আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদদের বিপাকে ফেলা ‘ডিপফেক প্রযুক্তি’ আসলে কী?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

প্রযুক্তিখাতে বর্তমানে আলোচিত একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিপফেক প্রযুক্তি। বিষয়টির কারণে চরম বিপাকে পড়ছেন রূপালি জগতের তারকারা। যেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এই প্রযুক্তির তাদের কাছে ক্রমশ এক অভিশাপের নাম হয়ে উঠছে। কেননা, এই প্রযুক্তির অপব্যবহার করে সেলিব্রিটিদের ভুয়া পর্নো বা আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। 

ডিপফেক প্রযুক্তির সহায়তায় একজন ব্যক্তির এমন কিছু ছবি, ভিডিও বা অডিও কন্টেন্ট তৈরি করা সম্ভব যা তিনি নিজে বলেননি বা করেননি। ধরুন হঠাৎ করেই আপনার কাছের কোনো মানুষ আপনাকে একটি ভিডিও দিলো। ভিডিও চালু করে আপনি অবাক। অশ্লীল এক ভিডিওতে আপনাকে দেখা যাচ্ছে; চেহারা, ভয়েস, এক্সপ্রেশন অবিকল আপনার। আপনি জানেন ভিডিওর ব্যক্তি আপনি নন। কিন্তু ভিডিওটি এতটাই বাস্তব যে আপনার নিজেরও বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে, ভিডিওর ব্যক্তি আপনি নন। কিন্তু কী করে এটা সম্ভব? এটা সম্ভব ডিপফেক টেকনোলজি দিয়ে।

কিছুদিন আগেই ডিপফেকের মাধ্যমে ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার একটি অশ্লিল ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে এই উপমহাদেশে ফের আলোচনায় ডিপফেক প্রযুক্তি।

ডিপফেকের অপব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গায়ক-গায়িকা, অভিনেতা-অভিনেত্রী, ইনফ্লুয়েন্সার, মডেল, ক্রীড়াবিদসহ অনেকেই হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডিপফেক ভিডিওর ৯৬ শতাংশ পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত। ডেইজি রিডলি, জেনিফার লরেন্স, এমা ওয়াটসন এবং গ্যাল গ্যাডট এর মতো বড় বড় তারকার ডিপফেক পর্নোগ্রাফি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।

ডিপফেক দ্বারা আক্রান্তদের পরবর্তী গ্রুপ হলেন বড় বড় রাজনীতিবিদরা। বেশ কয়েকবছর আগেই আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কর্তৃক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অপমান করার ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। অন্য একটি ডিপফেক ভিডিওতে রাজনীতিবিদ ন্যান্সি পেলোসির বক্তৃতা এমনভাবে ডিপফেক করা হয়েছিল যাতে দর্শকরা ভাবেন যে, তিনি মাতাল ছিলেন। আবার অন্য একটি ডিপফেক ভিডিওতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে সদস্যপদ নিয়ে বেলজিয়ামকে উপহাস করতে দেখা যায়। আরেকটি ডিপফেক ভিডিওতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সেনাদের আত্মসমর্পণ করার কথা বলতে দেখা যায়।

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গেরও ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে দেখানো হয় জাকারবার্গ ডাটা চুরি নিয়ে গর্ববোধ করছেন।

২০১৭ সালে সর্বপ্রথম ডিপফেক টেকনোলজি প্রচারণা পায়। ডিপফেক নামটির মধ্যেই এর সংজ্ঞা রয়েছে। ডিপ শব্দটি এসেছে ডিপ লার্নিং অর্থাৎ গভীরভাবে শিক্ষা নেওয়া এবং অন্যদিকে ফেক অর্থাৎ নকল বা ভুয়া। এই দুই শব্দের সংমিশ্রণ থেকেই এসেছে ডিপফেক

ফটোশপ আর ডিপফেক দুটি ভিন্ন প্রযুক্তি। ডিপফেক ভিডিও বা ছবি তৈরির ক্ষেত্রে অ্যাডভান্সড ডিপ লার্নিং অ্যালগরিদমের সাহায্য নেওয়া হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ডিপফেক ভিডিও কিংবা ইমেজের ক্ষেত্রে এমন জিনিস তৈরি করা হয়, যা দেখলে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হবে।

এই প্রযুক্তি যে কেবল নকল ভিডিও তৈরি করতে পারে তা নয়। এটি মানুষের ভয়েস মডেলও তৈরি করতে পারে। এর মানে হলো- একজন রাজনীতিবিদের শব্দ বা কণ্ঠস্বর নকল করে কোনো আপত্তিকর বিবৃতি দেওয়ার জন্য কোনো ছদ্মবেশীর প্রয়োজন হয় না। পরিবর্তে তাদের ভয়েস বা কণ্ঠস্বর নকল করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রশিক্ষিত করা যায়।

ডিপফেক প্রযুক্তি অসৎ কাজে বেশি ব্যবহৃত হলেও এই প্রযুক্তির বেশ কিছু ভালো দিক রয়েছে। বিশেষত বিনোদনশিল্পে এ প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেশি সহায়কের ভূমিকা পালন করে। যেমন ডাবিংয়ের মান উন্নত করতে, মৃত অভিনেতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে কিংবা জাদুঘর বা গ্যালারিকে প্রাণবন্ত করতে এর জুড়ি মেলা ভার। 

স্টার ওয়্যারস খ্যাত অভিনেত্রী ক্যারি ফিশার। ২০১৬ সালে এই চলচ্চিত্র সিরিজের একটি প্রিকুয়েল রৌগ ওয়ান মুক্তি পায়। এই সিনেমার এক দৃশ্যে সিরিজের জনপ্রিয় চরিত্র প্রিন্সেস লিয়ার যুবতী সময়ের কিছু দৃশ্য প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ক্যারি ফিশার তখন ষাট বছরে পা দিয়েছেন। ফলে তার কম বয়সী সংস্করণ তৈরি করতে ডিপফেক প্রযুক্তির আশ্রয় নেওয়া হয়।

ডিপফেক প্রযুক্তি তৈরি করার পেছনে মূল নির্মাতাদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য না থাকা সত্ত্বেও, এটি মানুষকে খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে পারেনি।

খালি চোখে ডিপফেক ভিডিও শনাক্ত করা সম্ভব না হলে প্রযুক্তির সহায়তায় সেটি সম্ভব। এ জন্য বিভিন্ন টুল রয়েছে। ছবির জন্য ফটো মেটাডেটা বা ভিডিও মেটাডেটা টুলস কিংবা সাধারণ ভিডিওর জন্য ইনভিড বা ইউটিউব ডেটা ভিউয়ার ব্যবহার করে যাচাই করা যায়। তা ছাড়া ফেস ফরেনসিকস টুলও ব্যবহার করা যায় ডিপফেক প্রযুক্তিতে তৈরি ভিডিও শনাক্ত করতে। এছাড়া বায়োমেট্রিকস ব্যবহার করেও এ প্রযুক্তির ভিডিও যাচাই করা যায়।

সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিপফেকের ফলাফল খুবই ভয়ঙ্কর হয়েছে এবং সামনে আরও ভয়ঙ্কর হবে, বিশেষ করে গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সেলিব্রিটিদের জন্য এটি বিপর্যয়কর পরিণতি নিয়ে আসবে। ডিপফেক এর প্রভাবে শুধু ক্যারিয়ার নয়, জীবন ও নষ্ট করা সম্ভব, কিছুক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েও যেতে পারে। এমনকি আন্তর্জাতিক কোনো ডিপফেক ঘটনা যুদ্ধ শুরু করার জন্য বিশ্ব নেতাদের নকল ভিডিও ব্যবহার করতে পারে। তথ্যসূত্র: মিডিয়াম


আরও খবর
শিশু শান্তি পুরস্কার পেল ৩ কিশোরী

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

হোয়াটসঅ্যাপ কি নিরাপদ!

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




টাঙ্গাইলে র‌্যাবের হাতে ২১ কেজি গাঁজাসহ আটক ২

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইল র‌্যাব-১৪র সিপিসি-৩ কোম্পানীর একদল র‌্যাব সদস্য শনিবার (১৮ নভেম্বর) ভোরে অভিযান চালিয়ে ২১ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে। র‌্যাব-১৪ প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আটককৃতরা হচ্ছেন- রাজশাহী জেলার কাটাখালী থানার মীরকামারী (বেলঘরিয়া) গ্রামের রবির উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. জেসমিন বেগম (৪০) ও একই থানার কাকাইলকাটি (মীরকামারী) গ্রামের মো. মোস্তাকিন আলীর ছেলে মো. মেরাজুল ইসলাম (৩৮)।

র‌্যাব-১৪ প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোপনে খবর পেয়ে সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল কোম্পানীর অধিনয়ক মেজর মনজুর মেহেদী ইসলামের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি চৌকষ দল শনিবার ভোরে সিরাজগঞ্জ রেলওয়ের শহীদ এম মনসুর আলী রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এলাকায় ট্রেনের বগিতে অভিযান চালায়। অভিযানে ২১ কেজি গাঁজা, নগদ টাকা ও মোবাইলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-১৪ জানায়, আটককৃতরা ঢাকা থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে রাজশাহী যাচ্ছিল। র‌্যাব সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাড়ি নিয়ে তাদের পিছু ধাওয়া করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী রেলস্টেশনে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি তল্লাশি করে তাদেরকে গাঁজাসহ আটক করে।

আটককৃতদের সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



হরতাল-অবরোধের এক মাসে ২১২ গাড়িতে আগুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর থেমে থেমে ডাকা হরতাল-অবরোধের নামে ২৮ অক্টোবর থেকে ২৮ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে ১৩২টি বাসসহ মোট ২১২টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহাজাহান শিকদার এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৮ অক্টোবর থেকে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত আগুনের ঘটনা ঘটেছে ২২৩টি। এর মধ্যে ২১২টি গাড়িতে এবং বাকিগুলো স্থাপনায়।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, ২৮ অক্টোবর থেকে ২৮ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৩২টি বাসে, ৩৫টি ট্রাকে, ১৬টি কাভার্ড ভ্যানে, ৮টি মোটর সাইকেলে, দুটি প্রাইভেট কারে, তিনটি করে মাইক্রোবাস, পিকআপ, সিএনজি, ট্রেন ও লেগুনায় এবং একটি করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, পুলিশের গাড়ি, নছিমন ও অ্যাম্বুলেন্ন্সে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় কিছু ১১টি স্থাপনায়ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ অফিস, পুলিশ বক্স, কাউন্সিলর অফিস, বিদ্যুৎ অফিস, বাস কাউন্টার ও শোরুম।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস জানায়, সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত দুর্বৃত্তরা ৫টি যানবাহনে আগুন দিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ১টি, হবিগঞ্জে ১টি, পাবনায় ১টি, টাঙ্গাইলে ১টি ও খুলনায় ১টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।


আরও খবর
কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




আটক ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজার বৃহত্তম শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তীব্র অভিযান চলছে। সেখানে আটক ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, যেখানে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি পুরুষকে আটক করা হয়েছে। তাদের অন্তর্বাস খুলে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। পাশেই তাদের পাহারা দিচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। 

আরও পড়ুন>> ভানুয়াতুতে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

অন্য একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আটকদের সামরিক ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খবর-বিবিসি

সামরিক অভিযানের বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সন্দেহভাজন হিসেবে শতশত ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। অনেকেই আত্মসমর্পণ করেছেন। তবে আটককৃতদের মধ্যে সুপরিচিত একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে দেখা গেছে।


আরও খবর



ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনবেন ফুলকোর্ট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন ছয়জনের বিচারপতির বেঞ্চ শুনতে পারবেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ ছয় সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ বিশেষ সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, যখন আপিল বিভাগে যে বেঞ্চ থাকবে সেটাই ফুল কোর্ট।

২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন। ওই বছরের ৮ মে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে ১১ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আপিল শুনানিতে আদালতে মতামত উপস্থাপনকারী ১০ অ্যামিকাস কিউরির (আদালতের বন্ধু) মধ্যে শুধু ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে মত দেন। অপর নয় অ্যামিকাস কিউরি ড. কামাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার এম. আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ষোড়শ সংশোধনীর আপিল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ। ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইনসভার কাছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রয়েছে। দেশের সংবিধানেও শুরুতে এই বিধান ছিল। তবে সেটি ইতিহাসের দুর্ঘটনামাত্র। রায়ে আরও বলা হয়, কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর ৬৩ শতাংশের অ্যাডহক ট্রাইব্যুনাল বা ডিসিপ্লিনারি কাউন্সিলরের মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের বিধান রয়েছে। আদালত রায়ে আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদের ফলে দলের বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারেন না। তারা দলের হাইকমান্ডের কাছে জিম্মি। নিজস্ব কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা নেই। ৭০ অনুচ্ছেদ রাখার ফলে সংসদ সদস্যদের সব সময় দলের অনুগত থাকতে হয়। বিচারপতি অপসারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও তারা দলের বাইরে যেতে পারেন না। যদিও বিভিন্ন উন্নত দেশে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা আছে। রায়ে আরও বলা হয়, মানুষের ধারণা হলো, বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে। সেক্ষেত্রে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা দুর্বল হয়ে যাবে। মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হয়। যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল। সংবিধানে এই সংশোধনী হওয়ায় মৌলিক কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করবে; এমন যুক্তিতে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন।

নিউজ ট্যাগ: ষোড়শ সংশোধনী

আরও খবর
জামিন পেলেন না মির্জা ফখরুল

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় কাভার্ডভ্যান ধাক্কায় বিলকিস আক্তার (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত বিলকিস আক্তার গাজীপুরের শ্রীপুর থানার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাসান আলীর কন্যা। তিনি এক ছেলে এক মেয়ের জননী ছিলেন। 

আরও পড়ুন>> আল-শিফার গণকবর থেকে শতাধিক লাশ তুলে নিল ইসরায়েল

বিলকিসের স্বামী আব্দুর রউফ জানান, রাতে স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুর থেকে মুগদার মান্ডার এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার সময় খিলগাঁওয়ে একটি কাভার্ডভ্যান বিলকিসকে ধাক্কা দেয়। চালকসহ ঘাতক কাভার্ডভ্যানটি আটক করে এলাকার লোকজন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।


আরও খবর
বৃষ্টিতেও ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