উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আমরণ অনশনের তৃতীয় দিনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এ ফোনালাপের ব্যবস্থা করে দেন।
ফোনালাপে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যারা শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে রয়েছে, সেখানে আমার ডাক্তারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওরা এখন সবাই অনশনেই আছে আন্দোলনরত এবং অনশনরত। কী অবস্থা, কেমন আছে তারা? আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা ঠিক থাকবে, সুস্থ থাকবে। তাদের কোনো সমস্যা থাকবে না, সেটাই আমরা চাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভালো চলবে সেটাই আমরা চাই।’
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘এখানে একটা সমস্যা তো হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে আছে। এটার তো একটা সমাধান দরকার। সে জন্যে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গেছেন। শিক্ষক প্রতিনিধিরা গেছেন, অন্যরাও আছেন। আমার মনে হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসিত ব্যাপার আছে, অন্য সবকিছু আছে, এ জন্য গোড়াতেই আমরা সবকিছুতে হস্তক্ষেপ করতে চাই না বা চাইনি। আমার মনে হয় যে, আমার শিক্ষার্থীরা ও সন্তানেরা কষ্ট পাবে সেটা তো আমরা চাই না।’
এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে আগ্রহের কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করে এমন কজন, তাঁদের মধ্যে ৪ / ৫ জন যদি আসতে চান তাদের সঙ্গে বসতে পারলে হয়তো সমস্যার সমাধানটা খুব দ্রুত করা সম্ভব। আমি চাইব যে তাঁরা যদি আসেন এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক আসেন তাহলে আমরা কথা বলতে পারি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের একটা সমাধানের দিকে যাওয়া দরকার দ্রুততার সঙ্গে।’
এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে সাদিয়া নামে একজন বলেন, ‘আমরা আপনার কথায় আশ্বস্ত হয়েছি। আমরা আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমাদের এখানের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে চাই। আগে যে পরিস্থিতি ছিল সেটা নিয়ে কথা বলতে চাই।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যারা আসবেন একটা জিনিস ঠিক করে আসবেন, নিজেদের মধ্যে কথা বলে আসবেন। যারা আসবেন তাঁরা আন্দোলনরত সকলের প্রতিনিধি হিসেবে আসবেন। আমি যাদের সঙ্গে কথা বলব পরে যেন এমন না হয় যে, না এদের সঙ্গে কথা হলো আমাদের সঙ্গে কথা বলা হলো না। কে কে আসবেন সবাই মিলে ঠিক করে নেন।’
সাদিয়া বলেন, ‘ম্যাম, আমরা আজকেই আসব। আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে জানায়ে দিচ্ছি, আমাদের প্রতিনিধি টিমে কে যাবে। এখানে সবাই অনেক অসুস্থ।’
মোবাইল ফোনের অন্য পাশ থেকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেখেন আমিও তো একজন মা, আমারও ছেলে-মেয়ে আছে। আপনারা ওখানে কষ্ট করছেন, সেটা দেখছি, অন্য সমস্যা হচ্ছে ওইটাও দেখছি।’
শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি ঠিক করার জন্য আলাপ আলোচনা করছেন। তবে প্রতিনিধি চূড়ান্ত করতে পেরেছেন কি না এখনো নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেননি।