আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

অ্যাকনে যখন মাথার ত্বকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

মুখের মতো স্ক্যাল্পেও হতে পারে অ্যাকনে। আর তা বাড়িয়ে দিতে পারে চুল পড়ার সমস্যা। তবে ত্বকের মতো করে তো আর স্ক্যাল্পের যত্ন নেওয়া সম্ভব নয়। থাকছে কিছু সহজ টিপস। মুখের অ্যাকনে দেখেছেন, ব্যাকনের (পিঠের অ্যাকনে) কথা শুনেছেন কিন্তু স্ক্যাল্প? আশ্চর্যের বিষয় হলো, স্ক্যাল্পনে বা স্ক্যাল্পের অ্যাকনে কিন্তু মোটেই নতুন কিছু নয়।

সমীক্ষা বলে, প্রত্যেকেই কখনও না কখনও এ সমস্যায় ভুগেছেন। কিন্তু চুলের আড়ালে থাকে বলে যেহেতু এ ধরনের পিম্পল সচরাচর নজরে পড়ে না, তাই তা নিয়ে কেউই বিশেষ ভাবেন না। ভেবে দেখুন, মাথায় চিরুনি চালাতে গিয়ে হঠাৎ কোথাও খোঁচা বা ব্যথা লাগার সমস্যা সবারই কখনও না কখনও হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে সেভাবে মাথা ঘামাননি। আর তার মূল কারণ স্ক্যাল্পনে থেকেও যে চুলের ক্ষতি হতে পারে, তা অনেকের অজানা। অনেকেই হঠাৎ চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন।

অথচ এর নেপথ্যে যে স্ক্যাল্পনের সমস্যাও থাকতে পারে, তা বুঝতে পারেন না। অ্যাকনে হোক বা পিম্পল, ত্বকের নির্দিষ্ট রন্ধ্রের মুখ আটকে গেলেই এ ধরনের সমস্যা হয়। তা থেকে ওই নির্দিষ্ট রন্ধ্রেরও বেশ ক্ষতি হয়। সুতরাং স্ক্যাল্পে এ ধরনের সমস্যা হলে হেয়ার ফলিকলের পুষ্টিতে বাধা পড়ে। যার ফলে চুল পড়ার সমস্যা, শুষ্কতা, নির্জীবতা বেড়ে যেতে পারে। অ্যাকনের প্রবণতা যার যত বেশি, তার চুলের ক্ষতির আশঙ্কাও তত বেশি।

স্ক্যাল্পনে কী: মুখের তৈলাক্ত অংশে তেল, ধুলোবালি, মৃত কোষ, ঘাম ইত্যাদি জমে অ্যাকনে হয়। স্ক্যাল্পনেও ঠিক তেমনভাবেই মাথায় অর্থাৎ স্ক্যাল্পে হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থেকেও এ ধরনের পিম্পল হতে পারে। একে ফলিকুলাইটিস বা হেয়ার ফলিকলের ইনফ্ল্যামেশনও বলতে পারেন। এমনিতে চুলে ঢাকা থাকে বলে দেখা যায় না, তবে হাত দিলে ফুসকুড়ির মতো অনুভব করা যায়। অনেকের হেয়ারলাইন বরাবর হোয়াইটহেডসের মতোও দেখা যায়। কিছু পিম্পলে ব্যথা হয়, কিছু পিম্পল থেকে শুধু ইচিং হয়। দুই ধরনের স্ক্যাল্পনেই চুলের পক্ষে ক্ষতিকর। কারণ উভয় ক্ষেত্রেই হেয়ার ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চুলের সার্বিক পুষ্টিতে বাধা দেয়। যাদের খুশকির সমস্যা রয়েছে বা ত্বক তৈলাক্ত প্রকৃতির, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি হয়। আবার স্ক্যাল্প অতিরিক্ত শুষ্ক হলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্ক্যাল্প এবং চুল কতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছেন, তার ওপর নির্ভর করেও স্ক্যাল্পনের প্রবণতা বাড়তে বা কমতে পারে।

যে কারণে হয়: মৃত কোষ বা অতিরিক্ত তেল হেয়ার ফলিকলের গোড়ায় জমে যাওয়া, শ্যাম্পু, তেল, কন্ডিশনার, হেয়ার সেরামসহ বিভিন্ন হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টের বিল্ডআপ, চুল ভালোভাবে না ধোওয়া, ওয়ার্কআউট করার পর বা গরমে ঘাম স্ক্যাল্পে বসতে দেওয়া, টুপি বা অন্যান্য মাথা ঢাকা দেওয়ার জিনিস বেশি পরা, অতিরিক্ত স্ট্রেস, হরমোনাল ইমব্যালান্সের মতো কারণ, যা আপাতভাবে অ্যাকনের সমস্যা বাড়ায়, কেরাটিন বিল্ডআপ কিংবা খুশকির সমস্যা।

