দরিদ্র পরিবারে একটু হাঁসি ফুটাতে ধার-দেনা করে ১২ বছর আগে ওমান পাড়ি জমান ফেনীর মোহাম্মদ হানিফ। সেখানে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ভালই চলছিল তার আয়-রোজগার। পরিবারেও ফুটতে শুরু করেছিল হাঁসির ঝিলিক কিন্তু হানিফ যখন ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে মরিয়া ঠিক তখনই ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে স্ট্রোক করে ওমানের নাহদা হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রয়্যাল হাঁসপাতালে স্থানান্তর করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হানিফ ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়নের জাগির আহমদের ছেলে। গত ৪ মাস যাবত ব্রেন স্ট্রোক করে ওমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সে কোমায় চলে যাওয়ায় এবং অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বাংলাদেশ আনতে ৮ লাখ টাকার প্রয়োজন। যা তার অসহায় পরিবারের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। বাড়িতে ভিটে মাটি আর একটা টিনের ঘর ছাড়া আর কোন সম্পত্তি নাই যা বিক্রি করে ব্যয়ভার বহন করবে।
মো: ইবরাহিম নামে তার একমাত্র মেয়ের জামাই জানান, তার শশুর দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারছিলেন না। তাই মালিক পক্ষ দেশে চলে যাওয়ার জন্য বারবার নির্দেশ দিচ্ছিলেন। কিন্তু পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় দেশে না আসতে চাওয়ায় ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ভিসা বাতিল করে দেন মালিক। এমতাবস্থায় মানবিক দিক বিবেচনা করে গুরুত্বর অসুস্থ এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে সরকারি খরচে দেশে ফেরত আনতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্ম সংস্থান মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তার পরিবার।