আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

অপসাংবাদিকতায় জরিমানা করতে পারবে প্রেস কাউন্সিল

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জুন ২০22 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জুন ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অপসাংবাদিকতার জন্য সংবাদ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করতে পারবে প্রেস কাউন্সিল। এমন বিধান রেখে প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) আইন ২০২২ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২০ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপন করা এ আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, খসড়া আইনে অপসাংবাদিকতার জন্য সংবাদ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ডের কথা রাখা হয়েছে। আগে প্রেস কাউন্সিল শুধু তিরস্কার করতে পারতো।

এটা প্রিন্ট ও ডিজিটাল সব সংবাদ মাধ্যমের জন্য বলবৎ হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।


আরও খবর



হিসাব চূড়ান্ত : ২০২৪-এর নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেন-ট্রাম্প

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের দ্বৈরথ দেখার সুযোগ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ববাসীর। ২০২৪ সালেরও নির্বাচনেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে।

অর্থাৎ, চলতি বছর নভেম্বরে যে নির্বাচন হবে সেখানেও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বাইডেন। গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে প্রার্থী বাছাই ভোটের আয়োজন করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল। প্রতিটি ভোটেই অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন বাইডেন-ট্রাম্প উভয়ই। ফলে নভেম্বরের নির্বাচনে চুড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে ট্রাম্প এবং বাইডেনের মধ্যে ঘটছে তা একপ্রকার নিশ্চিত।

মঙ্গলবার রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক উভয় দলের নীতি নির্ধারকরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চুড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। উভয় দলই এ সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে আসছে গ্রীষ্মে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বাইডেন-ট্রাম্পের আসন্ন এই দ্বৈরথকে বলছে ইলেকশন রিম্যাচ এবং গত নির্বাচনে দুই প্রার্থীকে ঘিরে যেমন টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল, এবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে বলে মনে করছেন অধিকাংশ মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষক। তাছাড়া বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দলীয় প্রার্থী বাছাই ভোটে বাইডেন এবং ট্রাম্প যে ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বিদের পরাজিত করেছেন, তাতেও এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে এক ভাষণে ৮১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ডেমোক্রেটিক সমর্থকরা যে তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছেন, তাতে তিনি সম্মানিত এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে এসে পৌঁছেছে, যখন দেশের গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ট্রাম্প হুমকি

তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি, অর্থনীতি ও মূল্যবোধ যে যে ব্যাপক বিপর্যয়ের আশঙ্কার মুখে পড়েছিল, সেই অবস্থা থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। কিন্তু এই অগ্রযাত্রা এখন মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে এবং আমি বিশ্বাস করি যে মার্কিন জনগণ এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না যা এই যাত্রাকে থামিয়ে দিতে পারে।

একই দিন রিপাবলিকান পার্টির এক জনসভায় ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প বর্তমান প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান প্রেসিডেন্টের আমলে যুক্তরাষ্ট্র সংকটের ঘূর্ণাবর্তে পড়েছে এবং এই অবস্থা থেকে দেশ-জাতিকে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজন কঠোরতর অভিবাসন আইন, সীমান্ত সিলগালা করে দেওয়া এবং রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।

পাশপাশি ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে দেশ থেকে অপরাধ নির্মূল করা, অভ্যন্তরীণ জ্বালানির উৎপাদন বাড়ানো, বিদেশি আমদানির ওপর কর বৃদ্ধি এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধেও ভূমিকা রাখবে তার প্রশাসন। তবে তিনি এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সর্বক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম নীতি মেনে চলবেন।

এদিকে, বাইডেন না ট্রাম্পকাকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান মার্কিনীরা’— প্রশ্নটিকে সামনে রেখে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জরিপ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। সেসব জরিপে অংশ নেওয়াদের উল্লেখযোগ্য অংশ জানিয়েছেন, এই দুজনের কাউকে নিয়েই তাদের তেমন আগ্রহ নেই, বরং নতুন মুখ দেখতে চান তারা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামী ৫ নভেম্বর থেকে।


আরও খবর



অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে ইফতারে যেসব খাবার খাবেন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। একটু সচেতন হলেই এ সমস্যা থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রমজান চলছে। এসময় অনেকেই ইফতারে একসঙ্গে ভাজাপোড়াসহ আরও অনেক খাবার খেয়ে পেটে গণ্ডগোল বাধিয়ে ফেলেন। এসময় বদহজম, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা এড়াতে ইফতারের খাবার খেতে হবে কিছু নিয়ম মেনে।

ইফতার করার সময় কোন ধরনের খাবার খেলে অ্যাসিডিটি হবে না তা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান ইতি খন্দকার।

তিনি জানান, রোজা ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে লেবু, চিনিযুক্ত শরবত কিংবা ট্যাং জাতীয় শরবত পান করা যাবে না। রোজা ভাঙতে হবে খেজুর বা এ জাতীয় খাবার দিয়ে। এরপর ধীরে ধীরে নরমাল পানি পান করতে হবে।

তিনি বলেন, চিনি ছাড়া লাচ্ছি, কম লেবু দিয়ে পুদিনা পাতার জুস, টক দইয়ের সঙ্গে পুদিনা পাতা ও সামান্য লবণ দিয়েও স্মুদি করেও পান করা যেতে পারে। এ ধরনের পানীয় গ্যাস কমাতে কার্যকরী।

অ্যাসিডিটি কমাতে ইফতারে যা খাবেন, যা খাবেন না :  

ইফতারের মেন্যুতে তরল জাতীয় খাবার, সহজে হজম হয় এমন খাবার, ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাতলা খিচুড়ি, স্যুপ, সাবুদানার আইটেম, সেদ্ধ ভেজিটেবল, চাইনিজ ভেজিটেবল ও মোমো খাওয়া যেতে পারে।

ইফতারের মেন্যুতে চর্বি ও ট্র্যান্সফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। রাখতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবারও। 

ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

একসঙ্গে অনেক ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ একসঙ্গে সব ধরনের খাবার হজম হতে পারে না।

যাদের টক জাতীয় খাবারে অ্যাসিডিটি হয়, তারা এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন।

অ্যাসিডিটি কমাতে যা করা যেতে পারে :

ইফতার করার পর অ্যাসিডিটি হলে দুই তিনটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেয়ে নেয়া যেতে পারে। চাইলে এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করাও যেতে পারে।

অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে আদা কুচি করে কেটে লবণ দিয়ে খেতে পারেন।

এ ছাড়া অ্যাসিডিটি কমাতে মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি পাকস্থলী ও অন্ত্রের পেশিতে প্রভাব ফেলে যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।

নিউজ ট্যাগ: ইফতার

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




‘ডন থ্রি’তে কারিনার পরিবর্তে জাহ্নবী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি ডন’। এবার আসছে এর তৃতীয় কিস্তি। ফারহান আখতারের পরিচালনায় ডন থ্রি’ সিনেমায় রণবীর সিংয়ের বিপরীতে রুমা ভাগাত চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানিকে। এবার কারিনা কাপুরের কামিনী অরোরা চরিত্রে দেখা যাবে সময়ের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা জাহ্নবী কাপুরকে। সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম কুইমুই।

গণমাধ্যমটির তথ্যমতে, সম্প্রতি নির্মাতা ফারহান আখতারের এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টের অফিসে জাহ্নবী কাপুরকে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। সেখানে অভিনেত্রীর সঙ্গে নির্মাতার অনেক সময় কথা হয়। যেহেতু কারিনার চরিত্রটি একটি গ্ল্যামার চরিত্র সে ক্ষেত্রে জাহ্নবীই ফারহানের প্রথম পছন্দ।

এদিকে ফারহানের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে গণমাধ্যমটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ডন থ্রি’ সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়ে এরই মধ্যে প্রাথমিক কথা সম্পন্ন করেছেন জাহ্নবী। ফারহান আখতারও তাকে ২০০৬ সালের ডন’ সিনেমায় কারিনার উপস্থিতি বুঝিয়ে দিয়েছেন। শুধু একটি গানেই দেখা যাবে তাকে। তাই কারিনার গ্ল্যামারের কথা চিন্তা করেই শ্রীদেবীকন্যাকে পছন্দ করেছেন ফারহান।

২০০৬ সালে মুক্তি পায় ডন’। এর পাঁচ বছর পর মুক্তি পায় ডন-টু’। দুটিতেই কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন শাহরুখ খান। ২০২৫ সালে মুক্তি পাবে ডন-থ্রি।’ এবার ডন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে অভিনেতা রণবীর সিংকে।


আরও খবর



আম্বানি পুত্রের বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠানে খরচ ১৬৫০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

২০২৪ সালের শুরু থেকে যে অনুষ্ঠান ঘিরে সারা দেশে জোর চর্চা ছিল, তা হলো আম্বানি পরিবারের ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠান। আর সদ্যই শেষ হলো  অনন্ত আম্বানি এবং তার বাগদত্তা রাধিকা মার্চেন্টের বিবাহপূর্ব উদযাপন। নাচে-গানে, হইহুল্লোড়ে, আনন্দে এই তিন দিনের উৎসবে মেতে উঠেছিল জামনগর। স্বপ্নের মতো সাজানো বিবাহ অনুষ্ঠানে ইতোমধ্যেই যোগ দিয়েছেন বিদেশের অসংখ্য তারকা। দেশ-বিদেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত তো ছিলেনই, সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিল গোটা বলিউড।

বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠানের ১২০০ অতিথির তালিকায় ছিলেন পপ তারকা রিয়ানা, ধনাঢ্য ব্যক্তি ও বিজনেস টাইকুন বিল গেটস, মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও তার জামাতা জ্যারেড কুশনার। আন্তর্জাতিক স্তরের তারকা থেকে শুরু করে এই বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বলিউড ও ভারতীয় ক্রিকেটের নক্ষত্ররাও।

এশিয়ার শীর্ষ ধনী ভারতীয় ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠপুত্রের বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠান বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। নামিদামি টেলিভিশন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার ছবি-ভিডিও আর নানা খবরাখবর।  তবে আয়োজনের শুরুটা হয়েছিল ২০২২ সালে। এর আগে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাজস্থানের নাথদ্বারার শ্রীনাথজি মন্দিরে রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করে আম্বানি পরিবার। আর বিয়ে উপলক্ষে ভারতের গুজরাটের জামনগর সেজেছে নানা রূপে। ছোট ছেলের বিয়ে উপলক্ষে জামনগরে আগেই ১৫টি নতুন মন্দির নির্মাণ করেছেন আম্বানির সহধর্মিণী নীতা আম্বানি। এ ছাড়া ১-৩ মার্চ পর্যন্ত বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠানের জন্য গুজরাটের জামনগরের আম্বানি রিসোর্টে অনুষ্ঠানের জন্য খরচ করা হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বা ১৬৫০ কোটি টাকা। গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠান। যেখানে সংগীত এবং নাচ পরিবেশনের জন্য খরচ করা হয় কোটি কোটি টাকা। এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রায় ১৩০টি ফ্লাইটে অতিথিরা জামনগরে পৌঁছান। বেশির ভাগ অতিথি ছিলেন বিলাসী তাঁবুতে। আয়োজনের আগত অতিথিদের সাজসজ্জা যেমন- মেকআপ আর্টিস্ট, হেয়ার স্টাইলিস্ট ও ডিজাইনারদের বড় দল নিয়োজিত ছিল। আর অতিথিদের জন্য ৫০০ পদের খাবারের জন্য ১০০ বাবুর্চি নিয়োগ করা হয়। অনুষ্ঠানের আগে আম্বানি পরিবারের পক্ষ থেকে জামনগরের পাশের গ্রামগুলোর ৫১ হাজার মানুষের জন্য ভোজের আয়োজন করা হয়।

২০১৮ সালে কন্যা ইশা আম্বানির বিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, মুকেশ আম্বানি বিশ্বের ১১তম ধনী এবং তার সম্পদের পরিমাণ ১১৭ বিলিয়ন ডলার।


আরও খবর



রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং করবে চসিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। উচ্ছেদ অভিযানে কারণে এবারের রোজায় সড়কে যানজট কমবে বলে মনে করেন মেয়র।

বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিক বাজার মনিটরিং কমিটির উদ্যোগে আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে আমাদের দুটি সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং যানজট। কেবল আইন বা শাস্তির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব নয়। এজন্য ব্যবসায়ী ভাইদের সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি সেবা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ রোজাদাররা যাতে কষ্ট না পান সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কেউ সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করলে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সাথে কাজ করবে চসিক। আমরা বাজার মনিটরিং করব। প্রয়োজনে রোজা উপলক্ষে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। একারণে অসাধুদের সাবধান করছি, নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দিলে আইনি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হন।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ যানজট কমাতে সাহায্য করবে জানিয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে যানজট বেড়ে যায়। তবে এবার নিউ মার্কেট ও আগ্রাবাদ মোড়ে আমরা যে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি তার কারণে যানজট কম হবে বলে মনে করি। আমরা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখব। যারা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধে হুমকি দিচ্ছে এবং নানাভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে তাদের উদ্দেশ্যে বলব কোন হুমকিতে অভিযান বন্ধ হবেনা। উদ্ধারকৃত জায়গা প্রতিটি থানা মনিটরিং করলে জনগণকে মুক্ত ফুটপাত, রাস্তা দেয়ার আমার যে পরিকল্পনা তা বাস্তব রূপ নিবে।

সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এবং বাজারের প্রতিনিধিরা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন। সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, মেয়রের উদ্যোগে নগরীর অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অবৈধ হকারমুক্ত হওয়ায় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। তবে, দখলের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হুমকি ও চাপ দিচ্ছে।

চট্টগ্রাম অবৈধ হকারমুক্ত হলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে৷ কারণ, প্রকৃত ব্যবসায়ীরা সরকারকে ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করে৷ পক্ষান্তরে, অবৈধভাবে রাস্তা-ফুটপাত দখল করে যারা ব্যবসা করে তারা অপরাধীদের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করে, যা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য হুমকি৷ চসিক যেহেতু ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে সেহেতু লাইসেন্সধারী প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে আমাদের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। আমরা অন্যান্য সরকারি সংস্থাকে সাথে নিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করব৷ মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের সামনে ফুটপাত ও হাঁটার রাস্তা দখল না করার আহ্বান জানান৷

সভায় বাজারমূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুমসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন৷ সভায় চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম,  চৈতী সর্ববিদ্যা,  জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ,

চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক নিখিল রায়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর