আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

অশান্ত ইরান শান্ত হবে?

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর জেরে চলতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ইরানে যে অভূতপূর্ব সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার জের এখনও চলছে। বলা যায়, এই আন্দোলন ইরানের ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থী শাসকগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ নতুন যুগের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে। সরকার প্রবর্তিত হিজাবনীতি লঙ্ঘন করায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরানে পুলিশের হাতে আটক হন ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনি। কয়েক ঘণ্টা হেফাজতে থাকার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় মাশা আমিনির। মাশার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, হেফাজতে ব্যাপক নির্যাতনের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার।

১৬ সেপ্টেম্বর মাশার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই তাকে গ্রেপ্তারে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয় ইরানের ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে। সরকারের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেই বিক্ষোভে দমন-পীড়ন শুরু করার পর তা পরিণত হয় সরকারবিরোধী আন্দোলনে, এবং দাবানলের মতো তা ছড়িয়ে পড়ে দেশটির সর্বত্র। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে সরকারি বাহিনীর সদস্যদের সহিংসতা ও নির্যাতনের মাত্রাও।

ইরানের এই গণআন্দোলনের সমর্থক সংবাদমাধ্যম হারানা নিউজ এজেন্সির দাবি, আন্দোলনের শুরু থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে দেশজুড়ে নিহত হয়েছেন ৫০৬ জন আন্দোলনকারী, তাদের মধ্যে ৬৯ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। অবশ্য পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার বেশ কিছু ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন শহরে। সেসব হামলায় প্রাণ গেছে ৬৬ জন সদস্যের। ১৯৭৯ সালে বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহালভিকে হটিয়ে শাসনক্ষমতা দখল করা ইসলামি শাসকগোষ্ঠী তাদের গত ৪ দশকের শাসনামলে এমন সরকারবিরোধী বিক্ষোভ কখনও দেখেনি। আন্দোলনের শুরুর দিকে এই  শাসকগোষ্ঠী বিক্ষোভকারীদের নৈরাজ্যবাদী, সন্ত্রাসী, অন্যদেশের চর বলে উল্লেখ করে সাধরণ লোকজন থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলার চেষ্টা করেছিল।

কিন্তু এই প্রচেষ্টা কোনো কাজে আসেনি; বরং সরকার বিক্ষোভকারীদের প্রতি যত কঠোরতা প্রদর্শন করেছে, আন্দোলনের প্রতি দেশটির সাধারণ জনগণ সাড়া দিয়েছেন তার চেয়েও বেশি হারে। ইরানের এই গণআন্দোলন দেশটির ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থী শাসকগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করার মতো শক্তিশালী নয়। কারণ, প্রথমত শাসকগোষ্ঠীর সদস্যরা যে নিরাপত্তা বলয়ে বসবাস ও চলাফেরা করেন তা অত্যন্ত সুরক্ষিত। ইরানের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর লোকবল যথেষ্ট, অস্ত্রভাণ্ডারও সমৃদ্ধ।

দ্বিতীয়ত, সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীরা এখন পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে কোনো নেতা দাঁড় করাতে পারেননি, যিনি বা যারা  নেতৃত্ব দিয়ে এই বিক্ষোভকে একটি লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যেতে পারবেন। স্বতঃস্ফূর্ত আবেগই এই বিক্ষোভের মূল ভিত্তি এবং আন্দোলনকে কোনো লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করার প্রবণতা বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্রায় অনুপস্থিত। কিন্তু তারপরও বলা যায়, গত চার দশক ধরে ক্ষমতায় আসীন শাসকগোষ্ঠীর ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে এ আন্দোলন। সাধারণ জনগণ যে মাত্রায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন শাসকদের বিরুদ্ধে, তার সঙ্গে ক্ষমতাসীনরা একেবারেই পরিচিত নয়। আন্দোলন কবে নাগাদ থামবে তার নিশ্চয়তা কেউই দিতে পারছে না এবং বর্তমানে পরিস্থিতি এমন যে, শাসকগোষ্ঠীর যে কোনো ভুল পদক্ষেপ দেশটিকে আরও গভীর সংকটের আবর্তে ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

এদিকে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি কার্যকর করতে গত তিন বছর ধরে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। যদি এই চুক্তি কার্যকর করা সম্ভব হয়, তাহলে দেশটির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা অনেক নিষেধাজ্ঞা শিথিল হবে, প্রাণ ফিরে পাবে জাতীয় অর্থনীতি। ২০১৭ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে বের করে এনেছিলেন, সেই সঙ্গে জারি করেছিলেন অতিরিক্ত বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা। ২০২০ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। চলতি বছর বা আগামী বছরের প্রথমার্ধের মধ্যে সাবেক ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহারের সবুজ সংকেতও পাওয়া যাচ্ছিল।

কিন্তু চলমান এই সরকার বিরোধী আন্দোলন সেসব সম্ভাবনা প্রায় পুরোপুরি তছনছ করে দিয়েছে। মাশা আমিনির মৃত্যু ও তার পর আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়নে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ইতোমধ্যেই ইরানের ওপর ব্যাপক ক্ষোভ জানিয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘভিত্তিক নারী অধিকার ও ক্ষমতায়ন সম্পর্কিত সংস্থা থেকেও বাদও দেওয়া হয়েছে ইরানকে। দ্রুত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হলে আগামী ২০২৩ সাল থেকেই গভীর অর্থসংকটে পড়বেন ইরানের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগণ।

যা হতে পারে ২০২৩: আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের বর্তমান সংকটের মূল নিহিত আছে দেশটির কট্টরপন্থী শাসকগোষ্ঠীর মনোভাবের মধ্যেই। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বিশ্বাস করেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান যেসব আদর্শিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে সরকারের হিজাবনীতি সেসবের মধ্যে অন্যতম এবং এটির সঙ্গে আপোস করা হলে সমূহ বিপর্যয় নেমে আসবে। সরকারের এই অনড় অবস্থানই সাড়ে আট কোটি মানুষ অধ্যুষিত দেশটির জনগণ, যাদের ৭০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের কমআরো বেশি ক্ষুব্ধ করে তুলছে। আবার শাসকগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও দিন দিন বাড়ছে। ইরানের ক্ষমতাকাঠামোতে সর্বোচ্চ নেতা পদটি একসঙ্গে অত্যন্ত ক্ষমতা ও মর্যাদাসম্পন্ন। ৮৩ বছর বয়স্ক খামেনির মৃত্যুর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা কে হবেন তা নিয়ে বিভক্তি শুরু হয়েছে শাসকগোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে। এখন পর্যন্ত যদিও এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসেনি, তবে যদি দ্রুত এটির কোনো সমাধান না হয় সেক্ষেত্রে জটিলতা আরও বাড়বে ইরানে।

নিউজ ট্যাগ: মাশা আমিনি

আরও খবর



ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেফতার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ডিবির কার্যালয়ে আসেন তিনি। ডিবি পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

ডিএমপির গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে ডিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রোববার ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তার স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।

তিনি বলেন, নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে (মানসিক রোগী) পরিণত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান কীভাবে হলো, তথাকথিত মানবতার ফেরওয়ালা কীভাবে হলেন, তার অর্থের উৎস, কীভাবে আসে, কীভাবে তিনি দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতেন এবং কেনই-বা তাদের টর্চার সেলে এনে পেটাতেন, সবকিছু বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহয়তা করতেন, তাদেরকেও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মিল্টন সমাদ্দারের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন, তদন্ত করে জানানো হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।

এর আগে গত বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ।

পরে রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিনদিনের রিমান্ড দেন আদালত।

সম্প্রতি, কিছুদিন ধরে মিল্টনের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মিল্টন ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এরই মধ্যে তার সঙ্গে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।


আরও খবর



মাদারীপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরের রাজৈরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন যাত্রী।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বরিশালগামী কাজী পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় বাসের কমপেক্ষ ৩০ জন যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস দুটির চালক আটকা পড়ে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বেশি কিছু যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। বাস দুটির চালক ভেতরে আটকা পড়েছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আমরা তাদের উদ্ধার করি।

নিউজ ট্যাগ: সড়ক দুর্ঘটনা

আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুইজন নারী মারা গেছেন। তারা দুজনই আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বেগুয়ারখাল গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় স্বামীর জন্য মাঠে ভাত নিয়ে যাওয়ার সময় আশুরা খাতুন (২৫) ও সকাল সাড়ে ১০ টায় আয়েশা বেগম (৭০) মারা যান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেগুয়ারখাল গ্রামের আনোয়ার হোসেন খুব সকালে না খেয়েই মাঠে ক্ষেতে কাজ করতে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার স্ত্রী আশুরা খাতুন মাঠে ভাত নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্বামীর ক্ষেত পর্যন্ত পৌঁছার আগেই জমির আইলে পা বেঁধে আশুরা খাতুন মাটিতে পড়ে যান। মাঠের কৃষকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশুরাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে তোড়জোড় করার সময়ই তিনি মারা যান। আশুরা-আনোয়ার দম্পত্তির ৭ বছরের এক মেয়ে আছে।

এর এক ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় একই গ্রামের আক্কাস আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগম মারা যান। ক'দিনের তীব্র গরমে তিনি হাঁসফাঁস করছিলেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রাম্য চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, কয়দিনের তীব্র গরমে আয়েশা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুজনই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এর আগে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে গত দুদিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রক ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকেই। আজ চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



‘চার মাসে নির্যাতনে ৩৬ শ্রমিকের মৃত্যু’

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত ১২৯ জন শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৬ জন। আহত হয়েছেন ২১৩ জন।

শ্রমিক নির্যাতনের এসব ঘটনা ঘটেছে কারখানা, বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং সড়ক ও নৌপথে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এইচআরএসএসের তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে ৯২টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২৮ জন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ৪৪ জন শ্রমিক মারা গেছেন। এ সময়ে সাতটি গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া এপ্রিল মাসে ৩৭টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১১ জন শ্রমিক। এ সময়ে নির্যাতনে আহত হয়েছেন ৮৫ জন। এপ্রিল মাসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ১৭ জন শ্রমিক মারা গেছেন।


আরও খবর



ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে ঈদের ছুটিতে যাওয়া মানুষ। তবে স্বস্তিতে ফেরার যাত্রায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে লাইনচ্যুত হয়েছে যমুনা এক্সপ্রেস।

যে কারণে ঢাকার কমলাপুরের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল আপাতত এক লাইনে সামলাতে হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার সকালে রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল কারওয়ান বাজার। সেখানে ডাবল লাইন। একটি লাইন বন্ধ রয়েছে। আরেকটি সচল। লাইনচ্যুত ট্রেনটি লাইনে আনা ও চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর