আজঃ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়ের বিষয়ে সুর পাল্টালেন তামান্না ভাটিয়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ আগস্ট 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ আগস্ট 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আলোচিত দুই ওয়েব কনটেন্টের পর আইটেম গানে বলিউড অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকে দেখা গেছে আবেদনময়ী রূপে। তিনি শুরু করেন জেলার সিনেমার কাবাল্লা দিয়ে। গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এর পর তামান্না অভিনীত আরেকটি দক্ষিণী সিনেমা মুক্তি পায় আরানমানাই ৪। এ সিনেমায় তামান্না ভাটিয়া ও রাশি খান্নার আইটেম গান আচাচো মুক্তির পর রীতিমতো ঝড় তোলে। এরপর আইটেম গানে দিন দিন তামান্নার চাহিদা আরও বাড়তে থাকে।

শেষবার তামান্নাকে দেখা গেছে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা বলিউড সিনেমা স্ত্রী ২-এর আইটেম গান আজ কি রাত-এ। এ গানেও তামান্নার আবেদনময়ী রূপ সিনেমাপ্রেমীদের মাঝে ঝড় তোলে। গানটি আজও ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে।

১৮ বছরের নিয়ম ভেঙে পর্দায় চুমু ও অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় প্রসঙ্গে সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম পিংকভিলায় এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া বলেন, আমার এত বছরের ক্যারিয়ারে কখনো ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করিনি। আমি হচ্ছি সেই দর্শক, যে পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখে গুটিয়ে যাই। সবসময় মনে হয়, এ ধরনের দৃশ্য আমি কখনো করব না। কিন্তু এতদিন এ সিদ্ধান্তেই স্থির ছিলাম যে, পর্দায় কোনো চুম্বনদৃশ্যে অভিনয় করব না। তবে লাস্ট স্টোরিজ ২-এর কথা ভিন্ন।

তিনি বলেন, আমি সবসময় সুজয় ঘোষের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি। আমি খুশি ও কৃতজ্ঞ যে সুজয় আমাকে বেছে নিয়েছেন। এর আগে তো কোনো অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়ই করিনি। তাই এমন একটা চরিত্রের জন্য আমাকে না-ই ভাবতে পারতেন বলেও জানান তামান্না।

এর আগে গত বছর অ্যামাজন প্রাইমের সিরিজ জি করদায় তামান্না সবাই চমকে দেন। এতে তাকে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যায়। এমনকি একটি দৃশ্যে তাকে টপলেস হতেও দেখা গেছে। চেনা তামান্নার এমন অচেনা রূপ দেখে চমকে যান তার ভক্তরা। শুধু এটাই শেষ নয়, তার মুক্তি পাওয়া নেটফ্লিক্সের অ্যানথোলজি সিনেমা লাস্ট স্টোরিজ-এ সুজয় ঘোষের পর্বেও বাস্তবজীবনের প্রেমিক বিজয় ভার্মার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেখা যায় তামান্নাকে।

এর পর থেকেই নতুন করে চর্চায় তামান্না ভাটিয়া। তেলেগু সিনেমায় এতদিন যাকে পাশের বাড়ির মেয়ের চরিত্রে দেখা গেছে, তাকে পর্দায় চুম্বন ও অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেখে তার ভক্তরা চমকে যাওয়াই স্বাভাবিক।

গত এক বছর তামান্না ভাটিয়াকে পর্দায় দেখে কেউ যদি চমকে গিয়ে বলেন, এই তামান্না কি সেই তামান্না, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। যে তামান্না কখনো পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে রাজি ছিলেন না, চুম্বনদৃশ্যে ছিল যার প্রবল আপত্তি, সেই তামান্নাকেই এখন আবেদনময়ী দৃশ্যে দেখে প্রশ্নটা করা অন্যায্য হবে না বলেও জানান সিনেমাপ্রেমীরা।


আরও খবর
আমি কেন ভয়ে থাকব: মাহিয়া মাহি

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভিসা জটিলতায় পরীমণি

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পানির নিচে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ৪৫ কিমি যানজট

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় কবলিত হয়েছে দেশের ১১টি জেলা। বন্যার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এখন পানির নিচে। ফলে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে ৪৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজট শনিবার (২৪ আগস্ট) প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিরসন হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের মুহুরীগঞ্জ থেকে লালপোল পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেন তলিয়ে গেছে। পানির স্রোত দেখা গেছে সড়কে। এ কারণে ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে হাজার হাজার গাড়ি। যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগের শেষ নেই। তবে সড়কে কোথাও থানা, ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশ চোখে পড়েনি।

