কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তের খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের ১৮ দিন পর নাফ নদীর তীরে এক জেলের লাশ পাওয়া গেছে। স্বজনদের দাবি আরাকান আর্মির সদস্যরা ওই জেলেকে অপহরণ করেছিল।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল সীমান্তের নাফ নদীর তীরের বেড়িবাধ থেকে অপহরণের শিকার জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত মোস্তাফিজুর রহমান উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়ার মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে। তিনি পেশায় জেলে ও দিনমজুর।
নিহতের ছোট ভাই মো. আমির হোসেন জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে নাফ নদীতে অন্য জেলেদের সঙ্গে তার ভাই মোস্তাফিজু মাছ ধরতে যান। এক পর্যায়ে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হলেও ভাইয়ের সন্ধান পাননি। অপহরণকারীরা স্বজনদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করেনি।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার সন্ধ্যার আগে উখিয়া উপজেলার রহমতেরবিল সীমান্তে চিংড়ি ঘেরে কাজ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম। এক পর্যায়ে তিনি নাফ নদীর বেড়িবাধের ওপর মোস্তাফিজুর রহমানকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি স্বজনদের জানান। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বিজিবির সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অপহরণকারীরা তাকে বেঁধে রাখায় অনাহারে মৃত্যুর পর মরদেহ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ফেলে রেখে গেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে খবরটি শোনার পর পুলিশ নিহতের বাড়ি থেকে মোস্তাফিজুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তার শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে তার পায়ে রশি বা শিকল জাতীয় কোন কিছু দিয়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন রয়েছে। অপহরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিহত মোস্তফিজকে অপহরণ করা হয়েছে এব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি, এটি তাদের ভাষ্য।
ওসি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।