আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করবে এটুআই ও রানার

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন অটোমোবাইল শিল্পের গবেষণা ও উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব যানবাহন তৈরিতে যৌথভাবে কাজ করবে এটুআই ও রানার অটোমোবাইলস পিএলসি।

বুধবার আগারগাঁও এর আইসিটি টাওয়ারে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি এর উপস্থিতিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং রানার অটোমোবাইলস পিএলসি এর চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।

স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায়, দেশে একটি টেকসই, পরিবেশবান্ধব এবং নাগরিককেন্দ্রিক অটোমোবাইল শিল্প গড়ে তোলার জন্য এবং উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করবে এটুআই-রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। যেখানে এটুআই বিশ্বের বিকাশমান প্রযুক্তির আলোকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাহিদার মূল্যায়ন করে দেশের অটোমোবাইল খাতের জন্য কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উদ্ভাবন অন্বেষণ ও গবেষণায় সহায়তা প্রদান করবে।

অন্যদিকে, এসব গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্ভাবনাময় উদ্ভাবনগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্যের ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে রানার। যার মাধ্যমে দেশের সরকারি-বেসরকারিভাবে অটোমোবাইলস খাতে জড়িত প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ততায় ভবিষ্যতের সম্ভাব্য বাজারের চাহিদার আলোকে বৈদ্যুতিক যানবাহনসহ উন্নত প্রযুক্তির মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের প্রচলন সম্ভব হবে। এছাড়াও সমঝোতা স্মারকের সফল বাস্তবায়নের জন্য এটুআই-আইল্যাব ও রানার উভয়ই একজন করে ফোকাল মনোনিত করবেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ২০৪১ সালের উন্নত আয়ের উদ্ভাবনী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদেরকে আইডিয়েশন থেকে বাণিজ্যিকীকরণের দিকে যেতে হবে। এ রুপান্তরের সহায়ক পরিবেশ বিনির্মাণে এটুআই-এর ইনোভেশন ল্যাব এর মাধ্যমে দেশের উদ্ভাবক ও গবেষকদের মেধা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য দেশের বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকেও সহায়তা প্রদান করা হবে। সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তোলতে বৈদুত্যিক যানবাহনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আইসিটিকে ২০২২ সালের প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করেছেন।

দেশের অটোমোবাইলস প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যেক আলাদা আলাদা গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র না করে এটুআই-ল্যাবের মাধ্যমে একটি অত্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে আরঅ্যান্ডডি করে খুব সহজে ও কম খরচে এই খাতে জড়িত দেশের অন্য বেসরকারি খাত ও অটোমোবাইলস কোম্পানিগুলোকে সহযোগিতা প্রদান করা সম্ভব হবে। এভাবে দেশের স্বল্প সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের অটোমোবাইলস শিল্পকে আরো বেশি শক্তিশালী করে গড়ে তুলার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

এটুআই-আইল্যাব এর ডিভাইস ইনোভেশন এক্সপার্ট তৌফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এটুআই-আইল্যাব এর হেড অব টেকনোলজি ফারুক আহমেদ জুয়েল, এটুআই ও রানার অটোমোবাইলস পিএলসি এর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: অটোমোবাইল শিল্প

আরও খবর



ন্যাশনাল ব্যাংকের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সংকল্পবদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান বলেন, ব্যাংকের নতুন পর্ষদের পক্ষ হতে কর্মীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহবান জানান এবং শ্রেনীকৃত ঋণ আদায় এবং আমানত সংগ্রহের জন্য গ্রাহকদের ব্যাংকের নতুন পর্ষদ সম্পর্কে অবহিত করার জন্য পুনব্যক্ত করেন। ঋণ আদায়ের ব্যাপারে তিনি সর্বশক্তি নিয়োগের জন্য কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, খেলাপী ঋণ আদায়ের ব্যাপারে গ্রাহকদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ব্যবসা সম্প্রসারণ, গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি, শ্রেণীকৃত ঋণ আদায় সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যাংকের উত্তরোত্তর উন্নতি করে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য সংকল্পবদ্ধ হওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

শনিবার দুপুরে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের শাখা প্রধানদের নিয়ে মত বিনিময় সভা ব্যাংকের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান।

এসময় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দিন নিজামীসহ পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. রিয়াজুল করিম, এরশাদ মাহমুদ, প্রফেসর এ কে এম তফাজ্জল হক ও ড. রত্না দত্ত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আকতার উদ্দিন আহমেদ ও মো. আব্দুল মতিন।

এতে ব্যাংকের ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং কৌশলগত কর্মপন্থা প্রণয়ন সহ সার্বিক প্রবৃদ্ধির বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।


আরও খবর



তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখতে পারেন যেসব উপায়ে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। হিট অ্যালার্ট জারি হচ্ছে। এ অবস্থায় ঘরে ফিরেও স্বস্তি মিলছে না। একটু শীতলতার খোঁজে মানুষ। যাদের ঘরে এসি আছে, তারা না হয় কিছুটা আরাম পাচ্ছেন। কিন্তু যাদের ঘরে এসি নেই তারা কী করবেন? উপায় আছে। এসি ছাড়াও ঠান্ডা করা যায় ঘর।

১. খোলা জানালার সামনে ভেজা চাদর মেলে রাখতে পারেন। ঘরের ভেতর একটি ভেজা কাঁথা মেলে রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন।

২. রাতে টিউবলাইটের পরিবর্তে ভালো মানের এলইডি লাইট ব্যবহার করুন। ঘরের আলো যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখুন। ঘুমানোর আগে সম্ভব হলে সব আলো নিভিয়ে দিন। ঘরে আলোর পরিমাণ যত কম থাকবে, ঘর তত বেশি ঠান্ডা থাকবে।

৩. ঘরের পরিবেশ শীতল করার জন্য টেবিল ফ্যানের সামনে বাটি ভর্তি বরফ রাখুন। এছাড়া সিলিং ফ্যানের নিচে বালতি ভর্তি পানি রেখে দিতে পারেন।

৪. রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের মেঝে ভেজা-ভেজা করে মুছে নিন। তবে ঘরের মেঝেতে গদি ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিছানায় হালকা রঙের সুতির চাদর ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে শীতলপাটিও ব্যবহার করতে পারেন।

৫. ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। ভেন্টিলেটর নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

৬. ঘরের ভেতর ইনডোর প্লান্ট রাখুন। গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। এতে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কমে। ঘরে মানি প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ রাখতে পারেন। এগুলো একদিকে ঘরের শোভা যেমন বাড়ায়, অন্যদিকে তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

৭. এসময় তাপ উৎপাদনকারী যন্ত্রের ব্যবহার কমিয়ে আনুন। যেসব যন্ত্র এরকম তাপ উৎপন্ন করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে হেয়ার ড্রায়ার, ওয়াটার হিটার, ডিশ ওয়াশার এবং আয়রন।


আরও খবর



আস্থার জায়গা পুনর্নির্মাণ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বুধবার (১৫ মে) সাড়ে ৩টায় বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডোনাল্ড লু। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে আস্থার জায়গা পুনর্নির্মাণ করতে চাই। একই সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাই। নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে চাই।

চলমান বাংলাদেশ সফর নিয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, আমি গত দুইদিন ধরে বাংলাদেশ সফর করছি। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য দুই দেশের মানুষের মধ্যে বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করা। গত বছর আমরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা দেখেছি।

যুক্তরাষ্ট্রের এ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমাদের ভেতর যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল তা খুবই সাধারণ বিষয়। সম্পর্কে এমনটা হয়েই থাকে। আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই, পেছনে তাকাতে চাই না।

তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক কীভাবে আরও জোরদার করা যায় সেই পথই খুঁজছি আমরা। আমাদের সম্পর্কের কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আগে কাজ করতে চাই। বেশ কিছু কঠিন ইস্যু আমাদের সামনে রয়েছে। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, শ্রম পরিবেশ সংস্কার, মানবাধিকার ইস্যু, ব্যবসায়িক পরিবেশ সংস্কারের মতো ইস্যু রয়েছে আমাদের সম্পর্কে। এই কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা আসলে আমাদের সম্পর্কে ইতিবাচক ইস্যুগুলোর দিকে তাকাতে চাই।

ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা নতুন বিনিয়োগের কথা বলছি। আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগের কথা বলেছি।


আরও খবর



প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর



বিয়ে করলেন অভিনেত্রী আরুশি, পাত্র বলিউডেরই একজন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সাত পাকে বাঁধা পড়লেন কার্তিক আরিয়ানের লাভ আজ কাল সিনেমার নায়িকা আরুশি শর্মা। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তাদের বিয়ের ছবি। পাত্র কে, কী তার পরিচয়?

জানা যায়, পাত্র বলিউডেরই একজন। তবে সে কোনও অভিনেতা নয়, কাস্টিং ডিরেক্টর। পাত্রের নাম বৈভব বিশান্ত। হালফিলের ময়দান, বড় মিঞা ছোট মিঞা সিনেমার কাস্টিংয়ের নেপথ্যেও নাকি তিনি ছিলেন।

এদিকে আরুশির জন্ম হিমাচল প্রদেশের শিমলায়। তার মা ও বাবা দুজনই আইনজীবী। অভিনেত্রী নিজে ইনফরমেশন টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। চাকরিও করছিলেন। কিন্তু তার ভাগ্যে ছিল গ্ল্যামার জগৎ।

রণবীর-দীপিকার তামাশা সিনেমায় তিনিও ছিলেন। তবে অভিনেত্রী হিসেবে লাভ আজ কাল সিনেমাতেও নজর কাড়েন। এ ছবি আসলে সাইফ আলি খান, দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত লাভ আজ কাল সিনেমার সিক্যুয়েল। পরিচালক নামটি এক রেখেছিলেন। তবে সিনেমা বক্স অফিসে বিশেষ আয় করতে পারেননি।

এতে অবশ্য থেমে থাকেননি আরুশি। নেটফ্লিক্স অরিজিনাল সিনেমা জাদুঘর-এ ডা. দিশার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ছবির নায়ক পঞ্চায়েত ওয়েব সিরিজ খ্যাত জিতেন্দ্র কুমার। নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিরিজ কালা পানিতে আবার জ্যোৎস্নার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। এবার বাস্তবের জীবনে নতুন ভূমিকায় আরুশি। বৈভবের হাতে হাত রেখে নতুন জীবনের অঙ্গীকার করেছেন তিনি।


আরও খবর