আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ৪ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৫ জনের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

দুর্নীতি কমিশনের (দুদক) মামলায় এক কোটি ৯৭ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে সোনালী ব্যাংকের ৪ সিনিয়র কর্মকর্তাসহ ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে ৭০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫জনকে বিভিন্ন ধারায় তিন কোটি ৭০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নোয়াখালীর সদর উপজেলার সোনাপুর বিসিক শিল্প এলাকার মেসার্স ডলফিন ডলফিন সী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের কর্নধার ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন ফারুক, সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক এ জিএম এ জে আবদুল্ল্যা আল মামুন, সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার জাকের উল্যাহ, ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সাবেক এওজি ক্যাশ-২ এমএ রহমান, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত ইঞ্জিনিয়ার সামছুদ্দোহা নাহাদ। 

সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ.এন এম মোরশেদ খান এই রায় দেন। তবে এ সময় তিন আসামি ছাড়া বাকী দুই আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম জানান, দুপুর ১২টার দিকে মামলার শুনানি শেষে বিচারক রায় দেওয়ার সময় মামলার তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার ১ নম্বর ও ২ নম্বর আসামি পলাতক ছিলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে ব্যবসায়ী ফারুক ও চার ব্যাংক কর্মকর্তা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্লেজ গুদামে মাছ না রেখে ভুয়া প্লেজ লেটার প্রস্তুত করে। পরে তা ব্যাংকে দাখিল করে বিল-ভাউচার প্রস্তুত করে ঋণের অর্থ গ্রাহকের নামীয় ঋণ হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন করে ঋণের অর্থ অন্যত্র  স্থানান্তর ও রুপান্তর করে মানিলন্ডারিং এর সাথে সম্পৃক্ত ও সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অর্জন করে।  সর্বশেষ আলামত ধ্বংস (প্লেজকৃত মাছ) করে ১ কোটি ৯৭ লক্ষ ১৬ হাজার ৭শত টাকা আত্মসাৎ করে। পরে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালীর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান, বর্তমানে উপপরিচালক, গোয়েন্দা ইউনিট, প্রধান কার্যালয়,কর্তৃক তদন্ত শেষে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে  বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

দুদকের পিপি আরও জানান, দুটি ধারায় মেসার্স ডলফিন ডলফিন সী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের কর্নধার ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন ফারুক ও সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক এ জিএম এ জে আবদুল্ল্যা আল মামুনকে দুর্নীতির দায়ে ২০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী ফারুককে ২ কোটি দুই লক্ষ টাকা ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক এ জিএম এ জে আবদুল্ল্যা আল মামুনকে এক কোটি ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপর তিন ব্যাংক কর্মকর্তা সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার জাকের উল্যাহ, ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সাবেক এওজি ক্যাশ-২ এমএ রহমান, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত ইঞ্জিনিয়ার সামছুদ্দোহা নাহাদকে একাধিক ধারায় ১০ বছর করে কারাদন্ড  দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে ২২ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তাদের ২৫ বছর করে রায়ে দন্ডিত করা হলেও এক সাথে সাজা কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে তিন আসামিকে ১০ বছর সাজা খাটতে হবে বলেও জানান এ আইনজীবী।


আরও খবর



এবার নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন সিইসি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দক্ষিণ কোরিয়ার (রিপাবলিক অব কোরিয়া) জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে দেশটিতে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. শাহ আলম এ সংক্রান্ত চিঠি ইতিমধ্যে চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স অফিসারের কাছে পাঠিয়েছেন।

আগামী ৪ থেকে ১২ এপ্রিল সিইসি দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। তার সঙ্গে থাকবেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও সিইসির একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন।

জানা গেছে, রিপাবলিক অব কোরিয়ার ন্যাশনাল ইলেকশন কমিশন (এনইসি) দেশটির ২২তম ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচন দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানানোয় তারা দেশটিতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিমানভাড়া, থাকা-খাওয়া, স্থানীয় যাতায়াতের ব্যয় বহন করবে এনইসি। আর অন্যান্য ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩ এপ্রিল তারা কোরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং দেশে ফিরবেন ১৩ এপ্রিল।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের খরচে এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচন দেখতে যায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এদেশের নির্বাচন দেখতেও এনইসিকে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।

সম্প্রতি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন দেখতেও দেশটিতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (সিইসি)।


আরও খবর



শপথ নিলেন নবনির্বাচিত কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি মেয়র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত দুই মেয়র শপথ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচিত কুমিল্লার মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা ও ময়মনসিংহের ইকরামুল হক টিটুকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের পাশাপাশি ৫টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরাও শপথ নেন।

৫ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা হলেন কুড়িগ্রামের আ ন ম ওবায়দুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ের আব্দুল মজিদ, সিরাজগঞ্জের শামীম তালুকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিল্লাল মিয়া ও হবিগঞ্জের আলেয়া আক্তার।

পরে একই স্থানে শপথ নেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ৪৪ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে তাহসিন বাহার সূচনা জয়ী হওয়ায় প্রথম নারী মেয়র পেয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। গত ৯ মার্চ সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে জয়ী হন তিনি।

ওই দিনই ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন একরামুল হক টিটু।

নিউজ ট্যাগ: সিটি করপোরেশন

আরও খবর



ফাঁকা বাড়িতে প্রেমিককে ডেকে ফেঁসে যান অনন্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। তার আরেকটি পরিচয় তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে। ছোট বেলা থেকেই ভীতু প্রকৃতির মেয়ে তিনি। বলা যায়, বাবা-মাকে একটু বেশিই ভয় পেতেন অনন্যা। তবে একবার বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ফাঁকা বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডেকে ফেঁসে যান এই অভিনেত্রী।

ফাঁকা বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডাকার বিষয়টি টের পেয়ে যান বাবা চাঙ্কি। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অনন্যা।

অনন্যা বলেন, আমার বাবা লিভিং রুমে ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। আমি ভেবেছিলাম, আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এটা করেছেন তিনি। আমি খুব ভীতু প্রকৃতির মেয়ে। কখনও বাবা-মায়ের সঙ্গে মিথ্যা বলি না।

আমার যখন বয়স আরও কম ছিল, তখন আমি প্রথম একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াই। ওই সময়ে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম— আমি কি তার প্রস্তাবে রাজি হব?

অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি সেদিন কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে ছিলাম। কিন্তু নিজেকে সাহসী মনে হচ্ছিল। তবে খুব শান্ত ছিলাম। সেদিন লিভিং রুমে বসে আমার প্রেমিকের সঙ্গে শুধু কথাই বলেছিলাম। যেহেতু লিভিং রুমে ক্যামেরা বসানো ছিল, তাই বাবা আমাদের ভিডিও দেখেছিলেন।

পরবর্তীতে বাবা আমাকে বলেছিলেন— তুমি আমাকে হতাশ করেছ। এ ঘটনার পর বাবা-মাকে ৫ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছিলাম আমি।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন অনন্যা। যদিও এখন পর্যন্ত বিষয়টি তারা সরাসরি স্বীকার করেননি। তবে প্রকাশ না করলেও নানান জায়গায় একসঙ্গে দেখা যায় তাদের। এমনকি বিদেশেও একসঙ্গে ছুটি কাটান এই প্রেমিকযুগল।


আরও খবর



ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে চীনা নাগরিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় পাওয়ার প্ল্যান্টের ভবন থেকে নিচে পড়ে ঝাং জি বিন (৫৫) নামের এক চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি কোম্পানির ইলেক্টিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফতুল্লার পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

টিবিইএ কোম্পানি লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির দোভাষী মো. সেলিম জানান, তারা পঞ্চবটি বিসিক এলাকায় একটি পাঁচ তলা ভবনে বিদ্যুৎ পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির কাজ করেন। সেখানকার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ওই চীনা নাগরিক। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ওখানে কাজ করছেন। আজ সকালে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ফ্লোরে বিদ্যুতের তার সঞ্চালনার ফাঁকা জায়গায় একটি কাঠ পেতে তার ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন ওই চীনা নাগরিক। হঠাৎ সেই কাঠটি ভেঙে ফাঁকা জায়গা দিয়ে বেসমেন্ট পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি।

পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে এক চীনা নাগরিককে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।


আরও খবর



অরিত্রীর আত্মহত্যা : দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলার রায় ফের পেছালো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের সাময়িক বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আক্তারের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় চতুর্থ দফার মত পিছিয়েছে। আগামী ৩ জুন রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঘোষণার জন্য আগামী ৩ জুন নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ২১ জানুয়ারি ধার্য করেন। তবে, ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়। ওই দিনেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে ৩ মার্চ ধার্য করা হয়। একই কারণে রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে ৯ এপ্রিল ধার্য করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ এ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। আসামিদের নির্দয় ব্যবহারে অরিত্রী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।

একই বছরের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ২৫ নভেম্বর এ মামলার বাদী ও অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট অরিত্রী মা বিউটি অধিকারী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ মামলার ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইলফোন পান শিক্ষক। মোবাইলফোনে নকল করেছে-এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এসময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।


আরও খবর