পুরো বিশ্ব এখন ইন্টারনেটে সংযুক্ত। পড়াশোনা, আর্থিক খাত, অফিস থেকে শুরু করে এখন অনলাইনে অর্ডার দিলে খাবার পর্যন্ত পৌছে যাচ্ছে বাসায়। এই প্রযুক্তি যেমন মানুষের জীবনকে সহজ করেছে, তেমনি অনেক ক্ষেত্রেই তৈরি করেছে নতুন ঝুঁকি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং এমনকি ব্যাংকিং খাতের লেনদেনও হচ্ছে অনলাইনে। আর সাইবার অপরাধীরা এসব তথ্য বাগিয়ে নিতে ওত পেতে থাকে সবসময়। কিছুটা সাবধানতা ও সতর্কতা সাইবার স্পেসে আপনার বিচরণ আরও নিরাপদ করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলোই।
টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা মেইল সার্ভিসের ক্ষেত্রে একাউন্ট সুরক্ষার জন্য চালু করতে পারেন টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ফিচার। এর মাধ্যমে কেউ যদি আপনার পাসওয়ার্ড জেনেও যায়, এরপরেও সেই ব্যক্তি বা সাইবার অপরাধী আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরেও আপনার মোবাইলে একটি কোড যাবে, একমাত্র সেই কোড দিলেই অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে।
অজানা লিঙ্ক ক্লিক থেকে বিরত থাকা: অপরিচিত কেউ যদি কোনো লিঙ্ক আপনার সঙ্গে শেয়ার করে থাকে। যদি বলে থাকে, এই লিঙ্কে চমৎকার কিছু আছে, এ ধরনের প্রলোভনযুক্ত লিঙ্ক ক্লিক করা থেকে বিরত থাকবেন। এতে আপনার কম্পিউটার/মোবাইলে ম্যালওয়ার ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া ফিশিং লিঙ্কের ব্যাপারেও সাবধান থাকতে হবে।
জটিল পাসওয়ার্ড দিতে হবে: পাসওয়ার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে জটিল পাসওয়ার্ড দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এর কারণ, অপেক্ষাকৃত সহজ পাসওয়ার্ড বা কিছু পাসওয়ার্ড রয়েছে যা সহজেই অনুমান করা যায়। এ ছাড়া সহজ পাসওয়ার্ড হলে অনেক সময় হ্যাকাররা ডিকশনারী টুলস ব্যবহার করে বের করে ফেলে। আর সম্ভব হলে গুগল অথেন্টিকেশন টুলস ব্যবহার করা। গুগলের এটি এমন একটি ফিচার। যা প্রতিমুহূর্তে কোড পরিবর্তন করে ফেলে।
পাবলিক ওয়াফাই ব্যবহার থেকে বিরত থাকা: নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সুরক্ষার বিষয়টি ব্যবহারকারীর হাতে থাকে না। বা যার হাতে থাকে, ব্যবহারকারীরা তাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনে না। সেক্ষেত্রে নিজের সুরক্ষার জন্যই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে বিরত থাকা উচিত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধু বানানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা: টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপরিচিত কাউকে বন্ধু না বানানোই উচিত হবে। অনেকক্ষেত্রে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমেও তথ্য চুরি করে সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটে। সেক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য, বা স্পর্শকাতর ছবি কারো সঙ্গে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।