এ ছাড়া ইস্ট এবং স্ট্যাফাইলোকক্কাসের মতো বেশকিছু জীবাণু সংক্রমণ থেকে এ ধরনের পিম্পল হতে পারে। অনেক ডার্মাটোলজিস্ট মনে করেন, ডায়েটের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। যারা শর্করা জাতীয় কার্বোহাইড্রেট বেশি পরিমাণে খান, তাদের মধ্যে এ সমস্যা সবচেয়ে কমন।

যা করবেন: সমস্যার কারণ একবার বুঝে গেলে সেই মতো সমাধানের পথ খুঁজে নিতে হবে। যেমন যদি অতিরিক্ত ঘাম থেকে এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হয়, সে ক্ষেত্রে স্ক্যাল্প যতটা সম্ভব শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে। ডায়েট থেকে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে দেখতে পারেন। পাশাপাশি স্ক্যাল্প পরিষ্কার এবং খোলামেলা রাখার চেষ্টা করতে হবে। অতিরিক্ত অয়েলি স্ক্যাল্প হলে এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন, যা স্ক্যাল্পকে তেলমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি কোনো ধরনের প্রোডাক্ট বিল্ডআপ যেন না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত চুলের সংস্পর্শে যা যা আসছে, যেমন বালিশ, চিরুনি, চাদর, টুপি, হেয়ার অ্যাকসেসরিজ সবই পরিষ্কার রাখতে হবে। পারলে প্রতিদিন অ্যান্টিসেপটিক পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

যা করবেন না: কিছু অভ্যাস আবার একেবারে বন্ধ করতে হবে। মুখের অ্যাকনের মতোই স্ক্যাল্পনে খোঁটাখুঁটি করবেন না। এতে ভেতরে জমে থাকা পুঁজ (পুঁজ না থাকলেও সেরাম জাতীয় পদার্থ) বেরিয়ে অন্যত্র অ্যাকনে হতে পারে। ইনফেকশনও হয়ে যেতে পারে, যা চুল পড়া, স্ক্যাল্পে ব্যথা এবং স্ক্যাল্পনের প্রবণতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ঘন ঘন স্ক্যাল্পে হাত দেওয়ার অভ্যাস থাকলে প্রথমেই তা কমাতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে চিরুনি চালানোর ব্যাপারেও। সরু চিরুনি বা ধারালো চিরুনির পরিবর্তে কাঠের মোটা চিরুনি ব্যবহার করুন। স্ক্যাল্প ব্রাশ করার সময় খুব ধীরে করুন এবং যতটা সম্ভব কম প্রেশার দিন। বালিশে স্যাটিনের কভার পরাতে পারেন। এতে স্ক্যাল্প ও চুলে ফ্রিকশন কম হবে।

শ্যাম্পুতে সমাধান: স্ক্যাল্প অ্যাকনে কমাতে মূলত শ্যাম্পুই যথেষ্ট। তবে বাজারচলতি যেকোনো শ্যাম্পু নয়। বেছে নিতে হবে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি মেডিকেটেড শ্যাম্পু। যাতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা সালফার রয়েছে, এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। ভালোভাবে চুল এবং স্ক্যাল্পে ফেনা করতে হবে। একদিন ছাড়া ছাড়া এ ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। অন্তত পাঁচ মিনিট স্ক্যাল্পে এই শ্যাম্পু লাগিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নিন। এ ধরনের শ্যাম্পু স্ক্যাল্পনের সঙ্গে সঙ্গে খুশকির (যদি থাকে) সমস্যাও কমাবে। স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হলে সেই ধরনের চুলের জন্য বিশেষ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

তবে এ ধরনের শ্যাম্পু স্ক্যাল্প শুষ্ক করে খুশকির সমস্যা বাড়াতে পারে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। গ্লাইকলিক অ্যাসিড বা টি-ট্রি অয়েলে সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া শ্যাম্পু কেনার সময় কয়েকটি জিনিস দেখে কিনতে পারেন। স্ক্যাল্পনের পক্ষে অ্যান্টি-অ্যাকনেজেনিক, অ্যান্টি-কমেডোজেনিক হেয়ার প্রোডাক্ট ভালো। শুধু শ্যাম্পুই নয়, চুলে যা-ই ব্যবহার করবেন, তা যেন পোরস ক্লগ না করে, সেটা খেয়াল রাখুন। এ ছাড়া মাসে একবার (বেশি করলে চুল অত্যন্ত রুক্ষ হয়ে পড়বে) ক্ল্যারিফাইং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এটি স্ক্যাল্প ক্ল্যারিফাই করতে এবং বিল্ডআপ সরাতে সাহায্য করবে। তবে একবার শ্যাম্পু করলেই যে উপকার পাবেন, তা নয়। যেকোনো শ্যাম্পু কাজ করতে অন্ততপক্ষে ছয় সপ্তাহ সময় নেয়। সমস্যার পরিমাণ অনুযায়ী কারও ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।

