আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ওজোপাডিকোতে বিশাল নিয়োগ, পদ সংখ্যা ১০০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জনবল নিয়োগের জন্যি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)। সুইচ বোর্ড অ্যাটেনডেন্ট (এসবিএ) শিক্ষানবিশ পদে জনবল নেবে প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)

পদের নাম: সুইচ বোর্ড অ্যাটেনডেন্ট (এসবিএ) শিক্ষানবিশ

পদের সংখ্যা: ১০০টি

বেতন: ২৩,০০০ টাকা (মাসিক)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাস হতে হবে।

চাকরির ধরন: শিক্ষানবিশ

প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ

বয়সসীমা: ১৮-৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধা বা শহিদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

আবেদন ফি:  ৫০০ টাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের অনুকূলে জমা দিতে হবে।

আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা এই https://wzpdcl.gov.bd/ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

আবেদনের সময়সীমা: আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ইং তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।


আরও খবর



১৭ দিনের রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষ, টানেল থেকে উদ্ধার ৪১ শ্রমিক

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশীতে ধসে পড়া সিল্কিয়ারা টানেলের ভেতর আটকে পড়া ৪১ শ্রমিকের সবাইকে সফলভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৭ দিনের রুদ্ধশ্বাস এক অভিযানে মঙ্গলবার তাদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলেছেন, শ্রমিকদের সবাই সুস্থ ও সবল আছেন।

এনডিটিভি বলছে, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর সিল্কিয়ারা টানেলের ভেতর থেকে শ্রমিকদের এক এক করে বের করে আনা হয়েছে। ১২ নভেম্বর থেকে আটকে থাকা শ্রমিকদের বের করে আনতে ৬০ মিটার লম্বা একটি পাইপ স্থাপন করা হয়। এই পাইপের মধ্যে দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি চাকাচালিত স্ট্রেচারে করে শ্রমিকদের বাইরে নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও উৎকণ্ঠার মাঝে ১৭ দিনের দুঃস্বপ্নময় এক যাত্রার পর বাইরের আলোর মুখ দেখছেন এই শ্রমিকরা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রথমে পাইপটি দিয়ে টানেলের ভেতরে যান বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন উদ্ধারকারীরা। কীভাবে চাকাচালিত স্ট্রেচারে করে বের হতে হবে সে ব্যাপারে আটকে পড়া শ্রমিকদের নির্দেশনা দেন তারা। এছাড়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করেন। এরপর তাদের স্ট্রেচারে শুইয়ে দেওয়া হয়। শোয়ানোর পর বাইরে থেকে স্ট্রেচার টেনে টেনে শ্রমিকদের বের করে আনা হয়।

ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যম বলছে, উদ্ধার কাজ ধীরে ধীরে পরিচালনা করা হয়; যাতে শ্রমিকরা বাইরে এসে আগে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেন। বর্তমানে সেখানকার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছিলেন, পাইপ স্থাপনের যেসব কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। নিষিদ্ধ র‌্যাট-হোল মাইনিং কৌশল ব্যবহার করে পাইপ স্থাপনের সর্বশেষ পর্বটি সম্পন্ন করা হয়। হাত দিয়ে পাইপ স্থাপন শুরুর আগে আমেরিকার তৈরি অগার ড্রিলিং মেশিন ব্যবহার করে ড্রিল করে পাইপের বেশিরভাগ অংশ বসানো হয়েছিল। কিন্তু গত শুক্রবার মেশিনটি ভেঙে যাওয়ার পর র‌্যাট-হোল মাইনিং সম্পর্কে জানা বিশেষজ্ঞ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাকি কাজ সম্পন্ন করেন।

এর আগে, টানেলের উদ্ধার অভিযানের সমন্বয়ক ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ আতা হাসনাইন বলেছিলেন, তারা শ্রমিকদের উদ্ধারের কাছাকাছি চলে এসেছেন। কিন্তু পুরো উদ্ধার অভিযান শেষ হতে বুধবার সারারাত লাগতে পারে। তবে তিনি সারারাতের কথা বললেও ওই সময় শ্রমিকদের বরণ করে নেওয়ার সব প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। যার মধ্যে ছিল জরুরি চিকিৎসাসেবাও।

শ্রমিকদের বের করার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায় সেজন্য টানেলের ভেতর একটি অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়। এছাড়া তাদের জন্য অক্সিজেন সেবাযুক্ত ৪১ বেডের একটি হাসপাতালও প্রস্তুত করে রাখা হয়।

দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, শ্রমিকরা সরকারি কর্মকর্তা এবং উদ্ধারকারীদের সঙ্গে হাসছেন, করমর্দন করছেন। ওই সময় শ্রমিকদের পুরো স্বাভাবিক দেখা যায়। শ্রমিকরা দাঁড়িয়েই অন্যদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন। এরপর তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে উত্তরাখণ্ডের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


আরও খবর



যতদিন চোরাগোপ্তা হামলা থাকবে ততদিন গ্রেফতার চলবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যতদিন চোরাগোপ্তা হামলা থাকবে, ততদিন গ্রেফতার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতারা যেভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করে, বিএনপি নেতারাও পালিয়ে গিয়ে সেইভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করছে। এখন দাবি উঠেছে প্রত্যেকটি সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার। তাই এ ধরনের চোরাগোপ্তা হামলা চলবে যতদিন, ততদিন গ্রেফতার অভিযান চলবে। সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বিএনপির অবরোধের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২৮ তারিখ কিছু করতে না পেরে এখন গার্মেন্টসের অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রমিক সংগঠনের যারা পরিচয় দিচ্ছে ওরা কেউ শ্রমিক না। আমাদের সরকার ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এক লাফে ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি। ওদের কোনো কোনো সংগঠন দাবি করেছে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। আরে বেটা, বিসিএস পাশ করে যখন জয়েন করে তখন বেতন পায় ২২ হাজার টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর এতগুলো পরীক্ষা দিয়ে যখন চাকরি শুরু করে বেতন শুরু হয় ২২ হাজার টাকায়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে ব্যাংকে যখন চাকরি শুরু হয় তখন পায় ২০ হাজার টাকা করে। তাই আগে ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে। ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করা হয়েছিল, হাসপাতালে হামলা করা হয়েছিল, অ্যাম্বুলেন্সসহ গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, সাপকে যেভাবে পিটিয়ে মারে তার চেয়ে জঘন্য কায়দায় একজন পুলিশকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। একজন সাংবাদিককে মাটিতে ফেলে যেভাবে সাপ পেটানোর মত পেটানো হয়েছে, সেটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড হতে পারে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, সেদিন ৩২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছিলেন। তারা আমাদের দলের নারী কর্মীদের কাপড় ধরে টানাটানি করেছিল। এরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চেয়েও জঘন্য। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী মানুষকে হত্যা করেছে, কিন্তু মানুষকে জীবন্ত মারেনি। কিন্তু এরা হেলপার ঘুমিয়ে আছে, সেই গাড়িতে আগুন ধরিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রুহুল কবির রিজভী সাহেব গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। যেভাবে আল-কায়েদার প্রধান গোপন থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করতো, এখন রিজভী সাহেবও ঠিক আল কায়েদার মত গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। অবরোধের নামে গাড়ি পোড়াতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ হচ্ছে তাদের কর্মসূচি।

তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন রেখেছেন, রিজভী সাহেব গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি দিচ্ছেন এবং গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে তারপরও কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না? এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ দেশে মানুষের মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীল পরিবেশ রাখার জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিয়েছি। সারাদেশে আমাদেরও নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে।


আরও খবর
রবিবার হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না বিএনপি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




পুলিশের তৎপরতায় বড় ধরনের কোনো নাশকতা হচ্ছে না: ডিএমপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি-জামায়াতের চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে বাসে আগুন দিয়ে নাশকতা করা হচ্ছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে এসব নাশকতা হলেও পুলিশের তৎপরতার কারণে বড় ধরনের কোনো নাশকতা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ককটেল বিস্ফোরণ এবং বিস্ফোরক বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয় জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকা থেকে ৮ জন, শাহআলী থেকে ১ জন ও শাহবাগ এলাকা থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মাহফুজ হোসেন মুনা (২০), মো. ইয়াছিন (১৯), মো. ফরহাদ (১৯), মো. মাহি (১৮), মো. আউলাদ হোসেন (১৮), মো. নাছিম (১৮), মো. আমজাদ আলী হোসেন (১৮), মো. তানভীর হোসেন (১৮), মো. নিজাম উদ্দিন জসিম, নূর মোহাম্মদ শিকদার (২৩), মোহাম্মদ বখতিয়ার চৌধুরী ওরফে শাহীন (২৪) ও মো. রুবেল (২০)।

এদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন জসিম রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গ্রেপ্তার বাকিরাও অবরোধের কর্মসূচির সমর্থক, তবে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ডিএমপি সভা সমাবেশসহ ঢাকায় বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে অনেক আন্তরিক। গত ৪ মাস ধরে ঢাকায় রাজনৈতিক-সামাজিকসহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে ডিএমপি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এরপরেও আমাদেরকে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে।

আমরা বেশ কিছু জায়গায় বিস্ফোরক জাতীয় বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহারের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করেছি। গতকাল ভাসানটেকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে বিস্ফোরক সামগ্রীসহ জমায়েত হওয়া ৮ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে যত পরিমাণ নাশকতাসামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে, সেসব ব্যবহার করতে পারলে নাশকতা ব্যাপকতা আরও বাড়তে পারত।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বচনের তপশিল ঘোষণার পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকাতে নাশকতার প্রয়াস বেড়েছে। কয়েকটি এলাকায় ককটেল ছুড়ে মেরেছে, তবে পুলিশি তৎপরতার কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। 

আরও পড়ুন>> আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে না: ওবায়দুল কাদের

ঢাকার নিরাপত্তার প্রচেষ্টা সুদৃঢ় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। আগামী দিনগুলো এ ধরনের নাশকতার চেষ্টা করলে ডিএমপি পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে নিরাপত্তা প্রদান করবে।

গ্রেপ্তারদের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে। তারা সবাই অবরোধের সমর্থনে এসেছে, তবে আমরা প্রত্যেকের পদবি যাচাই-বাছাই করছি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ৪-৫ হাজার বাস চলাচল করে, লাখ লাখ যানবাহন রয়েছে। এর মধ্যে কিছু যানবাহন যত্রতত্র পার্কিং করা থাকে। অরক্ষিতভাবে অনেক জায়গায় যে গাড়িগুলো থাকে, নাশকতাকারীরা এ সুযোগটা নেয়। তবে নাশকতা যেটি করেছে, সেটা তাদের প্রচেষ্টা বা উদ্যোগের চেয়ে কম।

তবে চোরাগুপ্তা হামলার শতভাগ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ। আমাদের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টাই ডেপ্লয়মেন্ট করা থাকে। আমাদের সব অফিসাররাও চেষ্টা করছে নাশকতা মিনিমাইজ করার জন্য।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, শহরে যে পরিমাণ যানবাহন সে পরিমাণ পার্কিংয়ের জায়গা নেই। যদি সিকিউরড জায়গায় পার্কিং সিস্টেম থাকত তাহলে এক জায়গায় আমরা নিরাপত্তা দিয়ে রাখতাম। কিন্তু গাড়িগুলো ছড়ানো-ছিটানো থাকে, আর তারা সুযোগটা নেয়। এরপরেও আমরা ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছি, এটা সহজ কাজ নয়।

বিস্ফোরক সামগ্রী কোথা থেকে সংগ্রহ করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা জোগাড় করতে চায় তারা ঝুঁকি নিয়েও জোগাড় করে। এরপরেও আমরা লুজ পেট্রল বিক্রির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। বিভিন্ন কেমিক্যাল যেগুলো গার্মেন্টসে ব্যবহার করা হয়, দেখা গেছে তারা সেগুলো কোনোভাবে সংগ্রহ করে বিভিন্ন সামগ্রী মিশিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করে।

