ঢালিউডের শুকনো পাতায় আগুন লাগিয়ে অনেকটা
নীরবেই দেশ ছাড়লেন প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ। শাকিব খান অভিনীত ‘অপারেশন অগ্নিপথ’র অন্যতম এই প্রযোজক
লিখিত অভিযোগ করে শিল্পী সমিতিতে জানান, অস্ট্রেলিয়া শাকিব খানের যৌনজীবন, ধর্ষণসহনানা অভিযোগের কথা।
১৫ মার্চ এই অভিযোগের পর রীতিমতো আগুন
ধরে যায় পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে। পরদিন (১৬ মার্চ) শাকিব খান প্রযোজক নেতা খসরুর সহযোগিতায়
বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপর শাকিব খান গুলশান থানায় ছুটে যান প্রযোজকের
নামে মামলা করার জন্য। কিন্তু থানা সেটি গ্রহণ করেনি। এরপর শাকিব খান যান ডিবি অফিসে।
জানান, প্রযোজকের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ। পুলিশের কাছে অনুরোধ করেন, দেশ ছাড়ার আগেই যেন
ঐ প্রযোজককে জবাবদিহির মধ্যে আনা হয়।
তবে এসব থানা-ডিবি অফিসে শাকিব খানের দৌড়
ঝাঁপের মধ্যেই অনেকটা সবার অলক্ষ্যে ১৭ মার্চ দেশ ছাড়েন রহমত উল্ল্যাহ।
২০ মার্চ অস্ট্রেলিয়া থেকে এই প্রযোজক
জানান, ‘শাকিব বলছে, আমি
ভুয়া প্রযোজক- এটা হাস্যকর। আমি যে একজন প্রযোজক এর যথেষ্ট প্রমাণ আছে। আর আমি যেসব
অভিযোগ এনেছি তার বিরুদ্ধে, একটাও মিথ্যে নয়। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে
কি করা যায়, সেই সিদ্ধান্তই নিচ্ছি। আমি কিছুদিনের মধ্যেই আইনিভাবে লড়তে বাংলাদেশে
আসছি। অল্প কিছুদিন আপনারা অপেক্ষা করেন। আমার এখানে (অস্ট্রেলিয়া) কাজ ছিলো বলেই দ্রুত
চলে এসেছি।’
অভিযোগ দিয়েই অনেকটা গোপনে দেশ ত্যাগ করার
কারণ জানতে চাইলে প্রযোজক বলেন, ‘আমার হাতে সময় কম ছিলো। অস্ট্রেলিয়ায় আমার
অনেক কাজ আছে। বিষয়টি আমি শাকিব খান এবং চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমিতিগুলোর কাছেও বলেছি।
কারো ভয়ে আমি দেশ ত্যাগ করিনি। তাছাড়া বিষয়টি সমাধানের জন্য শাকিব খানই আমার সঙ্গে
বসেছিলেন। কিন্তু পারেননি। আমি আমার কাজের জন্যই অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি, কারও ভয়ে নয়।
আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আপনাদের সঙ্গে সকল প্রমাণ নিয়ে আবার দেখা হবে আমার।
কারণ, এবার লড়াই হবে আইনিভাবে।’
উল্লেখ্য, ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির পরিচালনা
করছিলেন আশিকুর রহমান। এতে শাকিবের নায়িকা হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন সিবা আলী খান। তাদের
পক্ষ থেকে অবশ্য কোনও অভিযোগের খবর প্রকাশ্যে আসেনি।
এর আগে ২০১৮ সালে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ নিয়ে নির্মাতা
আশিকুর রহমান ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঝামেলা দেখা দেয়। ওই সময় শাকিব খানকে নিয়ে
‘সুপারহিরো’ ছবির শুটিং করতে
অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন নির্মাতা। কিন্তু তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগসহ আইনি নোটিশ
পর্যন্ত পাঠিয়েছিলো প্রতিষ্ঠানটি। তাদের অভিযোগ ছিলো, নির্মাতা সময়মতো ছবির কাজ শেষ
করছেন না। এছাড়া ছবির টিজার বিক্রির টাকাও আত্মসাৎ করেছেন।
অন্যদিকে আশিকুর রহমান পাল্টা অভিযোগের
তীর ছোঁড়েন প্রতিষ্ঠানটির দিকে। জানান, সিনেফেক্ট এন্টারটেইনমেন্ট নামের এই প্রতিষ্ঠানের
গাফিলতির কারণে ছবিটির সব কিছু তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়ে তিনি পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরে
দাঁড়িয়েছেন।