আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পাবজি খেলতে না পেরে ইন্টারনেটের তার কাটতে গিয়ে ছাত্রের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শেরপুর(বগুড়া) থেকে আবু বকর সিদ্দিক

বগুড়ার শেরপুরের আওলাকান্দি গ্রামে পাপজি গেমস খেলতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে ইন্টারনেটের তার কাটতে গিয়ে পল্লী বিদ্যুতের তারে সাথে আটকে মঙ্গলবার সকালে স্কুল ছাত্র রকি হোসেন (১৫) ঘটনাস্থলে মারা যায়।

জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের আওলাকান্দি গ্রামের মো. মাহবুবের ছেলে ফুলজোড় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রকিসহ কয়েকজন পাপজি গেমস খেলার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ নেয় একই গ্রামের আবু বকর বাড়িতে। ওই বাড়ি থেকে ইন্টারনেটের রাউটার চুরি হয়ে যায়।

পরে ওই বাড়ির মালিক সংযোটি খুলে নেওয়ার কথা বলে নেট ব্যবসায়িকে। এ কথা শুনে রকি ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির সাথে লাগানো ইন্টারনেট সংযোগ কাটতে গিয়ে বিদ্যুতের তারের সাথে আটকে গিয়ে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

নিউজ ট্যাগ: বগুড়া মৃত্যু

আরও খবর



অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্য আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের ভাদসা এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যক আটক করেছে র‌্যাব।

আটককৃতরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার পন্ডিতপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে  রাব্বি হোসেন (২১), বামনপাড়া গ্রামের পরিমল চন্দ্রের ছেলে শ্রী প্রিয় সৌরভ (২০) ও পাবর্তীপুর গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে রিসাদ হোসেন (২১)।

রোববার (৩ মার্চ) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট র‌্যাব-৫ সিপিসি-৩ কোম্পানি অধিনায়ক মেজর শেখ সাদিক।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমসাময়িক সময়ে জয়পুরহাট এ কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিশোর গ্যাংদের আচরণে এলাকাবাসীরা আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এমন কোন অপরাধ নেই যার সঙ্গে এরা জড়িত হচ্ছে না। এরই প্রেক্ষিতে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র‍্যাব।

র‍্যাব আরও জানায়, এরই প্রেক্ষিতে শনিবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যদের অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।

র‍্যাব আরও জানায়, পরবর্তীতে অটককৃত আসামিদের জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



বসবাসের অযোগ্য গাজার ৮০ শতাংশ বাড়ি

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় নির্মমতা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। দেশটির এ নির্মমতা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না গাজার হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিদ্যালয় বা মসজিদও। ইসরায়েলের এ হামলায় গাজার ৮০ শতাংশ বাড়িঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শনিবার (০৯ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিসের প্রধান সালামেহ মারুফ বলেন, গাজায় অব্যাহতভাবে খাবার আর আশ্রয়ের সংকট বাড়ছে। উপত্যাকায় কোনো খাবার বা আশ্রয়ের জায়গা নেই বললেই চলে।

তিনি জানান, গত পাঁচ মাসের এ যুদ্ধে উপত্যাকার ৮০ শতাংশ বাড়িঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সেখানকার এক লাখ ২০ হাজার পরিবার দুর্ভিক্ষে ভুগছেন। 

আরও পড়ুন>> মার্চের নির্বাচনই হবে শেষ নির্বাচন: এরদোয়ান

এর আগে আলজাজিরা জানায়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের কথা ভুলে না যাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন। পবিত্র রমজানে আফ্রিকার দেশ সুদানে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হলে এই আহ্বান জানায় দেশটি।

জাতিসংঘ নিযুক্ত চীনের উপরাষ্ট্রদূত দাই বিং নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, রমজান মাসে সুদানে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করলেও গাজার জনগণ এখনো যে বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে তা নিরাপত্তা পরিষদের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। সেখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দিতে হবে।

এতদিন পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে বলে খবর আসছিল। তবে রমজান শুরুর আগে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) ফিলাডেলফিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ কথা বলেন তিনি।


আরও খবর



বিজিপি প্রত্যাবাসন: ফাইল আটকে আছে মিয়ানমার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ সদস্যকে ফেরত পাঠাতে প্রায় সব প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের। মিয়ানমারও তাদের ফেরত নিতে চায়। তবে কবে নাগাদ তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা এখনো জানায়নি দেশটি। আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া সংক্রান্ত ফাইল মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আটকে আছে বলে তথ্য মিলছে।

ঢাকা ও নেপিডোর কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নেপিডোর দিক থেকে ঢাকাকে জানানো হয়েছে, বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়ার ফাইল এখনো ক্লিয়ার করতে পারেননি কর্মকর্তারা। কেননা, কর্মকর্তা পর্যায়ে সব কাজ শেষ হলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এ সংক্রান্ত ফাইল আটকে আছে। তবে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াইয়ের জেরে গত সপ্তাহে দুই দফায় ১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব বিজিপি সদস্য বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।

৯ দিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করা মিয়ানমারের সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত পাঠাতে চায় ঢাকা। এ নিয়ে প্রস্তুতিও রয়েছে ঢাকার। মিয়ানমারের দিক থেকে সবুজ সংকেত পেলে তাদের (বিজিপি) ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারিতে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, বিজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ সদস্যকে যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এবারো সেই প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করতে চায় বাংলাদেশ।

ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো, মিয়ানমার ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

এদিকে, কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় মিয়ানমার সীমান্তে দুইশর বেশি বিজিপি সদস্য অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে দেশের গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জানান, সীমান্তে শ’খানেকের বেশি বিজিপি সদস্য অবস্থান করছে। তারা এখন অবধি বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি চায়নি। আর আমরাও চাই না তারা বাংলাদেশে আসুক।

তাহলে কি নতুন করে আর কোনো বিজিপি সদস্যকে নেবে না বাংলাদেশ– এমন প্রশ্নে এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় হয়ত তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে। যদি তারা ঢুকেও আমরা তাদের যত দ্রুত সম্ভব ফেরত পাঠাব। আগের মতো এদেরও ফেরত পাঠানো হবে।

চলমান পরিস্থিতিতে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে ডেকে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না– জানতে চাইলে অন্য এক কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাকে সব বিষয়ে জানানো হয়। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তো কোনো লাভ হচ্ছে না।

সাময়িক আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। চলমান ওই সংঘর্ষে প্রায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে গত দেড় মাসে মিয়ানমারের প্রায় ৫০০ সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র নিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, তারা আশ্রয়ের জন্য সহযোগিতা চায়। আমাদের কাছে সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকার তাদের জিডআর্ম করে এবং তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে। এরপর তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

২০২৩ সালের শেষের দিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে এখন অবধি প্রায় ১ হাজার জান্তা সদস্য (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্য) আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। প্রায় ৫০০ জান্তা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বার্মা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (বিএনআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর বাহিনী এবং গণমাধ্যমের তথ্য মতে, গত বছরের (২০২৩) শেষের দিকে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা প্রায় এক হাজারে পৌঁছেছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগ করে নেওয়া পাঁচটি প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড, ভারত, বাংলাদেশ ও চীনে সীমান্ত নিয়ে পালিয়ে গেছে জান্তা সৈন্যরা।

বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। আর ভারতে আশ্রয় নিয়েছে ৪০০ জনের বেশি। এ ছাড়া অপারেশন ১০২৭’-এর আগে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তীব্র আক্রমণের মধ্যে শত শত জান্তা সৈন্য থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। এসব জান্তা সৈন্যকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা হলেও তাদের প্রসঙ্গে মিলিটারি কাউন্সিল বিস্তারিত তথ্য জানানো থেকে বিরত থাকে।


