আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

অপূর্ব সৌন্দর্যের শত বছরের তাজহাট জমিদার বাড়ি

প্রকাশিত:বুধবার ২০ জুলাই ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ জুলাই ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে অসংখ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত বা প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ঐতিহাসিক স্থাপত্য এখনো টিকে আছে। ঢলে ভেসে যাওয়া কোনো অঞ্চল থেকে পানি নেমে গেলে যেমন পানির সঙ্গে ভেসে আসা নানান জিনিস সাক্ষী হয়ে মাটিতে লেপ্টে থাকে, তেমনিই অনেক স্থাপত্য কালের সাক্ষী হয়ে টিকে রয়েছে এই বাংলায়।

সেরকম এক স্থাপত্যের গল্প আজ শোনাতে চাই, প্রিয় পাঠক আপনাদের। তাজহাট জমিদারবাড়ি। বাংলাদেশের একটি বিভাগীয় শহর রংপুরের পুরাণ রংপুর তথা তাজহাটে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ যা বর্তমানে একটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রংপুরের পর্যটকদের কাছে এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান। রাজবাড়িটি রংপুর শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

পটভূমি : শিলালিপি থেকে জানা যায়, প্রাসাদটি বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মহারাজা কুমার গোপাল লাল রায় (জি.এল রায়) নির্মাণ করেন। এতে সময় লেগেছিল প্রায় ১০ বছর। মহারাজা গোপাল লাল রায় পেশায় ছিলেন একজন স্বর্ণকার। যার নামে বর্তমানে রংপুরে একটি সড়ক আছে (জি. এল রায় রোড)। মূলত, এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মান্না লাল রায়। যিনি সুদূর পাঞ্জাব থেকে রংপুরের প্রসিদ্ধ মাহিগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসার উদ্দেশ্যে এসেছিলেন। কথিত আছে, তিনি স্বর্ণখচিত মুকুট বা তাজ বিক্রি করতেন। তার মনমুগ্ধকর এই তাজ বা মুকুট এখানকার হাটে বিক্রি করতেন। ফলে, এ এলাকাটি তাজহাট নামে পরিচিতি পেয়েছে।

সাম্প্রতিক ইতিহাস : ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রাসাদটি ব্যবহৃত হয় রংপুর হাইকোর্ট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একটি শাখা বা বেঞ্চ হিসেবে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদ বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে বাংলাদেশের হাই কোর্ট বিভাগের আঞ্চলিক বেঞ্চ স্থাপন করেন, যার একটি রংপুরে স্থাপিত হয়েছিল। পরে, ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার পর এই পদ্ধতি তুলে দেওয়া হয়। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ প্রাসাদটিকে একটি সংরক্ষিত স্থাপনা তথা স্থাপত্য হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশ সরকার এ স্থাপত্যের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে রংপুর জাদুঘরকে স্থানান্তর করে এ প্রাসাদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে আসে। মার্বেলের সিঁড়ি বেয়ে জাদুঘরে উঠলেই রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী কক্ষ। যাতে রয়েছে দশম ও একাদশ শতাব্দীর টেরাকোটা শিল্পকর্ম। এখানে রয়েছে সংস্কৃত এবং আরবি ভাষায় লেখা বেশ কিছু প্রাচীন পাণ্ডুলিপি। এর মধ্যে রয়েছে মুঘল সম্রাট আওরাঙ্গজেবের সময়ের কুরআনসহ মহাভারত ওরামায়ণ। পেছনের ঘরে রয়েছে বেশ কয়েকটা কালো পাথরের হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর প্রতিকৃতি। কিন্তু জাদুঘরের ভেতরে ছবি তোলার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

যেমন দেখতে : মূল প্রাসাদ চত্বরে রয়েছে বিশাল খালি মাঠ, গাছের সারি এবং প্রাসাদের দুই পাশে রয়েছে দুটি পুকুর। প্রাসাদটি প্রায় ২১০ ফুটের মতো প্রশস্ত ও চার তলার সমান উঁচু। এর গঠনশৈলী প্রাচীন মুঘল স্থাপত্য থেকে অনুপ্রাণিত বলে মনে করা হয় যার প্রমাণ মেলে মধ্যভাগে বিশাল একটি গম্বুজ ও দুই পাশে তার ছড়িয়ে যাওয়া দালানগুলোর একটা মসজিদের অবয়ব থেকে। তবে রাজবাড়ি যেই দিক থেকে বাংলাদেশের অন্য সকল প্রাসাদের থেকে আলাদা তা হল এর সিঁড়িগুলো। সর্বমোট ৩১ টি সিড়ি আছে যার প্রতিটিই ইতালীয় ঘরানার মার্বেল পাথরে তৈরি। সিঁড়ি থেকে উঠে জাদুঘর পর্যন্ত মেঝের পুরোটাও একই পাথরে তৈরি। রাজবাড়ির পশ্চাৎভাগে গুপ্ত সিঁড়ি রয়েছে। এই গুপ্ত সিঁড়ি কোনো একটি সুড়ংগের সঙ্গে যুক্ত যা সরাসরি ঘাঘট নদীর সঙ্গে যুক্ত এমন একটা জনশ্রুতি রযেছে। তবে সিঁড়িটি এখন নিরাপত্তা জনিত কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাসাদের সুন্দর ফোয়ারাটি কালের বিবর্তনে শ্বেতশুভ্র মার্বেল ও তার সবুজাভ নকশা কিছুটা মলিন হলেও এখনো এর জৌলুশ বোঝা যায়। কথিত আছে রানীর জন্যেই বিশেষ করে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রাসাদটির সম্মুখভাগ প্রায় ৭৬ মিটার, দুই তলা বিশিষ্ট এবং পূর্ব দিকে মুখ করে এর অবস্থান। প্রাসাদটির মাঝখানে একটি আকর্ষণীয় প্রশস্ত সিঁড়ি রয়েছে যা আমদানি করা সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি। সিঁড়ি টি বারান্দা থেকে সরাসরি ওপরের তলায় নিয়ে যায়।

গঠনশৈলী : প্রাসাদটি ছাদের মাঝখানে একটি লম্বা অষ্টভুজাকার ঘাড়সহ একটি পাঁজর-শঙ্কুযুক্ত গম্বুজ দ্বারা সাজানো, আংশিকভাবে সরু আধা-সরু স্তম্ভগুলির একটি সারি রয়েছে যা প্রাসাদটিকে দৃঢ়তা প্রদান করে। মনোরম সিঁড়ির উভয় পার্শ্বের রেলিংগুলো মূলত ইতালীয় মার্বেল পাথরের এবং ধ্রুপদী রোমান সম্রাজের মূর্তিগুলোর বিভিন্ন ভাস্কর্য দিয়ে অলঙ্কৃত ছিল, কিন্তু এখন সেগুলো কালের পরিক্রমায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। প্রাসাদটির সামনের মুখের প্রতিটি প্রান্তে দুটি করে অর্ধ-অষ্টভুজাকার এবং একটি কেন্দ্রীয় সাজানো বারান্দা রয়েছে। বারান্দার ওপরের ছাউনি টি গোলাকার খাদযুক্ত চারটি সুন্দর সরু স্তম্ভের ওপর বহন করা হয়, যখন বিল্ডিংয়ের প্রতিটি সাজানো প্রান্তে দুটি অনুরূপ স্তম্ভ, একটি ত্রিভুজাকার ধার দৃঢ়তা প্রদান করে। প্রাসাদটির খোলা প্রান্ত হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত ইউ আকৃতির মতো করে নকশা তৈরি করে। প্রবেশ পথের বাইরে নিচ তলায় একটি খুব বড় হল আছে। একটি চওড়া গলির ভেতরের ব্লকের পুরো দৈর্ঘ্য দিয়ে চলে যায়। দুটি প্রশস্ত কাঠের সিঁড়ি দিয়ে ওপরের তলায় ওঠার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। প্রাসাদটিতে দুটি তলায় প্রায় ২২ টির মতো কামরা রয়েছে। জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ হয়েছে অনেক আগেই। হাঁক-ডাক ফরমায়েশ। এস্টেটের ভেতর নির্যাতন সব থেমে গেছে। শুধু ইতিহাস, কালের সাক্ষী হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে এই বাড়ি। 

যেভাবে যাওয়া যায় : ঢাকা থেকে রংপুর যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো পরিবহন হলো গ্রিন লাইন এবং টি আর ট্রাভেলস। এছাড়া এ রুটে আগমনী পরিবহন, এস আর, শ্যামলী, হানিফ, কেয়া ইত্যাদি পরিবহনের সাধারণ বাস চলাচল করে। ঢাকার কল্যাণপুর ও গাবতলী থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ছাড়ে এসব বাস। টিকিট কেটে চেপে বসলেই হলো। রংপুর পৌঁছে কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ড বা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে নেমে সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা করে ঘুরে আসা যাবে তাজহাট জমিদার বাড়ি থেকে। হানিফ বা শ্যামলীতে গেলে মর্ডান মোড় নেমে সেখান থেকেও যাওয়া যাবে। জাদুঘরে নির্দিষ্ট প্রবেশ মূল্য পরিশোধ করে প্রবেশ করা যায়। প্রাসাদ চত্ত্বরে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে চাইলে গাড়ির জন্যও নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে। 


আরও খবর



২৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ১৬৮ কোটি ডলার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

গত মার্চ মাসে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।


আরও খবর



নির্বাচনের প্রচারণায় গিয়ে প্রাণে বাঁচলেন সায়নী ঘোষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

টালিউড অভিনেত্রী ও তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় বের হয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যেই তার গাড়ির সামনে ভেঙে পড়ে গাছের ডাল। অল্পের জন্য বেঁচে যান অভিনেত্রী। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সোমবার ঝড়ের মধ্যেই গাড়ি নিয়ে নির্বাচনের প্রচারে বের হন সায়নী। এরপর তৃণমূলের র‍্যালির সামনেই ভেঙে পড়ে গাছের ডাল। নেতাকর্মীরা সতর্কতার সঙ্গে অভিনেত্রীকে সরিয়ে নেন। এরপর গাছের দাল সরিয়ে আবারও নির্বাচনের প্রচারে বের হতে দেখা যায় তাকে। যার ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারতে এবার লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। সে অনুযায়ী গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু হয় ২৬ এপ্রিল। ৭ মে মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। এ দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি কেন্দ্রে।

নিউজ ট্যাগ: সায়নী ঘোষ

আরও খবর



হর্ন বাজানো নিয়ে বরিশাল বাসস্ট্যান্ডে লঙ্কাকাণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

হর্ন বাজানো নিয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ এলাকায় লঙ্কাকাণ্ড ঘটছে। গত শনিবার দুপুরে হর্ন বাজানো নিয়ে বাস চালক ও হেলপারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। সহকর্মীদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে সেখানকার বাস শ্রমিকরা। রাতে সেই সংঘর্ষ বেধেছে বাস-থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে।

এরপর দফায় দফায় মারামারি, হামলা-পাল্টা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে একাধিক যানবাহন ভাংচুর করেছে দুই পক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে নথুল্লাবাদ থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি নিয়ে বেলা ১২টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

ঘটনাস্থলে থাকা মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন জানান, সন্ধ্যার পর বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ১৫/২০ থ্রি-হুইলার (মাহেন্দ্র টেম্পো) ও ৩/৪টি বাস ভাংচুর করা হয়েছে। তারা এক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছাড়েনি। তবে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর থেকে এসে আটকে পড়া যাত্রীবাহী বাসসহ সকল যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

থ্রি-হুইলার চালক সোহেল বলেন, বাস শ্রমিকরা নিজেরা মারামারি কইর‌্যা বাস বন্ধ করেছে। মোরা পাবলিক সার্ভিস দেতেয়াসেলাম। এর ফিন্নে (এ সময়) বাস শ্রমিকরা আইয়্যা মোগো উপারে হামলা করছে। পঞ্চাশটার বেশি থ্রি-হুইলার ভাইঙ্গ্যা হালাইসে।

গৌতম রায় নামে আরেক থ্রি-হুইলার চালক বলেন, অহেতুক তারা আইস্যা আমাদের উপারে হামলা করসে। বাস শ্রমিকরা তারা গাড়ি ভাঙছে, শ্রমিকদের মারছে, খাবার হোটেলও লুট কইর‌্যা লইয়্যে গেসে।

তিনিসহ থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের দাবি, তাদের গাড়ি যখন ভাংচুর করে বাস শ্রমিকরা, পুলিশ কিছু বলেনি। উল্টো পুলিশ এসে থ্রি-হুইলার চালক শ্রমিকদের পিটিয়েছে। এ সময় তাদের বেশকিছু শ্রমিক আহত হয়। তাদের বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।

গৌতম আরও বলেন, তারা নথুল্লাবাদ থেকে ৭টি রুটে থ্রি-হুইলার চালান। ক্ষতিপূরণ না পেলে গাড়ি চালানো বন্ধ রাখাসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেবেন।

এদিকে বাস শ্রমিকরা জানিয়েছেন, মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা আকস্মিক তাদের ওপর সন্ধ্যার পর হামলা চালায়। যা প্রতিহত করতে গেলে টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় থাকা ১০-১২ টি বাস ভাংচুর করে মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী কবির বলেন, সন্ধ্যার দিকে দুপুরের ঘটনা সমাধান করে বাস চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সময় আবার বাস ও থ্রি হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে ঝামেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি অসীম দেওয়ান বলেন, শ্রমিকদের একটি গ্রুপ প্ররোচনা দিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করছে। তাই এখনও বাস চলাচল শুরু করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস চলাচল শুরু করার চেষ্টা চলছে।

বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে শেবাচিমে ২৬ জন শ্রমিক ভর্তি হয়েছে বলে উভয় পক্ষ জানিয়েছে। এদিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষের কারণে বরিশাল নগরের বৈদ্যপাড়ার প্রবেশ মুখ থেকে আমতলার মোড় পর্যন্ত সড়কে বিপুল সংখ্যক বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান আটকা পড়ে। রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সামনের যানবাহন চলাচল শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।


আরও খবর



নাফ নদী থেকে ১০ বাংলাদেশি জেলে অপহরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

দেশের অভ্যন্তরে কক্সবাজারের নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় বাংলাদেশের ১০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা।

বুধবার (১ মে) সকালে উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, আরকান আর্মির সদস্যরা নাফ নদীতে মাছ শিকাররত অবস্থায় ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা জানতে চাওয়া হলে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তানবীর হোসেন বলেন, গত রাত একটার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনা জেনেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। তাই বিজিবির হস্তক্ষেপে অপহৃতদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।

অপহরণের শিকার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল তিন নম্বর ওয়ার্ডের জানে আলম, আবদুর রহিম, আনোয়ারুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আইয়ুবুল ইসলাম, শাহীন।

আরও রয়েছেন- চার নম্বর ওয়ার্ড গৌজঘোনা এলাকার আবদুর রহিম প্রকাশ আবদুর রহমান, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের টিবনিয়া এলাকার ওসমান গণি, ওসমান ও আবুল হাশিম।


আরও খবর



বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির বিষয়টি  নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে নিয়ামতি ইউনিয়নের ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে গৃহবধূ সোনিয়া বেগম (৩১), তার ৯ বছরের মেয়ে রেজমি আক্তার ও ৫ বছরের ছেলে সালমান মোল্লা নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর