আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পা দিয়ে লিখে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে মানিক

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৮ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মানিক রহমান। জন্ম থেকেই দুই হাত নেই। দুই পা থাকলেও একটি লম্বা ও অন্যটি খাটো। অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে সুস্থ ও স্বাভাবিক শিক্ষার্থীদের মতোই পা দিয়ে লিখে এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মানিক রহমান। অদম্য মেধাবী মানিক রহমান এ বছর ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে পা দিয়ে নিজের ল্যাপটপ চালিয়ে পরীক্ষার ফল বের করে মানিক। পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পর মানিকের গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর শুনে সবাই মুগ্ধ।

মানিক রহমানের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে। ওষুধ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও মা প্রভাষক মরিয়ম বেগমের ছেলে মানিক। বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় নিজের আত্মবিশ্বাস ও মনোবলকে পুঁজি করে তিনি পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ও জেএসসিতেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। পা দিয়ে লিখে শুধু ভালো রেজাল্ট নয়, মানিক পা দিয়ে মোবাইল চালানো এবং কম্পিউটার টাইপিং ও ইন্টারনেট ব্যবহারেও পারদর্শী। তাই মানিক রহমান ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে সবার দোয়া কামনা করেন।

মানিকের বাবা-মা বলেন, আমার দুই ছেলে। মানিক বড়। ছোট ছেলে মাহীম ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। মানিক প্রতিবন্ধী এটা আমরা মনে করি না। জন্ম থেকেই তার দুটো হাত না থাকলেও ছোট থেকে আমরা তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস করিয়েছি। সমাজে অনেক সুস্থ ও স্বাভাবিক ছেলে-মেয়েদের চেয়েও মানিক পিএসসি ও জেএসসিতে ভালো রেজাল্ট করেছে। এটা আমাদের গর্ব। সবাই আমাদের ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন সে যেন সুস্থ সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে।  তাছাড়াও মানিক নটরডেম কলেজে পড়তে চায়। সরকার যদি আমাদের ছেলেটাকে সহযোগিতা করে তাহলে আমাদের অনেক উপকার হতো।

মানিক রহমান বলেন, আমার দুটো হাত না থাকলেও আল্লাহর রহমতে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমি এর আগে জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ-প্লাস পাই। সবাই দোয়া করবেন আমি যেন এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারি এবং ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।

ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদ আলী খন্দকার বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার পরেও মানিক অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভালো ফলাফল করায় আমরা মুগ্ধ। সে জীবনে অনেক বড় হোক এ দোয়া করি।

জেলা শিক্ষা অফিসার মো. সামছুল আলম বলেন, মানুষ চেষ্টা করলে যে সব পারে তার প্রমাণ মানিক রহমান। সে পা দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।


আরও খবর
ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




পতাকার আদলে ধানক্ষেত, প্রশংসায় ভাসছেন স্কুলশিক্ষক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকার আদলে ধান ক্ষেত সাজিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন মোঃ আবু জাফর (৩৫) নামের এক স্কুল শিক্ষক।

ওই স্কুল শিক্ষক উলিপুর পৌর এলাকার নাওডাঙা বাকরের হাট গ্রামের মোঃ আবু বক্করের ছেলে। তিনি উলিপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলে জানা গেছে। স্বাধীনতার মাসে ধান ক্ষেতের মাঝে চারা গাছ দিয়ে ফুটে উঠা জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আবু জাফরের এক একর ৩০ শতক জমিতে ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে ক্ষেতের এক শতক জমি জুড়ে ফুটে উঠেছে সবুজ রঙের চারা দিয়ে জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি জমির আইলের পাশ দিয়ে বেগুনি ধান গাছের চারা রোপন করে ফুটিয়ে তুলেছেন পতাকার খুঁটি। বিরি-১০৪ জাতের ধানের সবুজ চারাকে পতাকার জমিন ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ বেগুনি ধানের চারাকে বৃত্ত ও পতাকার খুঁটি স্বরুপ সারিবদ্ধ ভাবে রোপন করেছেন তিনি। প্রথমের দিকে ধান গাছের পাতায় সমৃদ্ধ রঙ না আসায় স্পষ্ট চিত্র বুঝা না গেলেও বর্তমানে ধান গাছের পরিপক্বতার কারণে দৃশ্যমান হয়েছে ক্ষেতটি। এমন ব্যতিক্রমি পতাকার আদলে ধান ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন লোকজন ছুটে আসছেন সেখানে।

আবু জাফর বলেন,আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষি চাষাবাদ করে থাকি। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ব প্রকাশে মানুষজন বিভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চায়। তেমনি আমিও চেষ্টা করছিলাম মাত্র। স্বাধীনতার মাসে জাতীয় পতাকার আদলে করা ধানক্ষেতটি দৃশ্যমান হওয়ায় মানুষজনের দেখার আগ্রহ বেড়েছে।

ধান ক্ষেত দেখতে আসা লিটন মিয়া বলেন, মানুষজন দেশের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ থেকেই মুলত ব্যতিক্রমী কাজ করে থাকে। আবু জাফর ভাইয়ের জাতীয় পতাকার আদলে করা ধানক্ষেতটি সত্যি প্রশংসনীয়। এমন দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এটি দেখে অনেকের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে বলে জানান তিনি।

শিক্ষার্থী মোঃ রাজু মিয়া বলেন, আমি বিভিন্ন কারুকার্য যেমন বইয়ের পাতা ও কাপড়ের তৈরি, পাথরের তৈরি সাজানো পতাকা দেখেছি। তবে ধানের চারা লাগিয়ে যে জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি বানানো যায় তা প্রথম দেখলাম সত্যি ভালো লাগলো।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, একজন কৃষক দেশের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে জমিতে জাতীয় পতাকার আদলে যে শস্যচিত্র ফুটিয়ে তুলেছে সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতায়

কৃষি বিভাগ সব সময় পাশে থাকবে বলে তিনি জানান।


আরও খবর



বিদ্যুতের মিটার চুরি করে রেখে যায় ফোন নম্বর, টাকা দিলে ফেরত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

প্রথমে রাতের অন্ধকারে বিদ্যুতের মিটার চুরি। পরে ওই স্থানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় একটি কাগজ। কাগজে লেখা থাকে মুঠোফোন নম্বর। পরে ওই নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে চাহিদামতো টাকা পাঠানো হলে চুরি হওয়া মিটারটি আবার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

নাটোরে লালপুরে অভিনব কায়দায় রাতের আঁধারে দশটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা যোগাযোগের জন্য চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে। ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে ভুক্তভোগীদের কাছে টাকা দাবি করেছে তারা।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরের দিকে লালপুর উপজেলার কলসনগর, সাতপুকুরিয়া, চাঁদপুর, ভবানীপুর, কালুপাড়া ও বিভাগ গ্রামে এঘটনা ঘটে।এভাবে চুরির ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী আমিরুল ও বাচ্চু বিশ্বাস জানান, ভুক্তভোগীদের রাইস মিল ও কাঠ মিল থেকে রিডিং মিটার রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বত্তরা। এবং প্রত্যেকের চুরি হওয়া মিটারের ফাঁকা জায়গায় একটি চিটকুটে লিখে যায়। সেখানে লেখা ছিল- এই মিটার নিতে হলে এই নম্বরে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে। সকালে মিটার চুরি হয়ে যাওয়ার স্থান থেকে প্রাপ্ত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ওই মিটারের জন্য ৮ হাজার টাকা বিকাশ করলে মিটার ফেরত দেয়ার কথা জানায় দুর্বৃত্তরা।

এবিষয়ে কথা বলতে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ লালপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল করিম খানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে লালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, মিটার চুরির অভিযোগ আসেনি আমার কাছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


আরও খবর



ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন হয়নি, মেয়াদ বাড়িয়েছেন ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তবে ওই মামলায় ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। আগামী ২৩ মে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এসময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর বেলা ১১টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন ড. ইউনূস।

এর আগে গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজ (১৬ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য আসে।

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।


আরও খবর



আইন পাস করে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করছে ইসরাইল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করতে আইন পাস করেছে ইসরাইলের আইনসভা নেসেট। কয়েক দফা পর্যালোচনার পর সোমবার আইনটিকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন ইহুদিবাদী দেশটির আইনপ্রণেতারা।

পাস হওয়া এই আইনের আওতায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ইসরাইলে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করতে পারবেন।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম বিল আকারে এটি উত্থাপিত হয়েছিল নেসেটে। চার-পাঁচ দফায় পর্যালোচনার পর সোমবার ইসরাইলি আইনপ্রণেতাদের ভোটে বিলটি আইনে পরিণত হলো।

নতুন এই আইন অনুসারে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যদি কখনও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে আল-জাজিরাকে বন্ধ করে দিতে সুপারিশ করে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদমাধ্যমটির সম্প্রচার ইসরাইলে বন্ধ করা, আল-জাজিরার ইসরাইল শাখার কার্যালয় সিলগালা করা এবং সেখানকার সমস্ত মালপত্র বাজেয়াপ্ত করার এখতিয়ার পাবে রাষ্ট্রটির তথ্য মন্ত্রণালয়। শুধু তাই নয়, ইসরাইলে বিদেশি চ্যানেলগুলোও বন্ধ করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।

আইনটি পাসের পর ইসরাইলে আল-জাজিরা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, আল-জাজিরা ইসরাইলের নিরাপত্তার ক্ষতি করেছে, ৭ অক্টোবরের গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে এবং ইসরাইলি সৈন্যদের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। 

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় আল-জাজিরার অফিস রয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে হত্যা করে ইসরাইল। ওই সময় জেনিন শহরে ইসরাইলের একটি সামরিক অভিযানের খবর কাভার দিচ্ছিলেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: আল-জাজিরা

আরও খবর



আজ দেশের আকাশে দেখা যাবে সূর্যের খুব কাছে আসা বিরল ধুমকেতু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

প্রায় ৭১ বছর পর আজ রোববার (২১ এপ্রিল) সূর্যের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করবে ধূমকেতু ১২পি/পনসব্রুকস। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে এটি দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও।

এ উপলক্ষ্যে রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর পদ্মা নদীর ধার টি বাঁধ এলাকায় ডেভিল ধূমকেতু এবং বৃহস্পতিগ্রহ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন যৌথভাবে এর আয়োজক।

আয়োজকরা জানান, বিগত ৭১ বছর পর আজ রোববার (২১ এপ্রিল) ডেভিল ধূমকেতুটি সূর্যের সবচাইতে কাছে অবস্থান করবে। রোববার সূর্যস্তের সময় থেকে ঘণ্টাখানেক ধূমকেতুটি আকাশে অবস্থান করবে। দিগন্তের খুব কাছে থাকাতে নানা কারণে ধূমকেতুটি দেখাবার সম্ভাবনা খুব কম। তারপরও আয়োজকরা প্রস্তুত থাকবে ধূমকেতুটি দেখবার জন্য। মেঘমুক্ত আকাশ হলে এটি দেখতে পাবার সম্ভাবনা প্রবল হতে পারে। এছাড়াও আকাশে বৃহস্পতি গ্রহ এবং চাঁদ একই সঙ্গে দৃশ্যমান থাকবে। ধূমকেতুটি যতক্ষণ সম্ভব দেখার চেষ্টা করার পর আয়োজকরা টেলিস্কোপে বৃহস্পতিগ্রহ এবং চাঁদ দেখবে।

আয়োজনকরা আরও জানান, রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর টি বাঁধ পদ্মার পাড়ে এ আয়োজন করা হয়েছে। আগ্রহী সবার জন্য ডেভিল ধূমকেতু-বৃহস্পতিগ্রহ এবং চাঁদ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পটি উন্মুক্ত থাকবে।

আয়োজক কমিটির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিত্ব চলচ্চিত্রকার আহসান কবির লিটন জানান, রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়ে ক্যাম্পটি পরিচালনার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যে কেউ এখানে এসে এই ক্যাম্পে অংশ নিতে পারবেন। তবে আকাশে মেঘ থাকলে দৃষ্টি সীমা বাধাগ্রস্থ হবে। তখন ধূমকেতু সহ গ্রহ উপগ্রহগুলো না ও দেখা যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, সূর্যের কাছাকাছি ধূমকেতুটি দেখতে কিছুটা শিংয়ের মতো হয়। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ডেভিল কমেট বা শিংওয়ালা ধূমকেতু


আরও খবর