বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, জঙ্গিবাদের সঙ্গে মুষ্টিমেয় মানুষ জড়িত। সিলেটের মানুষ জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত আমি বলতে চাই না। তবে, জঙ্গি-সন্ত্রাসী তথা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত অপরাধীদের তুলনায় পুলিশ সব সময় একধাপ এগিয়ে থাকে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে কাজ করছি। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত পরশুদিনও বেশকিছু অপরাধীকে ধরেছি। আমাদের সাফল্যও রয়েছে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই এ বিষয়ে আরও উন্নতি হবে।
নানা ইস্যুতে গুজব ছড়ানো নিয়ে আইজিপি বলেন, গুজব ছড়ানোর বিষয়ে আইন রয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর গুজব ছড়ানোর বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আইনশঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। এজন্য আমাদের সকল সহকর্মী ওয়েল মোভিভেটেড। মূলত জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণের যে কাজ, সেটা আমরা সফলভাবে করেছি। সেই সাফল্য ঈর্ষণীয়। দীর্ঘদিন ধরে আমরা নির্বাচনে কাজ করে আসছি। নির্বাচন আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ পুলিশের রয়েছে। নির্বাচনের সময় আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করে থাকি। তাই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ কাজ করবে।
আইজিপি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যে জনবল, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা রয়েছে, তাতে আইনশৃঙ্খলাজনিত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত আছে। কেউ বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে, সেটা মোকাবিলা করার জন্য পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে, ট্যুরিস্ট পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, এক সময় ট্যুরিস্ট পুলিশ ছিল না। আমরা জেলা পুলিশ দিয়ে দায়িত্ব পালন করিয়েছি। এখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ট্যুরিস্ট পুলিশ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে পর্যটন বিকশিত হচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
এছাড়া, সুনামগঞ্জে এক পুলিশ কর্মকর্তার অপরাধের বিষয়ে তিনি বলেন, সবকিছুর একটা প্রক্রিয়া রয়েছে। তার যে সাজা পাওয়ার, সেটা তিনি পাবেন। এটা আমরা নিশ্চিত করব। একজন মুক্তিযোদ্ধার ওখানে এ রকম আচরণ করবে, সেটা আমরা ভালোভাবে নেইনি। বিধি অনুযায়ী যে শাস্তি পাওয়ার সেটি তিনি পাবেন।