আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ওসমানীনগরে শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ জুলাই ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের ওসমানীনগরে ডুবা থেকে ফারুক মিয়া (৬৫) নামের সাবেক এক মাদরাসা শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ফারুক মিয়া ওই গ্রামের মৃত আছাব মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় মাদারবাজার এফইউ হাফিজিয়া মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক এবং মাদারবাজার শাপলা ফার্মেসীর স্বত্ত্বাধীকারী।

গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উছমানপুর ইউপির মাধবপুর গ্রামের আজিম মিয়ার বাড়ির পাশের ডুবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, চার কন্যা সন্তানের জনক ফারুক মিয়া রোববার এশার নামাজের পর মাদারবাজার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শাপলা ফার্মেসী থেকে বাড়ি ফেরার পর নিখোঁজ হন। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি করেও তার সন্ধান পাননি স্বজনরা। রাতে নিজ বাড়ির প্রায় আধা কিলোমিটার দুরে একই গ্রামের আজিম মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার ধারে ডুবায় ফারুক মিয়ার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ সময় নিহত ফারুক মিয়ার নাক, মুখ, চোখ ও কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল। দুচোখের পাতার উপরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে জানায় পুলিশ।

সোমবার ময়না তদন্ত শেষে বাদ আছর নিজ গ্রামে জানাযা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহত ফারুক মিয়ার খালাতো ভাই ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রোটারিয়ান কাজী হেলাল বলেন, আমার খালাতো ভাই ফারুক মিয়ার কারো সাথে শত্রুতা ছিল না। তার কোনো ছেলে সন্তান নেই। চার মেয়ে আছে তারা স্বামীর সাথে প্রবাসে বসবাস করেন। রাতে গ্রামের একজনের মোবাইল ফোনে  ফারুক মিয়াকে শেষ করে দিয়েছি বলে বার্তা আসায় সন্দেহ হচ্ছে, তাকে কেউ হয়তো হত্যা করেছে।

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস বলেন, সাবেক শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি হত্যা না অন্য কিছু, ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।


আরও খবর



জেনেভা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে অটোরিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারিদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ চলাকালে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. সনু (৩২) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সনু জেনেভা ক্যাম্পের ৫ নাম্বার সেক্টরে থাকতেন বলে জানা গেছে।

নিহতের চাচাত ভাই সজীব জানান, সকালে এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেল, রানা, টুনটুন, বাবুসহ ৪০ থেকে ৫০ জনের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে হঠাৎ গোলাগুলি শুরু করে মাদক কারবারিরা। এ সময় কামাল বিরিয়ানির দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বুনিয়া সোহেলের শটগানের গুলি লাগে সনুর গায়ে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সজীব বলেন, জেনেভা ক্যাম্পে ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে মারামারি হতো। হঠাৎ আজ গোলাগুলি শুরু হয়। এখানে অস্ত্র কোথা থেকে এলো, সেটা আমাদের জানার বিষয়। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে গুলি করে মানুষ মেরে ফেললো।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



ধামরাইয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় যুবককে মারধর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বউখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহত যুবক ওয়ালী উল্লাহ্ খান যুবরাজ (২৯) উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বাউখন্ড গ্রামের মোশারফ হোসেন খানের ছেলে। তিনি বাউখন্ড কমিউনিটি ক্লিনিকে এমএইচবি পদে কর্মরত আছেন। বর্তমানে যুবরাজ সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন ইউসুফ,শহিদুল,সাজেদুল,আলী হোসেন এরা সকলেই বাউখন্ড গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগী ওয়ালী উল্লাহ্ খান যুবরাজ বলেন,আমি আমার চাচাতো ভাই সামিউল ইসলাম খান সজিবকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেই "এগিয়ে যাক নতুন প্রজন্ম আর অল্প কিছু দিন বাকী" এ পোস্ট দেওয়ায় কিশোর গ্যাং ও মাদকসেবী ইউসুফ আলী, শহিদুল ইসলাম সহ ৮-১০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপর হামলা চালায়। আর বলে তোর ভাইরে চেয়ারম্যান বানাবি। নে চেয়ারম্যানের স্বাদ মিটিয়ে দিই। পরে আমার ডাক চিৎকারে এলাকার মানুষ এগিয়ে এলে তারা চলে যায় এবং বলে তোর পরিবারের কেউ রক্ষা পাবে না। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের গ্রামে খোজখবর নিলে তাদের কাউকে এলাকায় খোজে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



তাকসিম না থাকলেও তাঁর সিন্ডিকেট এখনোও ওয়াসায়

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শেখ হাসিনার সরকারের আমলে চারদিকের শত সমালোচনার মুখেও যে মানুষটি বহাল তবিয়তে ছিলেন, তিনি হলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তবে ওয়াসায় এখনো বহাল তবিয়তে আছে তাঁর বসানো লোকজন। ফলে তাকসিম না থাকলেও তাঁর সিন্ডিকেট এখনো আছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান তাকসিম এ খান। প্রথম নিয়োগ থেকে মোট সাতবার নিজের চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ওয়াসাকে যেন নিজের ব্যক্তিগত সংস্থায় পরিণত করেছিলেন এ প্রকৌশলী। নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় অনেকটা অচল হয়ে পড়ে সেবাদানকারী এ প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতেই তাঁর সেই সিন্ডিকেটে ঢুকে পড়েন ওয়াসার কমপক্ষে ১০ জন প্রকৌশলী।

হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৫ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তাকসিম এ খানের চুক্তি বাতিল করলেও তাঁর অনুসারীরা এখনো বহাল তবিয়তে। বিষয়টি নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বৈদেশিক সাহায্য নেওয়া প্রকল্পের ১৯ হাজার কোটি টাকা এখন ওয়াসার কাঁধে ঋণের বোঝা রেখে গেছেন তাকসিম। এসব প্রকল্পের পিডির দায়িত্বেও রয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

জানতে চাইলে গতকাল শনিবার ঢাকা ওয়াসার সদ্য নিয়োগ পাওয়া এমডি এ কে এম শহীদ উদ্দীন বলেন, আমি এখন ঢাকা শহরের পানি সরবরাহের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সবই সমাধান হবে। আমি যদি সবকিছু এই মুহূর্তে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করি, তাহলে মানুষের সেবা দিতে পারব না। তাই আপাতত নো কমেন্টস।

ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ আগস্ট বিদায়ী এমডি তাকসিম এ খানের চুক্তির মেয়াদ বাতিল করে নতুন এমডি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো তাঁরই দীর্ঘ দিনের বিশ্বস্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ কে এম শহীদ উদ্দীনকে। প্রকৌশলী শহীদ ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। এর আগে তাকসিমের পছন্দের পরিচালক, উপদেষ্টা ও প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বও পালন করেছেন।

তাকসিম সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য তাঁর একান্ত অনুসারী হিসেবে পরিচিত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে সংস্থার ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের পিডি। এ ছাড়া ৮ হাজার কোটি টাকার এডিবি প্রকল্পের পিডি ওয়াহিদুল ইসলাম মুরাদ, তাকসিমের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী প্রকৌশলী বদরুল আলম, সংস্থার সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, ক্রয় বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জয়নাল আবেদিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আনোয়ার সাত্তার, প্রকল্প পরিচালক ওয়াইজ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক (১৬ ইউনিয়ন পানি সরবরাহ) আজিজুল হক এবং সায়েদাবাদ পানি সরবরাহ-৩ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান অন্যতম।

ওয়াসার সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী তাকসিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং অর্থ জোগানদাতা হিসেবে শহীদ উদ্দীনের নাম আসে সবার আগে। তাকসিমের বিদায়ের পরও তাঁর সহযোগী বর্তমান এমডি শহীদ উদ্দিন তাকসিমের নির্দেশে সিন্ডিকেটের সদস্যদের নানাভাবে সুরক্ষা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা যে পদে আছেন, তাঁদের সেই পদেই রাখবেন ঘোষণা দিয়েছেন শহীদ। বিষয়টি নিয়ে ওয়াসা ভবনে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা ৩ বিভাগের ওপর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত এই লঘুচাপটি অবস্থান করছে। বর্তমানে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

তবে আগামী শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং অন্যান্য বিভাগে কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে কিছু এলাকায় সামান্য তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে।

পাঁচ দিনের বর্ধিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতকে কড়া বার্তা দিলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে মতপার্থক্য দূর করার উপায় নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে, এতে কোনো দেশেরই লাভ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এক সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী সরকারপ্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন। শুক্রবার পিটিআই নিউজের ওয়েবসাইটে এই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। তিনি পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারত সরকারকে সতর্কও করেন।

দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশগুলোর অধিকার সমুন্নত রাখার সুনির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি (পানি বণ্টন) নিয়ে বসে থাকার ফলে এতে কোনো কাজ হচ্ছে না। আমি যদি জানি, আমি কতটুকু পানি পাব, সেটা ভালো হতো। এমনকি পানির পরিমাণ নিয়ে যদি আমি খুশি নাও হই, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। এই বিষয়টি সমাধান হতেই হবে।

তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়টি সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে শিগগিরই তাড়া বা চাপ (পুশ) দেবে কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, নতুন সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।

নোবেলজয়ী এই সরকারপ্রধান বলেন, চাপ (পুশ) শব্দটি অনেক বড়। আমি এই কথা বলছি না। আমরা আলোচনা করব। তবে আমাদের একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ২০১১ সালে ঢাকা সফরকালে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই চুক্তিকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে চুক্তি আর হয়নি। তখন মমতা দাবি করেছিলেন, তার রাজ্যেই পানির সংকট রয়েছে।


আরও খবর