বাসগুলোর নিরাপত্তায় নির্ধারিত স্থানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান থেকে প্রচেষ্টার ঘাটতি নেই। তারপরেও বাস্তবতা দেখেন। ঢাকায় যে পরিমাণ মানুষ সে পরিমাণ জায়গা নেই। পর্যাপ্ত পার্কিং সিস্টেম নেই স্বীকার করতেই হবে। বড় টার্মিনালে অনেক বাস থাকেই। তারপরেও সাড়ে চার হাজার ৫ হাজার বাস চলাচল করে, যেগুলোর জন্য পর্যাপ্ত পার্কিং নেই। তবে আমাদের প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতি নেই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিএমপি ৩৬৫ দিনই চ্যালেঞ্জের মধ্য থেকে কাজ করে। কখনো তীব্রতা হয়তো কম থাকে। নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দরকার, বিভিন্ন স্পেলে সে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




সেন্টমার্টিনে আটকে পড়েছেন ২ শতাধিক পর্যটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল হয়ে পড়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজারে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় এ প্রস্তুতির কথা জানান জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান। তিনি জানান উপকুলের সব সাইক্লোন শেল্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকুলে মাইকিং করা হয়েছে।

সাগরে মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে উপকুলে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে বলা হয়েছে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন ২ শতাধিক পর্যটক।

জাহাজ মালিকদের সংগঠন স্কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, বুধবার ৩টি জাহাজে করে ৫১৯ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। তার মধ্যে দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে অবস্থান করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাহাজ চলাচল শুরু হবে, তখন সেন্টমার্টিনে থাকা পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হবে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ ইমরান উদ্দিন জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গভীর সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এতে কক্সবাজারসহ দেশের সবকটি সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দূরবর্তী সাগরে অবস্থান করছে।


আরও খবর



ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে। ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী বেশ শক্তিশালী এবং দেশটির উপকূলে ড্রোনটিকে গুলি করে ভূপাতিত করার এই ঘটনা ঘটে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এবং এর মধ্যেই ইয়েমেনে মার্কিন ড্রান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা একটি মার্কিন সামরিক ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা এবং ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি আন্দোলন জানিয়েছে।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, হুথি বাহিনী ইয়েমেনের উপকূলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি এমকিউ-৯ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। হুথি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্রও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ড্রোন ভূপাতিত করার এই ঘটনা এমন সময় ঘটল যখন গাজা উপত্যকায় হামাসের সাথে যুদ্ধের নামে নির্বিচার আগ্রাসন চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল। মূলত আর এই কারণে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ওয়াশিংটন।

এর আগে গত মাসে, ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে হুথিদের নিক্ষেপ করা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং বেশ কয়েকটি ড্রোনকে আটকে দিয়েছিল মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ।

বিবিসি বলছে, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধকে ঘিরে আঞ্চলিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী, মেরিন এবং সহায়ক বহু জাহাজসহ সামরিক সরঞ্জাম মধ্যপ্রাচ্যে জড়ো করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ইয়েমেন ও ইসরায়েলের মধ্যে অবস্থিত লোহিত সাগরে সামরিক জাহাজে সেনা মোতায়েনের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী এবং তেহরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ২০১৪ সাল থেকে হুথিরা ইয়েমেনের সৌদি সমর্থিত সরকারি বাহিনীর সাথে দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।

এই অঞ্চলে ইরান-সমর্থিত আরেকটি গ্রুপ লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর ডেপুটি লিডার এই সপ্তাহে বিবিসিকে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের বেসামরিক হত্যাযজ্ঞের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক যুদ্ধের ঝুঁকি রয়েছে।

শেখ নাইম কাসেম বলেছেন, অত্যন্ত গুরুতর এবং খুব বিপজ্জনকভাবে সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই অঞ্চলে এবং কেউ সেটির প্রতিক্রিয়া থামাতে পারবে না


আরও খবর