লরিচালক আসিফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে রওনা দিয়েছি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। শুক্রবার ভোরে সোনাপাহাড় এসে পৌঁছাই। রাস্তায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছি। কোনো দিকে যাওয়ার অবস্থা নেই।

ট্রাকচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২০ ঘণ্টা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে, কোথাও খাবারের দোকান খোলা পাচ্ছি না। ক্ষুধায় প্রাণ যায় যায় অবস্থা।

রাসেল আহম্মেদ নামে এক যাত্রী বলেন, ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাসে উঠছিলাম বৃহস্পতিবার ভোরে। শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরদিঘি এলাকায় নেমে আবার চট্টগ্রাম শহরে চলে আসছি। যদিও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, পুলিশ রাস্তায় দায়িত্ব পালন করে লাভ হবে না। কারণ, পানির কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। পানি নেমে গেলে যানজট নিরসন হয়ে যাবে।


আরও খবর



শেখ হাসিনার সংবাদ প্রকাশ করলে মিডিয়া জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দুলুর

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নাটোরে চলছে মাঠ দখলের প্রতিযোগিতা। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের কাছাকাছি গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করছেন বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের ছবিসংবলিত ব্যানারে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা সভা-সমাবেশ করছেন। পাশাপাশি ব্যস্ত উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারাও। প্রতিদিনই তারা নানান জায়গায় সমাবেশ করছেন। ওই সমাবেশে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। দাবি করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্ত সকলের গ্রেফতার ও ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিনব্যাপী জেলা শহরে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশে এমন দাবির পাশাপাশি একপর্যায়ে দেশের মিডিয়ার ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুলু।

তিনি দাবি করেন, গত সরকারের আমলে মিডিয়াগুলোকে (সংবাদমাধ্যম) নিষেধ করা হয় যাতে তারেক রহমানের কোনও সংবাদ বা বিবৃতি প্রকাশ না করে। তারা তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে। অথচ গত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের নির্দেশে দেশে গণহত্যা চালানো হয়েছে। ওই বিষয়ে মামলাও হয়েছে। অথচ এখনও বিভিন্ন মিডিয়া হাসিনা ও তার সরকারের নানা সংবাদ প্রকাশ করছে।

এ ব্যাপারে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দুলু বলেন, যদি এরপরও কোনও মিডিয়া শেখ হাসিনার সংবাদ প্রকাশ করে তবে সেই মিডিয়া তথা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।

দুলুর ওই বক্তব্য প্রকাশের পর থেকে নাটোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক সমর্থক জানান, এই মুহূর্তে এমন বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি। এতে জনসাধারণের মনে বিএনপিকে নিয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন জানান, সরকারের নির্দেশে তারেক রহমানের বক্তব্য যদি মিডিয়ায় প্রকাশ না হয় তবে শত শত শিক্ষার্থী হত্যার অভিযোগে আসামি হাসিনার সংবাদ প্রকাশ হওয়াটাও সমীচীন নয়। এমন প্রেক্ষাপটেই হয়তো রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ওই বক্তব্য দিয়েছেন।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাটোরের এক শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জানান, বিএনপি-জামায়াতের অতি তৎপরতাও অনেকেই পছন্দ করছেন না। এ সময়টাতে তাদের দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করা উচিত। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতিকে পেশা হিসেবে না নিয়ে সেবা হিসেবে নিলে দেশের প্রকৃত কল্যাণ হবে। পাশাপাশি দ্বিতীয় স্বাধীনতায় জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের রক্তের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা যাবে। এ ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দল ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুদৃষ্টি ও দূরদর্শী পদক্ষেপের আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর
তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকটের প্রধান তিনটি কারণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে লোডশেডিং বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎ সংকট দেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলেছে। বেশি লোডশেডিং দেখা দিয়েছে গ্রামাঞ্চলে। ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন কমেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে। একইসঙ্গে জ্বালানির আমদানি নির্ভর এ খাতে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে সরকারের বকেয়াও বাড়ছে। ফলে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না।

দেশে বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি হলেও চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কম।

শেখ হাসিনা সরকার গত পনের বছরে দেশে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করে অপরিকল্পিতভাবে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে চাহিদাও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেখ হাসিনার সরকার অর্থনৈতিক যে বিপর্যয় রেখে গেছে তারই ফলশ্রুতিতে এই পুরো খাত মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই খাতে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। সম্পূর্ণ টাকা দেওয়া সম্ভব না হলেও যতটুকু টাকা দিয়ে সরবরাহ বজায় রাখা যায় ততটুকু দিতে হবে।

এদিকে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, সাময়িক সংকট সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডলার পেমেন্ট করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকটের মূল সমস্যা ডলার সংকট। একে কেন্দ্র করেই অন্য সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে এই মুহূর্তে। একইসঙ্গে বিগত সরকারের অপরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে।

ডলার সংকট

দেশে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ আসে গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা আছে প্রায় বারো হাজার মেগাওয়াট। আগে সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। অথচ এখন পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ খাত দিনে ১২০ থেকে ১৩০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে। এখন ৮০ থেকে ৮৫ কোটি ঘনফুট সরবরাহ হচ্ছে বলে জানিয়েছে পিডিবি।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে দিনে গ্যাস আসে একশ দশ কোটি ঘনফুট। সামিটের এলএনজি টার্মিনাল গত ২৭শে মে থেকে বন্ধ। ফলে এখন সরবরাহ হচ্ছে ৬০ কোটি ঘনফুট। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ইউনিট। ফলে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিন হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি লোডশেডিং ছিল।

ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মিত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। দিনে দেড় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল। কিন্তু বকেয়া পরিশোধ না করায় এখন এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে তারা। শেখ হাসিনার সরকার ব্যাংক থেকে বন্ড ছেড়ে বেসরকারি খাতের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল কিছুটা কমাতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের এখনও অনেক বকেয়া রয়েছে।

গ্যাস বিল, সরকারিবেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল, ভারতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল সব কিছু মিলিয়ে পিডিবির বকেয়া টাকার পরিমাণ ৩৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বকেয়া অর্থ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, এখন অন্যতম প্রধান সমস্যাই অর্থ সংকট। তাই অন্য খাতে কমিয়ে এখানে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হবে। তেল-চালিত কেন্দ্রগুলো বেশি চালাতে হবে। ডলার জোগাড় করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে। ১৫ শতাংশ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গ্যাস রেশনিং করতে হবে। তবেই লোডশেডিং এর সংকট সমাধান হতে পারে।

জ্বালানিতে আমদানি নির্ভরতা 

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খাতে পলিসিগত যে ভুল সবচেয়ে ভয়াবহ হয়েছে সেটা হলো পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা শক্তিশালী অর্থনীতির বিবেচনায় আমদানি নির্ভর করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার অর্থনীতির একটি ভ্রান্ত ধারণার উপর ভিত্তি করে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে। এসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গ্যাসের পাশাপাশি তেল ও কয়লার ব্যবহার বেড়েছে।

এই জ্বালানির বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর আগে সরকার কখনো নিজেরা প্রাথমিক জ্বালানির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অথবা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের দিকে গুরুত্ব দেয়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানির এই আমদানি নির্ভরতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। যা সরাসরি ডলারের ওপর চাপ তৈরি করেছে। আমদানি নির্ভরতার সংকটের দৃষ্টান্ত হিসেবে ২০২২-২৩ সালকে উল্লেখ করছেন বিশ্লেষকরা। জ্বালানি আমদানির জন্য অতিরিক্ত ১৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয় ওই বছর।

এ খাতের সংকট নিরসনে সরকারকে অগ্রাধিকার-ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। যতটুকু অর্থ দিয়ে সরবরাহ বজায় রাখা যায় তা দিতে হবে। 

অপরিকল্পিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও সরবরাহ লাইন না থাকা

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা এ খাতকে চরম অব্যবস্থাপনার খাত হিসেবে অভিহিত করেন।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের হিড়িক পড়ে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন পাস করে এগুলোকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়। এ আইনের অধীনে দরপত্র ছাড়াই একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। ব্যবসায়ীরা ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতারাও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা নেন।

অনেক পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করা হলেও সেগুলো থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ অর্থের অভাবে গ্যাস ও তেল কেনা যাচ্ছে না। এরকম বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চুক্তি স্থগিত বা রিনিউ করা হয়নি।

দেশের দক্ষিণে চারটি বড় বড় কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এগুলো হলো পায়রা, রামপাল, এস আলম এবং মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এগুলোর মোট উৎপাদন সক্ষমতা পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ লাইন না থাকার কারণে এগুলো থেকে বিদ্যুৎ ঢাকার দিকে আনা যাচ্ছে না। অথচ তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়।

তারা বলছেন, এখন ক্যাপাসিটির অসুবিধা নেই। কিন্তু সরবরাহ লাইনের সীমাবদ্ধতা আছে। ফলে উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ৬০ শতাংশ জ্বালানি আমদানি করার কারণে এই সেক্টর বেশি প্রভাবিত বলে জানান জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার চরিত্রে চিত্রনায়িকা নিপুণ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বায়োপিক সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন কিংবদন্তি গীতিকার-প্রযোজক ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ২০১৩ সালে নির্মিত আপসহীন শিরোনামের সিনেমাটিতে গোপনে শুটিং করেছেন অভিনেত্রী নিপুন আক্তার। এবার ১১ বছর পর তা আলোর মুখ দেখতে চলেছে।

সিনেমাটির মুক্তি পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতা হেলাল খান। এ সিনেমায় তিনি জিয়াউর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিনেমাটি মুক্তির ব্যাপারে অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে একবার দেখা করতে চান।

তিনি বললেন, ম্যাডাম অসুস্থ। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে কথা বলাটা ঠিক হবে না। তিনি সুস্থ হলেই ছবিটি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করব। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।

এদিকে, ব্যক্তিজীবনে আওয়ামী লীগের সমর্থক নিপুণ আক্তার। ছবিটিতে যুক্ত হওয়ার নেপথ্যের ঘটনা জানিয়ে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, একদিন গাজী মাজহারুল আনোয়ার আঙ্কেল আমার বাসায় আসেন। ছবিটির কথা জানালেন। তখন শাহ আলম কিরণ ভাইয়ের ৭১-এর মা জননী ছবির শুটিং চলছে। আমাকে আঙ্কেল বললেন, চলচ্চিত্রটি ম্যাডাম খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে।

আমাকে তার চরিত্রেই রূপদান করতে হবে। জানতে চাইলেন, আমার আপত্তি আছে কিনা? জানালাম, অভিনেত্রী হিসেবে ম্যাডামের চরিত্রে অবশ্যই অভিনয় করা উচিত। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে রাজপথে সরব। আমি রাজি হওয়ায় আঙ্কেল খুব খুশি হলেন।

জানালেন, আমার আগে জয়া আহসান ও নুসরাত ইমরোজ তিশার কথা উঠেছিল। তবে গাজী আঙ্কেলই হেলাল ভাইকে বলেছিলেন, নিপুণ হলে ম্যাডামের চেহারার সঙ্গে দারুণ মিলবে। সিনেমাটি নিয়ে প্রয়াত পরিচালক মাজহারুল আনোয়ারের অনেক স্বপ্ন ছিল বলে জানান তার ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল।

তিনি বললেন, আমরা পারিবারিকভাবেও উদ্যোগ নিয়েছি বাবার সব সৃষ্টি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। বাবার নির্মিত শেষ চলচ্চিত্র এটি। দর্শক দেখলে বাবার আত্মা শান্তি পাবে।

এটা শুধু যে একটা চলচ্চিত্র তা কিন্তু নয়, একই সঙ্গে সফল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার বায়োপিক। দেখলে দর্শক জানতে পারবে দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা, ত্যাগ ও মহিমার কথা।


আরও খবর
আমি কেন ভয়ে থাকব: মাহিয়া মাহি

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভিসা জটিলতায় পরীমণি

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২২৮

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হলো ৭৪ জনের। এদিন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২৮ জন।

যার মধ্যে ঢাকার ১২০ জন, চট্টগ্রামের ৫০ জন, বরিশালের ৪২ জন, খুলনার ৯ জন, ময়মনসিংহের ছয় ও রাজশাহীর এক জন।

বুধবার ২৩৩ রোগী শনাক্তের সংবাদ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এদিন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ১৩৮ জন পুরুষ ও ৯০ জন নারী।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৯৩০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা চার হাজার ৪৫৩ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন চার হাজার ৪৭৭ জন।

দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ও মৃত্যুবরণ করেছেন। বছরের বিভিন্ন সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে এডিস মশাবাহী এই রোগে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। সে বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।


আরও খবর
সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ পর্যায়ে যেতে পারে ডেঙ্গু

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