আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার সঙ্গে নেই : কাদের মির্জা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার সঙ্গে নেই, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ আমার সঙ্গে নেই, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ আমার সঙ্গে নাই, ডিসি, এসপি আমার সঙ্গে নেই। তবে আমার সঙ্গে জনগণ আছে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়রপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার সঙ্গে নেই, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ আমার সঙ্গে নেই, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ আমার সঙ্গে নাই, ডিসি, এসপি আমার সঙ্গে নেই। তবে আমার সঙ্গে জনগণ আছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেন, আমি অসুস্থ, মরে যাব; এ কথাগুলো শুনলে আমি দুর্বল হয়ে যাই। তোদের ওপর আল্লাহর গজব পড়ুক কেন্দ্রীয় থেকে এ পর্যন্ত যারা এগুলো করছে। চারদিকে বারুদের গন্ধ পাই, অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনি, যে কোনো সময় আমার জীবন বিপন্ন হতে পারে। আপনারা আমাকে কবর দিয়ে আসবেন। পত্রপত্রিকা আসলগুলো লেখে না, এডিট করে আমার কথা বিকৃত করে। এগুলো প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের মন্ত্রীর নিকট পাঠিয়ে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে। পনেরো আনা মানুষ আমার প্রশংসা করে এক আনা মানুষ আমার সমালোচনা করে। আমি নির্বাচনকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে নিয়েছি।

রবিবার (১০ জানুয়ারি) বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ৯নং ওয়ার্ড হাজীপাড়ায় এক পথসভায় এসব কথা বলেন।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে পাগল ও উন্মাদ বলেছেন তিনি গোপালগঞ্জের এমপি। যেখানে ৯৯ পারসেন্ট মানুষ আওয়ামী লীগ করেন। তিনি তো নিজের যোগ্যতায় এমপি হননি। আওয়ামী লীগ করেন, সে কারণে এমপি হয়েছেন। তিনি আগে মন্ত্রী ছিলেন এবার মন্ত্রীও হতে পারেননি, কেন বাদ পড়েছেন? দায়িত্বশীল নেতাদের উচিত খবর নিয়ে কথা বলা।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবকে আগামীতে জিততে হলে আরও সতর্ক হতে হবে। নিজের বউকে সামলাতে হবে। সঙ্গে যারা চলে, তাদের ওপর নজর রাখতে হবে, কে কোথায় থেকে মাসোয়ারা নেয় সে দিকেও লক্ষ রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব ঘরে ঘরে চাকরি দেবেন বলেছেন, সে চাকরি এখন কোথায়? এ কথা বললে আমি পাগল, উন্মাদ। শরম যদি লাগেগো...ঘোমটা দিয়ে চলগো বলে একটা ছন্দ বলেন মির্জা। কাদের সাহেব আমাকে এগোতে দেননি। অসুস্থ হলে ঢাকায় ভর্তি হতে গেলে তিনি আমাকে চট্টগ্রাম ভর্তি হতে বলেন। ঢাকায় ভর্তি হলে যদি আমি বড় নেতা হয়ে যাই।

তিনি আরও বলেন, নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, জেলা নির্বাচন অফিসার আজ ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের নেতাদের অনেকের গায়ের জোর ও বল সবসময় থাকবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমার আবেদন, আপনার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছেন, আপনি পারবেন এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার দিতে। সম্রাট, জিকে শামীম ও পাপিয়াদের পৃষ্ঠপোষকদের বিচার করতে হবে। তাহলে দেশে শান্তি আসবে, দেশ স্বাভাবিক হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়তে পারব।

সরকারের নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে এমপি থেকে ইউনিয়ন মেম্বার পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি কেউ মাদকসেবী ও নারী কেলেংকারি হলে দলের মনোনয়ন যাতে না পায় এবং দলের কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত কোনো পদে কেউ আসতে পারবে না। এ ঘোষণার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি চাকরি দেওয়ার সময় ডোপ টেস্ট করতে হবে।


আরও খবর



ব্যারিস্টার খোকনকে বারের সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণে বারণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে চিঠি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

