আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

অপরাধ বাড়ছে ঢাকায়!

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৮ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

রাজধানীতে অপরাধ বেড়েই চলছে। বেশি বেড়েছে খুন, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা ও মাদকসংক্রান্ত অপরাধ। তাছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার সংখ্যাও উদ্বেগজনক। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠে যেমন উত্তাপ ছড়াচ্ছে তেমনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আশঙ্কা বাড়ছে। 

অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশঙ্কা আরো ঘনীভূত হচ্ছে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কয়েকজন জামিনে বের হওয়ার পর। তাদের কয়েকজন সহযোগীও জামিন পেয়েছেন। জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনের ওপর হামলার ঘটনায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে অপরাধজগৎ নিয়ে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারাবন্দি আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগীরাই এ হামলা চালায়।

আরও পড়ুন>> শাহজালালে দেড় কোটি টাকারস্বর্ণসহ আটক ১

গত মাসের ১৮ সেপ্টেম্বর মামুনের ওপর হামলার একদিন আগে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী নাঈম আহমেদ টিটন জামিনে মুক্তি পান। দুই দশক ধরে তিনি কারাবন্দি। টিটন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের শ্যালক। টিটনের মুক্তির চারদিন পর ২২ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী খোরশেদ আলম রাসু। কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর তারা নতুন করে আরো কোনো সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

১৪ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর মাজার রোডে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাবিল খান গ্রুপ ও ইসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে ছুরিকাঘাতে ৩০ বছর বয়সী শাহ আলম নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন হন।

দুদিন পর ১৬ অক্টোবর রাত পৌনে ৩টার দিকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ৪৩ বছর বয়সী রমজান ওরফে পেটকাটা রমজান নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা পুলিশের। কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা আনোয়ার বলেন, রমজানের বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।

১৯ সেপ্টেম্বর দিনদুপুরে রাজধানীর বংশালে আলুবাজার এলাকায় চাঁদা না দেয়ায় নারীসহ তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। আহতরা হলেন-রানু বেগম (৭০), তার ছেলে মো. মাসুদ রানা (৪৫) ও আব্দুল মাসুম (৪৮)।

আহতদের আত্মীয় রিতা বেগম বলেন, আলুবাজার বড় মসজিদ এলাকায় আমাদের ছোট একটি সেলুনের দোকান। এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারিরা কয়েকবার আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। কিন্তু আমার ভাই চাঁদা না দেয়ায় শুভ, প্রিন্স, সাফরানসহ ১২ থেকে ১৫ জনের দল দেশি অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা মা রানু বেগম, ভাই মাসুদ রানা ও চাচা আব্দুল মাসুমকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

আরও পড়ুন>> নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনেরযোগ্যতা নেই তবুও পবিপ্রবি'র অধ্যাপক!

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় রাত ১০টার দিকে প্রাইভেটকার আরোহী এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল সন্ত্রাসী। সেই গুলি লাগে মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের (৫২) মাথায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ওই রাতেই তাকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। টানা সাতদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৫ সেপ্টেম্বর ভুবন চন্দ্র শীল মারা যান।

ধারাবাহিকভাবে প্রায় দিনই রাজধানীতে চুরি, ছিনতাই ও খুনের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় একদিকে বেড়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাব এবং অন্যদিকে শঙ্কা রয়েছে সাধারণ মানুষের।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ৮ মাসে শুধু ঢাকায় খুনের ঘটনা ঘটে ১১৩টি। চুরির ঘটনা ঘটে এক হাজার। ধর্ষণের ঘটনা ৩২০টি। বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকার ৫০ থানায় মামলা হয় ১৭ হাজার ৪৩২টি। এসব মামলায় গ্রেফতার ৩৯ হাজার ৬৬৮ জন।

ডিএমপি বলছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ রাজধানীর সবচেয়ে বেশি অপরাধপ্রবণ এলাকা। এরপরই আছে ওয়ারী, মিরপুর, উত্তরা, লালবাগ, গুলশান, মতিঝিল ও রমনা বিভাগ। ডিএমপির করা গত সাড়ে তিন বছরের (২০২০-২০২৩ আগস্ট) তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিটি বিভাগেই আগের বছরের তুলনায় অপরাধ বেড়েছে।

