যুক্তরাষ্ট্রের ৫০০ নাগরিকের ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মস্কোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার জবাবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া।
গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে জো বাইডেন
প্রশাসন। এর প্রতিক্রিয়ায় ৫০০ মার্কিনির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন<< আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
এ তালিকায় ওবামা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের
জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক স্টিফেন কোলবার্ট, জিমি কিমেল এবং শেথ মেয়ার্স রয়েছেন। আরও রয়েছেন
সিএনএনের উপস্থাপক ইরিন বুরনেট, উপস্থাপক র্যাচেল ম্যাডো। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের
কয়েকজন সিনেটর, কংগ্রেসম্যান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের যুক্ত করেছে মস্কো।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও
বলা হয়েছে, যেসব মার্কিনি রুশবিরোধী মনোভাব পোষণ করেন এবং তা ছড়াতে ভূমিকা রাখেন, তাদের
বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে জড়িত মার্কিনিদের
নামও তালিকায় রাখা হয়েছে।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা বারাক
ওবামা, স্টিফেন কোলবার্ট, জিমি কিমেলসহ ওই ৫০০ মার্কিন নাগরিক রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ
করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন<< ভারতে ২ হাজার রুপির সব নোট প্রত্যাহারের নির্দেশ
জি-৭ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন (বাঁ থেকে)
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি,
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জাপানের
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ
শলৎজ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা
ভন ডার লিয়েন।
আরও পড়ুন<< চীনে রাস্তা থেকে গাড়ি ছিটকে পড়ে ১১ জনের মৃত্যু
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা
শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা মস্কোর বিরুদ্ধে একের
পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়া পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মূলত অর্থনৈতিকভাবে
চাপে ফেলতে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শতাধিক রুশ
ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। একই
দিন পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ৫০০ মার্কিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মস্কো।