আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

অস্ট্রেলিয়া ফেডারেল নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি প্রার্থী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি সাজেদা আক্তার। আগামী ২১মে অনুষ্ঠেয় ফেডারেল নির্বাচনে ওয়াটসন আসন থেকে প্রথম বাংলাদেশি মহিলা হিসেবে তিনি ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন।

এই নির্বাচনী এলাকায় দলমত নির্বিশেষে সবাই সাজেদা আক্তারকে সমর্থন করলে ইতিহাস সৃষ্টি করে বিজয় আনা সম্ভব। এই নির্বাচনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ ও ক্ষমতায়নের প্রশ্ন। একই সঙ্গে এটি বহুজাতিক উন্নত সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় বাংলাদেশিদের নেতৃত্ব গ্রহণের যোগ্যতারও পরিচয় বহন করে।সাজেদা আক্তার বর্তমানে ক্ষমতাসীন লিবারেল দলের কাউন্সিলর।

নির্বাচনী ইশতেহারে সাজেদা আক্তার বলেছেন, বিজয়ী হলে তিনি ওয়াটসন এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, বহুতল বিশিষ্ট পার্কিং নির্মাণ, রাস্তাগুলোতে নতুন কার্পেটিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। এ ছাড়া মানসম্মত বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কমিউনিটি সেন্টার তৈরির অঙ্গীকার করেন তিনি। নির্বাচনে তিনি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সব বাংলাদেশিদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। ব্যক্তিজীবনে স্বামী সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ জামান টিটু আর দুই ছেলেকে নিয়ে তাঁর ছোট সংসার। 


আরও খবর



নিজ্জর হত্যার তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে যা বললেন ট্রুডো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

খলিস্তানপন্থি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার তদন্তে ভারত সরকারের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে চাইছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বৃহস্পতিবার কানাডাভিত্তিক কেবল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স চ্যানেলকে (সিপিএসি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। খবর এনডিটিভির।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের এজেন্টরা জড়িত ছিল তা একটি বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ। তবে বিদেশি সরকারের বেআইনি কর্মকাণ্ড থেকে কানাডার সব নাগরিককে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তাই আমাদের দেশের মাটিতে কানাডার একজন নাগরিকের হত্যার বিষয়টিকে আমাদের সবার অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নেওয়া উচিত।'

সিপিএসিকে ট্রুডো আরও বলেন, নিজ্জর হত্যার বিষয়ে যথাযথ তদন্ত হচ্ছে তা নিশ্চিত করছে কানাডার সরকার। ভারত সরকারের সঙ্গে নিজ্জর হত্যার তদন্তে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে চাইছে কানাডা। কানাডার আর কোনো নাগরিক যেন কোনো আন্তর্জাতিক শক্তির বিদেশি হস্তক্ষেপে ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে, সে কারণে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে আমরা কাজ করছি।'

গত বছরের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় একটি শিখ মন্দিরের বাইরে নিজ গাড়িতে খুন হন খালিস্তানপন্থি নেতা নিজ্জর। কানাডার এই শিখ নেতাকে দুই বন্দুকধারী গুলি করে হত্যা করেন।

নিজ্জার হত্যায় ভারত সরকারের ভূমিকা আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। যদিও ভারত এ অভিযোগটি অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।


আরও খবর



টিকটক নিষিদ্ধে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে দেশটির স্থানীয় সময় আজ বুধবার একটি বিল পাস হয়েছে। এ বিল পাসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এ অ্যাপ নিষিদ্ধে মোটামুটি সর্বশেষ ধাপে পৌঁছাল। এখন মার্কিন সিনেটে এই বিল পাস হতে হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরই মধ্যে জানিয়েছেন, সিনেটে এই বিল পাস হলে তিনি এ বিল আইনে পরিণত করতে স্বাক্ষর করবেন। এই বিল সিনেটে পাস হলে যুক্তরাষ্ট্রের সব অ্যাপ স্টোর থেকে টিকটক সরিয়ে ফেলা হবে বা বাইটড্যান্সকে তাদের এ শেয়ার বিক্রি করে দিতে হবে।

টিকটকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই অ্যাপটি তার ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে সেসব তথ্য চীন সরকারের হাতে তুলে দেয়। কিছু কিছু গোয়েন্দা সংস্থার উদ্বেগ যে, অ্যাপটি সরকারি ডিভাইসে ডাওনলোড করার কারণে স্পর্শকাতর তথ্য অন্যের হাতে চলে যেতে পারে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে টিকটক বলছে, তারা এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য কখনোই অন্য কাউকে দেয় না। টিকটক আরও বলছে, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে তারা অন্যান্য সোশাল মিডিয়া কোম্পানির মতো একইভাবে কাজ করে।

এর আগে এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি উল্লেখ করে অ্যাপটিতে অ্যাকসেস সীমিত করার জন্য আমেরিকান কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের দাবি, টিকটকের মালিক বাইটড্যান্সের সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক রয়েছে। তবে বাইটড্যান্স এবং টিকটক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন অ্যাপটি নিষিদ্ধের চেষ্টা করেছিলেন।


আরও খবর



বাংলাদেশি রুহেলকে ধরিয়ে দিলে ২২ লাখ টাকা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে রুহেল চৌধুরী নামে এক বাংলাদেশিকে ধরিয়ে দিতে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। তার বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে দুজনকে অপহরণ, নির্যাতন এবং মুক্তিপণের জন্য হুমকি দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেছে এফবিআই। পরে বিষয়টি নিয়ে নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর কুইন্সের রাস্তা থেকে দুজনকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সাতজন সন্দেহভাজনের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী রুহেল চৌধুরী হলেন শেষ ব্যক্তি। তাকে ধরিয়ে দিতে গত ১ মার্চ এফবিআই একটি পোস্টারও প্রকাশ করে।

ফেডারেল প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, গত বছরের ২৭ মার্চ জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউয়ের কাছে ১৮১তম সেন্ট থেকে অপহরণকারীরা এক ব্যক্তিকে একটি হোন্ডা এসইউভিতে জোর করে তুলে নেন। পরে গাড়ির ভেতরেই তাকে মারধর করা হয়। পরে অপহরকারী দলটির সঙ্গে থাকা রুহেল চৌধুরী সারারাত ভিকটিমকে মারধর করার পাশাপাশি হুমকিও দেন।

এ ঘটনায় অপহরকারী চক্রের সদস্য আবু চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ইফফাত লুবনাসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে রুহেল চৌধুরী এখনও অধরা রয়ে গেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আরও বেশকয়েকটি অপহরণ, অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি এবং নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

এফবিআইয়ের নোটিশে রুহেল চৌধুরীকে বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করে কুইন্সের হলিস, কুইন্স ভিলেজ এবং জ্যামাইকা এলাকায় তার যাতায়াত রয়েছে বলে জানানো হয়। তার উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, ওজন ১৫০ পাউন্ড এবং চোখের রঙ বাদামী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ তাকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় এফবিআই অফিস বা নিকটস্থ আমেরিকান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



বিসিবিতে যুক্ত হচ্ছেন দুই নারী আম্পায়ার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। গত দুই বছরে বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছে তারা। সেই ধারায় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই নারীকে আম্পায়ার হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিসিবি।

সেই দুই আম্পায়ারের একজন সাথিরা জাকির জেসি অন্যজন মিশু চৌধুরী। বিসিবির চুক্তিতে এতদিন পুরুষ আম্পায়ার থাকলেও ছিল না কোনো নারী আম্পায়ার।

শনিবার বোর্ড সভায় দুই জন নারী আম্পায়ারকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।

তিনি বলেন, 'গতকাল বোর্ড সভায় চূড়ান্ত হয়েছে দুই জনের নিয়োগের বিষয়। এক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের নিয়োগের সবকিছু কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারা এখন ট্রেনি হিসেবেই চুক্তিতেই ঢুকবে। যে কারণে টাকার অঙ্কটা একটু কম থাকবে। আসন্ন ডিপিএল দিয়েই তারা আম্পায়ারিং করবে। একজন থার্ড আম্পায়ার বা একজন অনফিল্ড আম্পায়ার এভাবেই শুরু হবে ধীরে ধীরে। আমাদের সবমিলিয়ে ২৬ জন আম্পায়ার চুক্তিতে রয়েছেন।'

২০১১ সালে আম্পায়ারিং পরীক্ষায় পাস করেন মিশু, তখন তিনি মূলত ক্রিকেটার। পরের বছর স্কুল ক্রিকেট আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক। বাংলাদেশে নারী আম্পায়ারদের খুব একটা কদর ছিল না। তাই এই ক্যারিয়ারে দীর্ঘ বিরতিতে যেতে হয় তাকে। যদিও বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ঠিকই সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গেলেন তিনি।

অন্যদিকে ২০০৯ সালে আম্পায়ারিং কোর্স করেন জেসি। ২০২২ সালে এসে তিনি মাঠে নামেন আম্পায়ার হিসেবে। গতবছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫১ বছর পূর্তির দিনে সাবেক ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে প্রদর্শনী ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ। আজকের দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হিজরির দ্বিতীয় সনের ১৭ রমজান মদিনা থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের লড়াই বদরযুদ্ধ

বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নিয়ে আসা ধর্ম, ইসলামের বিরুদ্ধবাদী বিশাল সৈন্য-সামন্তের মোকাবিলায় ইমানদার বান্দাদের ছোট একটি দলের সশস্ত্র সংগ্রাম ছিল এটি।

একদিকে আল্লাহর নবির সঙ্গে মাত্র ৩১৩ জন মুজাহিদ। তারা প্রায় নিরস্ত্র। অপর পক্ষে অবিশ্বাসীদের নেতা আবু জাহেলের নেতৃত্বে এক হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্যের সুসজ্জিত বাহিনী। এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সব ধরনের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহতায়ালা অস্ত্রশস্ত্রহীন ইমানদারের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেন। সেদিন বদরের প্রান্তরে ইমান ও কুফর, ন্যায় ও অন্যায়ের এক নতুন ইতিহাস রচিত হয়, যা শত শত বছর ধরে এক আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলমানদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। সম্মান ও অপমান আল্লাহর হাতে। এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, তারা সংখ্যায় বা উপকরণে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। পক্ষান্তরে আল্লাহর ওপর ভরসাহীন অঢেল সম্পদ ও বিপুল সৈন্য-সামন্তে সজ্জিত মুসলমানদের পরাজয়ের বর্ণনায় ইতিহাসের পাতা ভরপুর হয়ে আছে।

বদরের যুদ্ধ শুরুর আগে আল্লাহর নবী দোয়া করেছিলেন-হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও দুনিয়াতে তোমার ইবাদত করার কেউ না থাকুক, তাহলে এ ক্ষুদ্র দলটিকে নিশ্চিহ্ন হতে দাও। আল্লাহতায়ালা রাসূল (সা.)-এর দোয়া কবুল করেন। কুরাইশদের অহমিকা ও দম্ভ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বাহ্যিক উপায়-উপকরণের তুচ্ছতা। তাই প্রায় নিরস্ত্র মুষ্টিমেয় মুজাহিদদের কাছে পরাজিত হয় সুসজ্জিত বিশাল বাহিনী। তাদের পক্ষে নিহত হয় সত্তরজন। বন্দি হয় আরও সত্তরজন। আর মুসলমানদের মধ্যে শহিদ হন মাত্র চৌদ্দজন। যুদ্ধের এ ধরনের ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ অকল্পনীয়। কিন্তু তা ছিল মহান আল্লাহর অসীম কুদরতের প্রমাণ। তিনি স্বল্পসংখ্যক মানুষকে বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী করে দেখিয়ে দিলেন অবিশ্বাসী লোকদের প্রকৃত দুর্বলতা ও অসহায়তা। তাই বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ।

মহানবি (সা.) মদিনায় হিজরত করে যাওয়ার দ্বিতীয় বছর সশস্ত্র যুদ্ধের অনুমতি নিয়ে হজরত জিবরাইল (আ.) কুরআন মজিদের কয়েকটি আয়াত নিয়ে আসেন-যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো হচ্ছে, তাদেরকে (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হলো এজন্য যে, তারা নির্যাতিত হয়েছে। আর আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে সক্ষম। তাদের নিজেদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে, তারা বলে আমাদের প্রভু আল্লাহ। (সূরা হজ, ৩৭)।

এভাবে সশস্ত্র পন্থায় অবিশ্বাসীদের প্রতিরোধ করার অনুমতি লাভের পর আল্লাহর নবী (সা.) বদরযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। বদরের প্রান্তরে ইসলাম বিজয়ের সূচনা হয়েছিল। তাই প্রতিবছর ১৭ রমজান এলেই বিশ্ব মুসলিম শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে বদরের বিজয়কে স্মরণ করে। বদরের শহিদদের স্মরণ করে বিশেষ সম্মানে।

নিউজ ট্যাগ: বদর দিবস

আরও খবর