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর ৫০ থানা আটটি অপরাধ বিভাগে ভাগ করে কাজ করছে ডিএমপি। পুলিশের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, তেজগাঁও বিভাগে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ ও মাদকের কারবার সবচেয়ে বেশি। ওয়ারী বিভাগে খুন ও ধর্ষণের ঘটনা বেশি। মিরপুরে বেশি চাঁদাবাজি। উত্তরা বিভাগে চোরাচালান, লালবাগে বিস্ফোরকদ্রব্য, গুলশান বিভাগে দাঙ্গা ও রাজনৈতিক খুনের মতো ঘটনা বেশি।

র‌্যাবের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয় ৬৯৮টি, ২০২১ সালে উদ্ধার হয় ৮৪৬টি, ২০২২ সালে উদ্ধার হয় এক হাজার ৩৯৪টি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয় ৪৯৭টি। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত র‌্যাব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে ১৯ হাজার ৬৩৪টি। আর অবৈধ অস্ত্র সংক্রান্ত ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ১৪ হাজার ৩২৩ জন আসামিকে।

ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ছয়টি থানা হলো- ওয়ারী, ডেমরা, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, গেন্ডারিয়া ও কদমতলী। গত ৮ মাসের ওয়ারী বিভাগে সর্বাধিক ২২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের ঘটনা এই বিভাগে সবচেয়ে বেশি। এ সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৮ জন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে পেশাদার অপরাধীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় খুনসহ বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে তারা। প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা গেলে নির্বাচনের আগে বিশেষ করে ঢাকায় অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে।

ঢাকা মহানগরী ছিনতাইমুক্ত করতে নগরবাসীর নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিতকরণ এবং অপরাধভীতি দূর করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ডিএমপি সদরদপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম বিভাগ) শচীন চাকমাকে সভাপতি করে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সের অন্য সদস্যরা হলেন ডিএমপি সদরদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম-১) একজন, ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের আটজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের আটজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার/সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) একজন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, কেউ কেউ রাজনৈতিক পরিচয় শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা ও নিজ দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৈরি করে পদ-পদবি নিশ্চিত করার কারণে কখনো কখনো সাধারণ মানুষকে বলি হতে হয়। এ ধরনের রাজনৈতিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দল থেকে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটিও স্পষ্ট নয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের চলাচলের যে নিরাপত্তা সেই জায়গাটি শতভাগ তৈরি করা যায়নি। যতটুকু তৈরি করা গেছে সেটিও বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক বিভেদের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ বা সন্তোষের জায়গা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। রাস্তায় চলাচলের সময় একজন আইনজীবী, কলেজছাত্রী কিংবা নিজ দলের মধ্যে কোন্দলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনায় যারা মারা যাচ্ছেন তারা সবাই এ দেশের নাগরিক। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হয়তো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে কিন্তু একজন সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এ ধরনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে সে জায়গায় প্রশ্ন রয়েছে। আমরা দেখেছি বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাদী হয়ে মামলা করে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের উদ্যোগ কতটা অতীতে হয়েছে তা খতিয়ে আমরা খুব একটা পাই না।

অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক আরো বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার সেন্টিমেন্ট থেকে দেখা যায়, গোলাগুলিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা মারা গেলে সে যে দলেরই হোক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মন্তব্য দেখলে মনে হয় তারা একপ্রকার খুশিই হয়। সাধারণ মানুষের মনে বিদ্বেষ-অসন্তোষ রয়েছে। তারা মনে করে তাদের কারণে সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। কিন্তু যখন সাধারণ কেউ মারা যায় তখন সেন্টিমেন্টে দেখা যায় সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে, রাস্তাঘাটে চলাচলের ক্ষেত্রে তাকে অনেক কিছু ভাবতে হচ্ছে। সেই ভাবনাগুলো তাকে তটস্থ করে। সামগ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে আসলে বলার কেউ নেই। যারা বলছে সেটা সাময়িক বা পরিস্থিতির কারণে কিংবা এক ধরনের মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, যেসব শীর্ষ অপরাধী কারাগারে আছে সেটা আমরা মনিটরিং করছি। যারা জামিন পেয়ে বের হয়ে এসেছে সেটাও আমরা মনিটরিং করছি। নির্বাচন সামনে রেখে কোনো অরাজকতা করছে কি না, চাঁদাবাজি করছে কি না, মানুষকে হুমকি দিচ্ছে কি না- সেটা ডিএমপি ও ডিবির টিম তদন্ত করছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পর এসব অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। জামিনে বের হয়ে কিংবা কারাগারে বসে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করলে ছাড় দেয়া হবে না। ঢাকার অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরোধকে কেন্দ্র করে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের মুখচ্ছবি। পেশাদারত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও ত্যাগের মাধ্যমে ডিএমপি আজকের এ অবস্থানে পৌঁছেছে। আগামী দিনেও যে কোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিএমপি প্রস্তুত। নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময় ঢাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নির্বাচন টার্গেট করে কিছু শীর্ষ সন্ত্রাসী ফায়দা লুটতে পারে। এ জন্য আগে থেকেই র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জামিনে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্রের চালান ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। র‌্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন একযোগে কাজ করছে। এক কথায় নির্বাচনের আগে ও নির্বাচন চলাকালীন এবং নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাবও কাজ করবে।

এ বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নির্বাচনের আগে যে বা যারাই অবৈধভাবে মাঠ গরম করার চেষ্টা করুক তাদের প্রতিহত করা হবে। ঢাকা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট। সম্প্রতি আমরা বেশকিছু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছি।

নিউজ ট্যাগ: রাজধানী ডিএমপি

আরও খবর
পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




ভোলায় আমন ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আশরাফুল আলম সজিব, ভোলা

Image

গেলো কয়েক সপ্তাহ আগেই বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'। ভোলা উপকূলে 'মিধিলির' তেমন প্রভাব না পড়লেও ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কৃষকের আধাপাকা ধান নুইয়ে পড়ার কারণে পাকা ধানের কিছু অংশ পঁচে গেছে।

কৃষকরা জানান, বিলের পর বিল পাকা ধানে ভরা। কিছু কিছু ধান কেটে ঘরে তুলেছেন অনেকে। তবে বেশির ভাগই এখনও মাঠেই রয়েছে। অনেকে কাটার চেষ্টা করছেন। কিন্তু শ্রমিক সংকটে সে চেষ্টাও সমস্যার সৃষ্টি করেছে। আবার ঝড়- বৃষ্টি হলে এসব ধান মাঠেই নষ্ট হয়ে যাবে।

ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্ত মুন্সি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আমনের ফলন ভালো হলেও ঘূর্ণিঝড় কৃষকদের মানে শঙ্কা তৈরি করেছে। সবাই চেষ্টা করছেন দ্রুত ধান কেটে ঘরে তোলার।

স্থানীয় কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, ৪০ একর জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। মোটামুটি ভালো হয়েছে। আর সপ্তাহখানেক মাঠে থাকলে ধান পুরো পুষ্ট হতো। ঝাড় বৃষ্টি হওয়ার আগেভাগেই ধান ঘরে তোলার চেষ্টা করছি।

কৃষক মফিজ বলেন, বিলে আট বিঘা জমিতে আমন মৌসুমের বিআর ১০৩৮৭ ধান চাষ করেছি। 'মিধিলির' কারণে প্রায় দুই বিঘা জমির ধান ক্ষেতে নুইয়ে পড়ে। বিঘাতে ২০-২২ মণ ধান পেতাম। কিন্তু মিধিলির কারণে এ বছর কমপক্ষে ১০ মণ ধান কম পাব। আরও কিছু ধান চিটা হবে।

সদর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলায় ১৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে আরও ২০ শতাংশ জমির ধান কাটা সম্ভব হতে পারে। এরপরও অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ জমিন ধান গোলায় তোলা সম্ভব হবে না। কিছু কিছু জায়গায় ধান এখনো অপরিপক্ক রয়েছে। আধা পাকা এই ধান পাকতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগতে পারে।

ভোলা জেলা কৃষি উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারেসুল কবির বলেন, জেলার ৮০ শতাংশ ধান পেকেছে, এখন ধান কাটলে কোনো ক্ষতি হবে না। এবারে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯২৬ হেক্টর। তবে ঝড় বৃষ্টির কারণে ৫% ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। কৃষকদের ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবারও মোটামুটি ভালো ফলন হওয়ার আশাকরি।

নিউজ ট্যাগ: ভোলা

আরও খবর



সরে দাঁড়ালেন ইমরান খান, পিটিআইয়ের নতুন চেয়ারম্যান গহর আলী

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে। দলটির নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার গহর আলী খান। এছাড়া দলটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন ওমর আইয়ুব খান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের সদ্য সাবেক প্রধান ইমরান খান তাদের এ পদে মনোনীত করেন। শনিবার পিটিআইয়ের কয়েকটি পদে ভোটাভুটি হয়। এরপর পিটিআইয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়াজুল্লাহ নিয়াজি জানান, ব্যারিস্টার গহর আলী খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

একইসঙ্গে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে আলী আমিন এবং পাঞ্জাব প্রদেশে ইয়াসমিন রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিটিআইয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর পেশোয়ারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্যারিস্টার গহর আলী বলেন, তিনি ইমরান খানের প্রতিনিধি হিসেবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেবেন।

তিনি বলেন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। যতদিন আমি এখানে আছি, ইমরান খানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করব যিনি তার নীতিগত সংগ্রামের কারণে জেলে আছেন।

আরও পড়ুন>> স্যাটেলাইট আটকালে যুদ্ধ বাধিয়ে দেবে উত্তর কোরিয়া

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, দলীয় নেতৃত্ব অনেক মামলার মুখোমুখি হলেও আদালত থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। এখনও দলের অনেক নেতা আন্ডারগ্রাউন্ড বা কারাগারে রয়েছেন।

২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রির পদ হারানোর পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়। ইমরানের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব মামলা করা হয়েছে যাতে নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে না পারেন। তোশাখানা (রাষ্ট্রীয় উপহার) দুর্নীতি মামলায় ইমরানের তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। এ মামলায় বর্তমানে সাজা স্থগিত রয়েছে। তবে কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁসের মামলায় ইমরান কারাগারে আছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে ইমরানকে। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তিন বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করলেও মুক্তি পাননি তিনি। এ মামলায় তাঁকে কারাগারে রাখা হয়েছে।

গত বছর ইসলামাবাদে একটি গোপন নথি পাঠিয়েছিলেন ওয়াশিংটনের পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেটি প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘন করেছেন। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পিটিআই দাবি করছে, নথিতে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি রয়েছে। একই মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকেও আসামি করা হয়েছে।


আরও খবর



‘রাজকুমার’ শুরু হবে পাবনায়, নিউইয়র্কে শেষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রিয়তমা সিনেমার সাফল্যের পর শাকিব খান, প্রযোজক আশরাদ আদনান এবং পরিচালক হিমেল আশরাফকে ত্রয়ী জুটি আখ্যা পেয়েছেন। এই ত্রয়ীর যৌথ প্রচেষ্টাতেই নির্মিত হচ্ছে রাজকুমার

গেল বছরের শুরুর দিকে রাজকুমার সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন শাকিব খান। মার্কিনমূলুকে সেখানকার নায়িকা কুটনি কফিকে নিয়ে আড়ম্বপূর্ণ আয়োজনে মহরতও হয়। এরপর রাজকুমারের পরিচালক হিমেল আশরাফকে নিয়ে প্রিয়তমাহয়, তা মুক্তি পেয়ে  ব্লকবাস্টার হিটও হয়। রায়হান রাফিকে নিয়ে নতুন সিনেমার খবর আসে, অনন্য মামুনের দরদএরও শুটিং শুরু করেন। হয়নি কেবল রাজকুমার। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে রাজকুমার হবে তো? নাকি ঘোষণাতেই শেষ সিনেমাটির অস্তিত্ব!

শাকিব খান ইস্যুতে নিন্দুকেরা একটু বেশিই সচেতন, ব্যক্তিগত ইস্যুকে সামনে এনে অভিনেতা শাকিবের  ঘোষিত সিনেমার যে আর হচ্ছে না এটা নিয়েও কথা বলতে ছাড়েননি। বরাবরের মত চুপ থেকেছেন এই নায়ক। কেবল সামনে থাকা কাজটিই করে গেছেন। রাজকুমার ইস্যুতেও চুপ শাকিব। উত্তরাটা তিনি কাজ দিয়েই দিতে চেয়েছেন হয়তো।  দিলেনও তাই। জানালেন রাজকুমার সিনেমার শুটিং শুরুর দিনক্ষণ। অবশ্য শাকিবের মুখ থেকে সে দিনক্ষণ আসেনি। এসেছে প্রযোজক ও পরিচালকের বরাতে। 

আরও পড়ুন>> মনোনয়নপত্র কেনা অধিকাংশ তারকা বসন্তের কোকিল : জায়েদ খান

আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে রাজকুমারএর শুটিং শুরু হবে পাবনায়। প্রযোজক আরশাদ আদনান জানিয়েছেন এ তথ্য।  তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে শুটিং শুরু হবে। এ দিন আমার বাবা মহামান্য রাষ্ট্রতির জন্মদিন। তার প্রতি সম্মান জানিয়ে এই দিনটিকেই আমরা শুটিং শুরুর দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছি।

প্রযোজকের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই কথা বললেন পরিচালক হিমেল আশরাফ। জানালেন, পাবনাতে শুরু হবে রাজকুমারের শুটিং। সেটা আগামী ১০ ডিসেম্বর। শেষ হবে আমেরিকায়। আপাতত শুটিং শুরুর প্রস্তুতি চলছে।

প্রিয়তমা সিনেমার সাফল্যের পর শাকিব খান, প্রযোজক আশরাদ আদনান এবং পরিচালক হিমেল আশরাফ ত্রয়ী জুটির আখ্যা পেয়েছেন। এই ত্রয়ীর যৌথ প্রচেষ্টাতেই রাজকুমার মুক্তি পাবে আগামী ঈদুল ফিতরে।

রাজকুমার সিনেমার ঘোষণা অবশ্য এসেছিল গেল বছরের মার্চে। শাকিব খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এস কে ফিল্মসের প্রযোজনায় সিনেমাটি পরিচালনা করবেন নির্মাতা হিমেল আশরাফ, এমন ঘোষণা দিয়ে নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ফেয়ার ম্যারিনা কনভেনশন হলে মহরত হয়েছিল।

তখন সিনেমার নায়িকা হিসেবে আমেরিকান অভিনেত্রী ও মডেল কোর্টনি কফিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় পরিচালক হিমেল আশরাফ বলেছিলেন, তিনি মনে করেন রাজকুমার সিনেমার জন্য আমেরিকার এই অভিনেত্রীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত তার ভুল ছিল না।

নিউজ ট্যাগ: শাকিব খান

আরও খবর



সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে শেখ হাসিনাকে কানাডার ৮ এমপির চিঠি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় হোক এমনটি চায় কানাডার হাউস অব কমন্সের আট সদস্য। নিজেদের এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছেন।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা চিঠি পাঠান। কানাডার ওই আট রাজনীতিক কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্য। শুক্রবার কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ার ব্রেড রেডেকপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) এ তথ্য জানিয়েছেন।

কানাডার হাউস অব কমন্সের আট সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠিতে লিখেছেন কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে ২০২৪ জানুয়ারির নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিয়ে গভীর প্রত্যাশা থেকে আপনাকে লিখছি। এ নির্বাচন বাংলাদেশের কোটি কোটি ভোটারকে দেশ পরিচালনার জন্য পছন্দের রাজনৈতিক দল বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দেবে বলেই মনে করি। এ লক্ষ্য পূরণে আমরা কয়েকটি প্রত্যাশার বিষয় তুলে ধরছি

আমরা আশা করি, সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে এবং ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে। আমাদের প্রত্যাশা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, ভোট কারচুপি ও ব্যালটবাক্স ভর্তি করে দেওয়ার মতো ভোটে অনিয়ম রোধের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকার সতর্কতার সঙ্গে যথাসাধ্য কাজ করে যাবে।

আমরা আশা করব সহিংসতা রোধ এবং যে কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শে বাংলাদেশের সব জনগণকে সুরক্ষায় সরকার সব ব্যবস্থা নেবে এবং আমাদের প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশের সব বৈধ ভোটারের সক্রিয় অংশগ্রহণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যথেষ্ট শক্তিশালী। আমরা চাই ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও বিকশিত হোক। দুই দেশে গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে তখনই সম্পর্কের এ বিকাশ সম্ভব।

চিঠির শেষে কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের আট সদস্য লিখেছেন স্বচ্ছতার সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকে যুক্ত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য বিকাশের ধারা অব্যাহত রাখতে আপনার প্রতি আহ্বান জানাই।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ আইসিইউতে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, কিছু দিন আগে কারাগারে থাকা অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সালাউদ্দিন আহমেদ। গ্রেফতার হওয়ার আগে তার শরীরে চারটি রিং বসানো হয়েছিল।

গত ৩ আগস্ট আদালতে হাজিরা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার থেকে সালাউদ্দিন আহমেদকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

ঢাকার প্রবেশ মুখে বিএনপি অবস্থান কর্মসূচির সময়ে পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় করা ১১টি মামলার মধ্যে চারটি মামলায় আসামি বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর
রবিবার হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না বিএনপি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