আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

অস্ত্র সরবরাহে ইউক্রেনের মিত্রদের ছাপিয়ে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছরের মার্চে ইউক্রেন তার ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে প্রতি মাসে আড়াই লাখ গোলা চায়। দেশটির তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকোভ বলেছিলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী পূর্ণ মাত্রায় লড়াইয়ের জন্য তাঁদের প্রতি মাসে অন্তত সাড়ে তিন লাখ গোলা প্রয়োজন। ইউক্রেন তখন মাসে মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার গোলা পায়। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পার্থক্য গড়ার জন্য তাদের ইউরোপের সহায়তা দরকার ছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ১ বছরে ১০ লাখ গোলা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যা ছিল ইউক্রেনের চাহিদার তিন ভাগের এক ভাগ। সেখানে নভেম্বরের শেষ নাগাদ ইইউ দিতে পেরেছে তিন লাখ গোলা। সেগুলো দেওয়া হয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর সেনাবাহিনীর মজুত থেকে। প্রতিশ্রুতি পূরণে চার মাসে বাকি সাত লাখ গোলা তাদের সরবরাহ করতে হবে। কিন্তু ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, নতুন করে উৎপাদনের পরই ইউক্রেনকে গোলা সরবরাহ করা হবে।

আশ্চর্যজনকভাবে ইউরোপের মাটিতে প্রায় দুই বছর ধরে যুদ্ধ চলার পরও ইইউ সমরাস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর সক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি। গত ১৪ নভেম্বর ইইউর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের এক সমাবেশে জোসেফ বোরেল বলেন, আজ আমরা জানতে চাই, আমরা কোথায় আছি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে উৎপাদনের (সমরাস্ত্র) গতি কেমন হবে।

রাশিয়াও তার উৎপাদনসক্ষমতার চেয়ে বেশি গোলা বর্ষণ করছে। গত সেপ্টেম্বরে দেশটি এ জন্য উত্তর কোরিয়ার সহায়তা চায়। এর এক মাসের মধ্যে উত্তর কোরিয়া এক হাজার কনটেইনার গোলাবারুদ রাশিয়ায় পাঠায় বলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি জানিয়েছেন। এস্তোনিয়ার সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কর্নেল অ্যান্ট কিভিসেলগ বলেন, উত্তর কোরিয়ার পাঠানো গোলার পরিমাণ তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ হবে। এই একই পরিমাণ গোলাবারুদ ইউক্রেনকে দিয়েছে ইইউ, তবে তা এক মাসে নয়, আট মাসে।

ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে স্যাটেলাইট আলোকচিত্র বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে, আগস্টে উত্তর কোরিয়ার মুক্তবাণিজ্য অঞ্চলের রাসোন বন্দর থেকে রাশিয়ার দুনাই বন্দরে চালানগুলো যাওয়ায় বেশি পরিমাণে গোলাবারুদ পরিবহন সম্ভব হয়েছে।

এর বাইরে রেলপথ দিয়ে উত্তর কোরিয়া থেকে বাড়তি গোলাবারুদ নিয়ে থাকতে পারে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) বলেছে, স্যাটেলাইট আলোকচিত্র দেখা যাচ্ছে যে সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জংউনের বৈঠকের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচল নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

গ্রিসের অ্যারিস্টটেলিন ইউনিভার্সিটি অব থেসালোনিকির ইতিহাসের ইমেরিটাস অধ্যাপক ইয়োরগোস মার্গারিটিস বলেন, পশ্চিমের কাছে বিরাট বিস্ময়ের বিষয় হলো, চীনসহ বহির্বিশ্বের কাছ থেকে রাশিয়া যা চেয়েছিল, তা অর্জনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছে তারা। উত্তর কোরিয়া যে পরিমাণ গোলা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে (১০ লাখ), তা বিরাট সংখ্যা। ইতিমধ্যে তারা এর ১০ ভাগের ১ ভাগ দিয়েও দিয়েছে।

এ বিষয়ে জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের ফেলো ইয়েনস বাস্তিয়ান বলেন, রাশিয়া পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ পাচ্ছে। তারা কতটা খরচ হলো, তা নিয়ে ভাবছে না। সন্দেহাতীতভাবে তারা তৃতীয় পক্ষেরও সহায়তা পাচ্ছে। ইউক্রেনের দিকে এই তিন বিষয় একই রকম হচ্ছে না।

এই সংকট থেকে বের হওয়ার উপায় পাচ্ছে না ইইউ। জোসেফ বোরেলের মতে, ইইউর প্রতিরক্ষা শিল্পের ঘাটতির পেছনে বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের চুক্তি বড় ভূমিকা রাখছে। চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নিয়ে যাচ্ছে এই ক্রেতারা।

ইউরোপের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ ছিল ত্বরিত ও অগ্রসরমাণ। গত ফেব্রুয়ারিতে তারা কামানের গোলার উৎপাদন ছয় গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ইউক্রেনকে সরবরাহের কারণে মজুতে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছিল, তা পূরণে ইউক্রেনকে আরও বেশি গোলাবারুদ সরবরাহ এবং ভবিষ্যতের সংঘাতের জন্য মজুত বাড়াতে ওয়াশিংটন ওই সিদ্ধান্ত নেয়। গত শতকের পঞ্চাশের দশকে হওয়া কোরীয় যুদ্ধের পর এবারই সবচেয়ে বেশি গোলার উৎপাদন বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র।

নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ১৪ হাজার ৪০০টি গোলা কেনে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। এরপর তারা এই সংখ্যা বাড়িয়ে তিন গুণ করেছিল। এরপর ২০২৩ সালে পরিমাণ দ্বিগুণ করে ৯০ হাজারে নেয়।


আরও খবর



এখনো সিঙ্গেল থাকার কারণ জানালেন মিমি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নিটোল প্রেমের গল্পে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন টালিউড তারকা আবির চট্টোপাধ্যায় ও মিমি চক্রবর্তী। এ সিনেমার নাম আলাপ। সম্প্রতি এ সিনেমার প্রচারে গিয়েছিলেন মিমি। সেখানকার এক অনুষ্ঠানে তার ব্যক্তি জীবনের প্রেম সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলেন মিডিয়ার লোকজন।

এ সময় মিমিকে প্রশ্ন করা হয়, পর্দায় প্রেমকাহিনি তো অনেক হলো, ব্যক্তিগত জীবনে মিমির প্রেমের আলাপের করার মানুষটি কে?

সম্প্রতি আলাপ সিনেমার একটি ইভেন্টে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে নিজের চরিত্র নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় মিমিকে। সেই উত্তরেরই একটি অংশ হয়েছে ভাইরাল। শোনা যায় মিমি বলছেন, লোককে মারছি, আমার শেষ সিনেমা থেকে শুরুর দিকে আমার দ্বিতীয় সিনেমাতেও, সেখানে প্রেম নিবেদনও করছি মারব বলে!

মিমির দাবি তার এমন একের পর এক মারকুটে চরিত্রের জন্য লোকজন মনে করেন যে তিনি ব্যক্তিগত জীবনেও মারকুটে। তবে তাদের শুধরে দিয়ে মিমি বলতে চান যে ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একটু হয়তো ওরকম। কিন্তু আমিও রোমান্টিক মানুষ।

এরপরই হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বলেন, আর এজন্য, এই তোমাদের জন্য। এইসব বলে বলে আমি আজও সিঙ্গেল রয়ে গিয়েছি

সিনেমায় মিমি ও আবির ছাড়াও রয়েছে স্বস্তিকা দত্ত। তার চরিত্রের নাম স্বাতীলেখা সেন। তাদের ৩টি চরিত্রই ৩টি আইটি কোম্পানিতে কাজ করে। কাজের সূত্রেই তাদের ৩ জনের দেখা ও আলাপ। তাদের ৩ জনের জীবনের গল্প, বিভিন্ন সমস্যা ও তার মিষ্টি সব সমাধান নিয়েই বোনা হয়েছে সিনেমা গল্প।


আরও খবর



শবে কদর নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

মহিমান্বিত রাত শবে কদর।  এ রাতে ইবাদতের সুযোগ পেলে আল্লাহ তায়ালা পেছনের সব গুনাহ মাফ করে দেন। রাসূল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে এবং যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি : ১০১৪; মুসলিম : ৭৬০)

রাসূল সা. হাদিসের সুসংবাদ অনুযায়ী প্রত্যেক মুসলমান এই রাতের ফজিলত লাভের চেষ্টা করেন। ফজিলতের প্রতি মানুষের আগ্রহ থেকে এই রাত নিয়ে অনেক ভুল ধারণার প্রচলন হয়েছে। এখানে এমন কিছু ভুল ধারণা তুলে ধরা হল

প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়েই মহিমান্বিত এই রাতের বরকত হাসিলের আকাঙ্ক্ষা থাকে। তবে এই রাতকে কেন্দ্র করে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত হয়ে আছে আমাদের সমাজে। এখানে তিনটি ভুল ধারণার কথা তুলে ধরা হলো

নির্দিষ্ট কোনো দিনে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা : অনেকে রমজানের ২৭ তম রাতকেই নিশ্চিত লাইলাতুল কদর মনে করেন। অথচ বিষয়টি সঠিক নয়। রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বেজোড় রাতই হতে পারে লাইলাতুল কদর।

হজরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। (বুখারি: ২০১৭)

এতএব, শুধু ২৭ রমজানকে লাইলাতুল কদর নির্দিষ্ট করা ঠিক নয়।

গোসলের বিশেষ ফজিলত : যেকোনো ইবাদতের আগে পূতঃপবিত্র হওয়া আবশ্যক। তাই অনেকেই লাইলাতুল কদরে ইবাদতের আগে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করার বিশেষ ফজিলত ও সওয়াব আছে বলে মনে করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে বিষয়টি সঠিক নয়।

যারা ফজিলতের কথা বলেন, তাদের দলিল হলো, একটি দুর্বল হাদিস, যা মূলত রমজানের শেষ দশ রাতের প্রতি রাতে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে নবীজির গোসল করার কথা জানায়। (ইবনে রজব) তবে এর সঙ্গে শবে কদরের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এর কোনো ফজিলতও বর্ণিত হয়নি।

বিশেষ নিয়মে নামাজ আদায় করা : লাইলাতুল কদরে অনেকের মুখে বিশেষ নামাজ, এর নিয়ত, নিয়ম, রাকাতসংখ্যা, বিশেষ সুরা ইত্যাদি নিয়ে কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বলেন, এক রাকাতে সুরা কদর অন্য রাকাতে সুরা ইখলাস পড়া হবে।  কিন্তু ইসলামি শরীয়তে এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। শবে কদরে ইবাদতের কথা থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো ইবাদতের উল্লেখ নেই। (আবদুল হাই লখনবি, আল-আসার: ১১৫)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




৪০ বছরের খরা কাটিয়ে শিরোপা জিতল বিলবাও

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শিরোপা জয়ের স্বাদ প্রায় ভুলতে বসা আথলেতিক বিলবাও অবশেষে ৪০ বছরের খরা কাটাল। কোপা দেল রের ফাইনালে রিয়াল মায়োর্কাকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে বহু কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দেখা পেল দলটি।

শনিবার সেভিয়ায় ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচটি শেষ হয় ১-১ সমতায়। এর আগে সবশেষ ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে কোপা দেল রে ও লা লিগার শিরোপা জিতেছিল বিলবাও।

কোপা দেল রের সফলতম দল বার্সেলোনার ট্রফি ৩১টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ হলো বিলবাওয়ের। রিয়াল মাদ্রিদের ২০টি।

বিলবাওয়ের এ দিন ম্যাচের শুরু থেকে দাপটছিল। তবে এগিয়ে যায় মায়োর্কা। ২১তম মিনিটে কর্নার থেকে ফিরতি বল ধরে জালে পাঠান দানি রদ্রিগেস। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই শেষ করে বিলবাও। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে তাদেরকে সমতায় ফেরান ওইয়ান সানসেট।

টাইব্রেকারে অবশ্য বিলবাও ছিল নিখুঁত। চার শটের সবকটিই জালে পাঠায় তারা। মায়োর্কার মানু মোরলেন্সের শট ঠেকিয়ে দেন বিলবাওয়ের গোলকিপার, আরেকটি শটে গোল করতে পারেননি নেমানিয়া রাদোনিচ। খরা ঘুচে যায় বিলবাওয়ের।


আরও খবর



তামান্না ভাটিয়াকে সাইবার সেলে তলব

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। তবে সম্প্রতি বিপাকে পড়েছেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখতে কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে। দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এর আগে গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

এ মামলায় ইতোমধ্যে মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈধ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া বাহুবলী এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি লাস্ট স্টোরিজ-২ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


আরও খবর



জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর