আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিলেন মা-ভাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের উত্তরপদেশের হাপুরে অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণীকে জঙ্গলে নিয়ে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হন ভুক্তভোগী তরুণী। এনিয়ে তার পরিবার অনেক ক্ষিপ্ত ছিলেন। তারা তরুণীর কাছে গর্ভের সন্তানের বাবার পরিচয় জানতে চায়। তবে তরুণী এ নিয়ে কোনো কিছু বলেনি।

এরপরেই ২১ বছর বয়সী ওই তরুণীর মা ও ভাই তাকে এক জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং তার শরীরে আগুন দেয়। ওই বনে থাকা কয়েকজন কৃষক তরুণীর চিৎকার শুনে তাকে বাঁচাতে আসেন। ততক্ষণে তরুণীর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তারাই তরুণীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

বর্তমানে ওই তরুণীকে মেরুতে দেশটির সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যে তরুণীর মা ও ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। হয়তো দুএক দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ও সময় (তফসিল) ঘোষণা করবে। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন ও মহাসড়ক বিভাগের বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির শুভ উদ্বোধনসহ প্রধানমন্ত্রী তাঁর নামে নামকরণ করা শেখ হাসিনা স্বরনী (পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে) এবং চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি স্থাপনা ও ঘরের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকে নির্বাচনে আসতে চায়না। কারণ, যারা ৩০টি সিট পেয়েছিল (২০০৮ সালে) স্বাভাবিক ভাবে তাদের নির্বাচনে আসার কোন আকাঙ্খাই থাকবে না। নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আবার বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলাই তাদের চেষ্টা।

তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ৯ হাজার ৯৯৫টি অবকাঠামো নির্মাণ সমাপ্ত কাজের উদ্বোধন এবং ৪৬টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ১০১টি প্রান্ত ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিল।

প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৬৪৪টি বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৫৩৯৭টি গৃহ নির্মাণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি এদেশের মানুষ একটু শান্তিতে ছিল, স্বস্তিতে ছিল, উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে এই অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস-জালাও পোড়াও। গাড়িতে আগুন বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা ঠিকভাবে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারছে না। তাদের লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে। অথচ বিএনপির আমলে যেখানে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৫ ভাগ সেখান থেকে বর্তমানে আমরা সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬ ভাগে উন্নীত করেছি। আজকে সমস্ত ছেলে-মেয়ে, প্রায় ৯৮ ভাগ ছেলে-মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। সেসব কিছু আজকে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের শুভবুদ্ধির উদয় হবার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমি এটুকু বলবো যে ওদের সুমতি হোক। এই ধ্বংসযজ্ঞ তারা বন্ধ করুক। অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করুক।

অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশবাসীকেও বলবো যে এই অগ্নিসন্ত্রাস আপনাদের প্রতিরোধ করতে হবে। সকলেরই জানমাল আছে। ২০১৩,১৪ ও পরবর্তী সময়ে যে অগ্নিসন্ত্রাস, ভূক্তভোগীদের যন্ত্রণা ও কষ্ট আমরা দেখেছি। কাজেই এই ভোগান্তি যেন মানুষের আর না হয়। অনুষ্ঠানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং খাদ্য মন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি তা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সে জন্য সরকারের ধারাবাহিকতাও প্রয়োজন।প্রধানমন্ত্রী সরকারের ধারবাহিকতা রক্ষার প্রয়োজন হিসেবে তাঁর ৯৬ থেকে ২০০১ পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দু:শাসনের চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ৯৬ সালে তিনি সরকারের এসে দেশকে খাদ্য ঘাটতির একটি দেশ হিসেবে পেয়েছিলেন, ৪০ লাখ মেট্রিক টন ছিল খাদ্য ঘাটতি। উৎপাদন হতো ৬৯ বা ৭৯ লাখ মেট্রিক টন। সে সময় তাঁর সরকার গবেষণা ও খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে আলাদা বরাদ্দ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলে। সে সময় চালের দাম ছিল মাত্র ১০ টাকা। মূল্যস্ফীতি ছিল ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। যখন তাঁর মেয়াদ শেষে দেশে প্রথমবারের মত শান্তিপূর্ণ ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তখন ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য দেশে উবৃত্ত রেখে যান। পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশকে আবার খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করে। দেশের গ্যাস বিক্রির দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে রাজি না হওয়ায় ভোট বেশি পেলেও পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এরপর বাংলাদেশে দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-বাংলাভাই-বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, একইসাথে ৫শ জায়গায় বোমা হামলা-এগুলো বাংলাদেশের মানুষকে মোকাবেলা করতে হয়। ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের পর থেকে ৭১ এর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতার ন্যয় বর্বরতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীও এরকম নির্যাতনের শিকার হয়। আইনজীবী হত্যা, জেলা জজকে বোমা মেরে হত্যা এমনকি ছয় বছরের ছোট্ট রজুফাও গ্যাং রেপ থেকে রেহাই পায়নি। অনেক মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এদের বিরুদ্ধে মামলা করায় ভিটিমাটি থেকে উৎখাত হতে হয়। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। আর এই অবস্থার জন্যই দেশে জরুরি অবস্থা আসে।

২০০৮ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে যেখানে বিএনপি ৩০ আসন পেয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় যখন নির্বাচন বানচালের অনেক চেষ্টা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে। এরপর ২০১৮র নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটায় তারা।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা জনগণের ভোটেই বারবার নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগ কোনদিন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া সরকার গঠন করে নাই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য আইনকরে নির্বাচন কমিশন গঠন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন তথা নির্বাচন ব্যবস্থার যাবতীয় সংস্কার আওয়ামী লীগের প্রস্তাবেই করা হয়েছে। কারণ, রাতের অন্ধকারে অস্ত্র তুলে ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আজ দেশের যে প্রভূত উন্নয়ন তা দীর্ঘসময় একটানা ক্ষমতায় থাকতে পারার জন্যই বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে সক্ষমতা ১৬শ মেগাওয়াট ছিল তা বর্তমানে ২৮ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে উন্নীত হয়েছে। প্রতি ঘরে বিদ্যুতের আলো জে¦লেছে সরকার। অথচ তাঁর সরকার ৯৬ সালে পাওয়া ১৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকে উৎপাদন বাড়িয়ে ক্ষমতা ছাড়ার সময় ৪ হাজার ৩শ মেগাওয়াটে রেখে যায়। কিন্তু পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকার এক ইউনিটও উৎপাদন না বাড়িয়ে উল্টো বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৩ হাজার মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের সাড়ে ১৪ বছরে আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে আর কেউ অবহেলার চোখে দেখে না। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সেই মর্যাদাটা আমরা আবার ফিরিয়ে আনতে পেরেছি যেটা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর আমরা পেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ায় কাজ করে যাবার আহবান জানান।

১১টি জেলাকে ও ৬০টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীণ মুক্ত ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলায় কেউ ভূমিহীন-গৃহহীণ থাকবে না, তাঁর এই অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ১১টি জেলা ও ৬০টি উপজেলা সম্পূর্ণ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত বলে ঘোষণা করেন। জেলাগুলো হচ্ছে- টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী, সিলেট ও মৌলভীবাজার। এনিয়ে দেশের মোট ভূমিহীন ও গৃহহীণ মুক্ত জেলার সংখ্যা দাঁড়ালো ৩২টি এবং উপজেলার সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯৪টি।


আরও খবর
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




পদত্যাগপত্র জমা দিলেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় গতবারের মতো এবারও মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে দুজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী রোববার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মোট সদস্য ৪৭ জন। এরমধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী। তিনজনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে মন্ত্রিসভায় সদস্য সংখ্যা হবে ৪৩ জন। এরমধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী।

ইয়াফেস ওসমান বলেন, এবারও গতবারের মতো হবে। তিনি এর বেশি কিছু জানাতে রাজি হননি। কখন পদত্যাপপত্র দিচ্ছেন, জানতে চাইলে বলেন, এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেনে নিন।

অন্যদিকে মোস্তাফা জব্বার বলেন, গতবার আমরা যা করেছি, এবারও সেটাই হবে। বাকিটা আপনারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেনে নিন।

সংসদ সদস্য নন প্রধানমন্ত্রীর এমন উপদেষ্টারাও পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ওই বছরের ৮ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দেন। ওইদিনই বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে চার মন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় এক মাস পর অর্থাৎ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর ঠিক আগের দিন।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীসহ ২৯ সদস্যের নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এরমধ্যে ২১ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ৭ জন। ওই মন্ত্রিসভায় মহাজোট সরকারের ১৬ মন্ত্রী ও ১৪ জন প্রতিমন্ত্রীর বাদ পড়েন। নিয়োগ দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর আরও দুই উপদেষ্টা।

নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জন্য ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তারিখবিহীন পদত্যাগপত্র জমা দেন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা। রাষ্ট্রপতি যে পদত্যাগপত্রগুলো গ্রহণ করেন তারাই নির্বাচনকালীন সরকারে স্থান পাননি। ওই মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদের ৬ জন মন্ত্রী ও দুজনকে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




আজ নরসিংদী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১৯ বছর পর নরসিংদী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১২ নভেম্বর) বিকেলে জেলার মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়ামে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। এসময় তিনি প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা নরসিংদী। এসএসএফ, র‌্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নরসিংদীতে অবস্থান করছেন। স্টেডিয়াম ও আশপাশের এলাকা, পলাশের ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সার খারখানা এলাকায় নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রবেশ পথগুলোতে সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে।

জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, জনসভাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ পুরো জেলায়। প্রধানমন্ত্রী বেলা সাড়ে ১১টায় পলাশের ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন। পরে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে তার। দুপর আড়াইটায় নরসিংদী সার্কিট হাউজে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নিবেন। বিকেলে নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়ামে বসে অনলাইনে ৪৭ কোটি ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ১২৬ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাকি ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।

নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, নরসিংদীতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের চিঠি পাওয়ার পরই সরকারের সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মঞ্চ ও হ্যালিপেড তৈরি, রাস্তাঘাটের সংস্কার কাজসহ পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিএম তালেব হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। সকল মতভেদ ও মান-অভিমান ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নরসিংদীর সর্বস্তরের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে।


আরও খবর
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




ইসরায়েলি জাহাজ আটক করেছে হুতি বিদ্রোহীরা

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর থেকে ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি জাহাজ আটক করছে। হুতিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের জবাবে তারা জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই কথা জানানো হয়।

হুতি বিদ্রোহিদের একজন মুখপাত্র আল জাজিরাকে জানায়, তাদের যোদ্ধারা ব্রিটিশ ও ইসরাইলের একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং জাপানিজদের দ্বারা পরিচালিত জাহাজ জব্দ করেছে।  গ্যালাক্সি লিডার নামের ওই পণ্যবাহী জাহাজে ২২ জন সদস্য ছিল। এটি তুরস্ক থেকে ভারত যাচ্ছিল।

এদিকে ওই জাহাজে যারা ছিল তাদের জিম্মি করেছে হুতি বিদ্রোহীরা। তবে হুতির মিলিটারি শাখার মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, আমরা জিম্মিদের সঙ্গে ইসলামি শরীয়াহ অনুযায়ী আচরণ করছি।  তিনি আরও বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি ভাইদের পাশে দাঁড়াতেই এই অভিযান পরিচালনা করেছি। একই সঙ্গে হুতিরা গাজা এবং পশ্চিম তীরে হামলা বন্ধের আহ্বান জানায়।

আরও পড়ুন>> ইসরায়েলে যেভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন নেতানিয়াহু

অন্যদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ও দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই জাহাজের মালিকানা বা পরিচালনার সঙ্গে ইসরাইলের কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি নাবিকদের মধ্যেও কোনো ইসরাইলি নেই।

ইসরাইল এটিকে ইরানের সন্ত্রাসবাদী কর্মকা- বলে দাবি করে বলে এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে ইরান বিশ্বের মুক্ত নাগরিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।

তবে ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার এই ঘটনার সঙ্গে তেহরান কোনোভাবে জড়িত নয়। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েল ঢালাওভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে মিললো ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে ৩ মাস ২০ দিন পর এবার ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। সঙ্গে মিলেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়নাও।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এখন চলছে গণনার কাজ। এতে প্রায় ২০০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছে।

ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আটটি দানবাক্স থাকলেও এবার আরও একটি দানবাক্স বাড়ানো হয়েছে। দানের পরিমাণ বাড়ায় এখন পাগলা মসজিদের দানবাক্সের সংখ্যা ৯টি।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ১৯ আগস্ট মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তায় রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।

এর আগে ৬ মে রমজানের কারণে চার মাস পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ১৯টি বস্তায় রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া যায়। এছাড়া চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ৩ মাস ১ দিন পর দানবাক্স খুলে ২০টি বস্তায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া যায়।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৯টি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে। এতে ২৩ বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় নেওয়া হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।

টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাশিতা-তুল ইসলাম, তানিয়া আক্তার, নাবিলা ফেরদৌস, মাহমুদা বেগম সাথী, ফাতেমা-তুজ-জোহরা, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদরাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।

পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্র জানিয়েছে, মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।

জানা যায়, মসজিদটিকে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর