রাজধানীর বেইলি
রোডে বহুতল ভবনে আগুনে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ২টার দিকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
সামন্ত লাল
সেন বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে
৩৩ জন এবং পার্শ্ববর্তী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০
জন মারা গেছেন। জরুরি বিভাগ ও বার্ন ইনস্টিটিউট মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আহত ২২ জন চিকিৎসাধীন
আছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে দ্রুত চলে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দ্রুত যেতে বলেছেন। এখানে
এসে ভয়াবহ অবস্থা দেখলাম। যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী
পুড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা বেঁচে আছেন তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। বাইরে কেউ আছে কি
না, সে তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর
নির্দেশে আহত ও দগ্ধদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত
লাল সেন।
বৃহস্পতিবার
রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের
একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরপর ফায়ার
সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন হতাহতদের সম্পর্কে জানান।
ওই ভবনটি সাত
তলা। উপরের তলাগুলোতেও রেস্তোরাঁ এবং তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানান, দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা উপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত লোকজন উপরের
দিকে উঠে যায়। এ সময় ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে
১২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আগুন নেভানোর
পাশাপাশি ভবনে আটকা পড়া ব্যক্তিদের মই দিয়ে নামিয়ে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।