন্মুক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতো। কিন্তু সেখান থেকে আমরা অনেকটা উত্তরণ ঘটিয়েছি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ২৫টি ডাম্প ট্র্যাক কিনেছি। নতুন প্রায় ১০০ জন নিয়মিত ভারী গাড়িচালক নিয়োগ দিয়েছি। আগে যাকে তাকে দিয়েই গাড়ি চালানো হতো। সেটা এখন নেই বললেই চলে। আমরা পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সংস্কার করেছি। এখন আর রাস্তায় উন্মুক্তভাবে বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায় না। এভাবেই আমরা পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন করছি, শৃঙ্খলায় নিয়ে আসছি।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ধাপে ধাপে উন্নতি করা হচ্ছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, একটি শহর যত বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে সেই শহরের নান্দনিকতা ও সৌন্দর্য ততই বৃদ্ধি পাবে। আগে ঢাকা শহরে নালা-নর্দমা, হাঁটার পথসহ যত্রতত্র বর্জ্য পড়ে থাকত। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই একটি করে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এসব কাজ করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা হলো জায়গার সংকুলান। আমরা এ পর্যন্ত ৬৪টি ওয়ার্ডে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করতে পেরেছি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটি নিয়ে চল্লিশতম বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হলো। আগে আমাদের মাত্র ২৪টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র ছিলো। অল্প সময়ের মধ্যে ৪০টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমে আমরা আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। আর মাত্র ১১টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করলেই পুরো ঢাকা শহর আমাদের এই কার্যক্রমে আওতায় চলে আসবে। সুতরাং আগে আমরা দেখতাম যে, ১০০ ভাগ বর্জ্য রাস্তার উপরে উপচে পড়ত। নোংরা ময়লা মাড়িয়ে মানুষ মসজিদে যেতে পারত না। সেই পরিস্থিতি থেকে আমরা ধাপে ধাপে উন্নতি করছি। বর্তমানে প্রায় ৮০ ভাগ বর্জ্য আমরা সংগ্রহ করতে পারছি। ইনশাল্লাহ, অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা বাকি ২০ ভাগও শেষ করতে পারব এবং উপচে পড়া বর্জ্যের জঞ্জাল থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত করতে পারব।

এ সময় এডিস মশার প্রকোপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, গতবার যে সকল এলাকায় দশ জনের বেশি রোগী পাওয়া গেছে সেসকল এলাকায় আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি। সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা থানা, আবাসন, প্রাথমিক-উচ্চ ও মহাবিদ্যালয়ে যৌথভাবে অভিযান করেছি। এর মাধ্যমে সচেতনতা যেমন বেড়েছে তেমনি জনগণের সম্পৃক্ততাও বেড়েছে। কিন্তু তারা যদি দায়িত্বশীল হয়ে কোথাও পানি জমতে না দেয়, বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখে তাহলেই আমরা এডিস মশার প্রকোপ হতে ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দিতে পারব। আমরা ১০০ ভাগ সফল হতে পারব। না, হলে আমাদের এই প্রতিবন্ধকতা রয়েই যাবে।

পরে ঢাদসিক মেয়র কোনাপাড়া থেকে গলাকাটা সেতু সংলগ্ন খাল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছিম আহমেদ, অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এম জে আরিফ বেগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভুঁইয়া, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৬৯ নং ওয়ার্ডের সালাহউদ্দিন আহমেদ, ৬৪ নং ওয়ার্ডের মো. মাসুদর রহমান মোল্লা, ৬৬ নং ওয়ার্ডের আব্দুল মতিন সাউদ ও সংরক্ষিত আসনের মাহফুজা আক্তার হিমেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ব্রাজিলে বন্যা: সরানো হলো ১১ হাজার মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্রাজিলের উত্তর পশ্চিমের একর রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ১১ হাজার বাসিন্দাকে। এক বিবৃতিতে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সমন্বয়কারী করোনেল কার্লোস বাতিস্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাজ্যটির কিছু শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। নদী উপচে পড়ার সম্ভাব্য আশঙ্কায় ১১ হাজার মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ১৭টি শহরে বন্যা দেখা দিয়েছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো আক্রান্ত এলাকাগুলোতে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকর্ম চালাচ্ছে।

একর রাজ্যের গভর্নর গ্লেডসন ক্যামলি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তারা সাহায্যের জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা দিয়েছে। আমি মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা আমাদের জরুরি প্রয়োজনগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

গত বছরও ভয়াবহ বৃষ্টিপাতের ফলে একর রাজ্যে হতাহত ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছিল।


আরও খবর



নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫ কোটি করে টাকা দিতে নোটিশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন এবং নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (০৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান (তুষার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজউকের চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে ডাকযোগে এই লিগাল নোটিশ পাঠান।

এতে বলা হয়েছে, একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা না করায় এবং যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণেই এ অগ্নিকাণ্ড ঘটছে; ৪৬ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ কোনোক্রমেই তাদের দায় এড়াতে পারে না। ঠিক কার ব্যর্থতার কারণে এই অগ্নিকাণ্ড হয়েছে তা খুঁজতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।

এ ছাড়া ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ও আহতদের চিহ্নিত করে প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।

নোটিশ গ্রহণের পাঁচ দিনের মধ্যে কী ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা লিখিতভাবে নোটিশ দাতাকে জানাতে বলা হয়েছে। কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়েরসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়।

প্রসঙ্গত, বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন লাগে। ভয়াবহ ওই আগুনে ৪৬ জন নিহত হন। ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন, যারা শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই ভবন থেকে ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।


আরও খবর



‘পণ্যের দাম নির্ধারণের সঙ্গে সঙ্গেই বাস্তবায়ন করা যায় না’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়বে বলে আশার করছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, প্রাইস ডিসকভারিটা হুট করে হয় না। আমাদের দায়িত্ব হবে, উৎপাদক পর্যায়ে থেকে পাইকারি ও পরে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত বাজার মনিটরিং করা এবং এটাকে প্রতিষ্ঠিত করা।

আজ রোববার (১৭ মার্চ) রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

গত ১৫ মার্চ দেশের খুচরা বাজারে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ও সবজির মতো ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। তার প্রভাব বাজারে দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের প্রশ্নে তিনি বলেন, একটা জিনিস আপনি যখন যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে এটি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। আগে এটা নির্ধারণ করা জরুরি ছিল। অনেকদিন ধরে আইনটা ছিল কিন্তু করা হয় নাই। এখন সমন্বিতভাবে কৃষি বিপণন অধিদফতর, ভোক্তা অধিদফতর, ইউএনও, ডিসি সবাই মিলে সমন্বয় করবে। আশা করি এটা একটা যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষি বিপণন অধিদফতর পণ্যের একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদফতরের নিজস্ব জেলা, উপজেলা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কমিটি আছে। আমরা সমন্বয় করে মনিটরিং শুরু করবো। প্রাইস ডিসকভারিটা হুট করে হয় না। আমাদের দায়িত্ব হবে উৎপাদক পর্যায়ে থেকে পাইকারি এবং পরে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত বাজার মনিটরিং করা এবং এটাকে এস্টাবলিশ করা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যেখানে যাচ্ছি, বাজার কমিটিকে নিয়ে বসছি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসছি, তাদের উৎসাহিত করছি। তাদের সমস্যার সমাধান করে এটা আমরা বাস্তবায়ন করছি। আমরা কোনো জায়গায় কোনো দোকান বন্ধ করে দিচ্ছি না বা তালাবদ্ধ করে দিচ্ছি না। যারা একেবারেই আইন মানছেন না, যেমন পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে যখন বিক্রি করতে হবে তখন আপনাকে রিসিটটা রাখতে হবে। আপনি যখন পাইকারি চালান করবেন, তখন আপনাকেও রিসিট দিতে হবে। এই জিনিসগুলোকে বলে, একেবারে মিনিমাম কমপ্লায়েন্স। এই জিনিসগুলো না করলে আমরা শাস্তির আওতায় আনব।

কৃষি বিপণন আইন-২০১৮-এর ৪(ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৫ মার্চ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য ক্রয়বিক্রয়ের অনুরোধ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া ২৯টি পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলে ধরা হয়েছে। এর ভিত্তিতে উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে পণ্যগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।  যেমনব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৪৫ টাকা ৭৮ পয়সা। উৎপাদক পর্যায়ে দাম ১৫১ টাকা ৮১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১৬২ টাকা ৬৯ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা।


আরও খবর