আরও খবর



বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থান তৃতীয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা কারণে বিশ্বে বেড়েই চলছে বায়ুদূষণের মাত্রা। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঢাকার বায়ুদূষণও। আজ সোমবার (১৮ মার্চ) বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে ওঠে পাকিস্তানের লাহোর। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে এই তথ্য জানা যায়। এসময় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ছিল তিন নম্বরে।

আজ দূষণ তালিকায় শীর্ষে থাকা লাহোরের স্কোর ২৩৮। অর্থাৎ সে সময় ওই শহরের বায়ু ছিল খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে। দ্বিতীয় অবস্থানে ভারতের দিল্লি। শহরটির দূষণ স্কোর ২১২, অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও খুবই অস্বাস্থ্যকর। তৃতীয় অবস্থানে রাজধানী ঢাকা। এই শহরের দূষণমাত্রার স্কোর ২০৬। অর্থাৎ ঢাকার বাতাসও খুবই অস্বাস্থ্যকর।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর



প্রথম আরব নারী হিসেবে নোরার অনন্য কৃতিত্ব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রথম আরব নারী হিসেবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন নোরা আল মাতরুশি। মহাকাশ এবং চন্দ্রাভিযান বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক ৩০ বছর বয়সী নোরা এই সপ্তাহে এমন মাইলফলক অর্জন করেন।

টানা দুই বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর নোরা এখন পুরোপুরি উপযুক্ত এক মহাকাশচারী। এই সময়ে তিনি তার দেশীয় সহকর্মীসহ আরও ১০ জনের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে মহাকাশযাত্রার বিশেষ পোশাক পরে রকেট শিপের তাঁবুতে অবস্থান, মহাকাশে হাঁটার প্রশিক্ষণসহ অনেক কিছু।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (যন্ত্রপ্রকৌশলী) নোরা আল মাতরুশি জ্বালানি তেল শিল্পে কাজ করেছেন। ২০২১ সালে নাসার এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আরব আমিরাত থেকে প্রার্থী হওয়া দুই মহাকাশচারীর একজন হলেন নোরা। দেশটির মহাকাশ সংস্থা ইউএইএসএ তাদের বাছাই করে।   

উত্তরসূরিদের মতো নোরার জীবনেরও একটা বড় সময় কেটেছে মহাকাশে বিশেষ করে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। এবার সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন আলমাতরুশি।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে আলমাতরুশি বলেন, শ্রেণিকক্ষে আমাদের শিক্ষক চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণের প্রতীকী চিত্র ফুটিয়ে তোলেন। আমরা তাঁবু থেকে বেরিয়ে এলাম। দেখলাম, তিনি আমাদের শ্রেণিকক্ষের বাতিগুলো নিভিয়ে দিলেন। তার শরীর ছিল ধূসর পোশাকে ঢাকা। তিনি আমাদের বলছিলেন, যেন আমরা চাঁদের মাটিতে রয়েছি।

দিনটি আমাকে দারুণ রোমাঞ্চিত করে। আমার মনে স্থায়ী দাগ কাটে। আমি ভাবতে থাকি, এটা বিস্ময়কর। আমি ওই দিনের ঘটনার বাস্তব রূপ দেখতে চাচ্ছিলাম। চাঁদের মাটিতে আমি সত্যি সত্যি হাঁটতে চাচ্ছিলাম, এমনটি বলছিলেন নীল রঙের মহাকাশচারীর পোশাকে নোরা। পোশাকে এমব্রয়ডারি করে লেখা ছিল তার নাম, সঙ্গে নিজ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় পতাকা।

নোরা নাসার প্রথম আরব নারী স্নাতক ডিগ্রিধারী হলেও একাধিক আরব নারী ইতোমধ্যে ব্যক্তি খাতে পরিচালিত মহাকাশযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সৌদি আরবের বায়োমেডিকেল গবেষক রিয়ানাহ বার্নাবি। এক্সিওম স্পেস প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গত বছর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান তিনি। আগের বছর ২০২২ সালে ব্লু অরিজিনের মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন মিসরীয় বংশোদ্ভূত লেবাননি প্রকৌশলী সারা সাবরি।


আরও খবর