প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর: আগে থেকেই যদি স্ক্যাল্পনে প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে চুল পড়া এবং স্ক্যাল্পের সমস্যা দুই-ই আটকানো সম্ভব। আর প্রতিরোধের পথে প্রথম পদক্ষেপ হলো স্ক্যাল্প হাইজিন মেনে চলা। কেমিক্যাল-ফ্রি, হাইপোঅ্যালার্জেনিক হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি ও ই রাখুন ডায়েটে। প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্টসও নিতে পারেন। স্ক্যাল্প ময়েশ্চারাইজড রাখুন। প্রয়োজনে কলা, ডিম, মধুর মতো নারিশিং উপকরণ দিয়ে বানানো হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। লেবু এবং অ্যাপল সিডার ভিনিগার খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। স্ক্যাল্পনে প্রতিরোধেও সাহায্য করবে। মাঝে মাঝে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চুলে জড়িয়ে রাখতে পারেন। পানির ভাপে ইনফেকশনের সমস্যা কমবে। শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করার পর তা অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। কোনো রেসিডিউ যেন চুলে বা স্ক্যাল্পে না লেগে থাকে খেয়াল রাখুন।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পৃথক শোক বার্তায় তারা প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নারায়ণ দাস। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, স্ত্রী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নং কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা শেষ করেন শিব নারায়ণ দাস। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১ এর ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিব নারায়ণ দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

শিব নারায়ণ দাসের জন্ম কুমিল্লায়। তার পিতা সতীশচন্দ্র দাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। শিব নারায়ণ দাসের স্ত্রীর নাম গীতশ্রী চৌধুরী এবং তাদের সন্তান অর্ণব আদিত্য দাস।


আরও খবর



৯ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ, খোলা থাকবে হল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন থেকে এসেছে শিক্ষার্থীরা। এর পর আগামী ১১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এই সময়ে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর প্রাণহানি হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত বুধবার ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় তারা জানান, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসচালককে গ্রেপ্তার করার দাবি ছিল। সেই দাবি পূরণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে, যেখানে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন। তাছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই সড়কটি প্রশস্ত করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন তারা। এসব দাবি পূরণ কিংবা আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



অতিরিক্ত মদ্যপানে ব্রিটিশ কাউন্সিল শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর নিউমার্কেট এলিফ্যান্ট রোডের এলাকার একটি বাসায় অতিরিক্ত মদ্যপানে মো. মাহি রশিদ দীপ্ত (১৭)নামে এক শিক্ষার্থী মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী ব্রিটিশ কাউন্সিলের ও লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমরা জানতে পেরেছি নিউমার্কেটের এলিফ্যান্ট রোড এলাকার একটি বাসায় বন্ধুবান্ধব নিয়ে অতিরিক্ত মধ্যপানে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরও জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলা বেগমগঞ্জ থানা দয়জপুর গ্রামে মামুনুর রশিদ মামুনের সন্তান। বর্তমানে নিউমার্কেটের এলিফ্যান্ট রোড ৭/এ নম্বর বাড়ি ভাড়াটিয়া।


আরও খবর



কোরবানির আগে ব্রা‌জিল থেকে আনা হবে জীবন্ত গরু: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন কোরবানির ঈদে ব্রা‌জিল থেকে জীবন্ত গরু আনার সম্ভাব্যতা নিয়ে ভাবছে সরকার বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রবিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর এক‌টি হোটেলে সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার স‌ঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। বৈঠক শে‌ষে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

আহসানুল ইসলাম টিটু ব‌লেন, আমরা আগামী কোরবানি সামনে রেখে তাদের (ব্রাজিলকে) ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছি, যদি সস্তা হয় তাহলে জীবন্ত গরু আনার ব্যবস্থা করা যায় কি না। আমরা সম্ভাব্যতা যাচাই ক‌রে দেখ‌তে পা‌রি।

বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার দেশটি প্রতি কেজি গরুর মাংস সাড়ে চার মার্কিন ডলারে (৪৯৫ টাকা) বাংলাদেশকে দিতে চায়। গত বছর বিশ্বের ১২৬টি দেশে গরুর মাংস রপ্তানি করেছিল ব্রাজিল।

এদিকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি করছে মুন্সিগঞ্জের ডাচ ডেইরি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা ব্রাজিল থেকে ৫০০ গরু আমদানি করছে।


আরও খবর



যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে: সিইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যে কোনো মূল্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। এবার প্রতিটি জেলায় চারটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা নতুন মাত্রা হলো জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সমন্বিতভাবে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখতে পারবেন। মোতায়েন সহজ হবে, যেহেতু চারটি পর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আবেগ-অনুভূতির কারণে দেশে নির্বাচনে অনেক সময় কিছুটা উচ্ছৃঙ্খলতা হয়ে থাকতে পারে, সহিংসতাও হতে পরে। এগুলো যেন না হয়, সেই দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। নির্বাচনটা যাতে অবাধ হয়। যারা ভোটার, তারা যেন এসে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করে আবার নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।

সিইসি বলেন, যদি এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে; সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে। আমরা আশা করব, আগামীতে আমাদের প্রত্যেকটা নির্বাচন সুন্দর-সুষ্ঠু হবে।


আরও খবর