দেশের অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকাগুলোর
মধ্যে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ অঞ্চলের পেঁয়াজ
স্থানীয় চাহিদা পুরণ করে দেশের অভ্যন্তরে আমদানি করা হয়।
এখানে তিনমাস পূর্বে যখন জমি থেকে নতুন
পেঁয়াজ ওঠা শুরু হয়, তখন পেঁয়াজের দাম ছিল মাত্র ৪০ টাকা কেজি। এর ২০-২৫ দিন পর থেকে
দফায়-দফায় পেঁয়াজের মূল্য বাড়তে শুরু করে এবং বাজার মূল্য এসে দাড়ায় ৮০ টাকায়।
এর প্রধান কারণ মজুত। টার্গেট কোরবানীর
ঈদ। তবে শেষ পর্যন্ত মজুতকারীদের স্বপ্ন ভেস্তে গেল। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার
একদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমলো ২৫ টাকা।
জানা গেছে, রাজশাহীর সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে
এসেছে ভারতীয় পেঁয়াজ। সরকার ঘোষিত আমদানির অনুমতি মেলার পরদিন সোমবার (৫ জুন) এ বন্দর
দিয়ে ১ হাজার ৬২ মেট্রিকটন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
একইভাবে যশোর, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ,
সাতক্ষীরাসহ দেশের অন্য সীমান্ত দিয়েও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে
মাথায় হাত পড়েছে পেঁয়াজ মজুতকারীদের। ইতিমধ্যে অনেক মজুতকারী তাদের ঘরে রাখা পেঁয়াজ
ভ্যান করে বাজারে আড়াতদার (পাইকারি) ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। মঙ্গলবার
উপজেলা সদরে অবস্থিত বাঘা বাজারে প্রবেশ করলে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
সূত্র মতে, গত মাসের ২৬ তারিখ শৈলকূপায় একজন চাষির ঘর থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বের করেছে প্রশাসন। এরপর টনক নড়ে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর।