আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ওবায়দুল কাদেরকে ঘুম পাড়ানোর বিষয়ে মুখ খুললেন নায়িকা মিতু

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অভিনেত্রী জাহারা মিতু নাকি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে আসতেন। নায়িকা জাহারা মিতুর স্পর্শ ছাড়া ঘুমাতেন না ওবায়দুল কাদের এমন শিরোনামে একটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন জাহারা মিতু।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাসে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মিতু। তিনি লিখেছেন, ডিজিটাল যুগে সবকিছুর রেকর্ড থাকে। আমার বাসা থেকে বের হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ যেমন থাকবে, আমি কোথাও গেলে সেটারও রেকর্ড থাকবে। কললিস্টেরও রেকর্ড থাকে। এসব বুঝে-শুনে নিউজ করতে হয়।

দেশের সর্বোচ্চ একজন মন্ত্রীকে, মন্ত্রীপাড়ায় প্রতিদিন ঘুম পাড়ানোর নিউজ কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ সবজি সেবনের ফলেই লেখা যায়। এর থেকে হাস্যকর নিউজ আমি আমার বাপের জন্মে দেখিনি। সত্যিই দেখিনি।

এত হেসেছি আমি নিজে, মানুষ আর কতটুকু হাসবে। কোনো সোর্স নেই, আমার বক্তব্য নেই, কোনো প্রমাণ নেই। আর আমার নাম ডিরেক্ট লিখে দিলেন?

এছাড়াও জাহারা মিতু লিখেছেন, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির নামে ভিউ বলে, ভিউবাণিজ্যে এতটা নিচে নামলেন? একবার ভাবলেন না, মেয়েটা আসলেই কোনোদিন ওই ভাইয়ের সঙ্গে একা দেখা করেছে কিনা? খবর নিয়ে দেখেন ভাইয়েরা।

এটুক একটু বের করেন প্লিজ। নিজেদের সাংবাদিক দাবি করেন? সত্যিই দাবি করেন? আজ থেকে আর কইরেন না। আমি চুপচাপ আমার মতো থাকি, থাকতে দেন। কবিতো নীরবই ছিল, মুখটা খুলাইলেন ক্যান?

সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে ডেবিউ হয় জাহারা মিতুর। উপস্থাপনা থেকে টিভি নাটকও করেছেন। কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও আলোচনায় উঠে আসেন শাকিব খানের সঙ্গে আগুন ও কলকাতার নায়ক দেবের সঙ্গে কমান্ডোতে স্ক্রিন শেয়ার করে।


আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




স্বাধীন কমিশন গঠন করে পিলখানা হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের দাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০০৯ সালে সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনা পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। এজন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনেরও দাবি তাদের।

সোমবার (১৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এ দাবি করেন।

বিবৃতিতে দলের দুই শীর্ষনেতা বলেন, ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানার বিয়োগান্তক ঘটনাটি যে দেশ ও দেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল, তা ভিক্টিমদের কথায় আবারও উঠে এসেছে।

তারা বলেন, সেদিন ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সাহসী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন মানুষ প্রাণ হারান। বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিনে এত বেশি সংখ্যক সেনা কর্মকর্তার নিহতের ঘটনা আর কখনও ঘটেনি।

এর আগে, তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একই দাবি জানান। রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, অনেক দেশপ্রেমিক, সাহসী সেনা কর্মকর্তা বিচার চাইতে গিয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। অনেক কর্মকর্তার জেল হয়েছে, জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে একটি কমিশন করা হোক। যেসব নির্দোষ সৈনিক জেলে আছেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের মুক্তি দেওয়া হোক। গত ১৫ বছরে যে তদন্ত হয়েছে, সেটি তিনি মানেন না। বলেন, স্বাধীন তদন্ত কমিটি করা হলে আরও অনেকের নাম আসবে। পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার স্ত্রী ও স্বজনরাও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় বিদ্রোহ হয়। সেদিন বিডিআরের কয়েকশ সদস্য পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালান। প্রায় দুই দিনব্যাপী চলা বিদ্রোহে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


আরও খবর



ভারতে পালাতে চাওয়া ১১ বাংলাদেশিকে সুন্দরবনে রেখে পালিয়েছে দালাল

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দলীয়প্রধান দেশ ছাড়ার পর আত্মোগোপনে চলে গেছেন আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মী। অনেকে গোপনে দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়েরও পরিকল্পনা করেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে সুন্দরবনে আশ্রয় নেন পাঁচ শিশুসহ ১১ বাংলাদেশি। পরে বন বিভাগের কর্মীদের হাতে ধরা পড়েন তারা। বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে তাদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।

ঠিক সেভাবে ভারতে পালানোর জন্য দালালের সঙ্গে চুক্তি করেন একদল বাংলাদেশি। তবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে না দিয়ে শেষ পর্যন্ত সুন্দরবনে ফেলে রেখে পালিয়েছে দালাল। গত শনিবার (৩১ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকাল বাংলাদেশের এক প্রতিবেদনে এ জানানো হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বন বিভাগের হাতে আটক হওয়া সবার বাড়ি খুলনা। শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর অস্থিরতার মুখে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন তারা।

তাদের দাবি, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তারা পালাতে বাধ্য হন। এ জন্য ভারতে আসতে চেয়ে এক দালালের শরণাপন্ন হন তারা।

গ্রেপ্তার এক বাংলাদেশি মহিলার অভিযোগ, ভারতে পালাতে দালালের সঙ্গে তাদের ৪৫ হাজার টাকার চুক্তি হয়। তবে ওপারে নিয়ে জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যান তিনি।

জানা গেছে, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের টহলের সময় তাদের নজরে আসেন তারা। পরে তাদের সুন্দরবন কোস্টাল থানা হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ রয়েছেন। তাদেত হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ৬৩১, আহত ১৯ হাজারের বেশি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘাত-সহিংসতায় কমপক্ষে ৬৩১ জন ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি।

সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ চিত্র তুলে ধরেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল এবং এ ২১ দিনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮১ জন মারা গেছেন।

এ আন্দোলনে হতাহতদের পরিপূর্ণ তালিকা তৈরি করতে গত ১৫ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৬ হাজার জনের বেশি সারা দেশে সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং অন্তত তিন হাজার জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ও কমিটির প্রধান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করা চ্যালেঞ্জিং। কারণ তারা সরকারি হাসপাতালের মতো কঠোরভাবে ডেটা সংরক্ষণ করে না। কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা ভয়ে হাসপাতালে নাম রেজিস্ট্রি করতে চায় না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরও বলেন, এটি একটি খসড়া তালিকা। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এর ডেটা আরও আপডেট করছেন। কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে এ তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। সেখানে আরও বেশকিছু অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত থাকবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বেসরকারি ক্লিনিকে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারকে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে আহতের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চদুই হাজার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে প্রাণহানিও ঘটেছে সর্বোচ্চ। এ বিভাগে নিহত হয়েছেন ৪৭৭ জন। নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে কম বরিশালে একজন। চট্টগ্রাম ও খুলনায় নিহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৩ ও ৩৯ জন। যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের মধ্যে তিন হাজার ৪৮ জনের অবস্থা ছিল গুরুতর। তাদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়েছে। এ ছাড়া কমপক্ষে ৫৩৫ জন তাদের আঘাতের কারণে স্থায়ীভাবে শারীরিক অক্ষম হয়ে পড়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপতরের অধীনে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) আন্দোলনে আহত ও নিহতদের তালিকা তৈরি করছে।

জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রকৃত তালিকা করতে ওয়েবসাইট নির্মাণ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে দেশের সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে শহীদ ও আহতদের তথ্য ইনপুট দেবার সুযোগ রাখা হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি বলেছে, গণহত্যার প্রকৃত চিত্র আড়াল করতে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই কবর দেয়া হয়েছে। সনদে লেখা হয়েছে গুলিতে নিহত হয়নি এমন মিথ্যা তথ্য রয়েছে।


আরও খবর



সন্ধ্যার মধ্যে তীব্র ঝড়, সতর্কতা জারি

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ছয়টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘণ্টায় ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বুধবার দেশের ৫ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে এই সময়ে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।

তবে বুধবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান ও সাফিয়া তাসনিম খানসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, সাবেক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. হারুন অর রশীদ বিশ্বাস, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস মনির হোসেন ও শাফি মোদ্দাছির খান।

এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও অন্যদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তরে বদলি, পদোন্নতি, জনবল নিয়োগ ও কেনাকাটায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগটির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ ভ্রমণ রহিত করা প্রয়োজন।

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আট মন্ত্রী ও ছয় সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানান।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সাবেক মন্ত্রীরা হলেন- সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান ও সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সাবেক সংসদ সদস্যরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য সলিম উদ্দিন, মামুনুর রশিদ কিরণ, কুজেন্দ্র লালা ত্রিপুরা, কাজীম উদ্দিন, নুর-ই আলম চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান।


আরও খবর