ওপেনিংয়ে প্রোপার পার্টনারশিপের সংজ্ঞা
দাঁড় করানো কঠিন। উইকেট-কন্ডিশন বুঝে কখনও নতুন বল সামাল দিয়ে কিছু রান করাই ভালো জুটি।
কখনও দলকে ঝড়ো শুরু এনে দিতে পারলে সেটাকে দেখা হয় ইতিবাচকভাবে। আবার একশ’-দেড়শ’ রানের জুটি দেওয়া
হতে পারে প্রোপার পার্টনারশিপ।
আফগানিস্তান সিরিজ থেকে বাংলাদেশ দলের
অবশ্য এর কোনটাই হচ্ছে না। নতুন বল সামলে নেওয়া , ঝড়ো রান তোলা কিংবা বড় রানের ওপেনিং
জুটি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন, নাঈম, তানজিদরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম
ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু হয়নি। যদিও টাইগাররা জিতেছে ৬ উইকেটে।
তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসরের বড় ম্যাচে
ওপেনিংয়ে ভালো জুটি চায় দল। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তেমন ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন
স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। তার মতে, ওপেনিংয়ে দলের প্রোপার পার্টনারশিপ দরকার।
তাদের মূল লক্ষ্যই একটা ভালো জুটি পাওয়া।
লিটন দাসের অফ ফর্ম নিয়ে প্রশ্নের ব্যাখ্যায়
হেরাথ বলেছেন, ‘অনেকেই এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যায়। সেখান থেকে
কীভাবে ফেরা যায় এটাই গুরুত্বপূর্ণ। লিটন ফিরে আসবে। ওপেনিংয়ে একটা প্রোপার পার্টনারশিপ
দরকার আছে। আমাদের মূল লক্ষ্যই ভালো একটা জুটি পাওয়া এবং ভালো জুটি হলে বড় রান করা।’
ধর্মশালায় আফগানদের স্পিন দিয়ে বধ করেছে
বাংলাদেশ। তবে সেখানকার উইকেট বাউন্সিও। যে ধরনের উইকেটে ব্যাটে-বলে ইংল্যান্ড শক্তিশালী
দল। মার্ক উড-স্যাম কারেনদের বিপক্ষে তাই উইকেটের মূল্য দিয়ে খেলতে হবে টাইগারদের।
হাতে উইকেট রেখে লিটন-তানজিদদের তাই দলকে ভরসা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।