শীতের আগমনে অতিথি পাখির কলতানে চট্টগ্রামের আনোয়ারা-কর্ণফুলীর কেপিজেড লেক গ্রাম মুখর হয়ে উঠেছে। প্রকৃতিতে লেগেছে নান্দনিক ছোঁয়া।
অতিথি পাখিরা নিজ ভূমে ফিরে না গিয়ে নিরাপদ আবাস গড়েছে কেপিজেডের বড় বড় লেক আর গাছ পালাতে। কিচিরমিচির শব্দ উপভোগ করতে ছুটে আসছেন পাখি প্রেমীরা। পাখির আগমনে এ গ্রামের মর্যাদা বেড়েছে। তাই পাখিদের নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছে গ্রামবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, একদল ঝাঁক বেঁধে কেপিজেড লেকে ডানা মেলে আকাশে ওড়াউড়িতে ব্যস্ত। চারপাশে ৮ থেকে ১০ মিনিটের যেন মহড়া শেষে নেমে আসে লেকের জলে। একসঙ্গে হাজারো পাখির জলকেলিতে বেড়ে যায় লেকের সৌন্দর্য।
শীতের শুরুতে আসা এসব অতিথি পাখির নিরাপদ বাসস্থল হয়ে উঠেছে আনোয়ারা কর্ণফুলীর কেপিজেড গ্রাম। চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরের এ গ্রামে রয়েছে ছোট বড় বেশ কয়েকটি লেক। এসব লেকেই দিনভর খুনসুটি, জলকেলি, আর ওড়াউড়িতে ব্যস্ত পাখিরা। পাখির এসব নান্দনিকতা দেখতে অনেকেই ছুটে আসেন দূর দূরান্ত থেকে।
স্থানীয়রা জানায়, খুব ভালো লাগে যখন সকালে হাজারো পাখি এক সঙ্গে শব্দ করে। পুরো গ্রাম এখন নতুন পরিচয় বহন করছে। পাখির আগমনে এ গ্রামের মর্যাদা বেড়েছে। তারা অতিথি পাখিদের আপন করে নিয়ে তাদের সুরক্ষায় কাজ করছেন।
নভেম্বরের পর থেকেই শীতাঞ্চল এলাকা থেকে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এসব অতিথি পাখি বরেন্দ্র এলাকায় আসতে থাকে। ছোট সরালি, বালি হাস, রাঙা ময়ুরী, সোনাজঙ্গ, কুনচুষী, বাতারণ, শাবাজ, সাদা বক জলপিপিসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে এ জনপদে।
কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত কোরিয়ান কেইপিজেড। এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ঘিরে রয়েছে হিমেল বাতাসে সুনসান সবুজের এক প্রাকৃতিক স্পট। চারদিকে সবুজের প্রাকৃতিক দৃশ্য নয়নাভিরাম সড়ক, ফলমূলের বাগান।