দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের
মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার
আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায়
সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে
দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন<< উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে ‘মোখা’
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত
সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার (৮ মে) সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে
একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। ওইদিন মধ্যরাতে এটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়।
মঙ্গলবার (৯ মে) সন্ধ্যার পর সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপ এবং গতকাল
বুধবার (১০ মে) সকালে তা গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সেটি
আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নেয়।
আরও পড়ুন<< ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় দেশের
উপকূলীয় জেলা-উপজেলাগুলোতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। চট্টগ্রামে
প্রায় ১৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে
স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ১ হাজার ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে প্রায়
পাঁচ লাখের অধিক মানুষকে দুর্যোগকালীন আশ্রয় দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবদিক থেকে সরকার
প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি জানমালের ক্ষয়ক্ষতি শূন্যের
কোঠায় নামিয়ে আনতে পারবো।