পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের। মিথ্যা মামলা, বাসায় গিয়ে হয়রানি, মুঠোফোনের ব্যক্তিগত আলাপে নজরদারিসহ এমন সব অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
এ অবস্থায় হয়রানি এড়াতে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অভিনব কৌশল অবলম্বন করার অভিযোগ উঠেছে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে। রাজনীতিবিদরা ব্যবহার করছেন সবসময় বহনযোগ্য পকেট রাউটার ও বিদেশি ফোন নম্বর।
কেবল বিএনপি নয়, বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও একই কৌশল অবলম্বন করছেন। এতে করে ডিজিটাল মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা খুব সহজেই তাদের অবস্থান শনাক্ত এবং মুঠোফোনের কথোপকথনে নজরদারি করতে পারছেন না।
দেশের মোবাইলে কীভাবে বিদেশি নম্বর ব্যবহার হচ্ছে এ নিয়ে কথা হয় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। তারা জানান, এটি দুই ভাবে হতে পারে। প্রথমত অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের সাইট আছে তারা নম্বরগুলো সরবরাহ করে থাকে। মাত্র এক ডলার খরচ করলেই একবার ওটিপি দিয়ে একটি নম্বর সচল করার সুযোগ দেওয়া হয়। এভাবে অনেকে ব্যবহার করেন। এ ক্ষেত্রে সমস্যা হলো হোয়াটসঅ্যাপ নতুন করে ওটিপি চাইতে পারে। তখন সেবাপ্রদানকারী সাইটগুলো নতুন করে কোড সরবরাহ করে না। এতে ব্যবহারকারী তার নম্বরটি হারায়।
আরও পড়ুন>> এবার পাঠানো মেসেজ এডিট করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপে
অনেকে আবার প্রতি মাসে এক ডলার দিয়ে যতদিন খুশি ততদিনের জন্য নম্বর নেয়। দেশভেদে নম্বরের দাম কম-বেশি হয়। কেউ কেউ বিদেশে থাকা পরিচিতদের সচল নম্বর দিয়ে দেশে হোয়াটসঅ্যাপের মতো যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে। তবে দেশের বাইরের সিম দেশে ব্যবহার খুবই ব্যয়সাপেক্ষ।
বাংলাদেশ সাইবার অ্যান্ড লিগ্যাল সেন্টারের আইন উপদেষ্টা গাজী মাহফুজ উল কবির বলেন, বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাইট থেকে একবারের জন্য বিদেশি নম্বর নেওয়া লোকজনই বেশি। এভাবে ব্যবহার করলে কোনো ট্রেস থাকে না। আর পকেট রাউটার হলো বাসার ওয়াইফাই সংযোগের মতো। এটার মধ্যে সিম ঢুকিয়ে সঙ্গে রাখলে তা থেকে ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়া যায়।
অনেকে মোবাইলে সিম ব্যবহার না করে কেবল পকেট রাউটার দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এর মাধ্যমেও মোবাইল ব্যবহারকারীর লোকেশন অজানা থাকে। তবে এ কথা মনে রাখতে হবে প্রযুক্তির শেষ বলে কিছু নেই।