বুধবার (২৭ মার্চ) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামন্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ১০ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আপনাকে/আপনাদের এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি/ আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহন থেকে বিরত থাকবেন। আপনি/আপনারা দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০টি পদে আওয়ামী লীগের প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

গত ১০ মার্চ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবুল খায়ের এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী বিএনপির অন্য তিনজন হলেন, সৈয়দ ফজলে এলাহী অভি, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম।

আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে বিজয়ী অন্য ৯ জন হলেন, সহসভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার, সহ সভাপতি পদে ড. দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হোসেন, ট্রেজারার পদে  মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনছারী, সহ-সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সহ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির (পল্লব)। সদস্য পদে বিজয়ী চারজন হলেন, রাশেদুল হক খোকন, মো. রায়হান রনী, মো. বেল্লাল হোসেন (শাহীন) ও খালেদ মোশাররফ (রিপন)।


আরও খবর



মার্কিন সিনেটে ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা বিল পাস

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন সিনেটে পাস হল ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে বৈদেশিক সহায়তা বিল। কয়েক মাস বিলম্বের পর মঙ্গলবার সহজেই বিলটি পাস হল। এর ফলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনকে নতুন করে তহবিল জোগান দেওয়ার পথ সুগম হল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান ও ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন অংশীদারদের ৯৫ বিলিয়ন (৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের প্রধানত সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে চারটি বিল পাস হয়। বিলগুলো ৭৯-১৮ ভোটে অনুমোদিত হয়।

এর আগে গত শনিবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতারা এসব বিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান আকস্মিকভাবে বদলে ফেলেন ও ভোটাভুটিতে সেগুলো পাস করেন।

সিনেটে বিল চারটি একটি প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করে উপস্থাপন করা হয়। প্রথম বিলে ইউক্রেনে জরুরিভিত্তিতে তহবিল জোগানের লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের ৬১ বিলিয়ন (৬ হাজার ১০০ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় বিলে ইসরায়েলকে ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতকবলিত অঞ্চলের বেসামরিক লোকজনকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬০০ কোটি) ডলার এবং তৃতীয় বিলে ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায়’ ৮ দশমিক ১২ বিলিয়ন (৮১২ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চতুর্থ বিলটি গত সপ্তাহে ওই প্যাকেজে যুক্ত করে প্রতিনিধি পরিষদ। এ বিলে চীনা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনে জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ স্থানান্তরে পদক্ষেপ নেওয়া ও ইরানে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের জন্য বিলগুলো তার কাছে পাঠানো হবে। তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো মূলত আইনে পরিণত হবে।

দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, বিলগুলো টেবিলে পৌঁছানোর পর দ্রুত সেগুলো সই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।


আরও খবর



ব্রয়লারের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা।

শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২০৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারগুলোতে সোনালির কেজি ৩৪০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৪০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

ঈদের আরেক প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য পোলাওয়ের চাল। রমজান মাসের শুরু থেকে ১-২ টাকা করে বেড়ে এখন খোলা চিনিগুড়া ১২৫ থেকে মানভেদে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত চাল ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ওদিকে পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পেঁয়াজ ও আলু আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ৬০ টাকা এবং আলু ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুর মুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, ক্ষীরা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রোকলি ৩০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলার হালি বিক্রি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ডাবল মার্ডার থেকে মুক্তি পাওয়া ফুটবলার সিম্পসনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রাক্তন স্ত্রী ও বন্ধুর হত্যা মামলা থেকে মুক্তি পাওয়া সাবেক আমেরিকান তারকা ফুটবলার ও অভিনেতা ওরেনথাল জেমস সিম্পসন প্রোস্টেট ক্যান্সারে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

সিম্পসন কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে প্রো ফুটবল হল অফ ফেম। সিম্পসনের পরিবার জানায়, মৃত্যুর সময় তার সন্তান এবং নাতি-নাতনিরা পাশে ছিলেন। খবর বিবিসির।

১৯৯৫ সালে প্রাক্তন স্ত্রী নিকোল ব্রাউন এবং তার বন্ধু রন গোল্ডম্যানকে হত্যার মামলা থেকে ওজে সিম্পসনের বেকসুর মুক্তি মিললে বিষয়টি তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ১৯৯৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে ব্রাউনের বাড়ির বাইরে এই দম্পতিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সিম্পসনকে।

২০০৮ সালে তাকে সশস্ত্র ডাকাতির অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে তিনি জেল থেকে ছাড়া পান। সান ফ্রান্সিসকোতে জন্মগ্রহণকারী সিম্পসন এনএফএলে খেলার আগে কলেজে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।


আরও খবর



বিচারককে হেয়প্রতিপন্ন : খুলনার এক পিপিকে হাইকোর্টে তলব

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আদালত অবমাননা এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে বিচারকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হেয়প্রতিপন্নমূলক বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও প্রকাশ করায় ব্যাখ্যা দিতে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম পলাশকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী ৭ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ঘটনায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিতভাবে এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

এর আগে গত ৩১ মার্চ খুলনা মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক তরিকুল ইসলাম তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে মিথ্যা ও হেয়প্রতিপন্নমূলক ভিডিও প্রকাশ এবং আদালতে অশালীন আচরণের ঘটনায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি দেন।

চিঠিতে বলা হয়, একটি মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত কক্ষে আইনজীবী  জহিরুল ইসলাম পলাশের সঙ্গে কিছুটা বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ কারণে ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমি মামলাটি না শুনে চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিই। তখন জহিরুল ইসলাম পলাশ বলে উঠেন, আপনি আমাকে না শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন? আমি বললাম, এটা কোর্টের প্রসিডিউর, যেহেতু আপনার সাথে কিছুক্ষণ আগে আমার কিছুটা বাগ্‌বিতণ্ডা হলো। তখন প্রত্যুত্তরে উচ্চস্বরে তিনি বললেন যে, আপনার চেয়ে আমি এই বারে আগে আসছি। আমি প্রসিডিউর ভালো বুঝি। আপনার ব্যবহার সবচেয়ে খারাপ। আপনি অনিয়ম করেন। আমরা খুলনা বারে ২০০০ জন আর আপনারা মাত্র ৫০ জন। আমি আপনাকে চিনি। আপনার বাড়ি চিতলমারী। আমার বাড়িও চিতলমারী। আমি... (অমুক) এর ছেলে। আপনাকে আমি ভালো করে চিনি। আপনার বিরুদ্ধ আমি চিফ জাস্টিসের কাছে যাব। আপনি আমাকে ইংলিশ শোনান। বারের প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারিতে কাজ হবে না। এমন অনেক বিচারক ছিলেন যারা এখান থেকে বিদায় নিয়ে যাওয়ারও সময় পায় নাই, এটা মনে রাইখেন। আপনি আপনার ফিউচারের জন্য প্রস্তুত থাকেন। উচ্চস্বরে এমন বক্তব্য প্রদান করার পর তিনি আমার এজলাস ত্যাগ করেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাদীপক্ষের আইনজীবীর এমন আচরণে বিব্রতবোধ করায় বিজ্ঞ আইনজীবী মামলাটি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা মহোদয়ের নিকট বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ করি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আইনজীবী জহিরুল ইসলাম পলাশ সেদিনই সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে First NewsBD 24 নামের একটি পেজে লাইভে আসেন এবং আদালতে ঘটে যাওয়া ঘটনার সত্যতা ও কোর্ট প্রসিডিউরকে পাশ কাটিয়ে বিষয়টি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেন। ওই বিষয়টি গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক জানান যে, তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ওই আইনজীবী সোশ্যাল মিডিয়াতে তার প্রদত্ত ভিডিও চিত্র সেন্ড করেছেন। যা উপস্থিত খুলনা বিচার বিভাগে কর্মরত আমার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (মাননীয় মহানগর দায়রা জজ ও মাননীয় সিএমএম মহোদয়) ও অন্যান্য বিচারকরা জেনেছেন, শুনেছেন। ওই ভিডিওতে বিচারক হিসেবে আমাকে দুর্নীতিবাজসহ আরও অনেক বিষয়ে মিথ্যা, বানোয়াট এবং সম্মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।

পরে প্রধান বিচারপতি জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আবেদনটি হাইকোর্টে পাঠান। তার ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আজ শুনানির জন্য ওঠে।

নিউজ ট্যাগ: হাইকোর্টে রিট

আরও খবর